![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
You may have noticed, I don’t put myself in to scary situation.
চশমা পড়া শুরু করি ২০০৫ সাল থেকে। প্রথম চশমাটি ভাব দেখানোর জন্য পড়তাম মাঝে মাঝে। আস্তে আস্তে যখন পাওয়ার বাড়ে, তখন একটা রিমলেস ফ্রেম নিলাম। সেটা তিন দিনের মাথায় ভেঙ্গে গেলো। তারপর সেটা সুপার গ্লু দিয়ে লাগিয়ে ব্যাবহার করলাম কয়েক মাস। আমার দুই চোখের পাওয়ার দুই রকম। বাম পাশের গ্লাসের পাওয়ার -.২৫ এবং ডান পাশের গ্লাসের পাওয়ার -.৭৫। কিছু দিন আগে একটি চশমার একটা ডান্ডি ভেঙ্গে যায়। যথারীতি আবার সুপার গ্লু। নতুন চশমা কিনলাম একটা। আমার দস্যি ভাতিজা জিয়াদ আলী আবার বারান্দা দিয়ে চশমা ফেলে দিতে খুব ভালবাসে। কই যে ফেললো নতুন টা। তবে যখন সে বারান্দা দিয়ে কোন জিনিস ফেলে একটা জগত বিখ্যাত হাসি দেয় তখন কেন রাগ হবার বদলে খুব ভাল লাগে। মানুষ বড়ই বিচিত্র প্রাণী। ইদানিং আর চশমা পড়ছি না। চশমা পড়লে সব পরিষ্কার দেখি। এত পরিষ্কার দেখা ঠিক না। কাজে হ্যম্পার হয়। ভাবছি আগামী মাসে নতুন একটা ফ্রেম কিনবো। চোখের পাওয়ার টা আরও বেড়েছে মনে হয়।
-
এবার চশমা নিয়ে কিছু গিয়ানের কথা কই। নিচের গিয়ানের কথা কিন্তু আমি পুরটাই নেট থেকে মারিং করছি । আমি কোন গিয়ানের কথা জানি না। তাই নেটই ভরসা।
-
ধারণা করা হয়, চশমা প্রথম আবিষ্কার করেন আলেসান্দ্রো দেল্লা স্পিনা নামে এক ইতালিয়ান লোক। সম্ভবত ১২৮৬ সালে তিনি প্রথম চশমা আবিষ্কার করেন। তবে অনেকে আরো আগে চশমা আবিষ্কৃত হওয়ার কথা বলেন। এমনি দাবি উঠেছিল, ফ্লোরেন্সের সালভিনো দি’আর্মাতো নামে একজন আরো আগে চশমা আবিষ্কার করেছিলেন বলে। কিন্তু পরে আরো গবেষণা করে দেখা গেল, সেটা নিছকই একটা গুজব। আবার বিখ্যাত পরিব্রাজক, যিনি পায়ে হেঁটেই পৃথিবীর অর্ধেক দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন; সেই মার্কো পোলো লিখেছিলেন, তিনি নাকি ১৩ শতকেই চীনে চশমা ব্যবহার করতে দেখেছেন। কিন্তু এমন কথা খোদ চীনেরও কেউ লেখেননি। অন্যদের লেখায় চীনে প্রথম চশমার উল্লেখ পাওয়া যায় আরো পরে, ১৫ শতকে। তাও সেই চশমা নাকি আমদানি করা হয়েছিল।
-
সবচেয়ে পুরনো চশমার ছবিটা এঁকেছিলেন তোমাসো দ্য মোদেনা নামে এক ইতালিয়ান চিত্রশিল্পী। আসলে তিনি একজন বেশ উচ্চপদস্থ লোকের পড়ার ছবি এঁকেছিলেন; আর সেই লোকটি চশমা পড়ে ছিলেন। ফলাফল, ১৩৫২ সালে আঁকা হয়ে গেল পৃথিবীর প্রথম চশমার ছবি।
-
তবে মজার কথা হল? চশমা আবিষ্কৃত হলেও, চশমা কীভাবে কাজ করে, সেই ব্যাখ্যা তখনো মানুষ ঠিক বের করতে পারেনি। প্রথম এই ব্যাখ্যা দেন জোহান্স কেপলার, ১৬০৪ সালে।
-
বাইফোকাল চশমার দু’টি ভিন্ন পাওয়ার থাকে। এই চশমা প্রথম উদ্ভাবন করেন বিখ্যাত আমেরিকান বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন। অনেকে তার এই কৃতিত্বের দাবিদার করেন জর্জ হোয়াটলে আর জন ফেনোকেও। কিন্তু গবেষণায় প্রমাণিত হয়, এই কৃতিত্বটি তার। ধারণা করা হয়, তিনি হয়তো তারও বেশ আগেই বাইফোকাল চশমা উদ্ভাবন করেছিলেন।
-
এখন চশমার ফ্রেমের গল্পটা বলি। একদম পুরোনো আমলের চশমার ফ্রেমগুলোকে এখন বেশ অদ্ভূত ঠেকবে। ওগুলোর কোন ডাণ্ডা থাকতো না। হয় হাত দিয়ে ধরে ধরে পড়তে হতো, নাহয়, নাকের উপর ঠেস দিয়ে রাখতে হতো। প্রথম চশমার ফ্রেমে ডাণ্ডার ব্যবহার করা হয় ১৭২৭ সালে। প্রথম ডাণ্ডার ব্যবহার করেন সম্ভবত বৃটিশ চক্ষুবিদ এডওয়ার্ড স্কারলেট। কিন্তু সেই ডিজাইন তেমন ভালো হয়নি। পরে ফ্রেমের আরো অনেক উন্নতি হয়। সাথে সাথে দামও বাড়তে থাকে।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৩
তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী বলেছেন: হু। ঠিক বলছেন।
২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৯
সুমন কর বলেছেন: ১৯৯৯ সাল থেকে চশমা পড়ছি, এখন চশমা ছাড়া কি চলে !!!
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩০
তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী বলেছেন: তাই তো।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৫
এইচ তালুকদার বলেছেন: ২০০২ সাল থেকে চশমা পড়ছি,মাঝে মাঝে মনে হয় চশমা শরীরের অংশ হয়ে গেছে