নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৯০\'র সাবেক ছাত্র নেতা মুখলেছউদ্দিন শাহীন নামে পরিচিত, বর্তমানে ব্যবসায়ী

আহমেদ_শাহীন

দার্শনিকেররা এযাবৎ জগৎটাকে শুধু ব্যখ্যা করেছেন , আসল কাজ হলো পরিবর্তন করা - কার্ল মার্কসের এ উক্তিটি আমার খুব প্রিয় ।

আহমেদ_শাহীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

র‍্যাব বাতিল করা না করা প্রসঙ্গে

১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭

ইদানিং অনেকেই র‍্যাব বাতিল করা না করা নিয়ে আলোচনা করছেন । টিভি টক শোতেও বিষয়টি প্রাধান্য থাকছে । আমার মতে র্যািব গঠন করা ছিল একটি সময়উপযোগী সিদ্ধান্ত । সেই সময় সাধারন আইনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমন করা অসম্ভব হয়ে উঠেছিল বিধায় র‍্যাব এর মত একটি এলিট ফোরস গঠন করা জরুরী ছিল । এই ধরনের ফোরস পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই দেখা যায় । সাধারন আইনে সন্ত্রাস দমন না করতে পারলে এলিট ফোরস বিশেষ ভুমিকা রাখে । সাধারন মানুষ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজিদের কাছে সেই সময় জিম্মি ছিল । মানবাধিকার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন আছে , সেটা নিয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান কাজ করবে – এটা তাদের দায়িত্ব । আর রাষ্ট্রের দায়িত্ব জনগণের নিরাপত্তা বিধান করা । জনগণ র‍্যাব দ্বারা উপকৃত হয়েছিল ।

৮২ থেকে ৯০ এর শাসনামল , ৯১ থেকে ২০০১ এর দুই টার্মের শাসনামলে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তৈরি কালো টাকা ২০০১ সালের পর থেকে সমাজের সকল স্তরে ব্যপক প্রভাব পরেছিল । কালো টাকা যেহেতু বৈধভাবে বিনিয়োগ সম্ভব নয় ফলে অবৈধ পথে বিনিয়গের জন্য সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রয়োজন পড়ে । সেটা চোরাচালানই হোক আর রিয়েল এস্টেট ব্যবসার জমি দখলই হোক, সাথে বাজার দখল, ঘাট দখল, বাস স্ট্যান্ড দখল , টেন্ডারবাজী ইত্যাদি তো থাকছেই। গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদেরও ঝুট কিনার নামে জোর করে ফ্যাক্টরি থেকে তৈরিকৃত পোশাক নিয়ে নিত । সমস্ত অবৈধ ব্যবসার শিকার হয় সাধারন জনগণ । যেহেতু কালো টাকা বা লুটেরাপুজি রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তৈরি হয় ফলে এই লুটেরা পুঁজির বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক রাজনৈতিক প্রভাব থাকে । সেই প্রভাবে আইনের ফাক দিয়ে এরা বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে । এ ছাড়া অস্র ও অর্থের জোরে এরা রাজনীতির উপরও প্রভাব তৈরি করে । মুলত সেই সন্ত্রাস মাস্তান বাহিনীকে নিয়ন্ত্রনের জন্যই র্যাতব এর মত একটি বাহিনী তৎকালীন সময়ে জরুরী হয়ে পড়েছিল । তখন র‍্যাব এর ভুমিকা দেশের অর্থনীতি ও সমাজে একটি ইতিবাচক প্রভাবও পড়েছিল । সাধারন ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজির হাত থেকে রেহাই পেয়েছিল । নিরাপদ বিনিয়গে উৎসাহী হয়েছিল । দেশের অর্থনীতিতে একটি ইতিবাচক প্রভাব পরেছিল । সেই ইতিবাচক প্রভাবেই নিরাপদ জমি ক্রয় বিক্রয় ও বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছিল ।

সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে কালো টাকা অবৈধ বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণ হওয়ার কারনে সেই টাকা নানা প্রক্রিয়ায় শিল্প ও বানিজ্যে খাতে ব্যপক বিনিয়োগ হয়েছিল । সেই ক্ষেত্রে তৎকালীন সরকার কালো টাকা শিল্প বানিজ্যে বিনিয়োগে অফিসিয়ালি উৎসাহ না দিলেও কোন নিয়ন্ত্রণ করে নাই । সেই কারনে ব্যপক শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে , ব্যবসায় বিনিয়োগ হয়েছে , উন্নয়ন খাতে দরপত্র আহবান করে যে কাজ করা হয় তার প্রাথমিক পুঁজিটা আসে এই কালো টাকা থেকে । কারন কোন ঠিকাদার দরপত্রের মাধ্যমে কাজ পাওয়ার পর কাজ শুরু করার জন্য বাংলাদেশের কোন ব্যাংক ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সাপোর্ট দেয় না । এই ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সাপোর্ট এর উৎস হচ্ছে কালো টাকা । গার্মেন্টস পন্যের সরবরাহকারী হিসেবে আজ বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশ এখন দুই নম্বরে – এই জায়গায় যাওয়ার জন্য মাফিয়া মুক্ত একটি পরিবেশ বিশেষ ভুমিকা রেখেছে । চাঁদাবাজি , মাস্তানি, জমিদখল , হত্যা, নির্যাতন , ধর্ষণ ইত্যাদি অপকর্মের সঙ্গে জড়িত হয়ে আইনের ফাক দিয়ে বেড়িয়ে আসলে সাধারন মানুষ আপনা থেকেই মাফিয়া চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে যায় । এমনকি পুলিশও অসহায় বোধ করে । কারন এই মাফিয়া চক্র রাজনীতিকে ব্যবহার করে আইনকে নিয়ন্ত্রণ করে ।

বর্তমানে দেশে যে পরিমান কালো টাকা তৈরি হয়েছে তা অবশ্যই শিল্প ও বানিজ্যে বিনিয়োগ প্রয়োজন । না হলে এই টাকা ইউরোপ, আমেরিকা নিয়ে গিয়ে তাদের উন্নয়নে ব্যবহার করবে । বিভিন্ন দেশ যে ইনভেস্টমেন্ট ইমিগ্রেসন ও সেকেন্ড হোম দেয় তা হচ্ছে অন্য দেশের কালো পুজি নিজ দেশে এনে শিল্প বানিজ্যে বিনিয়োগ করা – এটা অফিসিয়ালি । আন অফিসিয়ালি সুইস ব্যংক গুলো বসে আছে এই কালো পুঁজিকে এনে বিনিয়োগ করার জন্য । কাজেই অন্য দেশ যদি আমাদের কালো পুজি নিজেদের উন্নয়নের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে তবে আমরা কেন জোর করে সেই টাকা বের করে দিব । কালো এবং সাদা উভয়ই অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে পুঁজি । রাষ্ট্রের আয়কর বিভাগের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সাদা ও কালো পার্থক্য করা হয় । ফলে কালো হোক আর সাদা হোক , পুঁজি মানেই অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করা। এক সময় ব্রিটিশরা তাদের জলদস্যুদের নাইট উপাধি দিয়েছিল , কারন অন্য দেশের জন্য সে দস্যু হলেও নিজ দেশের অর্থনীতিতে সম্পদ বৃদ্ধি করে দেশের উন্নয়নে ভুমিকা রেখেছিল ।

