নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ নরক থেকে ফেরা

১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭

এটি একটি শোনা কাহিনী। আমি নিজেই বিশ্বাস করিনি। তাই অন্যদের বিশ্বাস করানো প্রায় অসম্ভব। তবে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস থেকে নয়, মহামতি সেক্সপিয়রের অমর বানী ‘দেয়ার আর মেনি থিংস ইন হেভেন এ্যান্ড আর্থ.........’ স্মরণ করে কাহিনীটি লিখে ফেললাম। আশা করি, আমার মতো আপনারাও বিশ্বাস করবেন না।

আমাদের এই শহরে ‘ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড সার্ভে ইন্সটিটিউট’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে (রুয়েট নয়)। জমি জমা জরীপ এবং হাল্কা প্রকৌশল বিষয়ে শিক্ষা দানের জন্য সরকারি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ব্রিটিশ আমলে ১৮৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। আমি যে সময়ের কথা বলছি, সেটি সম্ভবতঃ ১৯৬৯ সালের ঘটনা। কাশেম নামে একটি গ্রাম্য ছেলে এই প্রতিষ্ঠানের হোস্টেলে থেকে পড়াশুনা করতো। তখন এই বিষয়ে মেয়েরা পড়তো না। তাই ইন্সটিটিউটের ক্যাম্পাসে ছেলেদের জন্য একটিই দোতলা হোস্টেল ছিল। কাশেম থাকতো হোস্টেলের দোতলায় ২২ নম্বর রুমে।

কোন এক ইয়ারে ফেল করে ছেলেটি আত্মহত্যা করে। বেলা এগারোটার দিকে রুমমেটরা যখন ক্লাসে, তখন সবার অলক্ষ্যে হোস্টেল রুমের সিলিং ফ্যানের সাথে দড়ি ঝুলিয়ে সে গলায় ফাঁস নেয়। তার মৃতদেহ নামানোর পর থানায় মামলা, পোস্ট মর্টেম ইত্যাদি নানা ঝামেলা শেষে লাশ পাঠিয়ে দেওয়া হয় গ্রামের বাড়ি বাগমারা থানার ভবানীগঞ্জে। কিন্তু সেখানে মসজিদের ইমাম বা মৌলবি মৌলানারা কেউ কাশেমের জানাজা পড়াতে রাজি না হওয়ায় তার দরিদ্র কৃষক পিতা উপায়ন্তর না দেখে জানাজা ছাড়াই ছেলের লাশ দাফন করে দেয়। আত্মহত্যাকারী নিশ্চিত দোজখে যাবে। এমন মানুষের জানাজা পড়াবে কে?

ঘটনা শুরু হয় এর এক সপ্তাহ পর। ইন্সটিটিউটের ছাত্ররা একদিন এক ক্লাস থেকে গগনবিদারী চিৎকার দিয়ে বেরিয়ে দিক বিদিক ছুটাছুটি শুরু করে। অন্যান্য ক্লাসের ছাত্র ও শিক্ষকরাসহ পথচারী লোকজন জড়ো হয়ে যায়। আতংকিত ছাত্রদের কাছে জিজ্ঞেস করে জানা যায় যে, ক্লাস চলার এক পর্যায়ে শিক্ষক অলোকনাথ সরকার হঠাৎ ক্লাসের পেছন দিকে আঙ্গুল নির্দেশ করে চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। ছাত্ররা হতচকিত হয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখে, একদম শেষ বেঞ্চে একা বসে আছে কাশেম।

হোস্টেল সুপার রাজ্জাক সাহেবের সিনেমা দেখার খুব নেশা। সাথে পরিবার পরিজন না থাকায় হোস্টেলের নিচ তলায় একটা রুম নিয়ে তিনি থাকেন। আর সুযোগ পেলেই সেকেন্ড শো সিনেমা দেখার জন্য হলে চলে যান। সেদিন সিনেমা দেখে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ফিরে তিনি দেখলেন, হোস্টেলের দোতলায় সেই ২২ নম্বর রুমে আলো জ্বলছে। ব্যাপার কি? এরকম তো হবার কথা নয়! কাশেমের আত্মহত্যার পর থেকে ২২ নম্বর তো বটেই, পুরো হোস্টেলই প্রায় ফাঁকা। ছেলেরা হোস্টেল ছেড়ে দিয়ে মেসে বা আত্মীয়স্বজনের বাসায় চলে গেছে। তিন চারজন ছাত্র নিরুপায় হয়ে নিচ তলায় হোস্টেল সুপারের কামরা সংলগ্ন একটি রুমে ভয়ে ভয়ে থাকে। অন্যান্য সব রুম তালাবদ্ধ। তাহলে ২২ নম্বর রুম খুললো কে?

