নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রসরচনাঃ এক্সকিউজ মি!

১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১

ডাক্তার ও পুলিশের মধ্যে কিছু চমকপ্রদ মিল আছে। এই দুই পেশার মানুষ সাধারণতঃ তাদের ক্লায়েন্টের সামনে হাসে না। মুখ গম্ভীর করে রাখে। এরা তাদের ক্লায়েন্টদের সাথে রহস্য করতে ভালোবাসে। যেমন ধরুন, আপনি কোন মামলার আসামী হয়েছেন। পুলিশ আপনাকে গ্রেপ্তার করতে এসেছে। আপনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ব্যাপার ভাই,আপনারা

আমার বাড়িতে কেন?’ পুলিশ মুখ গম্ভীর করে বলবে, ‘থানায় গেলেই জানতে পারবেন।’ বলার সময় পুলিশের চোখে মুখে একটা রহস্য রহস্য ভাব থাকবে, যা দেখে আপনি ভীত বা বিভ্রান্ত হবেন। বাস্তবে আপনি কখনো আসামী না হয়ে থাকলে আমার কথার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য স্বেচ্ছায় আসামী হয়ে পুলিশকে বাসায় আমন্ত্রন করার দরকার নেই। বাংলাদেশের সিনেমা বা নাটক দেখলেই চলবে।



ঠিক একইভাবে পেশাব, পায়খানা ও রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট ডাক্তারের সামনে হাজির করার পর ডাক্তার সাহেব যখন আপনার প্রেসক্রিপশন লিখছেন তখন আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন যে, ‘আমার কী হয়েছে ডাক্তার সাহেব?’, তাহলে তিনি গম্ভীর মুখে বলবেন, ‘আপনার এত কিছু জানার দরকার নাই। ওষুধ দিলাম, ঠিকমতো খাবেন। ঠিক আছে?’

অবশ্য পুলিশ ও ডাক্তারদের মধ্যে সবাই এমন গম্ভীর ও রহস্যপ্রিয় নন, কিছু ব্যতিক্রম আছে। যেমন, আমার এক আত্মীয় পুলিশ ইন্সপেক্টর তার অধীনস্থ এস,আই ও কনস্টেবলদের প্রায়ই নানারকম ধাঁধা বলে উত্তর জানতে চান এবং তারা উত্তর দিতে না পারলে নিজে উত্তর বলে দিয়ে হা হা করে হেসে লুটোপুটি খান। আবার আমাদের শহরে একজন মেডিসিনের ডাক্তারকে দেখেছি রোগীদেরকে জোক বলতে। জোক শুনে রোগযন্ত্রণায় কাতর রোগীদের মুখে হাসি না ফুটলেও ডাক্তার সাহেব নিজে হো হো করে হেসে সেটা পুষিয়ে দেন। তো এগুলো হলো ব্যতিক্রম।



এই দুই পেশার মানুষের মধ্যে আরও যেসব মিল পাওয়া যায়, সেগুলো এরকমঃ

* পুলিশের হাতের লেখা কোর্টের পেশকার ও উকিল মুহুরী ছাড়া অন্যেরা বুঝতে পারেনা। ডাক্তারের হাতের লেখা ওষুধের দোকানদার ছাড়া কেউ বোঝে না (কিছু ব্যতিক্রম বাদে)।

* এই দুই পেশার লোকের কাছে ফ্রি সার্ভিস বলে কিছু নেই (কিছু ব্যতিক্রম বাদে)।

* এই দুই পেশার লোকেরই বদ্ধমূল ধারণা যে, তাদের সামনে যে লোকটি বসে বা দাঁড়িয়ে আছে তার অবশ্যই কোন না কোন সমস্যা আছে (এ ক্ষেত্রে কোন ব্যতিক্রম নেই)।

* এই দুই পেশার লোকই তাদের ক্লায়েন্টদের সাথে রসিকতা করা পছন্দ করে না (এ ক্ষেত্রেও কোন ব্যতিক্রম নেই)।



কিছুদিন আগে একটা কাজে আমি থানায় গিয়েছিলাম। থানায় ঢোকার মুখে দেখলাম, দু’জন মহিলা পুলিশ সেখানে দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করছে। আমাকে দেখেই তারা হাসি থামিয়ে মুখ গম্ভীর করে ফেললো এবং এমনভাবে আমার দিকে তাকালো যেন আমি এইমাত্র স্ত্রীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করতে এসেছি। আমি রিটায়ার করা বুড়ো মানুষ। এই বয়সে পুলিশ দেখলে ভয় ডর বেড়ে যায়। তাই হাসি হাসি মুখ করে বললাম, ‘মায়েরা ভালো আছেন?’

