নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ তেতো সন্দেশ

২৩ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮

ডাক বিভাগে চাকরি পেয়ে জয়পুরহাট পোস্ট অফিসে ট্রেজারার পদে জয়েন করলাম ১৯৮০ সালে। আমি তখন পঁচিশ বছরের তরুণ।

জয়পুরহাট তখন থানা সদর। গ্রামীণ সংস্কৃতির আড়মোড়া ভেঙে ধীরে ধীরে জেগে উঠতে থাকা ছোট্ট একমুঠো শহর। ধানহাটী নামে একটা বাজার আর শহর সংলগ্ন সুগার মিলকে কেন্দ্র করে মানুষের যা কিছু চাঞ্চল্য। শহরের বুক চিরে একটাই পাকা রাস্তা। পোস্ট অফিসসহ দু’চারটি সরকারি ভবন পাকা, বাকি সব টিনের ঘরবাড়ি। শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও বেশির ভাগ বাড়ি ও দোকানপাটে তখনো হারিকেন ও কূপিবাতির দাপট।

রাজশাহী বিভাগীয় শহর থেকে আত্মীয়স্বজনহীন এই নির্জীব শহরে এসে আমি মনমরা হয়ে পড়লাম। সারা শহর তন্ন তন্ন করে খুঁজেও থাকার মতো কোন মেস বা ঘর ভাড়া পাওয়া গেল না। আসলে এ ধরনের আধা গ্রাম, আধা শহরের মতো জায়গায় তখনো বহিরাগতদের জন্য মেস বা ঘর ভাড়া দেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি।

প্রথম কয়টা দিন অফিসের মধ্যে দুটো টেবিল জোড়া দিয়ে তার ওপর শুয়ে রাত কাটালাম। রাস্তার ধারে নোংরা রেস্টুরেন্টে খেয়ে আমার পেট নেমে গেল। অফিসের টয়লেট আমি নিজেও নোংরা করে ফেললাম।

দয়ামায়াহীন পোস্টমাস্টার বললেন, ‘ট্রেজারার সাহেব, সরকারি অফিসে এভাবে রাতে শুয়ে থাকা ঠিক হচ্ছেনা। অফিসে ক্যাশ স্ট্যাম্প থাকে। উনিশ বিশ কিছু হলে আপনিও ফেঁসে যাবেন, আমাকেও বিপদে ফেলবেন।’

কথা ঠিক। কিন্তু আমি তো নিরুপায়।

আমার এই দুরবস্থার কথা অফিসের সব স্টাফই জানতো। আমার একটা থাকার ব্যবস্থার জন্য অনেকেই চেষ্টা করছিল। তাদের মধ্যে মোজাম্মেল নামে এক পোস্টম্যান একদিন অফিস টাইমের পর আমাকে নিয়ে গেল শহরের কাছাকাছি একটা জায়গায়। জায়গাটা পুরোদস্তুর গ্রাম। সঙ্গত কারণে গ্রামটির নাম আমি বলছি না।

মোজাম্মেলের ভায়রা কফিলউদ্দিন এই গ্রামের মোড়ল। আমার দুরবস্থার কথা শুনে তিনি তার বাড়ির সামনের দিকে একটা টিনের ঘর ভাড়া দিতে রাজি হয়েছেন। ভাড়া দেড়শো টাকা। খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা আমার নিজের। আর যেহেতু গ্রামে সমাজ আছে এবং আমি যুবক ছেলে, সেহেতু আমাকে একটু হিসাব করে চলতে হবে। মোড়লের যেন কোন বদনাম না হয়।

সরকারি চাকরি সোনার হরিণ। আমি সব শর্তে রাজি হয়ে পরদিনই সুটকেস হাতে চলে এলাম। ঘর ভর্তি আউড়ের পালা। কামলা ডেকে সেসব অন্যত্র সরিয়ে ঝাড় দিয়ে ঘর সাফ করে দেয়া হল। ঘরের দুই দরজার একটি দিয়ে বাড়ির ভেতর যাওয়া যায়। বাড়ির ভেতর থেকে শেকল তুলে তালা দিয়ে সেটি বন্ধ করে দেয়া হল। কফিলউদ্দিন দয়াপরবশ হয়ে আমার শোয়ার জন্য বাড়ির ভেতর থেকে একটা ঘুণে ধরা কাঠের চৌকি বের করে দিলেন। আমি বাজার থেকে কেরোসিনের চুলা, হাঁড়ি পাতিল, চাল ডাল সব কিনে নিয়ে এলাম।

