নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ ফ্লেক্সিলোড

২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:৫০

একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন এলো। কণ্ঠস্বরে মনে হলো, কম বয়সী মেয়ে কথা বলছে। সালাম দিয়ে অত্যন্ত সংকোচের সঙ্গে সে বলল,‘ভাইয়া, একটা ভুল হয়ে গেছে।’

বললাম, ‘আপনি কাকে চাচ্ছেন?’

‘আসলে আমি কাউকে চাচ্ছিনা ভাইয়া। আমি নিজের নাম্বারে ফ্লেক্সি করতে গিয়ে ভুল করে আপনার নাম্বারে করে ফেলেছি।’

এই ব্যাপার! আধা ঘণ্টা আগে আমার মোবাইলে একশো টাকার একটা ফ্লেক্সি এসেছে। আমার বড় ছেলে তার চাকরীস্থল থেকে মাঝে মধ্যে এমন ফ্লেক্সি পাঠায় বলে ব্যাপারটাকে আমি তেমন গুরুত্ব দিইনি। বললাম, ‘কত টাকার ফ্লেক্সি?’

‘একশো টাকার,ভাইয়া।’

‘তা আমাকে এখন কি করতে হবে?’

মেয়েটি আরো সংকোচের সাথে বলল, ‘টাকাটা আমার এই নাম্বারে যদি ফ্লেক্সি করে পাঠিয়ে দেন তো খুব উপকার হয়। ভাইয়া,আমার কাছে রিকশা ভাড়ার জন্য আর মাত্র দশ টাকা ছিল। সেই টাকাটা ফ্লেক্সি করে কথা বলছি। সে টাকাও ফুরিয়ে যাচ্ছে। বেশিক্ষণ কথা বলতে পারবো না।’

ভাল হ্যাপা হলো। আমি এখন বাজার করছি। মধ্যবিত্তের বৈশিষ্ট অনুযায়ী পকেটে গোনা টাকা। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাতেও টান টান অবস্থা। বললাম, ‘ঠিক আছে, আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি।’

মাছটা যাতে ভাল থাকে সে জন্য তরিতরকারি কিনে ব্যাগের ওপরের দিকে নেয়ার জন্য আমি সাধারণত মাছটা সব শেষে কিনি। পকেটে দেড়শো টাকার মতো ছিল। একশো টাকা মেয়েটির নাম্বারে ফ্লেক্সি করে দিয়ে মাছ না কিনে বাড়ি ফিরলাম।

আমার মিসেস রান্নাঘরে ব্যাগ উল্টে ফেলে মাছ না পেয়ে বলল, ‘মাছ কই?’

আমি আমতা আমতা করে বললাম, ‘আজকের দিনটা ডাল আর নিরামিষ দিয়ে চালিয়ে দাও। রোজ রোজ মাছ মাংস খাওয়া ঠিক নয়।’

‘এই লোকটা বলে কি?’ কাজের বুয়া না আসায় মশলা বাটা শেষ করে মিসেসের মেজাজ বেশ তিরিক্ষি হয়ে ছিল। মাছ মাংস না খাওয়ার উপদেশ তার পছন্দ হল না। বলল, ‘ভালোই বলেছ। আমরা না হয় লতাপাতা যা ইচ্ছা খেলাম। কিন্তু তোমার শালী আর ভায়রাভাই বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে বেড়াতে এসেছে। তাদের কি দিয়ে ভাত দেব বলো? কত দিন পর ওরা বেড়াতে এলো!’

আমি খুশি হওয়ার অভিনয় করে বললাম, ‘তাই নাকি? রেনুরা বেড়াতে এসেছে? কখন এলো ওরা?’