মায়েরা আমার গতিরোধ করে গম্ভীর কণ্ঠে বললো, ‘কে আপনি? এখানে কী চাই?’

আমি থতমত খেয়ে বললাম, ‘কিছু চাই না। ওসি সাহেবের সাথে দেখা করতে এসেছি।’

এক মা ধমক দিয়ে বললো, ‘ওসি সাহেবের কাছে কী দরকার?’

আমি বললাম, ‘উনি আমার স্ত্রীর ভাই। একটু পারিবারিক কথা আছে।’

আর এক মা আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত উকুন বাছার মতো পরখ করে দেখে বললো, ‘পাগল নাকি?’

আলসেমীর কারণে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে দাড়ি গোঁফ না ছাঁটায় আমাকে পাগলের মতো দেখাচ্ছিল কী না কে জানে! চেহারায় হয়তো খানিকটা ওরকম ভাব ছিল। না হলে মহিলা পুলিশের কাছে সুস্থ মানুষকে পাগল মনে হবে কেন?



এ তো গেল পুলিশের কথা। এবার একটু ডাক্তারের কথা শুনুন। চার বছর আগে আমার একটা মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছিল। তারপর থেকেই শরীরের নাট বল্টুগুলো মাঝে মাঝে ঢিলে হয়ে যায়। ফলে প্রায়ই আমাকে ডাক্তারের কাছে ছুটতে হয়। কিন্তু বার বার গিয়েও তাদের সাথে আমার সখ্যতা হয় না।

গত কিছুদিন থেকে বাঁ চোখে একটু ঝাপসা দেখছিলাম। চোখ দেখাবো দেখাবো করে একটু দেরিই হয়ে গেল। চোখের ডাক্তার ইয়ং ম্যান। সম্ভবতঃ চল্লিশ পার হননি। চেহারায় রাগী রাগী ভাব। বললেন, ‘কী হয়েছে?’

আমি বললাম, ‘কী জানি, হয়তো ছানি।’ আমার অজান্তেই উত্তরটা সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমার সংলাপের মতো হয়ে গেল। ডাক্তার সাহেব স্থির দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। তারপর গম্ভীর মুখে নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এবং ব্লাড প্রেশার মেপে বললেন, ‘রেটিনোপ্যাথী।’

আমি বললাম, ‘রেটিনোপ্যাথী? আমি তো এ্যালোপ্যাথী হোমিওপ্যাথীর নাম শুনেছি। রেটিনোপ্যাথীর নাম তো কখনো শুনিনি!’

ডাক্তার সাহেব গম্ভীর মুখে বললেন, ‘আপনি কী আমার সাথে রসিকতা করছেন?’

আমি জিবে কামড় দিয়ে বললাম, ‘ছিঃ ছিঃ, রসিকতা করবো কেন?’

‘শুনুন।’ ডাক্তার সাহেব ভয়ানক গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘রেটিনোপ্যাথী কোন চিকিৎসা পদ্ধতি নয়। এটা আপনার রোগের নাম। হাই ব্লাড প্রেশারের কারণে আপনার বাঁ চোখে রক্তক্ষরণ হয়ে ঝাপসা দেখছেন।’

‘আমার প্রেশার কত?’

‘দুশো কুড়ি বাই একশো। এত হাই প্রেশার নিয়ে রোগীরা সাধারণতঃ রেগে থাকে। আর আপনি আমার সাথে রসিকতা করছেন? আজব লোক তো আপনি!’

আমি মাথা চুলকে বললাম, ‘এক্সকিউজ মি! বুঝতে পারিনি।’

আমার ওপর রাগ করেই কী না কে জানে, ডাক্তার সাহেব কোন চিকিৎসাই দিলেন না। পরীক্ষা নিরীক্ষার ফলাফল লিখে প্যাডের একটা পাতা ছিঁড়ে তিনি আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, ‘তাড়াতাড়ি একজন মেডিসিন বা কার্ডিয়াক ফিজিশিয়ানকে দেখিয়ে আগে ব্লাড প্রেশার কন্ট্রোলে আনুন। তারপর রেটিনোপ্যাথী চিকিৎসার জন্য ঢাকার ফার্মগেটে ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে যাবেন। রাজশাহীতে এ রোগের চিকিৎসা নাই।’



দেখুন, কী হ্যাপা হলো! তাই বলছিলাম কী, ভুলেও কখনো পুলিশ ও ডাক্তারের সাথে রসিকতা করবেন না। আপনাদের সতর্ক করার জন্য দেড়খানা চোখে কষ্ট করে লিখলাম। ভুলে যাবেন না কিন্তু।



