নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"সেকি অন্য তত্ত্ব মানে, মানুষতত্ত্ব যার সত্য হয় মনে\"

আজব লিংকন

শব্দ দাও অথবা মৃত্যু

আজব লিংকন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমিত্ব বিসর্জন

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম নিয়েছি।
সেখানে সমাজের দেয়া দু-চারটে অপবাদে
কি বা আসে যায় ?

মিথ্যার এই শহর আমার আর ভাল্লাগেনা;
তবুও, এই শহর আমার একান্তই আপন।
এখানে আত্মার রোজ মৃত্যু হয়;
শুধু দেহের মৃত্যু হয় না।
এখানে সত্যের রোজ মৃত্যু হয়;
শুধু জিন্দা-লাশগুলোর দাফন-কাফন হয় না।

ইচ্ছে হয় এই ভিড় থেকে দূরে; অনেক দূরে;
তোমাকে নিয়ে, অনেক দূরে কোথাও হারিয়ে যাই।
যেখানে বেঁচে থাকার মানে,
নিত্যনতুন শো-অফের লড়াই নেই।
যেখানে বেঁচে থাকা মানে,
একে অপরের প্রতি ডুবে থাকা।
যেখানে বেঁচে থাকা মানে,
নিজেদের জন্য বেঁচে থাকা।
যেখানে বেঁচে থাকা মানে, সুখ হাসি কান্না
একসাথে ভাগাভাগি করে- আমাদের দু-বেলার রান্না।

মানবতার নামে মানবতা বেঁচে; মানুষ এখন পণ্য।
অসভ্যতাই এখন সভ্যতা; অসভ্যরাই এখন গণ্য।
অর্থের কাছে জীবনের অর্থ অর্থহীন-
অর্থের কাছে সব তুচ্ছ অতি নগণ্য।

একদিন নেটওয়ার্কের বাইরে হারিয়ে যাব।
অনেক গহীনে; নির্জন দ্বীপ; কোন বনে জঙ্গলে।
যেখানে দূরের মানুষের চেয়ে কাছের মানুষের-
অনেক অনেক অনেক বেশি মূল্য হবে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৫২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কবি সাহেব চালিয়ে যান।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৪

আজব লিংকন বলেছেন: ধন্যবাদ কুতুব ভাই।।

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হ এই মিথ্যের শহরে আর ভাল্লাগে না,
কাজে কর্মে তাল লাগে না...
এখানে মিথ্যের বুকে উড়ে মোহ
বন্ধু মনে করেছে দ্রোহ,
চলো হারিয়ে যাই অন্য কোথাও
এই লোকালয় হতে হই উধাও।

যেখানে শুধু স্বার্থহীন ভালোবাসা রয়
সেখানে গিয়েই বাড়ুক প্রণয়,
যেখানে থাকবে না নেটওয়ার্ক, থাকবে না ভিডিও, রিল
সেখানেই যাই চলো, যেখানে বুকে অনন্ত শান্তি হয় ফিল।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৫

আজব লিংকন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন ছবি আপা। আমরা সবাই কোন না কোন সময় এই কংক্রিটের জঙ্গল থেকে পালিয়ে বাঁচতে চাই কিন্তু কিচ্ছু করার নাই। জন্মেছি এই কংক্রিটের জঙ্গলে বলেই দিন শেষে এই শহর আমাদের একান্তই আপন বলে মনে হয়। যেমন খাঁচায় জন্মানো একটা পাখি ছানাকে দিন-শেষে তার বন্দী খাঁচাটাকেই তার একন্ত আপন নীড় মনে হয়।

হয়তো একদিন এই মায়ার খাঁচা ভেঙ্গে হাফ ছেড়ে বাঁচবো।

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৮

ডার্ক ম্যান বলেছেন: যেখানে বেঁচে থাকা মানে,
একে অপরের প্রতি ডুবে থাকা।
যেখানে বেঁচে থাকা মানে,
নিজেদের জন্য বেঁচে থাকা


অ ট ঃ আপনি কি মিডিয়ার সাথে যুক্ত ?

