নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি শেষ রাতের অবহেলিত চাঁদ। যাকে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় সমাজের বেশির ভাগ মানুষ দেখতে পারে না। ঘুমের দোহাইয়ে সবাই আমার সাথে প্রতারণা করে। আর আমি সমাজ জাগতে জাগতে তে-পান্তরে হারিয়ে যায়।

আধার আমি

বাবা, আমি তোমাকে শিখিয়েছি, কিভাবে প্রজাপতির মত উড়তে হয়। বদ্ধ পুকুরে কিভাবে ছোট্ট হাতে কঙ্কর চালতে হয়। কিভাবে বড়দের শ্রদ্ধা করতে হয়। বাবার কোলে বসে কিভাবে চুপিচুপি গল্প শুনতে হয়। বাবার হাত ধরে কেমনে ছোট্ট পায়ে রাস্তার ধারে হাটতে হয়। তুমি আমাকে ব্যাকুল চোখে তালাশ করছো কিন্তু পাচ্ছো না। বাবা তোমার হতভাগা পিতাকে মাফ করে দিও। তোমাকে আমাকে নিয়ে একটি সুন্দর স্বপ্ন গড়ব বলেই এই দুরে পালিয়ে থাকা।

আধার আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক যুুবকের জুতানামা...

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৭


ছেলেটি কানে হেডফোন লাগিয়ে লাল গেঞ্জি আর কালো প‌্যান্ট পরে ব্যাস্ত রোডে ধীর কদমে পথ চলে। নরম তুলতুলে দেহের সুন্দরী রমনীরাও তার পাশ দিয়ে হেটে আগে চলে যায়। আড় চোখে দেখে। রমনীদের সাবলীল চলার আদিমতা। কিন্তু ছেলেটি পারে না তাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে।

কারণ আর কিছু নয়-শুধু পায়ের জুতা জোড়া। একটু দ্রুত হাটলে যদি ছিড়ে যায়! এমনই ভয়। আগে একবার ছিড়েছে ঠিক বাংলামটর ওভার ব্রীজে পার হয়ে হাতিরপুলে নামার পথে। ওখানে এক পরিচিত মুচি ছিলো। দুভার্গ্য বেটা আজ বসেনি।

ছোট খাটো একটা জবও করে ছেলেটি। আত্মসম্মান বলুন আর যায় বলুন জুতা জোড়া হাতে নিয়ে চলাতো সম্ভব নয়। তাই টেনে টেনে হাটা।

সন্ধ্যার পরের ব্যস্ত ঢাকা। কত সুন্দরীদের মেলা। জোড়ায় জোড়ায় তারা বড় বড় শপিং মল থেকে কেনাকেটা করে ফিরছে। কেউ বা স্বর্গীয় অপ্সরার রুপে সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছে। তাদের দুই একজন তাকিয়ে তাকে দেখছে কি সে জানে না। তবে এরকম পরিবেশে হাটা অনেক কষ্টকর। তবুও হাটতে হচ্ছে।

অবশেষে, হাতিরপুলের শেষ মাথায়, এ্যালিফ্যান্ট রোডের শুরুতে মিলল একটা মুচি। জুতা জোড়া পা থেকে খুলে মুচির সামনে দিয়ে বললো, কত নেবেন?

বললো পনের টাকা।

ছেলেটি বললো আপনার কাছে এই জুতা জোড়া পনের টাকায় বিক্রি করব। কিনবেন? মাত্র পনের টাকা। ছেলেটি জানত তার জুতা পনের টাকায়ও কেউ কিনবে না।

মুচি শুনে একটা হাঁসি দিলো।

আপনি তাহলে কেমন করে মেরামতে পনের টাকা চান?

মুচি বলল কিছু করার নেই, মামা পনের টাকায় দিতে হবে। বাধ্য হয়ে ছেলেটি তার পনের টাকা মূল্যের ছেড়া জুতা পনের টাকায় মেরামত করল।

সেই মহামান্য জুতা জোড়া পায়ে দিয়ে তাকে প্রতিনিয়ত এই পথে হাটতে হয়। তাই সে এতটা ধীর গতিতে পদ সঞ্চালন করে হাটে। পিছে ভয় যদি আবার ছিড়ে যায়। জুতা জোড়ার হাল এমন যে পায়ের গোড়ালি শহরের পিচ ঢালা পথের উষ্ণ অনুভূতি মস্তিষ্কের নিউরনের কাছে পৌঁছে দেয়।


এক জোড়া জুতার আর কত দাম?

এ রকম প্রশ্ন জানি পাঠককুলের মাথায় ঘুর পাক খাচ্ছে। কিন্তু ছেলেটির মত বাস্তবতার সম্মুখীন আপনারা মনে হয় কখনো হননি। তাই এই সব প্রশ্ন। যায় হোক এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে অনেক বড় লেখা হয়ে যাবে। অন্য এক দিন ছেলেটির বাস্তবতার বাস্তব গল্প শেয়ার করার ইচ্ছা আপনাদের সামনে প্রকাশ করে রাখলাম।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
জীবন মানে যন্ত্রনা
নয় ফুলের বিছানা
এ কথা সহজে কেউ
মানতে চায় না!!!!!!!!!!!!!!!!



২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪০

আধার আমি বলেছেন: হুম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.