কথা হচ্ছে র‍্যাব নিয়ে । এই কালো টাকা শিল্প খাতে ব্যবহারে র‍্যাব'র বিশেষ ভুমিকা আছে । এতদিন র‍্যাব রাজনৈতিক নির্দেশেই সমাজের আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক উন্নতি করেছিল । রাষ্ট্রের সকল বাহিনীই রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রনে থেকে নির্দেশ পালন করে । রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ও নির্দেশের বাইরে কোন বাহিনী কাজ করতে পারে না । আর রাজনীতি থেকে উতসরিত দুর্নীতি রাষ্ট্রের সকল জায়গাতেই আছে , বিশেষ বাহিনীতে থাকাটাও স্বাভাবিক । সেনাবাহিনী যে কোন সময় মিলিটারি শাসন দিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে , তাই বলে সেনা বাহিনী বাতিল করে দেয় না কেউ । বরং রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্নতির মাধ্যমে সেনা বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় । এ ক্ষেত্রে র্যা ব নারায়নগঞ্জে যা করেছে তার জন্য র্যাবব বাতিল করে দেয়া উদ্যেস্য প্রণোদিত । র‍্যাব যাতে দুর্নীতি মুক্ত থেকে কাজ করতে পারে বরং তার ব্যবস্থা করা উচিৎ । পত্র পত্রিকায় রিপোর্ট অনুযায়ী যারা র্যকবকে ব্যবহার করেছে তারা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় চিহ্নিত মাফিয়া চক্র । যদি র‍্যাব বাতিল করা হয় তবে এই সব মাফিয়া চক্র এই সমাজে আর একটি মাফিয়া শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে এবং ভারতের মত মাফিয়া রাজ্যে পরিনত করবে । মুলত রাজনীতি যেহেতু এখন মাফিয়াদের হাতে জিম্মি তাই মাফিয়াদের স্বার্থে রাজনীতি ব্যবহৃত হচ্ছে । মাফিয়াদের তৈরি কালো টাকা যাতে অবৈধ পথে বিনিয়োগ করা যায় তারই একটি ষড়যন্ত্র হচ্ছে র‍্যাব বাতিলের প্রস্তাব । যে সমস্ত বুদ্ধিজীবীরা সাম্রাজ্যবাদের টাকায় এনজিও পরিচালনা করে ও দেশের দুর্নীতি বিরোধী শ্লোগান দেয় তারা মুলত চায় কালো পুঁজি এ দেশ থেকে বের হয়ে যাক, এটা তাদের মিশন । র‍্যাব উঠিয়ে দিলে মাফিয়াদের অত্যাচারে বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে সকল পুঁজিই দেশের বাইরে পাচার হয়ে যাবে । সমস্ত শিল্প বাণিজ্য বন্ধ হয়ে হিরোইন , ফেনসিডিল, ইয়াবা , ডলার , গোল্ড , অস্র, এ সমস্ত ব্যবসার স্বর্গ রাজ্যে পরিনত হবে । জঙ্গিবাদের উত্থান হবে । সম্ভাবনাময় Emerging Tiger বা Next Eleven খ্যাত বাংলাদেশ পরিনত হবে মাফিয়া ও জঙ্গিবাদের দেশে ।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:১৩

নতুন বলেছেন: দানব কিন্তু একটা সময় নিজের মত করে কাজ করতে শুরু করে....

আর সন্ত্রাসী মেরে ফেল্লেই সমাধান হবেনা... গডফাদারা নতুন করে কারুর হাতে অস্র তুলে দেবে...

তবে যারা ড্রাস/অস্র/থুন করবে তাদের নিয়া বাইরে হাওয়া খেতে যাবার পরে ক্রসফায়ারে পইরা যাবার অপসন থাকা খারাপ না... ;)

২| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:২২

রাকীব হাসান বলেছেন: পত্র পত্রিকায় রিপোর্ট অনুযায়ী যারা র্যকবকে ব্যবহার করেছে তারা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় চিহ্নিত মাফিয়া চক্র ।

৩| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯

ইসপাত কঠিন বলেছেন: সবচেয়ে ভালো হয় র‌্যাব থেকে সশস্ত্রবাহিনীর অফিসার, জেসিও এবং অন্যান্যদের প্রত্যাহার করে নিয়ে বরং এমন একটা নীতিমালা তৈরী করুক যে পুলিশ বাহিনীর অপেক্ষাকৃত দক্ষ সদস্যদের বাছাই করে সেনাবাহিনীর পদাতিক স্কুলের বিশেষ যুদ্ধ শাখার তত্ত্বাবধানে ৮-১২ সপ্তাহের প্রশিক্ষন দিয়ে র‌্যাবে প্রেরণ করা যায়।

