নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনি স্টুডেন্ট?
জ্বী। আমি স্টুডেন্ট।
আপনাকে দেখে তো কোন দিক থেকে স্টুডেন্ট মনে হয় না। কোন ইনস্টিটিউশনের স্টুডেন্ট আপনি?
বললাম, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অফ মিসটেকস। "বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র। নানান ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবারাত্র।"
ভ্রু কুঁচকে উনি কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে, কবিতাটা কার লিখা কবির নাম কি জানেন?
যেভাবে প্রবল সন্দেহের সাথে আমার দিকে তাকালো। হাবভাবে বুঝলাম এবার এদের খপ্পোর থেকে নিস্তারের উপায় নেই। আচ্ছা কবিতাটা কার লেখা? ভালোই ঝামেলায় পড়া গেল দেখছি। হঠাৎ করে মাথা থেকে কবির নাম উধাও হয়ে গেছে।
ঊম... জ্বি। সুনির্মল বসুর লিখা৷ আপনি চাইলে পুরোটা শুনাতে পারি। (আসলে আমি পুরো কবিতাটা জানি না। ভালো লাগা কবিতাগুলোর থেকে দু চারটা লাইন মনে রেখে দেই। সুযোগ পেলে মাঝে মধ্যে ব্যবহার করি। এখন এমন অবস্থায় মনে হচ্ছে না যে তারা পুরো কবিতা শুনতে ইচ্ছুক।)
আপনার আইডি কার্ড দিন।
ওয়ালেট থেকে ভোটার আইডি কার্ড বের করে দিলাম। অফিসার আইডি কার্ড দেখে কুঁচকে যাওয়া বাসি কমলালেবুর মত মুখ করে বললেন, ভোটার আইডি কার্ড চাইনি আপনার ক্যাম্পাস আইডি কার্ড দিন।
পৃথিবী আমার বিশ্ববিদ্যালয় হলে বাংলাদেশের ভোটার আইডি কার্ড'ইতো আমার ক্যাম্পাস আইডি হওয়া উচিৎ। কিন্তু এদের সেই কথা এখন বুঝায় কে? কবি হয়তো তার কবিতা লেখার সময় এমন কোন সিচুয়েশনের কথা মাথায় রেখে লেখেননি। কিংবা কে জানে আমারই হয়তো বুঝতে কোথাও কোন ভুল হয়েছে। একটু ছেবলামির খেসারত এখন কিভাবে যে দিতে হয় মাবুদে এলাহী ভালো জানেন।
বললাম, যেটা দিয়েছি সেটাই আমার ক্যাম্পাস আইডি।
গাড়ির সামন সিটে বসে থাকা অফিসার পিছন ঘুরে একজনকে বললেন আমাকে সার্চ করতে। সার্চ করে আমার কাছ থেকে জব্দ করা হলো একটা ফায়ারবক্স দিয়াশলাই, দুইটা মোমবাতি আর এক কটুয়া ইনটেক হাকীমপুরী জর্দ্দা - স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়।
কইছিলাম না স্যার, মালটারে প্রথমে দেইক্ষ্যাই আমার সন্দেহ হইছে। মালটায় ঘাপলা আছে। এ দুষ্কৃতিকারী জর্দ্দার কোটুয়া দিয়া ককটেল বানায়। এই একটারে পাইছি এরে রিমান্ডে নিলে এর গ্যাং-এর বাকি সদস্যদের নামও হুরহুর করে বের করে দিবে।
গ্যাং...! ককটেল...! এরা এগুলা কি কইতেছে? আমার গ্যাং আছে আমি নিজেই জানি না! ককটেল..! একটা ইনটেক জর্দ্দার কটুয়া থেকে কে ককটেল বানায়? গত কয়েক দিন যাবত লোডশেডিং হচ্ছে সে জন্য মোমবাতি নিয়ে যাচ্ছি আর মুরুব্বির জন্য জর্দ্দা। যেখানে আমি নিজেই পান খাই না সেখানে আমি জর্দ্দা দিয়ে কি করব? জর্দ্দা মুরুব্বির অনুরোধে মুরুব্বির জন্য কেনা। কে জানতো মুরুব্বির এই একটা জর্দ্দার কটুয়ার জন্য এই মাঝরাতে আমাকে এমন মুসিবতে পড়তে হবে।
অফিসারকে ব্যাপারটা খুলে বললাম। সবকিছু এক্সপ্লেইন করলাম। অনেক বুঝানোর পর উনি বললেন মুরুব্বীকে ফোন দিতে। ইয়া মাবুদ এ আবার কোন নতুন মুসিবত। ফোনে চার্জ না থাকায় ফোন রেখে বের হয়েছি। মুরুব্বির নাম্বারও এই মুহূর্তে মাথায় নাই। অফিসার হাসিমুখে বললেন, ওনাকে গাড়িতে তুলুন।
আমিও হাসিমুখে গাড়িতে উঠে বসলাম।
কোথায় যাচ্ছি জানিনা।
- জর্দ্দার কটুয়া - A Short Story
- Ajob Linkon
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫১
আজব লিংকন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ স্যার। আপনি লেখাটি পড়েছে এবং আপনার মূল্যবান মন্তব্য দিয়েছেন ইহা আমার জন্য এক বিশাল প্রাপ্তি। আপনার জন্য শুভকামনা।
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৫
কামাল১৮ বলেছেন: পুলিশের বাস্তব চরিত্র।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১১
আজব লিংকন বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল ভাই। সত্য বলেছেন। পুলিশ নিয়ে মূলত লিখিনি। পাঠক যাকে খুশি ভাবতে পারেনা ইহা তাদের উপর। তবে তা আইন রক্ষাকারী সংস্থার কেউ হলেই হয়।
আমি আমার জীবনে অনেক ঘুষখোর পুলিশের সম্মুখীন হয়েছি। অনেক পুলিশকে চুঙ্গি দিয়ে নিজেকে রক্ষা করেছি। এসব পাশ কাটিয়ে আবার এমন কিছু ভালো পুলিশেরও দেখা পেয়েছিলাম যারা পুলিশ নিয়ে আমার সকল ধারণা ভুল প্রমাণ করেছে। কিন্তু তাদের সংখ্যা অতি নগন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১০
শাহ আজিজ বলেছেন: শুভ সকাল । নাস্তা সেরে আপনার লেখাটি আমার দিনের প্রথম পাঠ্যসুচিতে চলে এলো । বাহ বাহ বাহ । দারুন লিখেছেন ।