জানা গেল,আমি বাজারে যাওয়ার পর ওরা নওগাঁ থেকে নিজেদের মাইক্রোবাস নিয়ে বেড়াতে এসেছে। ভায়রা নজরুল ইসলাম সরকারি চাকরি করে। সে দুই দিন ক্যাজুয়াল লিভ পেয়েছে। এই সুযোগে আমাকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য ফোন না দিয়ে তাদের সরাসরি চলে আসা। এখন তারা স্বামী স্ত্রী দু’জন ড্রয়িংরুমে বসে ‘স্টার প্লাস’-এ ‘প্রতিজ্ঞা’ দেখছে। আর তাদের ছয় বছর বয়সী যমজ ছেলে দুটি আমার বেডরুমে খাটের ওপর হাঁটু গেড়ে বসে বালিশ ছোঁড়াছুঁড়ি খেলায় ব্যস্ত।

আমাকে দেখে নজরুল সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। ‘আরে দুলাভাই,কেমন আছেন?’ বলে এগিয়ে এসে আমার সঙ্গে কোরবানির ঈদের মতো কোলাকুলি করে ফেলল। শ্যালিকা রেনু ‘প্রতিজ্ঞা’ সিরিয়ালের দুর্দান্ত ক্লাইম্যাক্সে আটকে ছিল। মুখ ভর্তি দাড়ি গোঁফওয়ালা বৃদ্ধ শশুরের সঙ্গে বউয়ের পক্ষ নিয়ে বৃদ্ধের ছেলে ঝগড়া করছে। টান টান উত্তেজনাপূর্ণ দৃশ্য।

রেনু টিভি থেকে চোখ না সরিয়ে হাত ইশারায় আমাকে অপেক্ষা করার ইঙ্গিত করলো। তারপর বিজ্ঞাপন শুরু হলে সে হাসতে হাসতে বলল, ‘দুলাভাই, কেমন আছেন? আপনারা তো যাবেন না। তাই আমরাই চলে এলাম।’

‘খুব ভাল করেছ।’ আমিও হেসে বললাম, ‘রিটায়ারের পর আর কোথাও যেতে ইচ্ছা করেনা ভাই। শরীরটা মাঝে মধ্যে বিগড়ে যায়। ইচ্ছা থাকলেও যাওয়া হয় না।’

‘আপনি সত্যিই বুড়ো হয়ে গেছেন দুলাভাই।’ বুড়ো হয়ে যাওয়াটা রেনুর কাছে বেশ আনন্দের ব্যাপার বলে মনে হল। সে বলল, ‘আমরাও বুড়ো হয়ে যাচ্ছি। আগের মতো টিভি দেখতে আর ভাল লাগে না।’

আমি বললাম, ‘তাই? আচ্ছা, তোমরা বসো। আমি একটু বাজার থেকে ঘুরে আসি।’

রেনু বলল, ‘এই না আপনি বাজার থেকে এলেন! আবার কেন?’

একটা আইটেম বাদ পড়ে গিয়েছে বলে ওদের নয় ছয় বুঝিয়ে দিয়ে আমি আবার বাজারে গেলাম মাছ কিনতে। যাওয়ার সময় আমার মিসেস কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিস ফিস করে বলল, ‘ইলিশ মাছ নিও। রেনুর স্বামী খুব পছন্দ করে। সঙ্গে দুই কেজি হাড় ছাড়া গরুর মাংস আর একটা দই নিও তো। মিষ্টির দরকার নেই। মিষ্টি ওরাই নিয়ে এসেছে।’

আমি প্যান্টের পকেটে নেয়া দুটো পাঁচশো টাকার নোটের গায়ে হাত বুলিয়ে ভাবলাম, হবে তো? এ রকম আরেকটা নোট নিতে পারলে নিশ্চিন্ত হওয়া যেতো। দেখা যাক। তেমন আঁটোসাঁটো হলে গরুর মাংস আধা কেজি কম নেব। ইলিশ মাছটাও জাটকার চেয়ে একটু বড় নিলে চলবে। বলবো এর চেয়ে বড় মাছ বাজারে পেলাম না। অতিথি আপ্যায়নে নিশ্চয় তেমন কিছু হেরফের হবে না।

বাজারে গিয়ে ভিড়ের মধ্যে আমার পিকপকেট হয়ে গেল। মাংস কিনে পকেটে হাত দিয়ে দেখি দুটো নোটই উধাও। কসাই লোকটা ভালো। আমার হাত থেকে মাংসের ব্যাগটা থাবা মেরে কেড়ে নিয়ে বলল, ‘টাকা নিয়ে এসে ব্যাগটা নিয়ে যাবেন। তখন মাংস আবার ওজন করে দেব। আমরা চোরামি ব্যবসা করি না। এখন যান।’

ভাবলাম, বাড়িতে আবার টাকা নিতে ফিরে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। বাজারে পরিচিত এক মহাজনের কাছ থেকে বিকেলে ফেরত দেয়ার শর্তে এক হাজার টাকা ধার নিলাম। এই সময় মেয়েটি আবার ফোন করলো। বলল, ‘ভাইয়া, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার মনে হচ্ছিল ফ্লেক্সির টাকাটা হয়তো আর ফেরত পাবো না’

‘এ রকম মনে হওয়ার কারণ? আগে এমন হয়েছে নাকি?’

