নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“ কাউকে জ্ঞান বিতরণের আগে জেনে নিও যে তার মধ্যে সেই জ্ঞানের পিপাসা আছে কি-না। অন্যথায় এ ধরণের জ্ঞান বিতরণ করা হবে এক ধরণের জবরদস্তি। জন্তুর সাথে জবরদস্তি করা যায়, মানুষের সাথে নয়। হিউম্যান উইল রিভল্ট। ” -আহমদ ছফা ।

আহমেদ রুহুল আমিন

“ মানূষের জীবনকাল মাত্র দুই দিনের যার একদিন যায় স্বপ্ন দেখতে- একদিন যায় স্বপ্ন ভাঙ্গতে ” ।

আহমেদ রুহুল আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

।। একটু ভাবুনতো...! ।।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০২

ইসলাম ধর্মমতে, নফ্স (জীবাত্মা, মন, ইগো, জীবনীশক্তি) আর রুহ (পরমাত্মা) একই বস্তু নয়। মানুষ মরে। কী মরে? মানুষের নফস (জীবন, মন) মরে যায়। নফসের জীবনীশক্তি দেহের সব খানেই থাকে। এজন্য কোরআন বলছে- কুল্লুু নাফসিন জায়িকাতুল মাউত। অর্থ: প্রত্যেক নফসই (জীবন) মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। (সূরা আম্বিয়া, আয়াত-৩৫) সুতরাং নফস মরে যায় কিন্তু মানুষের রুহ (আত্মা) মরে না। মৃত্যুর স্বাদ বলতে শাস্তিই বুঝায়। সুতরাং সকল শাস্তি নফস কে ভোগ করতে হয়। সেটা দেহ ধারনের আগেই হোক, আর দেহ ধারনের পরেই হোক আর দেহ ত্যাগের পরেই হোক। এই তিন অবস্থাতেই নফস (জীবাত্মা) শাস্তি ভোগ করে। রুহ কখনই শাস্তি ভোগ করে না, রুহ নফসের শাস্তির ভাব প্রকাশ করে মাত্র। রুহ শাস্তি ভোগ করার অর্থ স্রষ্টা নিজেই শাস্তি ভোগ করেন। এটা হতে পারে না। আল্লাহ পাক বলেন- ওয়া নাফাখতু ফীহি মির রুহী। অর্থ:আমি তাতে (মানবের মাঝে) আমার রুহ ফুতকার করে দিয়েছি। (সুরা সোয়াদ. আয়াত-৭২) আররুহু আমরুল্লাহ বা রুহ আল্ল­াহর নির্দেশ। রুহ আল্লাহর তাজাল্লী। এক কথায় মানবদেহে রুহটাই হলো আল্লাহ্ র প্রতিনিধি যা মানবদেহের মহারাজ। যে রুহ বা আত্মা আল্লাহর তাজাল্লী বা আদেশ, তার ভুল-ত্রুটি কী করে হয়? রুহের কোন ‘মৃত্যু’ নেই। সুতরাং তার কোনো শাস্তিও নেই। না বুঝে সাধারণ মানুষ তো বটেই এমনকি অনেক জ্ঞানীগুণীরাও ভুল করে বসেন যে- নফসই আত্মা বা রুহই আত্মা বা নফস ও রুহ একই। নফস ও রুহ আরবি শব্দ। একশ্রেণির পীর, আলেম ও তাফসিরকারকগণ বাংলাতে লিখার সময় এই নফস ও রুহকে আত্মা বলে এক করে ফেলেছেন। আত্মা বলতে যদি নফস বুঝানো হয় তাহলে তাকে অবশ্যই শাস্তি ভোগ করতে হবে। আর আত্মা বলতে যদি রুহ বুঝায় তাহলে সে কখনই শাস্তির উপযুক্ত নয়। কেননা সে আল্লাহর তাজাল্লী। অধিকাংশ মানুষেরই ধারণা মৃত্যুর পর তো দেহ থাকে না, তাহলে রুহকেই দুনিয়ার অপকর্মের শাস্তি ভোগ করতে হয়। সত্যিকার অর্থে ব্যাপারটা কিন্তু তা নয়। কারণ দেহ ধারণ ছাড়া রুহ কে অনুভব করা সম্ভব নয়। রুহকে বাধ্য করা সম্ভব নয়। মানবদেহ না থাকলে রুহ কখনই তাতে বসত করতো না। এজন্য মায়ের গর্ভে শিশুর দেহ (জীবনীশক্তিসহ) আগে তৈরি হয় এবং ৪ মাসের সময় দেহের মাঝে আল্লাহ পাকের তরফ হতে রুহ নাযিল হয়। দেহের এই জীবনশক্তি (নফস) এবং রুহ (আত্মা) একে অপরের সাথে পরিপূরক ও অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দেহ না থাকলে রুহ থাকবে না । ( তাসাউফ ও সুফিবাদ গবেষণা গ্রন্থ থেকে সংগৃহীত ) ।
এখানে সেই পরমাত্মার সমসাময়িক বোধ নিয়ে এই আধ্যাত্মিক কবিতাটির অবতারণা যেখানে কবিতার উপমাগুলো কম্পিউটারের সসফ্টওয়্যার কিংবা হার্ডওয়্যারের সাথে তুলনা দেয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র ।

