আমার মতো ক্ষুদ্র লেখক, ব্লগারকে নিয়ে এক ছোটো ভাইয়ের 'দূর্ভাবনা'!

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

অনেক আগের পরিচিত লক্ষীপুরের এক ছোট ভাই। জীবনে মাত্র একবার দেখা হয়েছিলো। এখন দুবাইতে থাকে। ফেসবুকে আমার লেখা, প্রোফাইল দেখে ইনবক্সে হঠাৎ মেসেজ দিলো, 'ভাই, কেমন আছেন?' বললাম, ভালো। তুমি কেমন আছো? যদিও তার প্রোফাইল দেখে চিনতে পারিনি তাকে। তারপরেও 'ভদ্রতা'র খাতিরে রিপ্লাই করেছিলাম। উত্তরে সে বললো, 'ভালো না, ভাই। একটু চিন্তিত।' বললাম, চিন্তিত কেনো? রিপ্লাইতে সে বললো, 'আপনাকে দেখে'।



আমিতো একটু 'ভয়' পেয়ে গেছিলাম! বললাম, মানে? এবার সে বললো, 'আমাকে চিনেছেন?' বললাম, না। আমার বিষয়ে চিন্তিত কেনো? সে যা রিপ্লাই করলো তাতে বুঝলাম, ব্লগার রাজীব, বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ দা, আর ওয়াশিকুর বাবু'কে হত্যার প্রতিবাদে লেখালেখির কারণে সে আমাকে নিয়ে চিন্তিত। কেননা কে জানে, কোন তেঁতুল, বা তেঁতুলের বিচি'রা আবার আমায় কতল করে 'বিনা হিসাবে বেহেশতের টিকিট' লাভের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে? অবশ্য, এ 'টেনশন' এখন পরিবারের লোকজন, শুভাকাঙ্খীরাও করেন।



তাকে বললাম, আমি এসব নিয়ে ভাবি না। এগুলোকে পাত্তা দিলে অনেক আগেই দমে যেতাম। আর এসব হুমকি, ধামকি খাওয়ার 'অভ্যাস' আছে। তাছাড়া, আমায় কতল করে কেউ যদি 'বিনা হিসাবে বেহেশতের টিকিট, আর হুর, পরী' পায়, পাক না! অভিজিৎ দা তো মরার পরেও মানুষের কল্যানে তার দেহ দান করে গেছেন। তাই আমার জীবনের বিনিময়ে কেউ হুর, পরী পেয়ে শান্তিতে থাকুক! কিন্তু আমাকে খুন করলে তুমি 'বেহেশতের টিকিট, আর হুর-গেলমান পাবে' এটাতো আগে প্রমাণ করতে হবে, নাকি?



তবে, এতকিছু প্রমাণের 'গুষ্টি কিলায়' না ওই খুনি, অশিক্ষিত, আর মৌলবাদীরা। তাইতো বারবার চাপাতির কোপে সাময়িকভাবে নিভে যায় হুমায়ুন আজাদ, অভিজিৎ রায়, আর ওয়াশিকুর বাবুর মতো জ্বলন্ত প্রদীপ।

০ টি +০/-০