রাজ্জাক সাহেব সাহসী মানুষ। তিনি দারোয়ান আদম আলির নাম ধরে উচ্চস্বরে ডাক দিলেন। ঘটনার পর থেকে আদম আলি হোস্টেলের গেটে ডিউটি করতে চায় না। সে একটু দূরে দূরে থেকে পাহারা দেয়। রাজ্জাক সাহেবের ডাকে টর্চ লাইট জ্বেলে হাজির হলো সে। বললো, ‘আমাকে ডাকছেন,স্যার?’ রাজ্জাক সাহেব হোস্টেলের দোতলার দিকে নির্দেশ করে বললেন, ‘বাইশ নম্বর রুমের কোন ছাত্র ফিরেছে নাকি? ওই রুমে লাইট জ্বলছে কেন?’

আদম আলি সেদিকে তাকিয়ে ঘাবড়ে গেল। ২২ নম্বর রুমের খোলা দরজা দিয়ে লাইটের আলো এসে পড়েছে বাইরে। অথচ আজ হোস্টেলের কোন ছাত্রই ফিরে আসেনি। এলে তো আদম আলির কাছ থেকে তাকে রুমের চাবি নিতে হতো। সে আতংকিত স্বরে বললো, ‘না স্যার, কোন ছাত্র তো আসেনি!’

রাজ্জাক সাহেব আদম আলির কাছ থেকে টর্চ লাইট নিয়ে ওকে সাথে আসার জন্য ইঙ্গিত করে হোস্টেলের সিঁড়ি ভেঙ্গে দোতলায় উঠে গেলেন। সারি সারি সব রুম তালাবদ্ধ। বারান্দায় ঘুটঘুটে অন্ধকার। ছাত্ররা কেউ না থাকায় বারান্দার আলো জ্বালানো হয়না। অথচ ২২ নম্বর রুমের দরজা খোলা এবং সে রুমে আলো জ্বলছে। আশ্চর্য!

রাজ্জাক সাহেব কুসংস্কারমুক্ত আধুনিকমনা মানুষ। তিনি টর্চের আলো জ্বেলে বারান্দা দিয়ে হেঁটে ২২ নম্বর রুমের সামনে এসে দাঁড়ালেন। খোলা দরজা দিয়ে তাকিয়ে দেখলেন, রুমের ভেতর একটি টেবিলের সামনে পেছন ফিরে বসে একজন ছাত্র উচ্চস্বরে পড়া মুখস্থ করছে। তিনি একটু থতমত খেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কে? কে পড়ছে এই রুমে?’

সাথে সাথে বিদ্যুৎ চলে গেল এবং পড়া মুখস্থের শব্দ বন্ধ হয়ে গেল। রাজ্জাক সাহেব শক্ত মানুষ। প্রথমে একটু চমকে গেলেও নিজেকে সামলে নিয়ে টর্চের আলো ফেললেন সামনে। কিন্তু অবাক কাণ্ড! ২২ নম্বর রুমের দরজা বন্ধ, এক মুহূর্ত আগেও যা’ খোলা ছিল। এখন বন্ধ দরজায় দু’ দুটো তালা ঝুলছে। রাজ্জাক সাহেবের মাথা থেকে পা পর্যন্ত একটা শিরশিরে অনুভূতি ছড়িয়ে গেল। এই প্রথম ভয় পেলেন তিনি। তাঁর হাত থেকে টর্চ লাইট পড়ে গেল। অনেকটা দৌড়ের মতো করে দোতলা থেকে নামতে গিয়ে সিঁড়িতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে তিনি জ্ঞান হারালেন।

পরদিন বিকেলবেলা ক্লাস শেষে ইন্সটিটিউটের প্রিন্সিপাল রুমে শিক্ষকদের জরুরী মিটিং ডাকা হয়েছে। ষোল জন শিক্ষকের মধ্যে দু’জন নেই। অলোকবাবু ছুটিতে এবং রাজ্জাক সাহেব হাসপাতালে। মিটিংয়ে শিক্ষকরা যে যার মতো করে বক্তব্য দিলেন। কিন্তু প্রায় তিন ঘণ্টা আলোচনা করেও কোন সিদ্ধান্তে আসা গেল না। প্রিন্সিপাল সাহেব এসব ঘটনা বিশ্বাস করতেই রাজি নন। ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করার জন্য কয়েকজন শিক্ষকের দাবীকে তিনি হেসে উড়িয়ে দিলেন। তাঁর যুক্তি হলো, তিনিও তো ক্যাম্পাসের ভেতর কোয়ার্টারে থাকেন। কিন্তু তাঁর সাথে তো এসব কিছু ঘটছে না! তাহলে কি দু’জন দায়িত্বশীল শিক্ষক ও এতগুলো ছাত্র সবাই মিথ্যে কথা বলছে? এ প্রশ্নেরও কোন সদুত্তর নেই তাঁর কাছে। কোন রকম সিদ্ধান্ত ছাড়াই রাত আটটার দিকে মিটিং শেষ হলো।

