নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“ মানূষের জীবনকাল মাত্র দুই দিনের যার একদিন যায় স্বপ্ন দেখতে- একদিন যায় স্বপ্ন ভাঙ্গতে ” ।
"মুক্তিযুদ্ধে পঞ্চগড় অঞ্চলের লোককবিদের সাঙ্গীতিক অবদান"
আজ শ্রদ্ধা ও ভক্তি জানাই লোককবি "হোসেন আলী"র চরণে.....
'ভাইরে ভাই,
কাহারো হেরাইল ধন-সম্পত্তি
কাহারো হেরাইল্ জান,
বডারে বসিয়ািকান্দে
হিন্দু-মুসলমান।।
হামরা যাছি কুকুরজান,
আরে জয়বাঙ্গেলার মুক্তিফোজলা--
শুনিবা চাহাছে গান।।'
... জয় গুরু...
SM roby,
ex -Student,
Department of music
Dhaka university.
.......................একথা সর্বজনবিদিত যে, সঙ্গীত মানুষের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে যেভাবে উদ্বুদ্ধ করতে পারে, অন্যকোন মাধ্যম তা পারেনা । আর আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই কঠিন দিনগুলোতে এইসব লোককবিদের গান মানুষের মনে মুক্তির মন্ত্র তথা বিবেকে তড়িৎ প্রবাহ এনে দিয়েছিল বলেই আমরা বিশ্বে আজ উঁচু হয়ে দাঁড়ানোর গৌরব অর্জন করেছি । এইসব গীতিকবি বা কবিয়ালদের আমরা কতটুকু মূল্যায়ন করতে পেরেছি ? জাতির বিবেকের কাছে সেটাই প্রশ্ন!
পুনশ্চ : বিষয়টি ফেবু'তে তুলে ধরার জন্য SM roby আংকেলকে সাধুবাদ জানাই । যদিও এগুলো তুলে ধরে এখন খুব একটা কাজ হয় বলে মনে হয়না । প্রসঙ্গত: আমাদের গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আঃ আজিজ দাদাকে আমরাই শুধু না সেই সময়ের আরো হাজার মানুষ দেখেছে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধ করতে । তাঁকে জাতি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মর্যাদা দিতে পারেনি ! এবিষয়ে আমি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কর্তাদের সাথে তাঁকে নিয়ে যোগাযোগ করেছিলাম , কিন্তু তাদের এব্যাপারে খুব একটা সহযোগিতা আমরা পাইনি ।
এ বিষয়ে 2014 সালে তাঁর মৃত্যুর দিনে ফেবু'তে দুঃখভারাক্র মনে দেয়া একটি স্ট্যাটাস এখানে কপি করে দিলাম । ( তাঁর দাফনের একটি ছবিও দিয়েছিলাম, ছবিটি কেমন করে যেন ডিলিট হয়ে গেছে , আসলে নিঃস্বার্থবান এই সব মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের অজান্তে এইভাবেই একদিন চিরতরে ডিলিট হয়ে যাবে , তখন তাঁদের আর কেউ কোনদিন মনে রাখবেনা ) :
" সর্বোচচ রাষট্টীয় ব্যর্থতা ! যে মুক্তিযোদ্ধাকে বিনা সমমানে চিরবিদায় জানানো হলো !! সর্বশেষ দেখা বছর তিনেক আগে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম stedium এ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মর্ধনা অনুষ্ঠানে । সঙ্গী সাথীযোদ্ধাদের কাছে জেনেছিল পঞ্চগড়ে 'বনমালী ভৌমিক' নামে একজন ডিসি এসেছেন যিনি যে কোন অনুষঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে তাঁর চেয়ারে বসিয়ে বলেন "আপনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বলে আমি ডিসি "।সম্ভবত : তার সাথে দেখা করতে আসার কারণে রজনীগন্ধার stick নিয়ে দাড়িয়েছিলেন আমার হলধর গ্রামের শৈশবে দেখা প্রচণ্ড অভিমানি মুক্তিযোদ্ধা আজিজ ভাইকে । দীর্ঘদিন রোগে ভোগে গত ১১ জুন ২0১৪ তারিখ চিরবিদায় নেন । একজন প্রকৃত নিঃস্বার্থ মুক্তিযোদ্ধা যাকে অনেকবার বলেছিলাম যে একটি সার্টিফিকেট যোগার করলে অনেক সুবিধা পাবেন । স্বভাবসুলভ মাথানেড়ে বলতেন তার আর কোন প্রয়োজন নেই । কখনো বলতেন নিজের জন্য যুদ্ধ করিনি ভাই -কেউ যদি কোনদিন খোজ নেয় তা আলাদা কথা ।একান্ত নিরবে নিভৃতে অখ্যাত হলধর গ্রামে থাকা মুক্তিযোদ্ধা এই অভিমানি মানুষটির মতো হাজারো মুক্তিযোদ্ধাদের খুজে বের করে তাদের যথাযথ মুল্যায়ন করা কার দায়িত্ব কি রাস্ট্রের না সাধারন মানুষের? এ কাজে কত টাকা খরচ হতে পারে ? মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাজ কি ??????? কেউ কি জবাব দিবেন ?"
২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:২০
আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: হতে পারে,অনেক ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয়ে অনেক স্বাধীনতা বিরোধীও কাজ করে, আমি লক্ষ্য করেছি।