নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য, ন্যায় ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে...

আহম্মদ

সত্য, ন্যায়, সুন্দর ও মানবতার পক্ষেই আমার অবস্থান !

আহম্মদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশ ও দেশের জনগণের নিরাপত্তার দায়তো সরকারেরই

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর হতে এ পর্যন্ত যতগুলো সরকারই ক্ষমতার মসনদে বসেছেন তারা বলতে গেলে সবাই কোন না কোন ভাবে জনগণকে তাদের সেবক বা গোলাম করে রেখেছেন আর দেশকে তাদের নিজস্ব সম্পত্তিতে পরিনত করেছেন। এখানে ক্ষমতায় যাওয়া প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলই জড়িত। কেউ বেশী বা কেউ কম, একটুকই ।

যে কোন দেশে সরকার কেন ? কি কারনে সরকারের প্রয়োজন হয় ? এর উত্তর আমাদের সকলের এক নয় বা এক হবেও না। তবে একটি পয়েন্টে আমরা এক হতে পারি যা হলো সরকারকেই দেশের ও দেশের জনগণের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। সেটা যেভাবেই হোক। এখানে অন্য কেউ বা কোন কিছুকে দায়ী করার কোন সুযোগ কোন সরকারেরই নাই, থাকতে পারে না। যদি কোন সরকার এই নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, তাকে সেই ব্যর্থতার দায় নিয়েই বিদায় নিতে হবে।

এখন আসুন আমরা নিরাপত্তা বলতে কি বুঝি ? আমরা সাধারনত এক কথায় নিরাপত্তা বলতে বুঝি কোন ধরনের ভয়-ভীতি মুক্ত জীবন-যাপন করাকেই। কিন্তু নিরাপত্তার সার্বিক দিক একটু আলাদা। আর সেটা হলো নিরাপত্তা হতে হবে বহুমুখী। যেমন: ১. আইনগত নিরাপত্তা, ২. খাদ্যের নিরাপত্তা বা বাজার নিয়ন্ত্রন করা, ৩. শিক্ষার নিরাপত্তা বা অধিকার, ৪. চাকুরির নিরাপত্তা বা নিশ্চয়তা, ৫. আর্থিক নিরাপত্তা, ৬. রাস্তা-ঘাটে চলাচল বা যান-বাহনের নিরাপত্তা, ৭. রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসমুক্ত জীবন-যাপনের নিশ্চয়তা বা নিরাপত্তা, ৮. বৃদ্ধ ও বয়:সন্ধিকালের নিরাপত্তা, ৯. ভোটাধীকারের নিরাপত্তা, ১০. সকল প্রকার হুমকি, চাঁদাবাজী ও রাজনৈতিক সন্ত্রাস বা এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাসমুক্ত জীবন-যাপনের একশতভাগ নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা বিধান করা, ১১. ব্যবসায়ীক নিরাপত্তা ইত্যাদি।

দেশ স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৫ বছরেও উপরোক্ত একটিও বাংলাদেশে বাস্তবায়ন হয়নি। বাংলাদেশের মানুষ এর পরিবর্তে পেয়েছে চরম হতাশা ও দমন-নীপিড়ন। এর বেশীরভাগই হচ্ছে রাজনীতিবিদদের দ্বারা বা তাদের চেলা-চামচাদের দ্বারা। প্রতিটি পাড়া-মহল্লা বা গ্রামে-গঞ্জে এর অসহ্য যন্ত্রনায় মানুষ প্রতিটি ক্ষন ছট-ফট করছে। দেখার কেউ নাই, এ যেন ভয়ংকর মৃত্যুপুরি ! কোন প্রতিবাদ বা কথা বলার ক্ষমতা সাধারণ জনগণের নেই। সব ক্ষমতার মালিক নেতা, মাতবর ও সরকারী বাহীনিদের। সরকার যায়, সরকার আসে। কিন্তু এর কোন ব্যতয় হয়না। কখনও মাত্রা বেশী আবার কখনও মাত্রা কম, পার্থক্য এতটুকই।

বর্তমান সরকারের আমলে দেশ উন্নয়ন করছে। এটা পত্রিকা ও বিভিন্ন সংবাদ মিডিয়া তথা সরকার ও তাদের দলের মুখে মুখে শোনা যায়। হ্যাঁ এটা সত্য যে বেশ কিছু উন্নয়ন হয়েছে। সেটা আসলে স্ট্রাকচারগত উন্নয়ন বা ভৌতিক উন্নয়ন কিছু হয়েছে। কিন্তু তার চেয়েও বেশী উন্নয়ন হয়ছে ধনীক শ্রেনীর ধনী হবার উন্নয়ন, একটি নিদৃষ্ট শ্রেনীর কুক্ষিগত অর্থীতির উন্নয়ন, টাকা ও সম্পদ ওয়ালাদের সম্পদের পাহাড়ের উন্নয়ন, গরীবদের আরোও শোষন করার উন্নয়ন, ক্ষমতায় ঘুর্নায়নমানতার উন্নয়ন ইত্যাদি। কিন্তু একটি দেশের প্রকৃত উন্নয়ন বলতে যা বুঝায় সে সরকম কোন পরিবর্তন বা উন্নয়ন এখনও দেশে হয়নি।

