নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“ কাউকে জ্ঞান বিতরণের আগে জেনে নিও যে তার মধ্যে সেই জ্ঞানের পিপাসা আছে কি-না। অন্যথায় এ ধরণের জ্ঞান বিতরণ করা হবে এক ধরণের জবরদস্তি। জন্তুর সাথে জবরদস্তি করা যায়, মানুষের সাথে নয়। হিউম্যান উইল রিভল্ট। ” -আহমদ ছফা ।

আহমেদ রুহুল আমিন

“ মানূষের জীবনকাল মাত্র দুই দিনের যার একদিন যায় স্বপ্ন দেখতে- একদিন যায় স্বপ্ন ভাঙ্গতে ” ।

আহমেদ রুহুল আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘নিমকহারাম প্রজা’ ( নব আবিস্কৃত পঞ্চগড়ের প্রাচীণ নগরী- ‘ভিতরগড়ের’ মহারাজার দিঘীর উপাখ্যান অবলম্বনে ) ৷

২৫ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১

হাজার রকম স্বপ্নেভরা মধুর ছোট্টকাল,
রাজকুমোরের গল্পগাঁথা কাটতো মনে জাল ৷
সেইযে রাজকুমোর একদিন রাজকণ্যের খোঁজে,
দেশ হতে দেশ দেশান্তরে ঘোড়ায় ছুটতো যে ৷
তেপান্তরের মাঠ পেড়িয়ে চাওয়াই নদীর কিনার,
ছুটতে শেষে আসলো যেই কাজলদিঘীর পাড় ৷
দিনের শেষে রাত্রি আসে কুমোর তারপর,
ছাতিম তলে ঘুমিয়ে পড়ে পাড়ের উপর ৷
স্বপ্নে দেখে রাজকণ্যে দিঘীর অথৈ জলে ,
গভীর ঘুমে অবচেতন প্রাসাদ মহলে ৷
জলপরী সব ছিলো যতো রাজকণ্যের পাশে,
মধুর গানে ঘুম পারিয়ে তাকে নিতে আসে ৷
রাজকুমোর জেগে তখন কাজলদিঘীর জলে -
ঝাপিয়ে পড়ে এক নিমেশে গভীর অতল তলে ৷
সেখানে সে পাতালপুরে রাজকণ্যের সনে ,
মহাসূখে রাজ্য গড়ে প্রজার কল্যাণে ৷
দিঘীর ধারে ছিলো যতো প্রজা সাধারন,
রাজ্য হতে তাদের তরে আসতো গুপ্ত ধন ৷
কেউ যদিবা মেয়ের বিয়ের গয়নাগাটি যতো ,
চাইলে জলে আসতো ভেসে ইচ্ছে মনের মতো ৷
কাসন-বাসন হাড়ি-কড়াই চাইলে নতমনে,
জেয়াপতের(নিমন্ত্রণ) সব সোনার বাসন দেখতো জনে জনে ৷
ওয়াদা রেখে ভক্তিভরে ফেরত্ দেয়া হলে,
ডুবতো জলে অন্ধকারে অথৈ অতল তলে ৷
একদা এক কলিযুগের মস্ত পাজি প্রজা,
কথায় করে বরখেলাপ তাই বন্ধ হলো দরজা ৷
সেই থেকে কিংবদন্তি থাকলো মহারাজা,
‘কলিযুগে’নাম থেকে হয় ‘নিমকহারাম’ প্রজা ৷৷
—————

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.