নিজে কোনদিন রান্না করে খাইনি। রাঁধতে গিয়ে হাত পোড়ালাম। গরম তেল পায়ে পড়ে ফোস্কা উঠলো। কোনদিন ভাত হল চালপোড়া, কোনদিন হল হালুয়া। ডিম ভাজতে গিয়ে উল্টে ফেলে দিলাম চুলায়। রান্না করার আতংকে কোন কোনদিন দোকান থেকে কেনা কলা আর বানরুটি খেয়ে রাত পাড়ি দিলাম।

এভাবে দিন পনের যাওয়ার পর একদিন অফিস থেকে ক্লান্ত শরীরে ঘরে ফিরে দেখি, মেঝেতে একটা ছোট মাদুরের ওপর পরিস্কার গামলা ও বাটিতে কিছু খাবার ঢেকে রাখা। ঢাকনা খুলে দেখি, গরম ভাত, ডিমের তরকারি আর একমুঠো ডাল ভর্তা। পাশে একটা চিরকুটে কাঁচা মেয়েলী হাতে লেখাঃ হাত পুড়িয়ে রান্না করার দরকার নাই। মেয়েদের কাজ ছেলেরা পারেনা। আব্বাকে বলবেন না। বললে আমার যা হয় হবে, আপনাকে ঘাড় ধরে ঘর থেকে বের করে দেবে। মনে থাকে যেন।

দেখলাম, ঘরে নতুন দড়ি টানিয়ে তার ওপর আমার প্যান্ট শার্ট, গামছা লুঙ্গি সব সুন্দর করে গুছিয়ে রাখা। বিছানার চাদর টান টান। ঘরের মেঝে ঝকঝকে, তকতকে। বুঝলাম, মোড়লের মেয়ের কাজ। বাড়ির ভেতর দিকের দরজা খুলে ঘরে ঢুকে সে এসব করেছে। আমার একটু ভয় ভয় করতে লাগলো।

পরদিন সকালে সুটকেস থেকে একটা খাতা বের করে তাতে লিখলাম, এসব না করলে ভাল হয়। জানাজানি হলে সমস্যা হবে।

খাতাটা ওভাবেই বিছানার ওপর রেখে আমি ঘরে তালা দিয়ে অফিসে চলে গেলাম।

সন্ধ্যার পর ঘরে ফিরে হারিকেন জ্বালিয়ে দেখি মেয়েটি আবার রান্না করে রেখেছে। খাতায় আমার লেখার নিচে লেখাঃ ভীতুর ডিম!

মেজাজ খাট্টা হয়ে গেল। ওর লেখার নিচে লিখলামঃ ভয় দেখালেন আপনি, আর এখন আপনিই বলছেন ভীতুর ডিম? বেশ বেশ।

পরদিন মেয়েটি কিছু লিখলো না। আমি লিখলামঃ আপনারা কয় ভাই বোন? আপনি কি বিবাহিতা?

মেয়েটি লিখলোঃ হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছিনা। আমাকে বিয়ে করবে কে? আমার কোন ভাই বোন নেই। শুধু দাদি আছে। আমার জন্মের সময় মা মারা গেছেন। সৎ মা পাওয়ার ভাগ্য হয়নি। কিন্তু আপনি এসব জানতে চাচ্ছেন কেন? বেশি জানা ভাল না। তরকারিতে ঝাল লবণ ঠিক হচ্ছে তো?

দুষ্টামি বুদ্ধি মাথায় চাপলো। আমি লিখলামঃ দুটোই বেশি বেশি। একটু কম হলে ভাল হয়।

গ্রামের মেয়ে। আমার লেখার তাৎপর্য বুঝল না। পরদিন তরকারিতে ঝাল লবণ দুটোই বেশ কম হল। খাতায় লিখলামঃ আমি তরকারির ঝাল লবণের কথা বলিনি। আপনার নিজের ঝাল লবণের কথা বলেছি। আপনার নামটা কিন্তু আমার এখনো জানা হয়নি। ওটাও ঝাল ঝাল নয় তো?

