নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজব গোয়েন্দা

আমি লেখক নই তবু চেষ্টা করি লিখতে, লেখা পরিনত হয়েছে আমার নেশাতে। খুব ভাল লিখতে পারি তা না, যখন একাকি থাকি একাকি অনুভব করি নিজের একাকিত্ব ভুলে থাকার চেষ্টা করি লেখার মাধ্যমে। মনে হয় লেখাতেই যেন সব সুখ লেখার মাঝেই দিতে পারি নিজের দুঃখ গুলোকে নতুন রুপ। তাই আমি লিখতে ভালবাসি লেখা যেমন আমার নেশা লেখায় ভালবাসা

আজব গোয়েন্দা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পথ শিশুদের তরে এক ভিনদেশীনি

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৩৪

বি,টিভি(বাংলাদেশ টেলিভিশন) কখনো আগ্রহের সাথে তো দূরে থাক এমনিতেও দেখা হয় না। কিন্তু আজ চ্যানেল পালঠাতে পালঠাতে বি, টিভি তে চোখ পড়ল সেখানে সম্ভবত "লেইট নাইট" নামক অনুষ্ঠানে একটি আমেরিকান মেয়ের ইন্টারভিউ নেওয়া হচ্ছে।কেন জানি কৌতুহল বশত থামলাম, এবং অনেকটা আগ্রহের সাথেই সাক্ষাতকারটা দেখলাম।

এবং কেন জানি বুঝে উঠতে পারছিলাম না যে, এক ভিনদেশির কেন বাংলাদেশি পথ শিশুদের জন্য বারবার ছুটে আসতে হয় বাংলাদেশে, বাংলা ভাষা শিখে! , কেনই বা সে নিজেকে সপে দিয়েছে তাদের সেবায়, কেনই বা তাদের জন্য জমি কিনতে গিয়ে অপর এক বাংলাদেশির হাতেই প্রতারনার স্বিকার হতে হয় তাকে!, কেনই বা আজ সে ভিনদেশি আমাদেরই পথ শিশুদের জীবন সম্পর্কে বলে এবং হাজারো দর্শকদের সামনে টিভি সেটে অঝর নয়নে কাঁদে! ।

এবং সেই ভিনদেশির কান্নায় আমি দেখেছি মানুষের প্রতি ভালবাসা, স্নেহ-মায়া-মমতা, এক অদ্ভুদ আবেগের কান্না ছিল সেটা, যা দেখে আমার চোখের এক কোনায় সত্যিই নিজের অজান্তেই জল এসে গেল। তার বর্ননা ছিল, আমাদের পথ শিশুরা পথের এক পাশে শীত, গীষ্ম, বর্ষা দিব্বি কাটিয়ে দিতে পারে, পারে পরে থাকতে প্লাস্টিকের একটা বড় অংশ দিয়ে তাবু আকারের ঘর তৈরী করে নালা-নর্দমার পাশে বা ডাস্টবিনের পাশে দিব্বি রাত কাটাতে, ময়লা পানি খেয়ে নিজেদের তৃষ্ণা মিটাতে(সে পানি মিষ্টিও বটে! তবে পরিশুদ্ধ নয়)। অথচ একদিন সেই পানি খেয়ে ভিনদেশীনির জ্বর উঠে গিয়েছিল।

ভিনদেশীনি আরো বলেছিল আমাদের পথ শিশুদের হাতে-পায়ে কাটা ছেড়ার প্রচুর দাগ, হাতে পায়ে কাটা ছেড়ার ক্ষত এবং যা ইনফেকশনের কারণে "ঘা" তে পরিণত হয়েছে, তখনও সেই ভিনদেশি কাঁদছিল এবং তার শ্বেত বর্নের মূখ লাল হয়ে (শ্বেত বর্ণের মানুষদের মুখ তিন সময়ে লাল হয়, ১/ যখন রাগ করে ২/ যখন লজ্জা পায়/ যখন অন্তস্থল থেকে কান্না করে) আবারো সেটারই জানান দিচ্ছিল যে, তার কান্নায় জড়িয়ে আছে তাদের দুঃখ-কষ্টের কথা, জানান দিচ্ছিল তাদের দুঃখে সেও দুঃখি, আরো জানান দিচ্ছিল তাদের ব্যথায় সেও ব্যথিত, তাদের কষ্টে তার হৃদয়ে এক অতৃপ্ত শূন্যতা বিরাজমান, তার কান্নায় আমি দেখেছি তাদের জন্য কিছু করার মাধ্যমে সেই ভিনদেশি পায় দারুন প্রশান্তি।

এবং সে এও বলেছে, আমি এটা দেখে অবাক হয়েছি যে, এত কিছুর পরও তারা খুব হাশি-খুশি তাদের জীবন নিয়ে তাদের কোন আফসুস নেই, তারা খুব শক্ত ও শক্তিসালি, মানে মনের দিক থেকে খুব শক্ত তারা, মানসিক শক্তি ও মনোবল তাদের প্রবল।