শিক্ষকরা চলে গেলে প্রিন্সিপাল সাহেব অফিস পিওন সোহরাবকে দিয়ে দারোয়ান আদম আলিকে ডেকে পাঠালেন। বললেন, ‘আচ্ছা আদম আলি, গত রাতে ঠিক কি হয়েছিল বলো তো?’

আদম আলির চোখে মুখে ভয়। সে বললো, ‘স্যার, সুপার সাহেব আমার টর্চ লাইট নিয়ে হোস্টেলের দোতলায় চলে যান। কিন্তু আমি তার সাথে যাইনি স্যার। বাইশ নম্বর রুমে লাইট জ্বলছিল এবং দরজা খোলা ছিল। সেখানে কি হয়েছিল আমি জানিনা স্যার।’

ঠিক এই সময় প্রিন্সিপালের অফিস রুমের বাইরে থেকে কে যেন ভারি গলায় বলে উঠলো, ‘আমি জানি, স্যার।’

‘হু ইজ দেয়ার?’ প্রিন্সিপাল সাহেব আদম আলি ও সোহরাবকে বললেন, ‘এই, দেখো তো বাইরে কে?’

ওরা বাইরে গিয়ে দেখলো, কেউ নেই। ওদের পিছে পিছে প্রিন্সিপাল সাহেব নিজেও বেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু আশে পাশে কাউকে না দেখে তাঁর কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়লো। কিছুক্ষণ হতভম্বের মতো দাঁড়িয়ে থেকে তিনি সোহরাবকে বললেন, ‘অফিস বন্ধ করো। আর শোন, তোমরা দু’জন আমাকে একটু কোয়ার্টারে পৌঁছে দাও তো!’

***********************************************

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭

মদন বলেছেন: গল্পটা ভালো হয়েছে। চালিয়ে যান। সিটি কলেজের সামনের সার্ভে ইনস্টিটিউট?

গল্পে ছোটো একটি ভুল রয়েছে। ১৯৬৯ সালে ছাত্রদের হোস্টেলে ফ্যান থাকার কথা নয়। কাজেই ফ্যানে ঝুলে আত্বহত্যা করার কথা না। :)

১৩ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই মদন, আপনাকে ধন্যবাদ। সার্ভে ইন্সটিটিউটের অবস্থান আপনি সঠিক ভাবেই বলেছেন। ১৯৬৯ সালে হোস্টেলে ফ্যান থাকার কথা নয় বলছেন, কিন্তু ঐ ইন্সটিটিউট থেকে মাত্র ৫০/৬০ গজ দূরে লোকনাথ হাই স্কুলে সে সময় ফ্যান ছিল। আমি ঐ স্কুলে তখন নবম শ্রেনীর ছাত্র ছিলাম বলে সেটা মনে আছে। সুতরাং, সার্ভে ইন্সটিটিউটের হোস্টেলে ফ্যান থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। তাছাড়া যখন এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে, তখন আমরা লোকনাথ স্কুলের ছাত্ররা ইন্সটিটিউটের সামনে দিয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ফ্যানে ঝুলে ছাত্রটির আত্মহত্যার কথাই শুনেছি বলে মনে আছে।
শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকবেন।

২| ১৩ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫

রওনক বলেছেন: ১৯৬৯-এ ফ্যান না থাকার কি কারন থাকতেপারে??
যাই হোক জমজমাট কাহিনিটার ফিনিশিং নাই কেন?