‘জি, একবার হয়েছিল। পঞ্চাশ টাকার জন্য আরো ত্রিশ টাকা খরচ করে কথা বলেও টাকাটা ফেরত পাইনি।’

‘তার মানে আশি টাকা লস্?’

লস্ প্রফিট সম্পর্কে আমার জ্ঞান বোধ হয় মেয়েটিকে মুগ্ধ করলো। সে আনন্দের সাথে বলল, ‘হাঁ ভাইয়া, ঠিক ধরেছেন। সবাই তো আপনার মতো ভাল মানুষ নয়। তা আপনি কি করেন ভাইয়া? কলেজে পড়েন নিশ্চয়!’

বললাম, ‘এক কালে পড়তাম। এখন আর পড়ি না। এখন আমার ছোট ছেলে কলেজে পড়ে আর বড় ছেলে ইউনিভার্সিটির পড়া শেষ করে এখন চাকরি করছে।’

মেয়েটি থতমত খেয়ে ও, ভাইয়া, আঙ্কেল ইত্যাদি বাক্যবিহীন কিছু শব্দ উচ্চারন করে ফোনের লাইন কেটে দিল। আমি কসাইয়ের টাকা পরিশোধ করে ইলিশ মাছ কিনে দই কিনতে যাচ্ছিলাম। মেয়েটি আবার ফোন দিল। বলল, ‘আঙ্কেল, আই এ্যাম সরি।’

বললাম, ‘সরি কেন?’ মেয়েটি ইতস্তত করে বলল, ‘আপনার গলা শুনে কলেজ বা ভার্সিটির ছাত্র মনে হয়েছিল। প্লিজ, কিছু মনে করবেন না আঙ্কেল।’

‘না না, আমি কিছু মনে করছিনা।’

দুপুরে ডাইনিং টেবিলে খেতে বসে আমি রেনুকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আচ্ছা, তুমি সকালে বললে যে আমি বুড়ো হয়ে গেছি। এই বয়সের মানুষকে তো বুড়োর মতই দেখাবে। সেটা ঠিক আছে। কিন্তু আমার কণ্ঠস্বরে তারুণ্যের কোন লক্ষণ আছে বলে কি তোমার মনে হয়?’

‘কি রকম?’ রেনু এবং ওর স্বামী দু’জনেই অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল আমার দিকে।

আমি চেয়ার ছেড়ে উঠে ডাইনিং সংলগ্ন কিচেনের দরজার আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে ফেলে বললাম, ‘এই যে এখন তোমরা আমাকে দেখতে পাচ্ছো না। মনে কর, আমাকে তোমরা চেন না, কোনদিন দেখোনি। শুধু একজন অচেনা অদেখা মানুষের কথা শুনতে পাচ্ছো। এই কণ্ঠস্বর শুনে কি তোমাদের মনে হচ্ছে যে আমি তরুণ এবং কলেজে পড়ি?’

‘ও বুবু!’ রেনু তার বোনকে উদ্দেশ্য করে বলল, ‘দুলাভাই এসব কি বলছে?’

আমার মিসেস দরজার আড়াল থেকে আমাকে বের করে হাত ধরে হিড় হিড় করে টেনে এনে চেয়ারে বসিয়ে দিল। তারপর ভাতের প্লেটটা ঠকাস্ করে আমার সামনে টেবিলে রেখে বলল, ‘বুড়ো বয়সের ভীমরতি! এই বয়সে কলেজের ছাত্র হওয়ার শখ। ঢং করার আর জায়গা পায় না।’

আমার কলেজে পড়া ছোট ছেলেটি বলল, ‘না মা, তুমি যতই বল, আব্বার গলার টোনে কিন্তু একটা ইয়ং ইয়ং ভাব আছে। তাই না খালু?’

