নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলায় ‘দৃষ্টিবিভ্রম’ বলে একটা শব্দ আছে। ইংরেজিতে যাকে বলে Illusion বা Hallucination. সাধারণত ধু ধু মরুভূমি বা কূলকিনারাহীন বিস্তীর্ণ সমুদ্রে মানুষের দৃষ্টিবিভ্রম হয়। যার এই সমস্যা হয়, সে কিন্তু বুঝতে পারেনা। মনে করে সে যা দেখছে, তা’ সত্যি। কাছাকাছি যাওয়ার পর তার ভুল ভাঙ্গে। এই কারণে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি না থাকলে মরুভূমি ও সাগরে পথ হারিয়ে ফেলা খুবই স্বাভাবিক।
কিন্তু শহরের রাস্তাঘাটে, বাড়িঘরে বা দোকানপাটে এ ধরণের দৃষ্টিবিভ্রম ঘটা অস্বাভাবিক। তারপরেও কখনো কখনো আমাদের অনেকের ক্ষেত্রে এমনটি হয়। যেমন মজিবর ভাইয়ের কথাই ধরুন। তিনি বয়সে আমার চেয়ে সাত আট বছরের বড়। আমার বড়ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি, দৃষ্টিবিভ্রম মজিবর ভাইয়ের আজন্ম সমস্যা। তিনি যে চোখে কম দেখেন, তা’ নয়। ভালো করে লক্ষ্য করেন না বলে প্রায়ই তিনি ভুল দেখেন। আমার বড়ভাইয়ের মতো দেখতে কোন লোক হয়তো রেস্টুরেন্টে বসে চা খাচ্ছে। মজিবর ভাই রেস্টুরেন্টের সামনে দিয়ে যাবার সময় তাঁকে দেখে ফেললেন। ব্যস্, পা টিপে টিপে রেস্টুরেন্টে ঢুকে পেছন থেকে লোকটির পিঠে এক রাম থাবড়া মেরে তিনি চিৎকার করে বলে উঠলেন, ‘আবে শহীদ, একা একা চা খেতে ভালোই লাগছে, না?’
তারপর লোকটির সামনের চেয়ারে বসে মজিবর ভাই তার মুখের দিকে তাকিয়ে থতমত খেয়ে গেলেন। লোকটি যে তাঁর বাল্যবন্ধু শহীদ নয় সেটা বুঝতে পেরে তিনি কাঁচুমাচু মুখে চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়লেন এবং কোনমতে ‘ভাই, কিছু মনে করবেন না’ বলে তড়িৎ গতিতে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে হাওয়া হয়ে গেলেন।
বাজারের চিপা গলির ভেতর ভাতিজা আলমকে একদিন সিগারেট খেতে দেখে মজিবর ভাই পেছন থেকে তার কান ধরে টান দিতে গিয়ে আর একটু হলেই অপদস্থ হচ্ছিলেন আর কী! শেষ মুহূর্তে ছেলেটি মুখ ফেরানোয় তিনি বেঁচে যান। মজিবর ভাইয়ের এই সমস্যার কারণে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরাও বিড়ম্বনায় পড়ে। বিয়েবাড়িতে হৈ চৈ ভিড়ভাট্টার মধ্যে মজিবর ভাই তাঁর স্ত্রীর ঘাড়ে হাত দিয়ে হয়তো বিয়েবাড়ির আলোকসজ্জার দিকে স্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। দেখা গেল, যার ঘাড়ে তিনি পেছন থেকে হাত রেখেছেন তিনি তাঁর স্ত্রী নন। তাঁর স্ত্রী হয়তো তাঁর নিজের পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন। এসব ক্ষেত্রে যা হয়! অচেনা ভদ্রমহিলার হাতে ঠাস্ করে একটা চড় খেয়ে তিনি একশো আশি ডিগ্রী এ্যাঙ্গেলে ঘুরে গিয়ে নিজের স্ত্রীর মুখোমুখি হন। তারপর অচেনা ভদ্রমহিলার কণ্ঠে ভয়াবহ গালি গালাজ, ‘অসভ্য, ইতর, ছোটলোক, শয়তান! রবির আব্বা, এদিকে এসো তো। এই বদমাশ লোকটা আমার গায়ে..................।’ মজিবর ভাই তাঁর স্ত্রীর হাত ধরে পড়িমরি করে ভিড়ের মধ্যে পালিয়ে বাঁচেন।
ছোট মেয়েটি কলেজে পড়ে। উঠতি বয়স। প্রেম ভালোবাসা করবে এটাই স্বাভাবিক। মজিবর ভাই বাড়িতে তাঁর এই মেয়েটির উদ্দেশ্যে ভীষণ তর্জন গর্জন করছেন। কালো মতো বখাটে একটা ছেলের সাথে মেয়েকে দেখা গেছে। ঐ ছেলেকে মজিবর ভাই ভালো করেই চেনেন। মুরুব্বীদের সামনে সে ভুস ভুস করে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ে। আদব লেহাজ বলে কিছু নেই। এমন বাজে একটা ছেলের সাথে তাঁর মেয়ে............? ভাবা যায় না। ভাবতে গেলে মজিবর ভাইয়ের কান গরম হয়ে যায়।
মেয়ের মা বললেন, ‘তুমি কখন দেখলে?’