[ এই রসরচনাটি মাসিক উত্তরবার্তা পত্রিকার ডিসেম্বর/২০১১ সংখ্যায় প্রকাশিত। ]

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: মজা পাই নাই , বেটার লাক নেক্সট টাইম

১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, মুদদাকির। আশা করি, আগামীতে মজা পাবেন।

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০০

নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: ভাই, বলা মনে হয় ঠিক হবে না।লেভা পড়ে যা বুঝলাম, তাতে আপনি আমার বাবার বয়সের চেয়েও বেশি হবেন। সেই হিসেবে দাদা বলা যায়. ,
দাদা জান, আপনি কি জানেন, আপনার মধ্যে অসম্ভব রকমের একটা ভাল মানুষি লুকিয়ে আছে!!

আর লেখাটও বেসম্ভব টাইপ ভালো হইছে!!!!

১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই বলা ঠিক হবে না কেন? দাদা তো ভাইই। তাই না?
ঠিকই ধরেছেন। আমার বর্তমান বয়স ষাট বছর। লেখাটি ভালো লাগায় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭

দাকুড়াল বলেছেন: ভালো লাগলো

১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই দাকুড়াল।

৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩১

বদিউজ্জামান মিলন বলেছেন: রস রচনা হিসেবে পাশ মার্ক। গো এহেড।

১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: যাক, পাশ করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। ধন্যবাদ, ভাই বদিউজ্জামান মিলন।

৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার সতর্ক বার্তা অক্ষরে অক্ষরে মানিয়া চলিব । অবশ্য এর ব্যতিক্রম করার মত বুকের পাটা অন্তত আমার নাই ।

১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ।
ধন্যবাদ, ভাই মামুন রশিদ।

৬| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার সতর্ক বার্তা অক্ষরে অক্ষরে মানিয়া চলিব । অবশ্য এর ব্যতিক্রম করার মত বুকের পাটা অন্তত আমার নাই ।

হা হা হা । মামুন ভাইয়ার কমেন্টে সুপার প্লাস।


আমিও মেনে চলার চেষ্টা করব।

১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই প্রবাসী পাঠক।

৭| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:০৯

জাফরুল মবীন বলেছেন: ডঃআব্দুস সালাম দুই প্রকার শক্তিকে অভিন্ন প্রমাণ করিয়া নোবেল প্রাইজ পাইয়াছিলেন।উনার পর আর কেহ এ পথ মাড়াই নাই।কিন্তু আমার ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করিয়া আপনি একখানা সেইরম ত্বত্ত্ব উপস্থাপন করিলেন।কিন্তু আমি নিশ্চিত আপনি নোবেল প্রাইজ পাইবেন না।কারণ নোবেল জীবনের মূল্য বুঝিতেন।নিজ ভ্রাতা তাহারই ল্যাবে ডিনামাইটের উপাদান নাইট্রোগ্লিসারিনজনিত দূর্ঘটনায় নিহত হউন।তাহার শোকে শোকাতুর হইয়াই নোবেল ডিনামাইট আবিষ্কার করিয়াছিলেন।আপনি নিজ জীবনের গুরুত্ব অনুধাবনে বিচক্ষণতার পরিচয় দেন নাই।আপনি কেমনে এই গবেষণা পত্রটি সামুতে উপস্থাপন করিলেন যেখানে ডাক্তার সম্প্রদায়ের সরব উপস্থিতি রহিয়াছে।ত্বত্ত্বানুসারে যাহাদের কারণে আজ আপনি দেড় ব্যাটারী হইয়া দিনাতিপাত করিতেছেন তাহাদের সাথে আবারও রসিকতা!আপনার ত্বত্ত্বের সত্যতা প্রমাণ করিয়াছেন প্রথম মন্তব্যকারী ডাঃমুদদাকির :P ।আপনি ইতোমধ্যে অর্ধেক চোখ হারাইয়া দেড় ব্যাটারী হইয়াছেন।আমি আতঙ্কিত অচিরেই না আপনি আরও অর্ধেক হারাইয়া হেনা ভাই হইতে কানা ভাই না হইয়া যান ;)

ইহা একটি রস মন্তব্য।আশা করি সংলিষ্ট ব্যক্তিগণ উহার মিষ্টতাটুকুই কেবল গ্রহণ করিবেন।

