![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবশেষে সবই ঝরে যায়/সময়ের হলুদ হাওয়ায় স্মৃতিমাত্র লিখা থাকে নাম/সেইখানে আমিও ছিলাম...
গল্পটা সত্যিই অদ্ভুত। ইবু কানা দাদুর কাছ থেকে গল্পটা শুনেছিল।
গ্রামের এক রাখাল পিঠা খাচ্ছিল। হঠাৎ সে কি মনে করে একটা পিঠা মাটিতে লাগিয়ে দিল। তারপর দিন সে দেখল পিঠার গাছ হয়েছে। আস্তে আস্তে পিঠার গাছ বড় হয়। রাখাল পিঠার গাছে উঠে পিঠা খায়। সেই গাছের নিচে একদিন পিঠা খেতে এলো এক ডায়নি বুড়ি। তার দাঁত ছিল তরমুজের বীজের মতোÑ গল্পের এই অংশে কানা দাদু তার কালো দাঁত দেখায়।
ইবু, পলাশ আর রফিক কতবার যে এ গল্পটা শুনেছে তার ঠিক নেই। পলাশ আর রফিক গল্পটা বিশ্বাস করত। কিন্তু ইবু এসব একদম বিশ্বাস করত না।
একদিন পলাশ আর রফিক বাড়ির পেছনে পিঠে লাগিয়ে দিল। তেলের পিঠের গাছ। দুজনে রোজ সকাল বিকেল পানি দেয়। দুদিন পর চারা গজাল। ওরা দুজন সে কী খুশি!
ইবু পিঠে লাগালে গাছ হয় এ গল্পটা বিশ্বাস করত না। কিন্তু তার চোখের সামনেই হন হন করে একটা গাছ বড় হচ্ছে। কী মারাতœক! কী মারাতœক!
রফিক দাঁত উল্টিয়ে বলল, ‘পিঠা যখন ধরবে তখন দেখবি, আমি আর পলাশ খাব। তোকে দেব না।’
পলাশ খিল খিল করে হাসে। বলে, ‘তারপর একদিন ডায়নি বুড়ি আসবে। গল্পের রাখালটা বোকা ছিল। ডায়নি বুড়িকে পিঠা খেতে দেয় না।। তাই ডাইনি বুড়ি ওকে ভেড়া বানিয়ে দেয়। কিন্তু আমরা ডাইনি বুড়িকে পিঠা খেতে দেব।’
ইবু চুপ করে শোনে। তার বিশ্বাসে ফাটল ধরে। পিঠা লাগালে গাছ হয়। এটা তার মনে একটু একটু গেথে যায়। রফিক বলে, ‘ডাইনি বুড়িকে আমরা বাসায় নিয়ে যাব। ওকে গেমস খেলতে দেব। ও খুশি হবে। তারপর আমরা ভাব জমিয়ে রাক্ষসপুরীতে যাব। অনেক হীরে-জহরত আনব। আর আনব ডানাকাটা একটা লালপরী আর একটা নীল পরী।’
‘একটা জাদুর বাক্সও আনব। সেই বাক্সে আমাদের বয়স বন্দী থাকবে। আমরা কখনো বুড়ো হব না। আর তুই তো বুড়ো হয়ে যাবি। তোর চুলে পাক ধরবে। তোর দাঁত পড়ে যাবে। কানাদাদুর মতো দাঁত কালো হয়ে যাবে। ’Ñপলাশ বলে।
ইবু মনে মনে শঙ্কিত হয়। সেও কেন তাদের সঙ্গে থাকল না। তাহলে তো তার বয়সটাও জাদুর বাক্সে বন্দী থাকত।
দুই
পিঠের গাছটা বেশ বড় হয়েছে। প্রায় তিনফুট। ইবু গভীর রাতে চুপি চুপি পিঠের গাছটার নিচে দাড়াল। কেমন প্যাচাঁনো গাছটা। দূর থেকে দেখলে সাপ মনে হয়। সে গাছটা ধরে একটানে তুলে ফেলল। তারপর দে দৌড়।
তিন
পিঠের গাছটা মরে যাওয়ার রফিকের কিছু হয়নি। কিন্তু পলাশের আজ তিনদিন ধরে জ্বর। চারবার বমি করেছে। কাদঁতে ওর চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে। ইবু মুখ কাচুমাচু কওে ওর কাছে গেল।
পলাশ বিছানায় শুয়ে দিল। তাকে দেখেই মুখ ফিরিয়ে নিল। ইবু বলল, ‘বন্ধু, শোন। আমি জানি পিঠে গাছ লাগালে কখনো গাছ হয় না। রাক্ষস, লালপরী, নীলপরী আছে এসব আমি বিশ্বাস করি না। তারপরও তোদের গাছটা দেখে বিশ্বাস হয়েছিল।’
‘তুই আমার সাথে কথা বলবি না।’Ñ ফুপিয়ে ফুপিয়ে বলল পলাশ।
‘এই যে এদিকে দেখ।’
ইবু একটা পিঠা দেখাল। তারপর বলল, ‘তোর জন্য এনেছি। আয় দু’জনে মিলে লাগাই। আবার পিঠার গাছ হবে। কি বলিস?’
পলাশ কিছু বলল না। ফোকলা দাঁত বের করে হাসল।
২| ১২ ই জুলাই, ২০০৭ দুপুর ১:৪৪
মানবী বলেছেন: চমৎকার! খুব ভালো লিখেছেন, ধন্যবাদ আহমেদ ফারুক।
৩| ১২ ই জুলাই, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৪
সাদিক বলেছেন: হাহা.... সুন্দর শিশুতোষ।
ছবিটাও ভালো লেগেছে।
৪| ২৪ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:১৮
ঝুমী বলেছেন: Great. গল্পটা খুবই ভাল লেগেছে।আমার প্রিয় পোস্টে রেখে দিলাম।+
৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ছোটদের গল্প হিসেবে চমৎকার
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুলাই, ২০০৭ দুপুর ১:১২
গোলাপি বলেছেন: মজা পেলাম!