![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দার্শনিকেররা এযাবৎ জগৎটাকে শুধু ব্যখ্যা করেছেন , আসল কাজ হলো পরিবর্তন করা - কার্ল মার্কসের এ উক্তিটি আমার খুব প্রিয় ।
শেষ পর্যন্ত ভারতের কর্পোরেট পুঁজি ও লুটেরা পুজি যৌথভাবে কংগ্রেসকে ছুড়ে ফেলে মোদিকে বেছে নিয়েছে . একেবারে দুই তৃতীয়াঙশের কাছাকাছি. এক্ষেত্রে বিজেপি এর থেকে ব্যক্তি মোদী গুরুত্বপূর্ন . এটা ভারতের ধনিক শ্রেনীর পছন্দ . পুজি যেহেতু জাতীয়তাবাদের ধারক বাহক সেক্ষত্রে তারা হিন্দু জাতীয়তাবাদকে বেছে নিয়েছে. কিন্তু হিন্দু জাতীয়তাবাদ ভারতীয় পুজিকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারলেও সর্ব ভারতীয় রাজনীতিকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে না . ফলে রাজ্যভিত্তিক শাসন ব্যবস্থায় কেন্দ্রের অবস্থান দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা আছে. এই সুযোগে পশ্চিমা পুজির ব্যপক অনুপ্রবেশ ঘটবে . ভারতীয় পুজিপতিরাই পশ্চিমা পুজিকে ডেকে আনবে যৌথ বিনিয়োগের লোভে . বিজেপি কংগ্রেসের মত রাজনৈতিক মেধা জ্ঞানে ততটা সক্তিসালি নয় বিধায় পশ্চিমা পুজিকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যাবে. এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে পারলে বাংলাদেশ অনেক লাভবান হতে পারবে. বাংলাদেশর সস্তা শ্রম অনেক নতুন নতুন শিল্পের জন্ম দিতে পারবে. ভারত চাইলেও সুধু সক্তিসালি ট্রেড ইউনিয়নের কারণে নিজেদের শ্রম দিয়ে পশ্চিমা পুজি ব্যবহার করতে পারবে না যা বাংলাদেশ পারবে . পশ্চিমাদের দরকার শুধু ভারতের বাজার . সেখানে শিল্প তৈরিতে তাদের আগ্রহ নেই যতটা বাংলাদেশে আছে.
বাংলাদেশ নিয়ে কংগ্রেস সরকারের পরামর্শ থাকলেও যে কর্পোরেট ধনিক শ্রেণী মোদিকে বিজয়ী করেছে তারা ব্যবসায়ীক সার্থের অবস্থান থেকে বিবেচনা করবে. সেক্ষেত্রে কংগ্রেস থেকে পশ্চিমাদের পরামর্শ তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ন হবে. বাংলাদেশ নিয়ে কংগ্রেস সরকার পশ্চিমাদের সাথে গোয়ার্তুমী করেছে যা মোদী করতে পারবে না. কংগ্রেসের ইস্যু ছিল আঞ্চলিক রাজনীতির উপর প্রভাব বিস্তার আর মোদীর ইস্যু ব্যবসার বানিজ্যের প্রসার . বাংলাদেশ নিয়ে মোদী কংগ্রেসের রাস্তায় হাটলে পশ্চিমাদের সাথে সম্পর্ক নস্ট হবে এবং ভারতের পুজিপতিরা তা চায় না
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ২:১৩
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমার হিসাবে মূলে হাত দিয়েছেন সাথে কিন্তু সাম্প্রদায়ীকতার কথা ভুলে গেলে চলবে না। বিজেপি আমাদের জামায়াতের মতই একটি দল।।