উত্তরে মেয়েটি লিখলোঃ আমার ঝাল লবণ তো কেউ চেখে দেখেনি। আপনি একটা ফাজিল লোক। আমার সঙ্গে ফাজলামো করবেন না। ফাজলামো করলে নাম বলব না।

এরপর কিছুদিন আর লেখালেখি নেই। কিন্তু রান্নাবান্না, ঘর গোছানো সব ঠিক মতই চলছে। সত্যি বলতে কি, প্রেমঘটিত একটা দুর্ঘটনা আমার জীবনে আগে একবার ঘটে যাওয়ার পর থেকে নতুন কোন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে আমার প্রচণ্ড অনীহা ছিল। মেয়েদের আমি যথাসম্ভব এড়িয়েই চলতাম।

অফিস থেকে ঘরে ফিরে রাতে বিছানায় শুয়ে হারিকেনের আলোয় আমি খাতার লেখাগুলো পড়ি। সে শুধু সময় কাটানোর জন্য। মেয়েটিকে আজ পর্যন্ত চোখে দেখিনি। অবস্থাপন্ন বাপের একমাত্র মেয়ে। বিয়ে হয়নি কেন কে জানে? মাঝে মধ্যে আমার সতর্ক চোখ খুঁজে বেড়ায় তাকে। কিন্তু মেয়েটি যেন দৃশ্যমান জগতে এক অদৃশ্য রহস্যময় মানবী।

এভাবে প্রায় তিন মাস কেটে গেল। কাজে যোগদানের পর পরই আমি রাজশাহীতে বদলির জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলাম। এখানে আমার কষ্টের কথা জানিয়ে রাজশাহীর পোস্টমাস্টার জেনারেলের অফিসে তদবির করার জন্য বাড়িতে বড় ভাইয়ের কাছে চিঠিও লিখেছিলাম। তখন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার এত রমরমা ছিল না। মোবাইল ফোনের তো প্রশ্নই ওঠে না।

বড়ভাই আপ্রাণ চেষ্টা করে ঠিক তিন মাসের মাথায় আমার ট্রান্সফার অর্ডার বের করে ফেললেন এবং আমাকে চিঠি দিয়ে জানালেন।

সেদিন খুশি মনে ঘরে ফেরার পর এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা হল। মেয়েটির সঙ্গে আমার কথাবার্তার সেই খাতার মধ্যে একটা সাদা কালো ছবি পেলাম। নিষ্পাপ চেহারার সুন্দর একটি মেয়ে। কাজল টানা দীঘল চোখে বিষণ্ণ দৃষ্টি। বয়স আঠারো উনিশ হবে। খাতায় লেখাঃ আপনি তো চলেই যাবেন। যাওয়ার আগে ছবিতে আমাকে দেখে যান। ছবির উল্টো পিঠে আমার নাম লেখা আছে। ছবিটা নিয়ে যাবেন না কিন্তু।

মনে হল, আমি বৈদ্যুতিক শক খেলাম। আমি চলে যাবো এটা এই মেয়ে জানলো কিভাবে? বদলির কথা তো আমার জয়পুরহাট অফিসের লোকজনই এখনো জানেনা। ইনটুইশন? থট রিডিং? ছবিটা উল্টে দেখলাম গোটা গোটা হরফে লেখা, নার্গিস।



এক সপ্তাহের মধ্যে আমার ট্রান্সফার অর্ডার চলে এলো। সকাল দশটার মধ্যে নতুন ট্রেজারারের কাছে চার্জ বুঝিয়ে দিয়ে ঘরে ফিরে এলাম। দুপুর সাড়ে বারোটায় রাজশাহী যাওয়ার ট্রেন। বাড়ি ফেরার আনন্দে আমার মন চঞ্চল হয়ে উঠেছে। ঘরে ফিরে দেখি, বিছানার ওপর একটা কাঠের ট্রেতে পিরিচ দিয়ে ঢেকে রাখা দুটো সন্দেশ আর এক গ্লাস পানি। পাশে রাখা খাতায় লেখাঃ কাল বিকেলে আমাকে বিয়ে না করার জন্য এক ছেলে তার অভিভাবকসহ দেখতে এসেছিল। এই প্রথম আমাকে কেউ দেখতে এলো। তাদের আনা মিষ্টি থেকে আপনাকে দুটো সন্দেশ দিলাম। আশা করি, যাওয়ার আগে খেয়ে যাবেন।

