![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
You may have noticed, I don’t put myself in to scary situation.
পুষ্প মন খারাপ না কি? মুখ গোমড়া করে বসে আছো।
না তো স্যার।
কিন্তু আমার তো মনে হয়, তোমার মন খারাপ তা নাহলে সারা দিন মুখ গোমড়া করে স্কুলে বসে ছিলে। এখন পড়তে এসেও দেখছি, মুখ গোমড়া করে বসে আছো।
গত রাতে ঘুম হয় নাই ভাল করে। তাই সারা দিন ঘুম ঘুম লাগছিল। আমার আবার ঘুম ঘুম পেলে, মুখ গোমড়া হয়ে যায়।
আমি যতদূর জানি, তোমার রাশি বৃশ্চিক। আর আমারও তাই। বৃশ্চিক রাশি মানুষ কিন্তু অন্য বৃশ্চিক রাশির মানুষের মন সহজে বুঝতে পারে। তাই মনে হচ্ছে তোমার মন খারাপ।
পুষ্পের বুক ধক ধক করছে। হুমায়ূন কবীর স্যারের কাছে সে স্কুল শেষে পড়তে আসে। আজ একটু আগেই চলে এসেছে। আর কেউ এখনো এসে পৌছায় নাই। স্যার তো অন্য দিন এত কথা বলেন না। আজ এত কথা বলছেন কেন? স্যার বক বক করে কথা বলেই যাচ্ছে, মাথায় কিছুই ঢুকছে না। সব কিছু সাপের হিস হিস করা শব্দের মতন লাগছে। পড়ার ঘরটা যেন পরিণত হয়েছে নিশ্ছিদ্র লোহার তৈরি কপাটহীন একটা অস্থির ঘরে। আজে বাজে চিন্তা মাথায় ভর করছে। সব কিছু ফেলে দৌড় দিতে মন চাচ্ছে।
পুষ্প একটা কৌতুক শুন, সস্তা ধরনে কৌতুক। কথার মাঝে মির্জা পড়ার রুমে প্রবেশ করে। পুষ্পের বুকের উপর থেকে অজানা ভয়ের পাথর নেমে গেল। স্যারের কথা এখন কত ভাল লাগছে। এতক্ষণ কী সব আজে বাজে চিন্তা করছিল।
মির্জা এসেছো। ভাল হয়েছে। একটা জোকস শুনে, আমরা পড়া শুরু করবো। এক বন্ধু আরেক বন্ধু কে বলছে, কি রে গোমড়া মুখ কেন? ২য় বন্ধু বলছে আর বলিস না,বস চাকরি থেকে বের করে দিয়েছে।
১ম বন্ধুঃ কেন?
২য় বন্ধুঃ একটা মশা মেরেছিলাম তাই।
১ম বন্ধুঃ একটা মশা মারার জন্য এতো বড় শাস্তি কেন?
২য় বন্ধুঃ মশাটা তো বসের গালে বসা ছিল তাই।
পুষ্প, এই পুষ্প। “গোমড়া মুখ” এর ইংরেজী বল?
জানি না স্যার।
“গোমড়া মুখ” এর ইংরেজী হলঃ Morose।
যেই জিনিসের এই খটমটে ইংরেজী সেটা করে রাখা কী ঠিক? কক্ষনই মুখ গোমড়া করে থাকা উচিত না। এমনকি যখন তোমার মন খারাপ থাকে, তখনো না। কারণ, তুমি তো জানো না, তোমার ওই গোমড়া মুখ দেখে যে কেউ তোমাকে দু-এক টাকা ভিক্ষা দিয়ে দিতে পারে।
স্যারের কথা শুনে, এবার পুষ্পের সরু ঠোঁটের কোনায় এক চিলতে হাসি দেখা গেল।
-------
যেন রূপকথার রাজকুমারী।
আর নয় গোমড়া মুখ,
ছিনিয়ে এনেছি ঐ চাঁদ।
অন্ধকার নামিয়েছি পৃথিবী জুড়ে,
ঐ মুখের হাসির আলোয় ,
আঁধার যাবে দূরে সরে।
বি.দ্রঃ সব সময় থাকার চেষ্টা করুন ফুরফুরে মেজাজে। পৃথিবীর সব কিছুই একটি আরেক টির সাথে সম্পর্কিত। ফুরফুরে মেজাজ আপনার সব কিছুতেই প্রভাব ফেলবে। তখন দেখবেন আপনার কাজ উসাইন বোল্টের মত ছুটবে ইনশাল্লাহ। কী করে ফুরফুরে মেজাজে থাকবেন সেই বিদ্যা আরেক দিন দিক্ষা দিব ইনশাল্লাহ।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৭
তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী বলেছেন: যাইতেছি।
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: গন্তব্য পরিষ্কার হল না!
শুভকামন।।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৭
তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী বলেছেন: কেন?
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৪
নিলু বলেছেন: লিখে যান