নজরুল ইসলাম ইলিশ মাছের পেটিসহ এক লোকমা ভাত মুখে দিয়ে বলল,‘একজাক্টলি।’

******** **** *** ** *

এই গল্পটি মাসিক মৌচাকে ঢিল পত্রিকার আগস্ট ২০১১, ঈদুল ফিতর সংখ্যায় প্রকাশিত। ব্লগার বন্ধুরা যারা এটি পড়েন নি, তাদের জন্য ব্লগে প্রকাশ করলাম। আশা করি ভাল লাগবে।

মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:০৯

আজীব ০০৭ বলেছেন: বাস্তবতা.................।

২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আজীব ০০৭। ভালো থাকবেন।

২| ২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:১০

মামুন রশিদ বলেছেন: মিসিং ফ্লেক্সিলোডের সূত্র ধরে আমাদের ঘুরিয়ে দেখালেন মধ্যবিত্তের চির টানপোড়েন আর বাঙ্গালীর আতিথেয়তার অন্দরমহল । শেষ পর্যন্ত একটা সুখী গল্প ।


ভালোলাগা বাটনে ক্লিক করে আনন্দ পেয়েছি ।

২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, মামুন রশিদ ভাই। গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩| ২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:১৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: অসাধারণ গল্প, আশরাফুল ভাই, চালিয়ে যান।

২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, সাদা মনের মানুষ। আপনার অনুপ্রেরনাই সামু ব্লগে আমাকে অন্ততঃ পা রাখার মতো জায়গা খুঁজে নিতে সাহায্য করেছে। বরাবরের মতোই পাশে থাকবেন বলে আশা করি ভাই।

৪| ২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:০৩

ফিলিংস বলেছেন: খুবই সুন্দর গাথুনি...। কন্ঠ স্বরের মত আপনার লেখার হাত ও কলেজ পড়ুয়া...ধন্যবাদ।

২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ফিলিংস। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৫| ২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: প্রায় এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললুম, চৎকার লাগল!

২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় ঢাকাবাসী, আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৬| ২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮

মোঃ মোশাররফ হোসাইন বলেছেন: সুন্দর

২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই মোশাররফ হোসাইন।

৭| ২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬

সময়ের ডানায় বলেছেন: মামুন রশিদ বলেছেন: মিসিং ফ্লেক্সিলোডের সূত্র ধরে আমাদের ঘুরিয়ে দেখালেন মধ্যবিত্তের চির টানপোড়েন আর বাঙ্গালীর আতিথেয়তার অন্দরমহল । শেষ পর্যন্ত একটা সুখী গল্প ।


ভালোলাগা বাটনে ক্লিক করে আনন্দ পেয়েছি ।

২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, সময়ের ডানায়।

৮| ২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:০৮

হাসান বিন নজরুল বলেছেন: ভালো লেগেছে চালিয়ে যান :)

২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, হাসান বিন নজরুল। শুভেচ্ছা রইল।

৯| ২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:১৬

নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: ব্যফুক মজা পেলুম :-P :-P

২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই নিয়ামুল ইসলাম। গল্পটি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

১০| ২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৬

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগলো।

২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, সোহানী।

শুভেচ্ছা রইল।

১১| ২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯

এক্স রে বলেছেন: গল্পের শিরোনাম দেখে ভেবেছিলাম ভুল নাম্বারে ফ্লেক্সি চলে যাওয়ার ফলে দুজন যুবক যুবতীর প্রেম নিয়ে কোনো গল্প হবে হয়ত।

কিন্তু ভেতরে ঢুকে নিজের অজান্তেই ভালোলাগা রেখে গেলাম

২২ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই এক্স রে, প্রত্যাশা পূর্ণ না হলেও গল্পটি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১২| ২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

হাসানুর বলেছেন: ভাল লেখেছেন...