‘এই তো ঘণ্টাখানেক আগে। বাজার থেকে ফেরার সময়।’
‘ঝর্ণা তো সকাল থেকে বাড়িতেই আছে। তাকে তুমি বাইরে দেখলে কীভাবে?’
‘কেন, সে আজ কলেজে যায়নি?’
‘কলেজ আজ বন্ধ।’ ঘর থেকে বেরিয়ে ঝর্ণা তার বাবার সামনে দাঁড়িয়ে ডুকরে কেঁদে ফেললো। বললো, ‘শবে মেরাজের ছুটি।’
‘ওহ্ হো! তাহলে বোধ হয় অন্য কেউ হবে।’ ভুল দেখাটা খুবই স্বাভাবিক। তাই মজিবর ভাই নির্বিকার চিত্তে মা ও মেয়ের সামনে থেকে সরে গেলেন।
ছেলে অর্ণবকে সিনেমা হলের সামনে দেখা গেছে। বাড়িতে টেলিভিশনে এত সিনেমা দেখেও ছেলের মন ভরছে না। রিক্সাওয়ালা কুলি কামিনদের সাথে হলে বসে সিনেমা দেখতে হবে কেন? অর্ণব এক ঘণ্টা ধরে ধ্বস্তাধস্তি করেও তার বাবাকে বোঝাতে পারছে না যে, সে হলে সিনেমা দেখতে যায়নি। এই জেনারেশনের ছেলেমেয়েরা হলে সিনেমা দেখতে যায় না। সিডি, ডিভিডি, পেন ড্রাইভ, ইন্টারনেট এসব থাকতে ছারপোকার কামড় খেতে কেউ হলে যায়? কিন্তু মজিবর ভাই ছেলের সাফাই শুনে সন্তুষ্ট নন। তিনি ছেলের মাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘সিনেমার কী জঘন্য নাম! পীরিতি কারে কয়! নাম শুনলেই বমি আসে। কেন বাবা, বাড়িতে বসে ইটিভি জিটিভিতে উত্তম সুচিত্রার সিনেমা দেখা যায় না?’
মজিবর ভাই উত্তম সুচিত্রার খুব ভক্ত। আমার বড়ভাই মারা যাবার পর একদিন তিনি আমাকে বললেন, ‘একজন উত্তমকুমার চলে গেল রে! তোর বড়ভাই দেখতে অবিকল উত্তমকুমারের মতো ছিল।’
আমি বললাম, ‘ভাই, আমার মনে হয় এ জন্যেই আপনার মানুষ চিনতে ভুল হয়। আমার বড়ভাই দেখতে সুশ্রী ছিলেন সেটা ঠিক। কিন্তু উত্তমকুমারের মতো না।’
মজিবর ভাই আমার সাথে তুমুল তর্ক জুড়ে দিলেন। বললেন,‘তুই শহীদের ভাই হতে পারিস। কিন্তু আমার চেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠভাবে তাকে দেখিস নি। আমি শহীদের ছোটবেলার বন্ধু। আমার চেয়ে তুই বেশি জানিস?’
আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললাম, ‘জি না।’
‘তাহলে চুপ করে থাক।’
পঁয়ষট্টি বছর বয়সে স্ট্রোক করার পর মানুষকে চিনতে ভুল করার এই সমস্যা আরও প্রকট হলো মজিবর ভাইয়ের। ছেলে মেয়ে কাউকেই আর চিনতে পারতেন না। আত্মীয়স্বজন হাসপাতালে তাঁকে দেখতে গেলে তিনি শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতেন। তারপর একদিন তিনি চলে গেলেন তাঁর ছোটবেলার বন্ধু একজন উত্তমকুমারের কাছে। তাঁর দৃষ্টিবিভ্রমের জন্য এখন আর কেউ বিব্রত হয়না। তিনিও যাকে তাকে দেখে সোল্লাসে 'কী রে কেমন আছিস' বলে ভুল করার পর আর বিব্রত হয়ে কেটে পড়েন না।
( সত্য ঘটনা অবলম্বনে)
**************************************************************************************************************************
রি-পোস্ট
ছবিঃ নেট
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ হাসু মামা।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: হেনা ভাই আমার চেহারাও কিন্তু উত্তম কুমারের মত।তয় এই কথা আর কাওরে কইয়েন না।
শেষে এসে মজিবর ভাইয়ের জন্য মন খারাপ হল।সবাই একদিন আমরা পরপারের যাত্রী।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হেনা ভাই আমার চেহারাও কিন্তু উত্তম কুমারের মত।তয় এই কথা আর কাওরে কইয়েন না।
হাঃ হাঃ হাঃ। বুঝছি, আপনার নায়ক হওনের শখ নাই।
ধন্যবাদ ভাই মোস্তফা সোহেল। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬
ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ভালই লাগল কাহিনী।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ব্লগ মাস্টার।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯
চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: শুভকামনা রইল। ভাল লাগল লেখা।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই চিন্তিত নিরন্তর।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভালই লিখেছেন। ধন্যবাদ। ভাল থাকুন। সুখে থাকুন।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মাইদুল সরকার।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২০
বিষাদ সময় বলেছেন: গল্পটি পড়ে আসলে কষ্ট পেলাম।
জীবনের রঙ্গমঞ্চে নানা অভিনয় শেষে মানুষ এগিয়ে যায় অনিবার্য পরিণতির দিকে।
ভাল থাকুন সব সময় সেই কামনা।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জীবনের রঙ্গমঞ্চে নানা অভিনয় শেষে মানুষ এগিয়ে যায় অনিবার্য পরিণতির দিকে।
সঠিক উপলব্ধি। ধন্যবাদ ভাই বিষাদ সময়। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অচেনা ভদ্রমহিলার হাতে ঠাস্ করে একটা চড় খেয়ে তিনি একশো আশি ডিগ্রী এ্যাঙ্গেলে ঘুরে গিয়ে নিজের স্ত্রীর মুখোমুখি হন। অসাধারণ প্রকাশ। খুব সুন্দরভাবে বড়োভাইয়ের চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন।
কিন্তু শেষ প্যারায় এসে মনটা ভারী হয়ে গেলো। এটা না থাকলেই বরং মনে একটা হাস্যরস নিয়ে পোস্ট থেকে চলে যেতে পারতাম।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই স্মৃতিচারণটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে দুই বন্ধুর মধ্যেকার এক আত্মিক সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়। হিউমারের অন্তরালে এই আত্মিক সম্পর্কের কথাই আমি বলতে চেয়েছি, যাদের একজনের মৃত্যুর পরেও আরেক জন তাকে ভুলতে পারেননি।
ধন্যবাদ ভাই সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: উত্তম সূচিত্রা বোধ এই উপমহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটি। উত্তম কুমারের অভিনিত বেশ কয়েকটি মুভি অনেক ছোট বেলায় দেখেছি তখন ভিসি আর ভাড়া করে সপরিবারে মুভি দেখার প্রচলন ছিলো । অনকেই উত্তম কুমার স্টাইল অনুকরণের চেষ্টা করতেন। এটা আমাদের আগের প্রজন্ম ভালই চালিয়েছেন । মুজিভর ভাইয়ের স্মৃতি চারন ভাল লেগেছে । যদিও এর শেষে বেদনা নিহিত আছে ।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সেলিম আনোয়ার।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
কোন মহিলার কাঁধে হাত রাখলে চড় মেরে দিবে?
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমাদের সামাজিক কালচারে এখনো এটাকে খারাপ কাজ বলেই মনে করা হয়। অবশ্য সব মহিলাই এমনটি করেন না। তবে বিব্রত তো অবশ্যই হন।
ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০
সোহানী বলেছেন: অনেক ভালো লাগল স্মৃতিচারণ।...
দেশে সিনেমা হলে ছাড়পোকার কামড় খেতে হয় জানা ছিল না......................
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ১ নং মন্তব্যের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ধন্যবাদ বোন সোহানী। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,
লেখার গায়ে গতরে যতোই রস থাকুক শেষের অংকে তা বিষাদ সিন্ধুতে গিয়ে মিলেছে ।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ৭ নং মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
১২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পড়ে মজা পেলাম। মজিবর ভাইএর জান্নাতবাস কামনা করছি।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
১৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: জনাব আবু হেনা ভাই, মজিবর ভাই লোকটি অনেক ভাল মানুষ ছিলেন আল্লাহ ওনাকে জান্নাত দান করুণ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জী ভাই, আমার দেখা ও জানামতে মজিবর ভাই সত্যিই একজন সাদা মনের মানুষ ছিলেন।
ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান সুজন। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
১৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ঘটনাবহুল মজিবর ভাইয়ের জন্য শুভকামনা রইল। অনেক মজা করেই পড়েছি হেসে, প্রতিটি ঘটনাই মজা করে লিখেছেন।
সবকিছু সঠিকভাবে দেখা জানাও একপ্রকার অভ্যাস।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
১৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মজার এমন স্মৃতিচারণ
হেনা ভাইকে দিয়েই সম্ভব।
আপনার কিশোর বেলার প্রেম কাহিনী
আজও মনে পড়ে। বেচারী খুব ভালোবাসতো আপনাকে।
কেমন আছেন তিনি এখন?