১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই জাফরুল মবীন। প্রয়াত লেখক হুমায়ুন আহমেদ তার জনপ্রিয়তার কারণে পাঠকদের কাছে খুবই স্পর্শকাতর ছিলেন, এটা সবাই জানেন। বিটিভিতে প্রচারিত তাঁর বহুব্রীহি নাটকে একজন বোকা ও সরল প্রকৃতির ডাক্তারের চরিত্র অংকন করে এমন বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন। ডাক্তাররা তাঁর বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। জবাবে হুমায়ূন আহমেদ প্রথম দিকে নিশ্চুপ থাকলেও পরে পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, বর্ণিত চরিত্রটি অন্য যে কোন পেশার লোকের হতে পারতো। তাহলে সেই পেশার লোকেরা কী এভাবে তেড়ে আসবেন? গল্পে বোকা চালাক, সৎ অসৎ, ভালো মন্দ সব ধরণের চরিত্র থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তাদের পেশাগত পরিচয়ও থাকবে। কিন্তু তাই বলে একজনের ক্রিয়া কর্মের জন্য ঐ পেশার সকল সদস্য স্বেচ্ছায় দায় নিয়ে অবুঝের মতো ক্ষোভ প্রকাশ করলে তারা যে সাহিত্য কর্ম বিষয়ে অজ্ঞ, তা' বলার অপেক্ষা রাখে না।
সাধারণ ভাবে বলা হয়, আজকালকার ডাক্তাররা টাকা ছাড়া কিছু বোঝেন না। এটি পুরোপুরি ভুল কথা। অনেক স্বার্থত্যাগী ভালো ডাক্তার আমি নিজেই দেখেছি। তাই এই রসরচনার মধ্যে ডাক্তার বা পুলিশ সম্পর্কে যা বলা হয়েছে, তা' কোনভাবেই ঐ দুই পেশার লোকেদের পুরো সম্প্রদায়ের জন্য প্রযোজ্য নয়। লেখাটির মধ্যেই ব্যতিক্রমের কথা বলা হয়েছে। তদুপরি, এটি নির্ভেজাল রসরচনা, যেখানে রসরচনার লেখককে নিয়েও রসিকতা করা হয়েছে। তাহলে কী আমি নিজেই আমার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবো? লেখাটিকে রসরচনার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখলে আর কোন সমস্যা থাকার কথা নয়। আর মবীন ভাই, একটা বিষয় হয়তো আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে। লেখার শেষে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, "এই রসরচনাটি মাসিক উত্তরবার্তা পত্রিকার ডিসেম্বর/২০১১ সংখ্যায় প্রকাশিত।' অর্থাৎ, এটি আড়াই বছরের বেশি সময় আগে লেখা। এতদিনে সহৃদয় ডাক্তার সম্প্রদায়ের চেষ্টায় লেখকের দেড় ব্যাটারি চোখ দুই ব্যাটারিতে ফিরে এসেছে। সুতরাং লেখক বর্তমানে দেড় ব্যাটারি হইয়া দিনাতিপাত করিতেছেন না।
এই প্রতিমন্তব্যটিকে রসমন্তব্য হিসাবে গ্রহন করার অনুরোধ রইল। ধন্যবাদ।

৮| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: দুশো কুড়ি বাই একশো প্রেসার! শুনেই তো আমার প্রেসার ফল করতেছে :|

১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ২০১১ সালে যখন আমি চোখের ডাক্তারের কাছে যাই, তখন সত্যিই আমার প্রেশার ২২০/১০০ ছিল। পরে একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করার পর প্রেশার স্বাভাবিক হয়। পটাশিয়াম ঘাটতির জন্য নাকি এরকম হয়েছিল।
যাই হোক, রসরচনাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ, ভাই হাসান মাহবুব।

৯| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:২৩

শান্তির দেবদূত বলেছেন: বেশ মজা পেলাম, আপনার রসবোধ আসলেই অনেক তীক্ষ্ণ। সেই সাথে প্রকাশের ভঙ্গিটাও সাবলিল ও রসাত্মক; সবমিলিয়ে রসে টইটম্বুএ পোষ্ট। বত্রিশদন্তবিকোশিত হাসি নিয়ে কমেন্ট করছি। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল। এমন লেখা আরও চাই।

১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, শান্তির দেবদূত।

"এমন লেখা আরও চাই'। এমন লেখা কেউ কেউ আর চায় না ভাই। হাঃ হাঃ হাঃ।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১০| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩

অতৃপ্ত অনুভূতি ! বলেছেন: এখন ভালো আছেন তো?.............।

১৩ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, ভাই। এখন ভালো আছি। ধন্যবাদ, অতৃপ্ত অনুভুতি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.