১৩ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, রওনক। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ছোট গল্পের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে কাব্যের ভাষায় বলেছেন, .. 'সাঙ্গ করি মনে হবে শেষ হইয়াও হইলনা শেষ।'
শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকুন।

৩| ১৩ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬

ট্যামটেমি বলেছেন: এরাম গপ্পো আমিও দু চারখানা হুনছি, মাগার বিশ্বাস যাইতে মুন্চায় না। কলেজ লাইফে রাতের পর রাত একা একা শ্মশান আর গোরস্তানে ঘুড়ে বেড়িয়েছি, বসে থেকেছি কিন্তু কেউ মোর লগে দেহা করবার আসে নাই।

১৩ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই গল্পের পেরথমেই কইয়া দিছি বিশ্বাস না করতে।

ধন্যবাদ, ট্যামটেমি।

৪| ১৩ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২২

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ভালো লাগলো
চালিয়ে যাবেন আশা রাখি
ধন্যবাদ

১৩ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, মুনতাসির নাসিফ।

শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকুন।

৫| ১৩ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১

স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: বিশ্বাস না হয়না কারণ অভিজ্ঞতা হয়নি কিন্তুু এমন অনেক কিছুই এ জগতে আছে যা আমরা দেখিনি জানিনা.
সুতরাং এমন ঘটনা সত্যি ও হতে পারে. :#)

১৩ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই কারণেই সেকশপিয়র বলে গেছেন, দেয়ার আর মেনি থিংস ইন হেভেন এ্যান্ড আর্থ........।
ধন্যবাদ, স্বপ্নছোঁয়া।

৬| ১৩ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৬

হারানো পথ বলেছেন: দারুন লাগলো। চালিয়ে যান।

১৩ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, হারানো পথ।

৭| ১৩ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ভালো লাগলো

১৩ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই নাজমুল হাসান মজুমদার, আপনাকে ধন্যবাদ।

৮| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:২৪

আরিফুল আমির বলেছেন: মাঝে খানিকটা ভয়ের অনুভূতি গ্রাস করলেউ শেষের লাইনটা পড়ে হাসি পেলো ।।:-)

১৪ ই মে, ২০১৪ ভোর ৫:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই আরিফুল আমির, আপনাকে ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।

৯| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৪৫

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
সত্য কাহিনী??

কিছুক্ষণ হতভম্বের মতো দাঁড়িয়ে থেকে তিনি সোহরাবকে বললেন, ‘অফিস বন্ধ করো। আর শোন, তোমরা দু’জন আমাকে একটু কোয়ার্টারে পৌঁছে দাও তো!’



;) ;) ;)

১৪ ই মে, ২০১৪ ভোর ৫:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পটি সত্য ঘটনাভিত্তিক। তবে সাধারণত এই ধরনের গল্পে ডাল পালা গজিয়ে অনেক সময় মূল ঘটনার বিকৃতি ঘটে থাকে।
গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।

১০| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৫২

নাজমুল ইসলাম নিষাদ বলেছেন: গল্পটার মৃত্যু কি এতটুকুতেই ঘটাবেন!? নাকি আরও পর্ব বের করে একে আরও কিছুদিন জীবিত রাখবেন?

১৪ ই মে, ২০১৪ ভোর ৬:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: না ভাই, গল্পটি এ পর্যন্তই। ছোটগল্পের রাবিন্দ্রীক সংজ্ঞা অনুযায়ী, 'সাঙ্গ করি মনে হবে শেষ হইয়াও হইলনা শেষ।'এই গল্পের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

ধন্যবাদ, ভাই নাজমুল ইসলাম নিষাদ।

১১| ১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ৭:৫৫

মামুন রশিদ বলেছেন: মানুষ অনেক সময়ই অতিপ্রাকৃত ঘটনার মুখোমুখি হয়ে যায় । ব্যাখ্যাটাও যে যার মত করে দেয় । আপনার লেখা ঘটনা পড়ে ভয় লাগছে ।

১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় মামুন রশিদ ভাই, আমার লেখা পড়ে আপনার ভয় লাগছে মানে আমার এই ভৌতিক গল্প লেখা সার্থক। হাঃ হাঃ হাঃ।
ধন্যবাদ, ভাই। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১২| ১৪ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:০৬

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ওরে বাবা!!!! এইটা কি আসলেই সত্য!!!!! :-*

১৪ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার কী মনে হয়? ব্লগার বন্ধুদের মন্তব্য ও আমার প্রতিমন্তব্য থেকে উত্তর পেয়ে যাবেন আশা করি।

ধন্যবাদ, শুঁটকি মাছ।

১৩| ১৪ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫

আমি স্বর্নলতা বলেছেন: ভয়ের গল্প। ভালো লাগল অনেক।

১৪ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মানুষ কিন্তু ভয় পেতেও ভালোবাসে। ভৌতিক গল্প এ জন্যই অনেকের প্রিয়।

ধন্যবাদ, আমি স্বর্ণলতা।

১৪| ১৪ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//‘অফিস বন্ধ করো। আর শোন, তোমরা দু’জন আমাকে একটু কোয়ার্টারে পৌঁছে দাও তো!’// =p~ =p~ =p~

//লেখক বলেছেন: এই গল্পের পেরথমেই কইয়া দিছি বিশ্বাস না করতে।// ;) B-)

There are many things in heaven and earth.