দুর্নীতি আজ প্রতি কনায় কানয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হতে মানুষ নিরাপদে দেশের ফিরলেও বাংলাদেশ বিমান বন্দরে নিজেকে মনে করতে হয় আসামী । পুলিশ, র‍্যাব আজ পাল্লা দিয়ে চাঁদাবাজী, ঘুষ বানিজ্য ও গুম বানিজ্যের প্রতিযোগীতায় নেমেছে। একজন র‍্যবা বা একজন পুলিশের বেতন কত ? কিন্ত দেখা যায়, চাকুরী পাওয়ার ২-৫ বছরের মধ্যেই ঘর হয়ে যায় বহুতল ভবন, এলাকায় আধিপাত্ত বিস্তার ও অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়ে যায়। কিভাবে ? আমলা হলেই রাতারাতি কোটিপতি ! রাজনীতি করলেই মেলে টেন্ডার, বড়বড় চাকুরীর পদ ও বিভিন্ন ব্যাংক-বিমা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকানা !

আদলতে একজন সাধারণ মানুষের চুনে হতে পানে খসলেই মহাবিপদ ও হয়রানীতে পড়তে হয়। কিন্তু রাজনীতিবিদ, আমলা, ব্যবসায়ী তথা নেতা-নেত্রীদের জন্যে তৈরী করা হয়েছে আলাদা আইন ! যার ফল সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াতো আদালতকে একটা রান্নাঘরও মনে করেন না ! মনে চাইলে রান্না করতে যান, না মনে চাইলে যান না। কিন্তু এর হাজার ভাগের এক ভাগ অধিকারও একজন সাধারণ জনগণের নাই। অথচ, যারা আইন করেছেন, তারা ঐ জনগণের ম্যান্ডেড নিয়েই সংসদে বসে আইন পাস করার সুযোগ পেয়েছিলেন।

দেশের সরকারী বাহীনি আজ জনগণের বন্ধু না হয়ে হয়েছে আতংকের মুর্তি ! পুলিশ যাকে খুশি ধরে নিয়ে যায় ৫৭ ধারা, ৫৪ ধারা …………ধারার আর অভাব নাই। নতুন যুক্ত হয়েছে ধরেই তাদের কাছে রক্ষিত কোন পুরোনো অস্ত্র বা ইয়াবা ঐ ব্যক্তির ঘরে বা পকেটে রেখে উদ্ধার নাটক করে ফাসিয়ে দিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। মানুষের মান-সম্মান আজ একজন পুলিশ বা র‍্যাবের হাতে ঝুলছে।

সরকারী প্রতিটি অফিসে চললে ঘুষ ও বকশিস বানিজ্যের মহোৎসব। এটাই যেন নিয়ম, এর উল্টোটাই অনিয়ম ! এই কি নিরাপত্তার নমুনা ?!

এককথায় গোটা দেশ ও দেশের কলকজ্বা আজ একটি অশুভ চক্রের হাতে বন্ধি। আর এ অশুভ চক্রটি হচ্ছে দেশের রাজনীতি ও সরকার। যে সরকারের দায়িত্ব দেশের প্রতিটি জনগণের নিরাপত্তা বিধান করা, সেই সরকার ও রাজনীতিই মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে একটি শ্রেনী বা গোষ্ঠীকে নিয়ে ঘুর্নায়মান হচ্ছে। এই গোষ্ঠির মধ্যে আছে দেশের ধনীক শ্রেনী, ব্যবসায়ী, চোরাকারবারী সিন্ডিকেট, আমলা, আইনজীবি, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবিরা।

এরপরও বলছি ও বলব আমি ও আমরা নিরাপত্তা চাই, সরকারী নিরাপত্তা। প্রতিটি মৌলিক অধিকারের সুষ্ঠ বাস্তবায়ন চাই। এর পুরো দায় সকারের। এর উল্টোটার দায় সরকারইকে নিতে হবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশ আফ্রিকার দেশে সমুহের পর্যায়ে আছে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

আহম্মদ বলেছেন: ভাই কোন দেশের মত আছে সেটা বলতে চাইনা, তবে আমাদের সাধারণ নাগরিকদের কোন অধিকার এ দেশে নেই। সব অধিকার শুধুই রাজনীতিবিদ ( সব দলের) ও সকল রাজনৈতিক দলের নেতা-চামচাদের, ব্যবসায়ী (উচু তলার ও চামচা টাইপের), আমলা, দুর্নীতিবাজ, সরকারী কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের, পুলিশ, র‍্যাব ও বিভিন্ন সরকারী বাহীনিদের ।

আমরা খামোখাই চেচা-মেচি করেছি দীর্ঘ ৪৫ বছর, কিছুই মেলেনি। কানাকড়িও মেলেনি।

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১১

কবি এবং হিমু বলেছেন: সরকারী নিরাপত্তা মানে কি পুলিশ??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.