বিয়ে না করার জন্য ছেলেপক্ষ দেখতে এসেছিল? এমন কথা কখনো শুনেছি বলে মনে পড়লো না। বুঝলাম, যে কোন কারণেই হোক ছেলেপক্ষ নার্গিসকে তাদের বউ করতে রাজি হয়নি। দেখতে তো মেয়েটি অসুন্দর নয়। সম্ভবত যৌতুক বা লেনদেনে বনিবনা না হওয়ায় বিয়ে ভেস্তে গেছে।

মনে মনে দুঃখ পেলেও বাড়ি ফিরে যাওয়ার আনন্দে আপাতত দুঃখবোধ ধামাচাপা পড়ে গেল। এখন মিষ্টি খাওয়ার সময় নাই। দ্রুত হাতে সুটকেস গুছিয়ে নিয়ে সন্দেশ গুলো কাগজের ঠোঙায় ভরে সঙ্গে নিলাম। ট্রেনে বসে খাওয়া যাবে।

গোছগাছ শেষে বাড়ির মালিকের কাছে গেলাম বিদায় নিতে। কফিলউদ্দিন আমার হাঁড়ি পাতিল, থালাবাসন ও কেরোসিনের চুলা বস্তাবন্দি করে সঙ্গে দিতে চাইলেন। আমি বললাম, ‘না, থাক।’ তার সঙ্গে কথা বলার ফাঁকে আড়চোখে খুঁজলাম মেয়েটিকে। কিন্তু না, কোথাও নেই সে। তবে কেন জানি আমার মনে হল, এ বাড়ির কোন না কোন আড়াল থেকে কাজল টানা দুটি দীঘল চোখে সে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।

আমাকে ট্রেনে তুলে দিতে প্ল্যাটফরমে অপেক্ষা করছিল মোজাম্মেল। ট্রেন আসার দেরি আছে দেখে ওর সাথে গল্প করছিলাম। কথা প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তোমার ভায়রার মেয়েটির বিয়ে হচ্ছেনা কেন? দেখতে তো সে ভালোই।’

মোজাম্মেল বলল, ‘বিয়ে কি করে হবে, স্যার? মেয়ে যে বোবা, মুখে জবান নাই। একটা বোবা মেয়েকে জেনে শুনে কে বিয়ে করবে স্যার, বলেন?’

ট্রেন আসার ঘণ্টা পড়লো। মনে হল, আমার হৃৎপিণ্ডটাকে ঘণ্টা বানিয়ে আঘাত করলো কেউ। মোজাম্মেল মাথা নিচু করে বলল, ‘বহু চেষ্টা তদবির করে গতকাল বগুড়ার এক ছেলে পক্ষকে আনা হয়েছিল মেয়ে দেখাতে। মেয়ে তো তাদের এক দেখাতেই পছন্দ। কিন্তু মেয়ে বোবা শুনে তারা আর এক মিনিটও বসেনি। আমার ভায়রা পাঁচ বিঘা ধানী জমি লিখে দিতে চাইলো। তাতেও রাজি হল না।’

আমাকে ট্রেনে তুলে দিয়ে চলে গেল মোজাম্মেল।

চলন্ত ট্রেনে অনেকক্ষণ পক্ষাঘাতগ্রস্থ রোগীর মতো আমি বসে রইলাম। হাতে ধরা ঠোঙা থেকে একটা সন্দেশ বের করে দেখে মনে হল, এই সন্দেশের স্বাদ তেতো। নিম পাতার রসের চেয়েও তেতো। এই সন্দেশ খাওয়া যাবেনা। মনে মনে বললাম, ‘নার্গিস, আপনার অনুরোধ রাখতে পারলাম না। দুঃখিত।’ ট্রেনের জানালা দিয়ে সন্দেশসহ ঠোঙাটা ফেলে দিলাম বাইরে।

নার্গিসের সাথে আমার কথা বিনিময়ের সেই খাতাটা সুটকেস থেকে বের করে চোখের সামনে মেলে ধরলাম। ঝাপসা চোখে কষ্ট করে খুঁজে বের করে আবার পড়লাম মেয়েটির সেই লেখাটা, আমাকে বিয়ে করবে কে?

