নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলা শেষে

আহম কামাল

আমি একজন সংবাদ কর্মী। পাশাপাশি, ছোটো খাটো বেবসার সঙ্গে জড়িত। আমার প্রাতিষ্ঠানিক ও পুঁথিগত বিদ্যা অত্যন্ত সীমিত। আমি জানতে শিখতে চাই। অবশ্য, জানা ও শেখার আগ্রহ ছোটো বেলা হতে ছিলো। তখন, গুরুত্ব দেইনি। এখন বুঝতে পারছি- বেলা শেষে থলে শুন্য। শেখার কোনও বয়স নেই- তাই, শুন্য দিয়ে শুরু হোক না।

আহম কামাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

হরতাল ঘোষণার সাহস পাবে কোথায় বিএনপি? আওয়ামী লীগেরও রূপ দেখার অপেক্ষায় আছে মানুষ

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:০৯

বাংলাদেশের রাজনীতিতে, আন্দোলন-সংগ্রামে 'হরতাল' সংবিধান স্বীকৃত ও গণতান্ত্রিক অধিকার
বিশেষ দু' টি দল আন্দোলন-সংগ্রামের এই অস্ত্রটি ভোতা করে দিয়েছে- পরিকল্পিতভাবে।

এরা যতগুলো হরতাল আহ্বান করেছে- তার কয়টি দেশ ও জনগণের পক্ষে করেছে?
মানুষ দেখেছে- এরা এই অস্ত্রটিকে ব্যাবহার করেছে- কখনও ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে। কখনও দলীয় হীন দলাদলিতে, কখনও
নেতাদের মামলা-মোকদ্দমা থেকে রেহাই পেতে, কখনও দলের মনোনয়ন বা পদ না পেয়ে

এমতাবস্থায়, দুর্নীতির মামলায় তারেক জিয়ার সাজা হওয়ার পর- চিরাচরিত চিত্র অনুযায়ী বিএনপি একটি হরতাল কর্মসূচী ঘোষণা করার কথা। কিন্তু, তারা তা করেনি।
বিএনপি কোন সাহসে 'হরতাল' আহ্বান করবে?

গত ৮ বছরে,
জনগণের উপর শোষণ, নিপীড়ন, নির্যাতন, বঞ্চনার বিরুদ্ধে আইনের শাসন কায়েমে এরা কয়টা হরতাল আহ্বান করেছে?

:) সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক কারখানা 'তাজরিন ফ্যাশন'। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর শনিবার সারাদিন খাটুনির পরেও ওভার টাইমের কাজে সন্ধ্যা রাতে কাজ করতে থাকে শ্রমিকরা। রাতে কেহ কিছু বুজে ওঠার আগেই হঠাৎ আগুনের গ্রাস। ১২৪ জনেরও বেশি শ্রমিক পুড়ে আঙ্গার হয়ে গেল। গার্মেন্টস লাশের কারখানায় পরিনত হল।

:) ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল। সাভার, রানা প্লাজার ৯ তলা ভবন ধ্বসে ভয়াবহ ঘটনা এবং ১২ শতাধিক শ্রমিক খুন। স্মরণকালে মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক ইতিহাস তৈরী হয়েছে। যা পোষাক কারখানায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা পৃথিবীর রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ভবনে ফাটল থাকায় শ্রমিকরা কাজ থেকে বিরত থাকার ইচ্ছা জানায়। তা সত্তেও, কারখানা মালিক ছাঁটাই ও বেতন না দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে জোর করে প্রবেশ করতে বাধ্য করে। শ্রমিকদেরকে ঠান্ডা মাথায় খুন করে মালিক শ্রেণী।

:) এছাড়া, প্রকাশক, লেখক-ব্লগারসহ নারী-পুরুষ খুন, ধর্ষণ, তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-এর অহেতুক মূল্য বৃদ্ধি, দেশের খনিজ সম্পদ বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়া, নদিতে বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশের অপূরণীয় ক্ষতি সাধনরত ভারতের সঙ্গে অন্যায্য চুক্তি করা, সর্বশেষ গণদাবী উপেক্ষা করে রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ-এ চুক্তি সই করার সময় এরা হরতাল আহ্বান করেনি।

আবার মানুষ দেখেছে, এরা যখন ক্ষমতায় গিয়েছে- তখন বলেছেঃ "হরতাল-এর নামে দেশে নৈরাজ্য করতে দেয়া হবে না। আইন করে হরতাল বন্ধ করা হবে"
যদিও এরা তা করেনি। কারণ, এই অস্ত্রটিকে এরা ঠিকই ব্যাবহার করবে। ক্ষমতার বাইরে গিয়ে এরা তা করেছেও।
ফলে, মানুষ এদের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারেনি এবং 'হরতাল' নামক এই গণতান্ত্রিক কর্মসূচিটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

-এমনি যখন অবস্থা।
তখন বিএনপি'র মতো একটি বড় দল হরতাল ঘোষণা করার সাহস পাবে কোথায়?
আর, 'হরতাল' নিয়ে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগেরও পরবর্তী রূপ দেখার অপেক্ষায় আছে- মানুষ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:২৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: বিম্পী এখন ধ্বংশের শেষ দুয়ারে আর সেটা তাদের নেত্রীর ব্যাক্তিস্বার্থের প্রতি দুর্বলতা আর অদুরদর্শিতার জন্য।

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

আহম কামাল বলেছেন: রাজনৈতিক দল হিসেবে- বিএনপি ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েছে- তারা চরমভাবে ব্যার্থ। তাদের দেউলিয়াপনা চরমভাবে ফুটে উঠেছে। মিনিমাম রাজনৈতিক আদর্শ ও চর্চা না থাকলে এমনই হবে।



বস্তুত, বুর্জোয়া-পুঁজিবাদী দলগুলো জনগণের আবেগকে পুঁজি করে। তাদের নানা স্বপ্ন দেখায়। ক্ষমতায় যেতে জনগণের ভোটের শক্তিকে কাজে লাগায়। কিন্তু, তারা প্রকৃতপক্ষে জনগণের জন্য, জনগণের পক্ষে রাজনীতি করে কি?
তারা জনগণকে পুঁজি করে। র্কিন্ত, জনগণের শক্তির উপর দাঁড়ায় না। তারা বরাবর, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অপশক্তির সঙ্গে গোপন আঁতাত, শলা পরামর্শ করে ও তাদের ওপর দাঁড়াতেই দেখা যায়। ফলে ক্ষমতায় গেলে ওই অপশক্তিকে খুশি রাখাই তাদের প্রধান কর্তব্য হয়ে উঠে।

আর, ব্যাক্তি স্বার্থের কথা বলছেন তো?
---হ্যাঁ, বুর্জোয়া-পুঁজিবাদী দলগুলি নিজেদের ব্যাক্তি, গোষ্ঠী স্বার্থে ক্ষমতা কেন্দ্রীক রাজনীতি করে।
আর, এই ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত রাখার জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অপশক্তি ও গোষ্ঠীর সঙ্গে নিবিড় ও লুটপাটের যোগাযোগ অব্যাহত রাখে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.