০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৬

আজব লিংকন বলেছেন: ধন্যবাদ।।
জ্বী না ভাইজান। মিডিয়ার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নাই।।

৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৩

মিরোরডডল বলেছেন:





একদিন নেটওয়ার্কের বাইরে হারিয়ে যাব।
অনেক গহীনে; নির্জন দ্বীপ; কোন বনে জঙ্গলে।
যেখানে দূরের মানুষের চেয়ে কাছের মানুষের-
অনেক অনেক অনেক বেশি মূল্য হবে।


কাছের মানুষ?
গহীন নির্জন দ্বীপেতো কেউ থাকবে না :)

বরাবরের মতো কবিতা ভালো হয়েছে!

০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২১

আজব লিংকন বলেছেন: হা হা হা ডল। থ্যাংক ইউ।
পুরোটাই ভাবনার খেলা। মনে করেন, নির্জন দ্বীপ কিংবা গহীন জঙ্গলে ক্ষুদ্র একটা গোষ্ঠী বসবাস করে। যেখানে কোন ইন্টারনেটে নেই। পুরো বিশ্ব থেকে তারা আলাদা। তাদের মাঝে গড়ে ওঠা বন্ডিংটা কেমন হবে! একবার চিন্তা করেন।

"We are all just prisoners here of our own device"

৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০০

মায়াস্পর্শ বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো লেখা। আপনি অনেক ভালো লেখেন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩০

আজব লিংকন বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ মায়াস্পর্শ।
যা লিখতে চাই আমি তা লিখতে পারি না। যা লেখার তৃষ্ণায় আমরা কলমের প্রতিটা ঢোক গেলে আমার অবশ অনুভূতি। শব্দ মিলে শব্দার্থ মিলে না। তৃষ্ণা মিটে তবু তৃপ্তি মিটে না।।

৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩২

জুল ভার্ন বলেছেন: আমিত্ব যদি ব্যক্তিত্ব হয় তাহলে বিসর্জন না দেওয়াই উচিত।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩১

আজব লিংকন বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় বড় ভাই। সুন্দর বলেছেন। এভাবে ভেবে দেখিনি ভাবতে হবে।।
আমিত্ব যদি ব্যক্তিত্ব হয়ে অহংকারের জন্ম দেয় তবে কি তা বিসর্জনযোগ্য হবে!!

৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২৩

শায়মা বলেছেন: আমার সবকিছুই ভালো লাগে। :)

ঝামেলার মাঝেও আনন্দ লাগে??

মনে হয় মাথায় গন্ডগোল আছেই আছে।

যেমন এই শনিবার এক মরাবাড়িতে গেছি। চারিদিকে দুঃখের ছায়া। আমারও মন খারাপ ছিলো। হঠাৎ এক বুড়িমানুষ উনি মরাবাড়িতে কে যেন বিরিয়ানী দিয়েছেন সেটা খাচ্ছেন। খেতে গিয়ে তার ঝাল লেগেছে। খেতে পারছে না। তো ঐ দুঃখী বাড়িতেই বলছে মিষ্টি আছে মিষ্টি!! আমি তো শুনে অবাক! সেই সাথে আমার মুখ হাসি হাসি হয়ে যাচ্ছিলো। বুড়িমানুষটা কি মরা বাড়িকে বিয়ে বাড়ি ভাবলো কিনা ভেবে। তার ছেলের বউটা বলছে আম্মাজান এইখানে মিষ্টি নেই। আপনি পানি খান। তবুও বুড়ি আতি পাতি মিষ্টি খুঁজছেন।

অনেক কষ্টে হাসি সামলাতে না সামলাতেই সে বলে কি জানো? ঐ যে বৌমা ঐখানে সন্দেশ দেখা যাচ্ছে। আমি চারিদিকে কোনো সন্দেশ দেখছিলাম না । শেষ বুঝলাম সে যেহেটু ভালো চোখে দেখে না তাই টেবিলের উপরে রাখা চারকোনা সাদা ধপধপে কিচেন টিস্যুকেই সাদা ধপধপে তার প্রিয় কাঁচা সন্দেশ ভেবেছেন! হা হা হা হা হা হা হা হা কি যে জ্বালা আমার মাথার এই হাসির ভূতকে নিয়ে।

