![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দার্শনিকেররা এযাবৎ জগৎটাকে শুধু ব্যখ্যা করেছেন , আসল কাজ হলো পরিবর্তন করা - কার্ল মার্কসের এ উক্তিটি আমার খুব প্রিয় ।
ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী'র শপথ অনুষ্ঠানে সার্কভুক্ত দেশের প্রায় সকলেই সহ বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন । এই শপথ অনুষ্ঠান এর ভিতর দিয়ে অনেকেই বাংলাদেশের সাথে ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে চুলছেরা বিশ্লেষণ করছেন । এই বিশ্লেষণ করতে গিয়ে মোদীর বিজয়ের নেপথ্য নিয়ে বিশ্লেষণ জরুরী । বিভিন্ন পত্র পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী মোদীর দলের অর্থাৎ বিজেপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে ৮৬% কোটিপতি । এই তথ্যটি এই জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে ভারতের রাজনীতির ঐতিহ্য অনুযায়ী রাজনীতিবিদরা সাধারনত লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী হয় । বিধানসভা নির্বাচন একটু ভিন্ন , সেখানে রাজনীতি ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহৃত হতে দেখা গিয়েছে । কিন্তু লোকসভা বরাবরই রাজনীতিবিদদের নিয়ন্ত্রনে ছিল । সেখানে ব্যবসায়ীরা সরাসরি প্রবেশ করতে পারে নাই । কিন্তু বিগত কয়েক টার্ম যাবত দেখা গিয়েছে যে একটি লোকসভা আসন জেতার জন্য ব্যক্তির ইমেজকে ব্যবহার করতে । সেটা তারকা ব্যক্তিত্বই হোক আর ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্বই হোক । উভয়ই কিন্তু নির্বাচনে ভোট ব্যাংক দখলের জন্য পুজি বিনিয়োগ করে পরে নির্বাচনে জিতে রাজনৈতিক প্রভাবে রাষ্ট্রকে ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করে । এটা এতদিন ব্যক্তি পর্যায়ে ছিল । এই প্রথম এই প্রবনতা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পেল । এর ফলে ৮৬% লোকসভা প্রতিনিধি রাজনীতির চাইতে ব্যবসায়িক স্বার্থকে প্রাধান্য দিবে । অর্থাৎ এই মোদী সরকার ভারতের ব্যবসায়িক শ্রেণীর প্রতিনিধি । কংগ্রেস গোষ্ঠীগত স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে ভারতের পুঁজির বিকাশের স্বার্থের অবস্থান থেকে রাজনীতিকে পরিচালিত করতে ব্যর্থ হয়েছে । আরও একটি তথ্য সকলেই জানে যে ভারতের এবারের নির্বাচনে বিজেপি ৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করেছে যা বাংলাদেশের ২ বৎসরের বাজেট থেকেও বেশি । এই বিপুল পরিমান টাকা শুধু ভারতের অভ্যন্তরিন উৎস থেকে ব্যয় হয়েছে না এর একটি বড় অংশ পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীরা ব্যয় করেছে তাও ভেবে দেখতে হবে । পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীরা ব্যবসায়ী শ্রেণীর মাধ্যমে ভারতীয় রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রনের এই সুযোগ ছেড়ে দিবে বলে মনে হয় না । এই বিপুল পরিমান টাকা ব্যয় করা এক অর্থে বিনিয়োগ করা । বিনিয়োগ ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে হয় । সেখানে লাভ লোকসানের হিসাব থাকে । কেউ লোকসানের জন্য বিনিয়োগ করে না । আর যেখানে লাভ থাকবে সেখানে ব্যবসা থাকবে । তাহলে এই বিপুল বিনিয়োগের নির্বাচন ও তার মধ্যে ৮৬% কোটিপতির নির্বাচিত হওয়া থেকে আমরা কি সারমর্ম টানতে পারি না যে বর্তমান সরকার একটি বিনিয়োগকারী গোষ্ঠীর নির্বাচিত প্রতিনিধি । এই বিনিয়োগকারী গোষ্ঠী যুদ্ধ করার জন্য বিনিয়োগ করে নাই , করেছে শান্তির মাধ্যমে আঞ্চলিক সকল দেশ গুলির সমন্বয়ে ব্যবসা বানিজ্যের উন্নতির স্বার্থে রাজনীতিকে পরিচালিত করা । সেই সাথে ভারত রাষ্ট্র যেন ভারতীয় ব্যবসায়িক শ্রেণীর স্বার্থে ব্যবহৃত হয় । কিন্তু এই নির্বাচিত ব্যবসায়িক শ্রেণী ভারত রাষ্ট্রকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে গিয়ে রাজনৈতিক মঞ্চকে প্রায় দখলেই নিয়ে নিয়েছে । ভারত প্রবেশ করেছে একটি বিরাজনিতিকরন প্রক্রিয়ায় ।
বাংলাদেশ যেখানে বিরাজনিতিনিকরন প্রক্রিয়া থেকে বেড়িয়ে আবার রাজনীতিতে ফিরে আসার চেষ্টা করছে ভারত মাত্র সেখানে প্রবেশ করতে যাচ্ছে ।
২| ২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: তাহলে ভালো।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮
মাইরালা বলেছেন: ভারতের এবারের নির্বাচনে বিজেপি ৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করেছে
এই টাকা দিয়ে কতগুলো পরিবারকে দারিদ্রসীমার ওপরে ওঠানো যেত???
এই টাকা দিয়ে কতগুলো অভুক্ত শিশুর খাবার সংস্থান করা যেত?