তাই সে পথ শিশুদের প্রশিক্ষনের জন্য এখানে একটা স্কেটিং পার্ক বানাতে চেয়েছিল, যার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত জমির, আর জমি কিনতে গিয়েই প্রথম প্রদক্ষেপেই স্বিকার হয় প্রতারণার, এক বাঙ্গালী দেখিয়ে দিল তাকে এক রুপ বাঙ্গালীর, আবার আরেক বাঙ্গালী পরিবার মেয়ের স্থান দিয়ে তাকে দিল বাঙ্গালীদের আথেতীয়তা ও বন্ধুত্বতার উদাহারন। যা সে তার দেশে দেখতে পায় না, এখন তার দেশে ফিরে যেতে তার একটুও ইচ্ছে হয় না তবু ফিরে যেতে হয় কাজের টানে কারণ কা করলেই তো অর্থ যোগার হবে।
সে তাদের স্কেটিং শিখাচ্ছে এতে তাদের আগ্রহ,উদ্দিপনা ও খুশির কমতি নেই, খুব আগ্রহের সাথেই তারা তা শিখে যাচ্ছে।

চিন্তা করতেছি আমারা কেন সেই ভিনদেশির মত ভাবতে পারি না, চিন্তা করতে পারি না আমাদেরই একটা অংশের কথা। আমরা কি সম্মিলিত ভাবে পারি না? দূর করতে তাদের দুঃখ-দূর্দশা!। তারা পিছিয়ে থাকলে তো আমাদেরই ক্ষতি, আমরা সব দিক থেকে দেশের উন্নতির কথা ভাবতে পারি অথচ সেই দেশেরই একটা অংশ আজ পঙ্গু। সাহায্য পেয়ে পঙ্গত্বকে জয় করেছে এমন হাজারো নজির আছে, দরকার শুধু সাহায্যের হাত, বাড়িয়ে দিলেই তারা পঙ্গুত্বকে জয় করে নেবে, এক পূর্নাঙ্গ দেশ উপহার দেবে।
সাহায্য করতে না পারি অন্তত এমন কাজে আগ্রহিদের সহযোগিতা তো করতে পারি।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:০১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: +++++++++++

বিটিভিতে মাঝে মাঝে আসলেই ভালো কিছু শো হয় ।

ভিনদেশীর গল্প ভালো লাগলো । ভিনদেশী বলছি কেন ! সে অবশ্যই এই দেশী ।

ভালো থাকবেন ।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪

আজব গোয়েন্দা বলেছেন: সত্যিই তো ভিনদেশী বলছি কেন ! সে অবশ্যই একজন বাঙ্গালী। (ধন্যবাদ)

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: বিটিভিতে ভাল কিছু হবে যদি সরকার এটাতে নিউজ /টকশো বন্ধ করে দিয়ে শুধুমাত্র একটি বিনোদনমূল মাধ্যমে হিসেবে মানুষের কাছে উপস্খাপন করতে পারে। নিউজ আর টকশো বন্ধ হলে সরকারী দলের ও কিছু থাকবে না আবার বিরোধী দলেরও কিছু থাকবেনা, তখন সরকারী প্রভাব বলয় থেকে এটাকে বের করে আনাটা সহজ হবে। তবে বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে???

২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৩৬

আজব গোয়েন্দা বলেছেন: বিটিভি হচ্ছে প্রত্যেক সরকারের আমলের তাদের নিজস্ব সম্পত্তি, ওনারা যেভাবে চালাবেন বিটিভিও ঠিক সে ভাবে চলবে। এতে আপনার,আমার কারো অধিকার কথিত থাকলেও বাস্তবে নেই। সুতরাং বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধতে গিয়ে নিজেই কেন বিড়ালের খাদ্যে পরিণত হতে যাবেন আপনিই বলেন। এটা মনে হয় আত্বহননের মত ব্যপার হবে।

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪

ম েনা েন শ দাস বলেছেন: মানুষ মানুষের জন্য । জীবন জীবনের জন্য । উনি এটি দেখিয়ে দিলেন প্রদর্শক হিসাবে ।ভালো লিখেছেন । ধন্যবাদ ।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৪২

আজব গোয়েন্দা বলেছেন: "মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য" আমাদের সমাজে এটা কেবল একটা লাইন হিসেবেই থেকে গেল ।আফসুস! এই লাইনের মহত্ব অল্প কিছু মানুষ ব্যতীত কেউ বুঝল না, উনি প্রদর্শক হিসেবে পথ তো দেখিয়ে দিলেন, কিন্তু আমরা তার প্রদর্শিত ধারায় কতটুকু চলতে পারি সেটাই ভাবনার বিষয়। মূল্যবান মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:২২

কলমের কালি শেষ বলেছেন: হুম । দুঃখ পেলাম প্রতারনার কথা শুনে খুশি হলাম আতিথীয়তার কথা শুনে । বিদেশীনির উদ্যোগে খুব ভাল লাগলো । :)

২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৪৪

আজব গোয়েন্দা বলেছেন: সম-অনুভূতি প্রকাশ করছি।

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২৮

এহসান সাবির বলেছেন: বিটিভি আমার এখনও ভালো লাগে।

ভিনদেশিকে শুভেচ্ছা।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৪৭

আজব গোয়েন্দা বলেছেন: বিটিভি সম্পর্কে আর কিছু বলতে চায় না, তবে মাঝে মাঝে ভাল অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়। তার মধ্যে "ইত্যাদি" এখনো আমার প্রিয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.