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি আলেয়ার কথা বলছেন তো! তার সাথে আমার দীর্ঘদিন কোন যোগাযোগ নাই ভাই। আর আমি নিজেও তার সাথে ইচ্ছা করে যোগাযোগ রাখি না। কারণ সে অন্যের স্ত্রী। যতদূর জানি। তার ছেলে মেয়ে এবং নাতি নাতনিও আছে। এই অবস্থায় তার সংসারে কোন অশান্তি হোক বা আলেয়া কোন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ুক, এটা আমি চাই না। তা' ছাড়া আমি নিজেও অন্যের স্বামী। আমারও সন্তান আছে। সব দিক বিবেচনায় আলেয়ার সাথে আমার যোগাযোগ একেবারেই রাখিনি। আমার মনের ভেতরে যতই কষ্ট হোক, আমি তার থেকে দূরেই থাকতে চাই।
ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই।
১৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪০
ওমেরা বলেছেন: খুব মজা লাগল দাদু ভাইয়া শেষে এসে কষ্ট পেলাম । আল্লাহ উনার দোষ গুলো ক্ষমা করুন ও জান্নাত নসীব করুন । আমীন
ধন্যবাদ দাদুভাইয়া ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ওমেরা বুবু।
ভালো থেকো। শুভকামনা রইল।
১৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৩৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনি পোষ্ট দিলেন আমি ৪ দিন পর দেখলাম ক্যান, এই জবাবটা আগে দেন
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আরে ভাই, রি-পোস্টের আবার কী দেখবেন? এই লেখা তো আপনার আগেই পড়া আছে। যারা পড়েননি, তাদের জন্য পোস্ট দেওয়া।
১৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: প্রথম দিকটায় বেশ ফানি হলেও শেষের দিকটায় মনটা বিষন্নতায় ভরে গেল.......চমৎকার লেখনির জন্য স্যালুট
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: স্যালুট দিচ্ছেন, ব্যাপার কী? আর্মিতে নাম লিখিয়েছেন নাকি?
১৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আহ! সন্ধ্যেবেলা এমন উপহার! ধন্যবাদ কামাল ভাই।
২০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেনাভাই, আপনাকে একটি মেইল করেছি, দেখে নিয়েন প্লিজ!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।
২১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪১
আরিফ রুবেল বলেছেন: মজিবর ভাইয়ের মত মানুষেরা সহজ সরল হয়। যদিও তাদের কর্মকাণ্ড আমাদের হাসির কারণ হয় কিন্তু তাদের মধ্যে শয়তানী থাকে না। এমন মানুষগুলোর যেন বেহেশত নসিব হয়।
পোস্ট পড়ে ভালো লাগল।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মজিবর ভাইয়ের মত মানুষেরা সহজ সরল হয়। যদিও তাদের কর্মকাণ্ড আমাদের হাসির কারণ হয় কিন্তু তাদের মধ্যে শয়তানী থাকে না
একেবারে সত্য কথা। ধন্যবাদ ভাই আরিফ রুবেল। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।
২২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৬
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: অাসসালামুঅালাইকুম মহাদয়।
কেমন অাছেন?
পোষ্টে ভালোলাগা রেখেগেলাম।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওয়ালাইকুম আস সালাম। আমি ভালো আছি ভাই।
আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
২৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৯
কাছের-মানুষ বলেছেন: অফলাইনে পড়েছিলাম আগেই।
ভালা লাগা রইল ভাই।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কাছের-মানুষ।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
২৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮
আমির ইশতিয়াক বলেছেন:
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আমির ইশতিয়াক।
২৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আমাকে [email protected] এইখানে একটা মেইল করবে প্লিজ! আমার একটু জরুরী কথা ছিলো।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভালো লাগল স্মৃতিচারণ।
সিডি, ডিভিডি, পেন ড্রাইভ, ইন্টারনেট এসব থাকতে ছারপোকার কামড় খেতে কেউ হলে যায়?
জব্বর একখান সত্য কথা কইছে ভাই। আহারে গুলশান একের জতি সিনেমা হলে কতযে ছাড়পোকার কামরানি খাইছি।