শুভেচ্ছা জানবেন, আবুহেনা ভাই...
ডিক্লেয়ারেশনা না দিয়েও অনেক রস আপনি সরবরাহ করতে পারেন।

২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হার্ট এ্যাটাক থেকে ফিরে এই প্রথম মন্তব্যের জবাব দিচ্ছি, মইনুল ভাই।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১৫| ১৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এই পৃথিবীতে এমন অনেক ঘটনা ঘটে যার কোন ব্যাখ্যা নেই। আপনার গল্প ভাল লাগছে।

২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় কাণ্ডারি অথর্ব, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৬| ২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রিয় আবুহেনা ভাই,

আপনার অসুস্থতার খবর পেয়ে সত্যিই অনেক অস্থিরতায় ভুগেছি, কারণ মাত্র এর পূর্বের দিন আপনার সাথে মোবাইলে কথা হয়েছে।

আজ আপনি ব্লগে ফিরতে পেরেছেন.... মনে হচ্ছে সুস্থতার দিকে যাচ্ছেন...।

সামহোয়ারইন ব্লগের ব্লগাররাও আপনার জন্য শুভ কামনা করেছেন ...
আপনার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি....

সম্ভব হলে একটি ধন্যবাদ দিতে পারেন আলাদা পোস্টে....

শুভেচ্ছা :)

০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ৮:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় মইনুল ভাই, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আপনি পোস্ট দিয়ে না জানালে সামু ব্লগের বন্ধুরা আমার অসুস্থতার কথা জানতে পারতেন না।
যাই হোক, ইতিমধ্যেই আমি আলাদা পোস্ট দিয়ে এই ব্লগের সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি।
আপনার এই মন্তব্যের উত্তর যথাসময়ে দিতে না পারার জন্য আমি দুঃখিত।

১৭| ২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:২৫

আরজু পনি বলেছেন:

ভয়ের গল্প বিশ্বাস না করেও ভয় পেলাম :(

আমাদের হলে এক মেয়ে আত্নহত্যা করেছিল, জানালা দিয়ে মনে হতো সেই মারা যাবার সময়ের শাড়ী পড়েই ও হলের পাশের রাস্তা দিয়ে হাঁটতো কিন্তু সেটা শুধু বেশি রাতে আমার মনে হতো এই পর্যন্তই আর কিছু না ...দেখিনি কেউ কিছু

অন্ধকার ঘরে টেবিল ল্যাম্প জ্বলছে, জানালা দিয়ে প্রচুর বাতাস আসছে ...ভয় সত্যিই লাগছে :(

০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ৯:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অসুস্থতার কারণে যথাসময়ে মন্তব্যের উত্তর দিতে না পারায় আমি দুঃখিত।

গল্পটি পড়ে আপনার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, আরজুপনি। শুভেচ্ছা রইল।

১৮| ০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ৯:০৮

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: সময় করে পড়তে হবে, একনজর দেখলাম, মন্তব্য গুলোও -বেশ মনে হচ্ছে , বিষয়বস্তু সম্পর্কে মন্তব্য ভালোভাবে পড়ে তারপর দেবো ...

শুভেচ্ছা জানবেন ...

০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ৯:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই মুনতাসির নাসিফ।

শুভেচ্ছা আপনার জন্যেও। ভালো থাকবেন।

১৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬

আলম দীপ্র বলেছেন: এন্ডিং বিহীন গল্প । এর একটা আলাদা আনন্দ আছে ! ;) ;) ;)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: 'শেষ হইয়াও হইল না শেষ।' কবিগুরুর কথা।

ধন্যবাদ, ভাই আলম দীপ্র।

২০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮

আলম দীপ্র বলেছেন: আরেকটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার আপনার আর আমার ব্লগের নাম একই !

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তাই নাকি? বাহ!

২১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৫৪

ফরিদ আহমাদ বলেছেন: আপনার পুরাতন লিখা খুজতে গিয়ে এই লিখাটাই রাত ৪ টায়
কেন চোখের সামনে পড়লো?
কেমন যেন ভয়ভয় লাগছে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। এই গল্প পড়ার সঠিক সময়।

ধন্যবাদ ফরিদ। ভালো থেক। ভয়মুক্ত শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.