***

এই লেখাটি মাসিক মৌচাকে ঢিল পত্রিকার নভেম্বর, ২০১১ মিষ্টি (দ্বিতীয় পর্ব) সংখ্যায় প্রকাশিত। ব্লগার বন্ধুরা যারা এটি পড়েননি, তাদের জন্য ব্লগে প্রকাশ করলাম। ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

শুঁটকি মাছ বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেল!! :(

যা হোক,লেখাটা আসলেই অসাধারণ ছিল। একদম মনের ভেতরে দাগ কেটেছে।

২৩ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রিয় শুঁটকি মাছ।

২| ২৩ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪

মুক্তকণ্ঠ বলেছেন: লেখাটা আসলেই অসাধারণ ছিল

২৩ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রিয় মুক্তকণ্ঠ।

৩| ২৩ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮

শান্তির দেবদূত বলেছেন: একটা পার্ফেক্ট ছোট গল্প পড়লাম! সাবলিল লেখা, আবেগ, চমক, সব শেষে এমন মন খারাপ করা ফিনিশিং গল্পটিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে! শুভেচ্ছা।

২৩ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রিয় শান্তির দেবদূত।

৪| ২৩ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া যদিও নিজে চোখে দেখা এই শহর জয়পুরহাট তবুও তোমার লেখায় তার চেহারাটা আরও পরিষ্কার দেখতে পেলাম। আর লেখার কথা কি বলবো? যেন চলৎচিত্র!
আল্লাহ নার্গিসের ভালো করুন।

২৩ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, শায়মা। নার্গিসের ভালো চেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছ,এ জন্য সত্যিই আমার চোখে পানি চলে এসেছে।

ভালো থেক বোন। শুভকামনা রইল।

৫| ২৩ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১

মামুন রশিদ বলেছেন: হৃদয় বিদারক গল্প । মেয়েটার জন্য সত্যিই খারাপ লাগছে ।

২৩ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই মামুন রশিদ, এই গল্পের প্রতিটি অক্ষর সত্য। আজ থেকে তেত্রিশ বছর আগের সেই হতভাগা বোবা মেয়ে নার্গিসের কথা মনে হলে আমি আজও কষ্ট পাই। জানিনা, সে বেঁচে আছে কী না, বেঁচে থাকলেও তার সংসার হয়েছে কী না। জয়পুরহাট থেকে চলে আসার পর অতি অনিবার্য কারণে আমার পক্ষে তার আর কোন খোঁজ খবর নেওয়া সম্ভব হয়নি। নার্গিসের ঘটনার নয় বছর আগে আমার কৈশোর বয়সে এক প্রেমের ঘটনা ঘটেছিল, যা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি (আমার প্রকাশিত আত্মজৈবনিক উপন্যাস স্বপ্ন বাসর-এ ঘটনাটির উল্লেখ আছে।) সেই অসফল প্রেমের কারণেই অন্য কোন নারীর প্রতি আমার আকর্ষণ ছিল না। তা' না হলে ঐ বোবা মেয়ে নার্গিসকেই আমি বিয়ে করতাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ, মামুন ভাই।

৬| ২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:১৬

আদম_ বলেছেন: কমেন্ট কেমনে লেখে ভুইলা গেছি। পরে লেখুমনে। আপাতত প্রিয়তে থাকলো।

২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, আদম। প্রিয়তে যখন রাখছেন, তখন কমেন্ট হইয়াই গেছে। হাঃ হাঃ হাঃ।

৭| ২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৫৫

আম্মানসুরা বলেছেন: গল্পের নায়ক বিয়ে করল না কেন X(

আমরা সবাই আল্লাহ কে দোষ দেই যে সে কেন এত কষ্ট পৃথিবীতে রেখেছে অথচ আমরা যখন গল্পের স্রষ্টা হই তখন কষ্ট দিতেই পছন্দ করি।

চমৎকার গল্প! গল্পে ডুবে গিয়েছিলাম।

২৪ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, আম্মানসুরা। উপরে মামুন রশিদ ভাইয়ের মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন। দয়া করে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।

৮| ২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:০১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো লেখাটা।

আপনার অসুস্থতার খবর পেয়েছিলাম ব্লগে। এখন কেমন আছেন?

