| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আহম কামাল
আমি একজন সংবাদ কর্মী। পাশাপাশি, ছোটো খাটো বেবসার সঙ্গে জড়িত। আমার প্রাতিষ্ঠানিক ও পুঁথিগত বিদ্যা অত্যন্ত সীমিত। আমি জানতে শিখতে চাই। অবশ্য, জানা ও শেখার আগ্রহ ছোটো বেলা হতে ছিলো। তখন, গুরুত্ব দেইনি। এখন বুঝতে পারছি- বেলা শেষে থলে শুন্য। শেখার কোনও বয়স নেই- তাই, শুন্য দিয়ে শুরু হোক না।
ফ্রান্সকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন কাপ জিতে নিলো পর্তুগাল ফুটবলাররা।

মাঠে পুরো খেলায় ফ্রান্স প্রায় সম্পূর্ণ আধিপত্য বজায় রেখে খেলে। অন্তত ৫টি নিশ্চিত গোল ফিরিয়ে দেন পর্তুগাল গোলকিপার হুগো ভেনচুরা। সব মিলিয়ে অন্তত ৮টি গোল মিস করেছে ফ্রাঞ্চ। ফ্রান্স' র ফুটবলাররা বুক চিতিয়ে মাঠে খেলেছে। তারপরও নিজেদের মাঠে তারা জিততে পারেনি ইউএফা ইউরো ২০১৬। 'ভাগ্য' বলে আসলে কিছু আছে কি। যদি থাকে, তাহলে বলতে হবে- ফ্রাঞ্চ খেলেছে একাধারে ও ভাগ্য ও পর্তুগাল' র বিরুদ্ধে ।
খেলার ৮ মিনিটে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন বিশ্ব সেরা ফুটবলার রোনালদো। শুশ্রূষার পর খেলার ২২ মিনিটে পুনরায় ফিরে আসেন মাঠে। কিন্ত্য, ৩ মিনিট পর পুনরায় ইঞ্জুরি মাথা চাড়া দিয়ে উঠে তার। অধিনায়কত্ব' র আরম ব্যান্ড খুলে ফেলে দেন। সতীর্থদের বলেন, তিনি আর খেলতে পারবেন না। কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন তিনি। 
খেলা শেষে সেই কান্না আনন্দাশ্রু হয়ে ফিরে আসে। 
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে খেলা অমিমাংসিত থাকে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা শুরু হয়। এ সময়, পর্তুগালের ফুটবলাররা যেনো নব শক্তিতে মাঠে নামে। তারা খেলতে শুরু করে আধিপত্য বজায় রেখে। অতিরিক্ত প্রথমার্ধও অমিমাংসিত থাকে। দ্বিতীয়ার্ধে আসে সেই কাংখিত বিজয়। প্রায় ১১১ মিনিটে জয়ের নায়ক 'এডার' ডি বক্সের বাইরে থেকে বিদ্যুৎ গতির শর্ট নেন ফ্রাঞ্চের গোল পোস্টে। বল জালে জড়িয়ে যায়। পর্তুগাল এগিয়ে যায় ১-০ তে। এর পর আক্রমন পাল্টা আক্রমণ। শেষ পর্যন্ত খেলা মিমাংসিত হয় ১-০ তে। ফ্রাঞ্চকে কাঁদিয়ে, পর্তুগাল জিতে নেয় ১৫দশ ইউএফা ইউরো কাপ ২০১৬। 
©somewhere in net ltd.