।। জীবনের সফ্‌ট কপি ।।

জীবনের এই 'সফ্‌টকপিটার’
পেলামনা দর্শন,
'উইন্ডোজ' তোর পুরোনো নাকি
'আপডেট ভার্সন' ?
'মিটার - ব্রড' এক লাইনে চলে
একতা - তিস্তা,
'উইন্ডোজটা’তো লেটেস্টাই'
না 'এক্সপি'- 'ভিসতা' !
কোন ট্রেনে যাবে বাড়ি
লোকাল নাকি মেইলে ,
'ইনবক্সে তোর ম্যাসেজ দেখো
'ইয়াহু' বা 'জিমেইলে' ।
অনলাইনে তোর টিকেটখানা
দেয়নি ’তো 'আপডাউন',
'ষাট' পেড়ুতে না পেড়ুতেই
ঘটবেতো 'সাটডাউন' ।
এই জীবনতো 'বুড়িয়ে' গেল
'গুড়িয়ে গেল সব',
এক নিমেশে ফুরিয়ে গেল
'বর্ণিল উৎসব' ।
শুধু আসা যাওয়ার মাঝে
রাখলি'তো কম খোঁজ,
জীবনভর 'এমএস ওয়ার্ডে'
করলিতো 'কমপোজ' ।
মেসেজ'তো তোর ছিল ফাঁকা
'ভাইরাস' ছিল পিছু,
'এটাস্ট ফাইলও' খালি ছিল
ভাবলিনা’তো কিছু ।
নিউজটাও’তো থাকবে পরে
কেউ জানবেনা খবরে,
সফ্‌ট’টা রবে 'মহাগুগলে'-
হার্ডকপি কবরে ।।**

** ( এখানে সফ্‌ট কপি = রুহ্ এবং হার্ড কপি = নফ্স কিংবা দেহ, ট্রেন= ধর্ম-মত, ম্যাসেজ= মৃত্যুর আগাম সংকেত, মহাগুগল= 'আলমে আরোয়া'- যেখানে জন্মের আগে বা মৃত্যু পরবর্তী মানুষের রুহ্ বা আত্মা সংরিক্ষত থাকে , এমএস ওয়ার্ডে কমপোজ= জীবনের পূণ্যকাজসমূহ, ভাইরাস = পাপকাজ এখানে সামান্য পাপের কারণে পূণ্যকাজসমূহ মুহূর্তেই বিলিণ হয়ে যেতে পারে, যেমন - উদাহরণ হিসেবে আমরা কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মাধ্যমে যে ইমেইল করি তা সামান্য ভাইরাসের কারণে এটাস্ট ফাইল খালি থাকতে পারে অর্থাৎ জীবনের পূণ্যকাজসমূহ পাপের কারণে মূহুর্তে বিলিণ হয়ে যেতে পারে, সাটডাউন = শেষ পরিণতি বা মৃত্যু ল্যাপটপ বা কম্পিউটার সাটডাউন এর মাধ্যমে যেমন সুইচ অফ করা হয়, এইযে আমরা এখন যেটা লিখছি এটি সফট কপি শুধু দেখা যায় হাতে স্পর্শ করা যায়না আবার এটার প্রিন্ট কপি হাতে স্পর্শ করাসহ দেখাও যায় তদরুপ আমাদের রুহ যা অনুভব করা যায় দেখা যায়না আবার নফ্স বা দেহ হাতে স্পর্শসহ দেখা যায় যা হার্ড কপি ) ।
=========================

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


একটু ভাবলাম, আরেকটু ভাবলাম, তারপরও ভাবলাম, আপনার মতো ভাবতে পারলাম না।
আসলেই আপনি কি ভাবেন, নাকি ভাবনাশক্তিকে অবসরে রেখেছেন?

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৫

আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা এই জন্য যে এই অধমের ভাবনা শক্তির অবসর সময়ের ‘ছাইপাশ’(?) ( যদিও তাসাউফ ও সুফিবাদ ইসলামে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যেটি ইসলাম ছাড়াও অন্যান্য ধর্মেও গূরুত্ব সহকারে এর উল্লেখ আছে ) লেখাটি বার বার পড়েছেন এবং চৌদ্দশ’কোটিবার ভাবার পরেও আমার মতো করে ভাবতে পারেন নাই ..! এ বিষয়ে আপনাকে যথাযোগ্য সম্মান দিয়ে বলছি, সামু ব্লগের কোন লেখা আপনাকে ভাল নাও লাগতে পারে তাই বলে এভাবে সরাসরি আক্রমনাত্মক ভাষা ব্যবহারে আক্রমনকারী পাঠকের কুরুচিকর দ্বিক তথা জ্ঞানের সংকির্ণতা টুকুই ফুটে উঠে... সেটি কী একবারও ভেবে দেখেছেন ? নাকী এ’টিও আমার মতো করে ভাবতে পারছেননা... !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.