প্রশিক্ষনজনিত কারনে সামরিক বাহিনীর সদস্যগণ স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত আক্রমনাত্মক মনোভাবের হয়ে থাকে এবং সেটাই স্বাভাবিক। এবং এদের আক্রমনাত্মক মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে অনেকে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে পারে। সুতরাং র‌্যাব থেকে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহার করে নিলে র‌্যাবকে দিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা আদায় অনেক কমে যাবে। কারন, সামরিক বাহিনী একটা জিনিসই ভালো বোঝে, তা হলো তাদেরকে দেওয়া আদেশ তাদেরকে পালন করতে হবে। পক্ষান্তরে, পুলিশ যথেষ্ট বুদ্ধিমান/চতুর। তারা সরকার পরিবর্তনের কথা সবসময় মাথায় রাখে এবং সেভাবে কাজ করে।

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

আহমেদ_শাহীন বলেছেন: ধন্যবাদ আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য । কিন্তু সেক্ষত্রেও প্রচলিত পুলিশ বাহিনীর সদ্যস্যদের দিয়ে হবে না । উচ্চ বেতনে স্পেশাল পুলিশ স্কোয়াড হলে দুর্নীতি থেকে মুক্ত থাকার সম্ভাবনা আছে । সে যেভাবেই হোক র‍্যাবের মত প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন অস্বীকার করলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে

৪| ১৩ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯

শাহ আজিজ বলেছেন: র‍্যাব গঠনের যুক্তি ছিল কিন্তু তাদের কৃতকর্মে শাস্তির বিধান পরিস্কার না হওয়ায় তারাও প্রাইভেট বাহিনীর মত ব্যাবহার হয়েছে । পুলিশ ও বিচার বিভাগকে আলাদা না করলে পরিস্থিতি কত ভয়ঙ্কর হতে পারে তা এবার দেখলাম আমরা। যারা আমেরিকায় থাকেন তারা জানেন আমেরিকান পুলিশের অ্যাকশন র‍্যাবের থেকেও ভয়ঙ্কর । ক্রস ফায়ার নয় ডাইরেক্ট ফায়ার করা হয় তো আমেরিকান রা কি তাদের সন্ত্রাসিদের সমর্থন দিয়ে পুলিশ তুলে নিতে বলেছে ? ভাগ্যিস ওদের মিজানুর রহমান নেই । এলিট ফোরস থাকবে এবং সন্ত্রাসী যারা সংশোধন হয়না তাদের ডাইরেক্ট ফায়ারই হবে । র‍্যাব কর্মকর্তা বা সদস্য তাকা পয়সা লেনদেনে জড়িত থাকলে আমজনতার দ্বিগুণ শাস্তির বিধান থাকতে হবে , এইখানেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা চলে আসছে যেটা নিয়ে দু নেত্রীর কারোর মাথা ব্যাথা নেই ।

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৬

আহমেদ_শাহীন বলেছেন: ভাই , আপনার মন্তব্যটি মুল্যবান । আমরাও চাই আমাদের পুলিশ বাহিনী যে কোন অপরাধ ও সন্ত্রাস মোকাবেলায় বিশ্ব মানের হবে ।

৫| ১৩ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪

ল্যাটিচুড বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল গুলোর ভিতর সত্যিকার অর্থে গনতন্ত্রের চর্চা শুরু করতে হবে, নতুবা এসব চলতেই থাকবে। কারণ পেশি শক্তি নির্ভর রাজনীতি এমনই হয়।

র‍্যাব - পুলিশ বিলুপ্ত করে এসবের সমাধান হবে না। আমাদের সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের মধ্যে - অবৈধ অর্থ অর্জনের প্রতিযোগিতা এখনই বন্ধ করতে হবে। আর এই কাজটি সৎ ও যোগ্য রাজনীতিবিদদের।