নিজে পরে গেলেও এই সব দেখে হাসতে হাসতে ভূত হয়ে জেগে উঠবো কিনা চিন্তায় আছি। :(


০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪৬

আজব লিংকন বলেছেন: হা হা হা। শায়মা আপা... অস্থির একটা সিচুয়েশন ডিসক্রাইব করলেন। আমরা বাঙালি জাতি আমরা সব পারি। শুনছি বৃদ্ধ এবং শিশুদের মাঝে কোন পার্থক্য থাকে না।। একটু পাকঘর থেকে চিনি এনে দিলেই হতো।
আমিও আমার রিলেটিভিদের অনেককেই দেখেছি যারা মরার বাড়ি কম উৎসবের বাড়ি বেশি বানিয়ে ফেলে।৷ সে দিন আম্মু আম্মুর চাচাতো ভাইয়ের মৃত্যুতে গ্রামে মরার বাড়িতে গিয়েছিল। এসে এমনই কাহিনি বলতেছে। মরার বাড়িতে খাওয়া নিয়ে কাড়াকাড়ি... গোস্তের তরকারি নিয়ে নাকি দুই ফুপুর মধ্যে ঝগড়া। একজন মিছেপের মধ্যে তরকারি তালা মেরে রেখে দিয়েছে।। আর একজন সেই তালা ভেঙ্গে তরকারি বের করে ভাত খাচ্ছে।।

অস্থির বাঙালি m/

৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২৪

শায়মা বলেছেন: পরে গেলে না। টাইপো হয়েছে। মরে গেলে হবে। :)

৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:১৭

শায়মা বলেছেন: হা হা হা হাসতে হাসতে মরে যাবো নাকি?? মরা বাড়ি নিয়ে বাড়াবাড়ি...... :P

মানে কয়েকজন একখানে হলেই হলো। বিশেষ করে মেয়েরা। আর বয়স্ক নানী দাদী চাচীদের তো কথাই নেই......


আমরা কিন্তু নানী দাদী চাচী হবোনা।

যেমন আছি তেমন রবো চাচী দাদী হবো না রে...... মানে এই সব কব্বো না।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:১৮

আজব লিংকন বলেছেন: মরা নিয়ে বাস্তব লাইফের স্যাড বাট ফানি একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল। আমার নানার বড় ভাই সবাই যাকে ভয়ে কিংবা আতঙ্কে পাগলা আব্বা বলে ডাকত। অতিরিক্ত মাথা গরম থাকায় তার এই নাম পড়েছিল। বলে রাখা ভালো আমার নানারা ছয় ভাই সাত বোন। ছোটখাটো একটা রাবনের বংশ। দুই তিন জন নানার আবার দুইটা করে বউ। আমার অনেক মামা এবং আন্টিদের নাম আমি এখনো জানিনা, মানে ভুলে গেছি।। তবে দুই নানার ছেলেদের নামের সিরিয়াল আমার মনে আছে। প্রথম নানার দুই ছেলে এবং দ্বিতীয় নানার পাঁচ ছেলের নাম যথাক্রমে :-
সমাজ, বিজ্ঞান, তুফান, প্লাবন, গর্জন, বিদ্যুৎ এবং ভয়ংকর।।

তো এক রাতের কথা পাগলা আব্বা বাহির থেকে বাসায় ফিরেছেন। সে সময় আমার নানি (পাগলা আব্বার বউ) টিভিতে নাটক সিরিয়াল দেখায় ব্যস্ত ছিল। পাগলা আব্বা ভাত দিতে বলে হাত হাতমুখ ধুতে যায়। ফিরে এসে দেখেন নানী তখনো নাটক দেখছে।

উনি রান্নাঘর থেকে একটা কুড়াল নিয়ে এসে টিভিতে এক কোপ মারে। দুর্ভাগ্যবশত কুড়ালটা পুরোটাই লোহার ছিল। বিদ্যুতের ঝাটকায় কিছুক্ষণ ঝাঁকি খেয়ে অন দ্যা স্পট পাগলা আব্বার জীবনের সমাপ্তি ঘটে।।


এটা কোন বানানো গল্প না।

১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:২৯

শায়মা বলেছেন: হায়রে!!!

এ তো দেখি সত্যিই পাগলা আব্বা!!!


আর নামগুলো তো এক্কেবারেই আজব!!!


আর তাই তো তুমিও নিক নিয়েছো আজব গজব!!! হা হা হা

যাই বাবা এখন ঘুমাই। নইলে কাল সকালে লেট হয়ে কাঁদতে হবে।

গুডনাইট বাই বাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.