২৪ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, তনিমা। এখন আমি ভালো আছি বোন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে আপাততঃ দু'সপ্তাহের বিশ্রামে আছি।

৯| ২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৩০

মিনুল বলেছেন: অসাধারণ....

২৪ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, মিনুল।

১০| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩০

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ওহ!

২৪ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ, ভাই নাভিদ কায়সার।

১১| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: গল্পটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল। মামুন রশিদ ভাইয়ের কমেন্ট এর রিপ্লাই টা দেখে আরও খারাপ লাগছে। শুধু একটা কথাই বলতে চাই - আল্লাহ সব নার্গিসদের ভাল রাখুন।

২৪ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় প্রবাসী পাঠক, একটা খুব সুন্দর কথা বলেছেন। আল্লাহ সব নার্গিসদের ভাল রাখুন। একটি অসহায় বোবা মেয়ের জন্য এর চেয়ে মূল্যবান প্রার্থনা আর কিছু হতে পারেনা।

অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাই প্রবাসী পাঠক।

১২| ২৪ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:৩৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//চলন্ত ট্রেনে অনেকক্ষণ পক্ষাঘাতগ্রস্থ রোগীর মতো আমি বসে রইলাম।//

আমিও বসে রইলাম//
:(

মনে হয় গল্পটি আমি পড়ি নি।



ধন্যবাদ, আবুহেনা ভাই।

২৪ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:১০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পটি অনেক আগের। নভেম্বর/২০১১ মাসে পত্রিকায় প্রকাশের পরে আলো ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।
যাই হোক, বিলম্বে হলেও গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, মইনুল ভাই। শুভেচ্ছা রইল।

১৩| ২৪ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৬

বৃতি বলেছেন: সুন্দর গল্প। বেশ ভাল লাগলো :)

২৪ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, বৃতি। শুভেচ্ছা রইল।

১৪| ২৬ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬

নীল জোসনা বলেছেন: চমৎকার ।
পড়তে গিয়ে গল্পে ডুবে গিয়েছিলাম । শেষে এমন ধাক্কা লাগলো...........

ভালো থাকবেন ।

২৬ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

শুভেচ্ছা রইল নীল জোসনা। ভালো থাকবেন।

১৫| ৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩

মূর্খ বলেছেন: এমন কষ্টে কেন.।.।.।.।.।.।.।.।.।।

৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তেতো সন্দেশ কষ্টেরই গল্প। আমার জন্যেও, নার্গিসের জন্যেও। পাঠকদের জন্যে তো বটেই।
ধন্যবাদ, মূর্খ।

১৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩১

প্রেমের কাঙ্গাল বলেছেন: সত্যি অসাধারন! প্রিয়তে..

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয়তে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ, প্রেমের কাঙ্গাল।

১৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ওয়াও!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই গল্প তো তোমার আগে পড়ার কথা।

ধন্যবাদ, পলাশ।

১৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: হয়তো পড়েছিলাম চাচাজান।

যাক ভালোই হয়েছে। এখানে হাজার হাজার পাঠক আছে।

আপনাদের সাথে থাকতে হবে।

দোয়া কাম্য।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার 'প্রেম নয়' গল্পের মন্তব্য কলামে তোমাকে বেখেয়ালে ভাই সম্বোধন করার জন্য আমি খুবই দুঃখিত পলাশ। স্ট্রোক ও হার্ট এ্যাটাকের কারণে কনসেন্ট্রেশনটা হয়তো কমে গেছে। কিছু মনে করো না বাবা।

সামুতে আমি গত আট নয় মাস থেকে লেখালেখি করছি। এখানে সবাই খুব সহযোগিতার মনোভাবাপন্ন। সবাই আমাকে খুব সম্মান করে। তুমি অনায়াসে এখানে লেখা লেখি করতে পারো।

১৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:৩০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: চিন্তার কারণে নেই চাচাজান সব ঠিকঠাক আছে।

আগের মত এখন আর সময় দিতে পারব না। আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগছে। হয়তো মাঝেমাঝে আসব। ব্লগে লেখার শখ সেই কবে মিটেছে।

পাঠক ভালো কিছু পাঠ করতে চায়। আপনার লেখা ভালো বিষয় থাকে। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.