২২ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, হাসানুর ভাই।

১৩| ২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭

দি ভয়েস বলেছেন: বেশ চমৎকার লাগলো । বাস্তবতায় ঠাসা একটি গল্প ।

ভাল থাকবেন । শুভ কামনা রইলো ।

২২ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, দি ভয়েস।

ভাল থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৪| ২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮

আম্মানসুরা বলেছেন: চমৎকার গল্প।

২২ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, আম্মানসুরা।

শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকুন।

১৫| ২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

পথিক মুরাদ বলেছেন: বৃদ্ধ হতে চাই না আমি। চাই শরীর মন কণ্ঠজুরে এক অনন্ত যৌবন__

২২ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভালো বলেছেন। কিন্তু অনন্ত যৌবন তো শুধু কথার কথা। বাস্তবে যৌবন সবাইকে টা টা দিয়ে চলে যায়। হাঃ হাঃ হাঃ।
ধন্যবাদ, পথিক মুরাদ। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১৬| ২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:১৩

জন কার্টার বলেছেন: মনে হচ্ছিলো এই বুঝি আবার প্রেম শুরু হবে B:-/ B:-/


গল্পে ভালো লাগা ++++++++

২২ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার মনে হচ্ছিলটা শেষ পর্যন্ত মাঠে মারা গেল। হাঃ হাঃ হাঃ।

গল্প ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ, জন কার্টার।

১৭| ২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫

ইয়াশফিশামসইকবাল বলেছেন: iha ekti baal post

২২ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ইয়াশফিশামসইকবাল।

১৮| ২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহা , দারুণ আনন্দ পেয়েছি , চমৎকার ।

অনেক দিন পর কোন গল্পে ফুর্তি ভাবটা রাখতে পারলাম ।
ভাল থাকুন হেনা ভাই ।

২২ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, মাহমুদ ০০৭।

ভালো থাকুন আপনিও। শুভেচ্ছা রইল।

১৯| ২২ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার এবং চমৎকার। খুবই ভালো লাগল লেখাটা।

২২ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই কাল্পনিক-ভালোবাসা, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২০| ২২ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০০

শাহ আজিজ বলেছেন: আমি একদফা এরকম ফোন পেয়ে বললাম আমি মনে করলাম আল্লাহর অশেষ রহমত নাজিল হয়েছে তাই ৫০ টাকা আমার মোবাইলে ল্যান্ড করেছে । লোকটি বলল তার মানে আপনি দেবেন না? আমি বললাম দূর মিয়া রহমত ভাগাভাগি নিষেধ। আরও পেয়েছি কিন্তু ক্লেম পাইনি । ওগুলো মাল এ গনিমত ।

২২ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই শাহ আজিজ, আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২১| ২২ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬

প্রিন্স মাহমু দ বলেছেন: দারুন গল্প ।

২২ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই প্রিন্স মাহমুদ, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

২২| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

সায়েদা সোহেলী বলেছেন:
মানুষ যত আর্থিক ভাবে ধনী হতে থাকে আশ্চর্যজনক ভাবে তাদের আথিতিয়তাও কমতে থাকে !!! :|

আপনার গল্পে ৭+ :)

২২ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, বোন সায়েদা সোহেলী।

শুভেচ্ছা রইল।

২৩| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:১৪

উড়োজাহাজ বলেছেন: আসলে আপনার বয়স কত? বুড়া বুড়া লাগছে যে!

২৩ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার বর্তমান বয়স ৬০ বছর। ধন্যবাদ, উড়োজাহাজ।

২৪| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

মি. হুমায়ুন কবির বলেছেন: আপনি আসলেও ইয়াং (!) ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটির জন্য

২৩ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই হুমায়ুন কবির, আপনাকেও ধন্যবাদ। আমি ইয়ং ঠিকই, তবে ইয়ং অফ সিক্সটি ইয়ার্স। হাঃ হাঃ হাঃ।

২৫| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:২৫

সুমন কর বলেছেন: সাবলীল আর গোছানো লেখা। একটানে পড়ে ফেললাম। ভালো লাগল।

আমিও একবার একজনের ভুলে করা ২০০টাকার ফ্লেক্সিলোড ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।

২৩ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দ্যাটস এ গুড প্র্যাকটিস। ধন্যবাদ, ভাই সুমন কর।

২৬| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৩৩

মিনুল বলেছেন: ভালো লাগল....

