![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
You may have noticed, I don’t put myself in to scary situation.
আমি বেশ কয়েকটি মোবাইল সেট ব্যাবহার করেছি। মজার বিষয় হল, এখন পর্যন্ত নিজের টাকায় কোন ফুন খরিদ করি নাই। ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে প্রথম মোবাইল সেট পেয়েছিলাম । সেটা হল মটোরোলার কি একটা ফোল্ডিং সেট যেন [অনেক চেষ্টা করেও মডেলটার নাম মনে করতে পারতেছি না। মেমরির অবস্থা দেখি খারাপ, কাজে লাগবেনা ভেবে বদটা ডিলিট মারছে]। যাই হোক সেই সেটটা ছিল বড় ভাইয়ের। ভাইয়া নতুন একটা কেনার সুবাদে উত্তরাধিকারী হিসাবে আমি তা দখল করি। এরপর নোকিয়া ২৬০০ আব্বা হুজুর গিফট করে। তারপর মেঝো ভাইয়ের কাছ থেকে মটোরোলা এল সিক্স মারিং করি। মাসখানেক ইউজ করার পর দুলাভাই বিলুপ্ত প্রজাতির সিটিসেলের স্যামসাং গিফট করে। ভার্সিটিতে থাকার সময় এক সহপাঠীর মাইকোরম্যাক্স যে আনলাম, তা আর ফেরত দেওয়া হয়ে ওঠে নাই। ছোট চাচার শিংওয়ালা (আই মিন ডান্ডিওয়ালা অ্যান্টেনাসহ) কি যেন ছাতার মাথা এক সেট ছিল। সেটা আবার কাউরে ধরতে দিত না। যাই হোক এক দিন উদাস হয়ে আমারে ডাকে। ঐ সিদ্দিকী, এই নে। সেট টা তোরে দিয়ে দিলাম। যত্ন করে রাখিস। আমি তো অবাক চাচার জানের সেট আমারে দেয় কিল্লাই! কারনটা আর জানা হয় নাই। আমি মাগনা জিনিস পাওয়ার আনন্দে আত্মহারা। কয়েকদিন আগে আমার এক কাকা বাহিরে থেকে পাঠালো স্যামসাং এর এক সেট। মাগার সেইটার কান্ট্রি লকই এতদিনেও ছুটাতে পারলাম না। মোবাইল ইউজ করার যন্ত্রনা থেকে বাঁচার জন্য মাঝ দিয়া মোবাইল ব্যবহার করা বাদ দিছিলাম। জোর কইরা সেঝ ভাই নতুন টাচ মোবাইল উইথ বন ধরাইয়া দেয়।
বড় খালা বছর দুয়েক আগে জন্মদিনে গিফট করে নোকিয়া সি থ্রি। এই সেটটা অনেক দিন সাথে ছিল। ইউজ করতে করতে নীল রঙের সেটের কালার কালো বানায় ফেলছিলাম। সেটের আসে পাশে কোন চল্টা উঠাইতে বাকী ছিল না। কী প্যাডের বাটনের কথা না হয় বাদই দিলাম। শিক্ষিত মাইনসের আবার কী প্যাডে লেখা থাকার দরকার আছে নাকি। বেসম্ভব পরিচিত ছিল সেই সেট। একবার ডিসপ্লে তে আলো আসছিল না। বাকী সব ঠিক আছে। ফোন যায়। ফোন আসে। সেই আন্ধা মোবাইল দিয়েই এসএমএস সেন্ড করি সমানে। হে হে।
সেই দীর্ঘ দিনের সাথীকে সরিয়ে দেয় এক ইয়া বড় সেট। সেটা আবার ছোটপুর থেকে পাওয়া। সেই মোবাইল প্রায় অর্ধহাত লম্বা। এত বড় সেট যে মাসখানেক ইউজই করতে পারি নাই। কিছু এপ্যাস এর জন্য এখন বাধ্য হয়ে চালাচ্ছি। তা না হলে আমার জানের নোকিয়া সি থ্রীরে জীবনেও ডাইভোর্স দিতাম না। মোবাইলে গিফট এর ইতিহাস দেখে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমি মোবাইল ভাগ্য নিয়ে আসছি। এর জন্য জীবনে মোবাইল না কেনার ব্যপারে আমি অঙ্গীকারবদ্ধ। দরকার পড়লে মোবাইলই চালামু না। হু।
যত ফোনই ইউজ করি না কেন, ইস্ট এন্ড ওয়েস্ট নোকিয়া ইজ দা বেস্ট। মোবাইল কিনলে নোকিয়া, আর প্রেম করলে নো বিয়া।
বি.দ্রঃ শখানেক সেই চালানের পরও, কেন জানি আমার পরিচিতরা আমাকে ফোন দিলে পায় না। আমি আবার মাঝে মাঝে ফোনে কিছু মানুষের নম্বর সেভ করি তাদের কল না ধরার জন্য। মানুষ বড়ই বিচিত্র প্রাণী।
মাগনা জ্ঞানঃ
১৯৭৩ সালের এপ্রিলে প্রথম সফলভাবে মোটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত ডঃ মার্টিন কুপার এবং জন ফ্রান্সিস মিচেল প্রায় ১ কেজি ওজনের হাতে ধরা ফোনের মাধ্যমে কল করতে সক্ষম হন। তাদেরকে মোবাইল ফোনের উদ্ভাবকের মর্যাদা দেয়া হয়ে থাকে। ১৯৮৩ সালে মোবাইল ফোনের প্রথম যে বাণিজ্যিক সংস্করণ বাজারে আসে তার নাম ছিল “মোটোরোলা ডায়না টিএসি ৮০০০এক্স”।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২২
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: প্রেম করলে নো বিয়া !! লুল রে লুল
এক সেরি মোবাইলের কথা জেনে ভালো লাগলো