আমাদের দেশে রাজতন্ত্রের আদলে যে রাজনীতি চলছে, তাতে শুধুই চাটার দল আর রাজনীতিজীবি ( না ভূল পড়েন নি) তৈরী হবে।এই পরিবেশে সতিকার বুদ্ধিভিত্তিক রাজনীতিবিদ তৈরী হওয়ার কোন সম্ভবনাই নাই। তাই -

সবদলের এখন উচিৎ বুদ্ধিভিত্তিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্বকে সামনে নিয়ে আসা।

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

আহমেদ_শাহীন বলেছেন: সেই ক্ষেত্রে জনগণেরও ভুমিকা আছে । রাজনীতিতে যখন জনগণের স্বার্থ জড়িত থাকে না তখন জনগণের উচিৎ সেই রাজনীতি ও নেতৃত্ব বর্জন করা , আর এই কাজটাও আর একটা বিকল্প রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্যেই করতে হবে ।

৬| ১৩ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৩

বিষক্ষয় বলেছেন: শাহ আজিজ ভাই একটা জিনিষ বলতে ভুলে গেছেন --- আর তা হলো আমেরিকায় বুলেট, পিস্তল, রাইফেল, মেশিন গান মুদি দোকানে চা সিগারেটের মতো বিক্রি হয়। তাই আমেরিকান পুলিশের ডাইরেক্ট ফায়ার করা ছাড়া উপায় নেই।
তাছাড়া আমেরিকা উন্নত দেশ গুলির মধ্যে সবচেয়ে বর্বর/অসভ্য দেশ যে শয়ে শয়ে লোককে death penalty দেয় আর জনগনের একটা বিশাল অংশকে (বিশেষ করে minority) কারাগারে আটকে রাখে আবার অন্যদিকে বুলেট, পিস্তল, রাইফেল, মেশিন গান মুদি দোকানে চা সিগারেটের মতো বিক্রি করে।
অন্যদিকে UK বা Australia তে পুলিশ একটা গুলি করলেও বিশেষ কমিশন তার তদন্ত করে দেখে যে গুলি করা ঠিক ছিলো কি না

৭| ১৩ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

মিতক্ষরা বলেছেন: ক্রশ ফায়ার বন্ধ হোক। তারপর দেখা যাবে। র‌্যাবের হাতে ক্রশ ফায়ারের ক্ষমতা আছে। সমস্যা সেখানেই। অথচ পুলিশ কাস্টডিতে মৃত্যু কোন অবস্হাতেই সভ্য সমাজে গ্রহন যোগ্য হতে পারে না। সেটা সিরাজ শিকদারই হোক, কিংবা কালা ফারুকই হোক না কেন।

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৫৪

আহমেদ_শাহীন বলেছেন: সিরাজ শিকদার ও কালা ফারুক কে একই পাল্লায় মাপা ভুল হবে । সিরাজ শিকদার ক্রসফায়ারে নিহত হলেও সবাই জানে এটা মুজিব জিয়ার মর রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড , আর কালাফারুক গড ফাদার । র‍্যাবের কাজ রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নয় , গড ফাদার নির্মূল করা ।

৮| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

আহমেদ_শাহীন বলেছেন: সকলের মন্তব্য অত্যন্ত মুল্যবান , সবাইকে ধব্যবাদ

৯| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ২:০৪

কালের সময় বলেছেন: বাংলাদেশে র‌্যাব ভলুন আর পুলিশই ভলুন যে বাহিনীই ভলুন তাদের সকলকে বাংলা দেশের রাজিতী দলগুলোর
কথা ভুলে গীয়ে দেশের সাধারন মানুষগুলোর কথা ভেবে
দেশের সাধারন মানুষের পাশে দাড়াতে হবে ।
দেশের সাধারন জন গন ব্যক্তীগত ভাবেও অনেকে র‌্যাব ব্যটালিয়ান র‌্যপিদ কে অনেক শ্রধা করে । কিনতু তাদের
ইদানিং কিছু কর্ম কান্ডের জন্য বাংলাদেশের অনেক জন সাধারন র‌্যাবের উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.