নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“ কাউকে জ্ঞান বিতরণের আগে জেনে নিও যে তার মধ্যে সেই জ্ঞানের পিপাসা আছে কি-না। অন্যথায় এ ধরণের জ্ঞান বিতরণ করা হবে এক ধরণের জবরদস্তি। জন্তুর সাথে জবরদস্তি করা যায়, মানুষের সাথে নয়। হিউম্যান উইল রিভল্ট। ” -আহমদ ছফা ।

আহমেদ রুহুল আমিন

“ মানূষের জীবনকাল মাত্র দুই দিনের যার একদিন যায় স্বপ্ন দেখতে- একদিন যায় স্বপ্ন ভাঙ্গতে ” ।

আহমেদ রুহুল আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

।। দেশ গান ।।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২৪


।।১।।

নদীতীরে কাশবন,
শ্যামলঘন বাঁশবন,
ঢেউ খেলানো জোছনা রাতে-
আকাশে চাঁদ হাসে /
গাঁয়ের বধুর নোলক যেথা,
লজ্জারাঙ্গা নক্সীকাথা,
অচীন দেশে সচিন মাঝির-
নৌকা যেথায় ভাসে,
সেই দেশেতে জন্ম মোদের-
এইসে সোনার দেশে ।
ভাওয়াইয়া আর ভাটিয়ালী,
গেয়ে মধুর গানের কলি,
কিষান মুজুর দুঃখ ভুলে -
সুখেই কাটে দিন/
খালি পায়ে উঠোন পারে,
সরল বধুর হাসি ঝরে,
এমন সোনার দেশের কাছে-
আছে অনেক ঋণ/
শোধ করবো মোরা
শুধু গভীর ভালবেসে ।
শাপলা ফোটা কাজলদিঘী ,
পাড়ে যে তার নিত্য দেখি,
পানকৌরী সব রোদ্রাকাশে-
হাওয়ায় ডানা মেলে /
নদীর পাড়ে সোজন ঘাট,
চোখ জুড়ানো শ্যামল মাঠ ,
গোরুর পালের রাখাল বালক-
নিত্য যেথায় খেলে/
এই দেশেতে জন্মে মোরা-
ধন্য হলাম শেষে ।।
=====

।।২।।

আধার শিশির ছোঁয়া সকালের রোদ,
ফসলে রুপোলী ঝিলিক দেয়যে আমায়-
নতুন করে বাঁচার মূর্ত শপথ ।
এই ভরা ‘ চাওয়াই ‘ নদী,
নুড়ি পাথরে যেথা উত্তুরে হাওয়ায়-
হিমায়িত নিরবধি ।
শ্যামল আখের ক্ষেত, পাড়ভাঙ্গা পথ,
বিকেলের রৌদ্রছায়া দেয়যে আমায়-
নতুন করে বাঁচার মূর্ত শপথ ।
ঢেউ দোলা কাশবন,
বাঁশফালি চাঁদ জোছনা নোয়ায়-
নিরব নিথর যখন ।
বুনোহাঁস, গাছ-পাখি যত কলরব,
কালোদিঘি ঘোলা জল দেয় আমায়-
নতুন করে বাঁচার মূর্ত শপথ ।
ধবল গাভির চোখ,
সোহাগ ছড়িয়ে টানে
মাতৃহীন রাখালের বিমূর্ত শোক ।
মিছে- মিছি ক্ষেত বোনা-
ঘাসের নোলক,
চাষীর কিশোরী মেয়ে দেয়যে আমায়-
নতুন করে বাঁচার মূর্ত শপথ ।।
=======
## আমার কাছে বৈশাখ মানে এই দেশ, মা-মাটি তথা আমাদের এই গ্রাম বাংলার চিরায়ত পললভুমির এক অপরুপ উপাখ্যান । এই গ্রাম বাংলার সিদে - সাদা মানুষের আবেগ, ভালবাসা, আনন্দ-বেদনা সবকিছুর শুরু বৈশাখের নুতন বর্ষপঞ্জী থেকেই । নদী মাতৃক বাংলার এই অপরুপ সৌন্দর্য্য সাড়া পৃথিবীর মানুষকে বিমোহীত করে । গ্রাম বাংলার সলাজ রমণীর একমাত্র আচ্ছাদন শাড়ী অপরুপা সৌন্দর্য্যের ধারক-বাহক । কবি আল মাহমুদের ভাষায়- গ্রাম বাংলার রমণীদের সৌন্দর্য্যের পোষাক যে শাড়ি, তার প্রচলণ শুরু সম্ভবত: নদীর চিত্ররুপ থেকেই , যেটি পৃথিবীতে সভ্যতার সূচনা করে এক বিরল আচ্ছাদন , যা বাংলা তথা বাঙালীর আবহমান ঐতিহ্যর ধারক হিসেবে বিবেচিত ! 'সামহোয়ারইন' ব্লগের সম্মানীত লেখক, পাঠক এবং শুভানুধ্যায়ীদের জানাই চৌদ্দশ বাইশের আগাম শুভেচ্ছা ।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.