নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৯০\'র সাবেক ছাত্র নেতা মুখলেছউদ্দিন শাহীন নামে পরিচিত, বর্তমানে ব্যবসায়ী

আহমেদ_শাহীন

দার্শনিকেররা এযাবৎ জগৎটাকে শুধু ব্যখ্যা করেছেন , আসল কাজ হলো পরিবর্তন করা - কার্ল মার্কসের এ উক্তিটি আমার খুব প্রিয় ।

আহমেদ_শাহীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইসিস ( ISIS - Islamic State of Iraq and Syria ) আসলে কারা ??

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮

আইসিস ( ISIS - Islamic State of Iraq and Syria ) কিন্তু বর্তমানে শুধু আইএস (IS) বা ইসলামিক স্টেট নামক ছুন্নি উগ্রপন্থি বর্বর জঙ্গি গোষ্ঠীর হটাত কিভাবে আবির্ভাব হোল ? কে তাহাদের অস্র গোলাবারুদ দিয়ে সাহায্য করছে , কে তাদের লালন পালন করে গড়ে তুলেছে সেই ইতিহাস খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না । তবু যতটুকু জানা যায় কিছুদিন আগেও “আল ক্বায়দার ইরাক” নামে পরিচিত ছিল । এখন এদের নেতা যিনি কিছু দিন আগে ও তাঁর নাম ছলো “আবু বাকার আল বাদাওয়ী” তিনি নিজের নাম পাল্টে খলিফা ইব্রাহীম ঘোষনা করেন । তিনি নিজেকে শীর্ষ নেতা হিসাবে ঘোষনা করেন। উত্তর ইরাকের ভুমি সংলগ্ন এলাকায় সিরিয়য়ার সিমান্ত নিয়ে সুন্নি রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখছে তাঁরা। খলিফা ইব্রাহীম ঘোষনা করেছেন সকল মুসলিমের উচিৎ তাকে অনুসরন করা । এই আইএস যখন ইরাকি আল কায়দা হিসেবে পরিচিত ছিল তখন তারা শিয়া ছুন্নি ইস্যু নিয়ে প্রচুর দাঙ্গাবাজি ও মারামারি করেছে। ২০০৬ সালে তাঁরা ই আলাস্কারী মাজারে এবং শীয়া মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তাঁরা ক্রমাগত ভাবে শীয়াদের মসজিদে ও সুন্নিদের মাজার ও পবিত্র স্থান সমূহে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।ধর্মীয় উপদল গুলোর উপর নানাভাবে আক্রমন করেছে । ২০০৫ সালের আল কায়দার প্রধান জাওহারী নিজেই এই সকল ধর্মীয় উপ সম্প্রদায়ের উপর হামলার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ও তাদের সাবধান করেছিলেন । এরা কখনই মার্কিনীদের শত্রু মনে করে নাই , তাদের প্রধান শত্রু হচ্ছে ছুন্নি নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি । তারা মনে করেছিল মার্কিনীরা ইরাক থেকে চলে গেলে তাদের হাতেই ক্ষমতা আসবে । কিন্তু মার্কিনীরা আইসিস কে ব্যবহার করছে ইরাকে ক্ষমতায় না বসিয়ে তাদের ব্যবহার করছে মধ্যপ্রাচ্য দখলের কাজে । তারা ইরাকে ও সিরিয়ায় সরিয়া আইন চালু করে জনগণের উপর ব্যপক নির্যাতন চালায় কিন্তু রাষ্ট্র ও পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদ তখন এই সমস্ত কর্মকাণ্ডকে মিডিয়ায় প্রকাশ করেনি বরং গোপন করেছে । ২০১৪ সালে হটাত করে আইএস এর ব্যপক উত্থান কিভাবে সম্ভব হোল এই তথ্য প্রশ্নবিদ্ধ । এখন আমেরিকা তার মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদের নিয়ে আইএস এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং এখন বলছে এই যুদ্ধ ২/৩ বছর স্থায়ী হতে পারে । অ্যামেরিকার পশ্চিমা অনেক মিত্র শক্তিই এই যুদ্ধে বা অ্যামেরিকার মধ্যপ্রাচ্য দখলের পাতানো খেলায় অংশ নেয়নি । আজ টিভিতে দেখলাম ব্যপক গোলাগুলির মাধ্যলে সব দালান কোঠা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ।

দেখা যাচ্ছে যুদ্ধ হচ্ছে বর্তমান সাম্রাজ্যবাদের ফিন্যান্স পুঁজি বিনিয়োগের অন্যতম উদ্যেস্য । যুদ্ধ করে সব ধ্বংস করবে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের জন্য সেই দেশকে ঋণ দিয়ে সহায়তা করবে । সেই ঋণের সুদ বহন করবে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের জনগণ । অ্যামেরিকার জং ধরা গোলাবারুদ হচ্ছে যুদ্ধের সরঞ্জাম । এতে তাদের অস্র ও গোলাবারুদের ব্যবসাও চাঙ্গা হচ্ছে । আমেরিকা অনর্থক আইএস দমনের নামে একটি ইঁদুর বিড়াল খেলায় নেমেছে ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২

ইউরো-বাংলা বলেছেন: দেখা যাচ্ছে যুদ্ধ হচ্ছে বর্তমান সাম্রাজ্যবাদের ফিন্যান্স পুঁজি বিনিয়োগের অন্যতম উদ্যেস্য । যুদ্ধ করে সব ধ্বংস করবে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের জন্য সেই দেশকে ঋণ দিয়ে সহায়তা করবে । সেই ঋণের সুদ বহন করবে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের জনগণ । অ্যামেরিকার জং ধরা গোলাবারুদ হচ্ছে যুদ্ধের সরঞ্জাম । এতে তাদের অস্র ও গোলাবারুদের ব্যবসাও চাঙ্গা হচ্ছে । আমেরিকা অনর্থক আইএস দমনের নামে একটি ইঁদুর বিড়াল খেলায় নেমেছে ।

একমত। দুঃখজনক হলেও সত্য মাথামোটা আরবরা তা বুঝে না!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.