২৩ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, মিনুল।

২৭| ২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:০২

আহমেদ রব্বানী বলেছেন: হেনা ভাইয়ের গল্প মানেই সুপারহিট।শুভকামনা রইল প্রিয়।

২৩ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় আহমেদ রব্বানী, তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমিও তোমার কবিতা ও ছড়ার একনিষ্ঠ ভক্ত।

২৮| ২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:২৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দারুণ লাগল!

২৩ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রোফেসর শঙ্কু।

২৯| ২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৪২

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: শ্যালিকা রেনু ‘প্রতিজ্ঞা’ সিরিয়ালের দুর্দান্ত ক্লাইম্যাক্সে আটকে ছিল। মুখ ভর্তি দাড়ি গোঁফওয়ালা বৃদ্ধ শশুরের সঙ্গে বউয়ের পক্ষ নিয়ে বৃদ্ধের ছেলে ঝগড়া করছে। টান টান উত্তেজনাপূর্ণ দৃশ্য।
রেনু টিভি থেকে চোখ না সরিয়ে হাত ইশারায় আমাকে অপেক্ষা করার ইঙ্গিত করলো। তারপর বিজ্ঞাপন শুরু হলে সে হাসতে হাসতে বলল, ‘দুলাভাই, কেমন আছেন?
=p~ =p~ =p~

খুব ভাল লাগল গল্পটা। সপ্তম ভাল লাগা।

২৩ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় প্রবাসী পাঠক, আপনাকে ধন্যবাদ। নিয়মিত আমার লেখা পড়ছেন বলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।

শুভেচ্ছা রইল।

৩০| ২৩ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪

শেরশাহ০০৭ বলেছেন: অনেক ভাল গল্প.।.।.।

২৩ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, শেরশাহ০০৭।

৩১| ২৩ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪১

বোকামানুষ বলেছেন: ভাল লাগলো

প্রথমেতো ভাবলাম এর মধ্যেও আবার প্রেমের প্যাচগোচঁ শুরু হবে নাকি পরে কাহিনি অন্যরকম হয়ে যাওয়া তে ভাল লাগলো সব কিছুর মধ্য প্রেমের আবির্ভাব সবসময় ভাল লাগে না :)

২৩ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পটি ভালো লাগায় ধন্যবাদ, বোকামানুষ।

৩২| ২৩ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫

শুঁটকি মাছ বলেছেন: দারুন!! মজা পাইছি! :)

২৩ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, শুঁটকি মাছ।

৩৩| ২৩ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:১৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন:
সুন্দর গল্প। যদিও কোন চমক ছিল না, সাদাসিধে সরল রৈখিক গল্প, কিন্তু পড়তে আরাম লেগেছে। মধ্যবিত্তের টানাপোড়ন ছিল, ছিল সুক্ষ্ণ হিউমার, সবমিলিয়ে বেশ লেগেছে। শুভেচ্ছা রইল।

আপনার ব্লগটা দেখছি ছোট গল্পের খনি! সময় নিয়ে বাকিগুলো পড়ে ফেলতে হবে। ভালো থাকুন, লিখতে থাকুন, আর আমাদের এমন সুন্দর সুন্দর গল্প পড়ার সুযোগ করে দিন।

২৩ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই শান্তির দেবদূত, আপনাকে ধন্যবাদ। প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া মিলিয়ে আমার লেখা প্রায় আড়াই শো ছোটগল্প এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে। সামু ব্লগে এক ডজনের বেশি হবে না। আমার বেশিরভাগ লেখাই পত্রিকায় প্রকাশিত। ২০১১ সালে আমার একমাত্র উপন্যাস "স্বপ্ন বাসর' প্রকাশিত হবার মাত্র দেড় বছরের মধ্যে এর প্রথম মুদ্রণ (১০০০ কপি) শেষ হয়ে যায়।
আপনি আমার অন্যান্য লেখাগুলিও পড়তে চাইছেন জেনে খুব খুশি হলাম। পাঠক না পড়লে লেখকের লেখালেখি করা বৃথা।
শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকবেন।

৩৪| ২৪ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯

তাসজিদ বলেছেন: ভাল লাগল। তবে শেষ অংশে একটু ভিন্নতা আনলে ভাল হত।

২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, তাসজিদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.