নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহর নামে

ডাঃ আকন্দ

একজন চিকিৎসক ।

ডাঃ আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্তমান মুসলমানদের দায়িত্ব

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৬

বাবরি মসজিদ নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায় থেকে এটা সুস্পষ্ট যে , মুসলমানরা এখন সমান অধিকার পাওয়ার যোগ্য না । কারন মুসলমানরা এখন মূর্খ জাতি । আর সমান অধিকার হারানোর দ্বিতীয় কারন হচ্ছে জঙ্গিবাদ । অর্থাৎ দুটি কারণে মুসলমানরা আজ অবহেলিত । প্রথম কারণ উচ্চ শিক্ষার অভাব এবং দ্বিতীয় কারণ জঙ্গিবাদ ।



তাছাড়া মুসলমানদের অর্থনীতি দুর্বল , অস্ত্র নেই এবং ইখলাসপূর্ণ ইবাদতকারীর অভাব । আর এ তিন কারণে মুসলমানরা আজ বিশ্ব নেতৃত্ব দিতে অক্ষম ।



আমাদের আলোচ্য বিষয় , বর্তমানে মুসলমানদের দায়িত্ব , অর্থাৎ কি কি কাজ করলে মুসলমানরা , বর্তমান পৃথিবীতে পুনরায় সমান অধিকার ফিরে পেতে পারে , আর নেতৃত্ব দেওয়া , সেটা তো সুদূর পরাহত । তাই আমাদের টার্গেট হওয়া উচিত সমান অধিকার নিশ্চিত করা ।



প্রথমে আমাদের শিক্ষিত হতে হবে - সব মুসলমানের শুধু আরবি ব্যাকরণ পড়লে চলবে না । পৃথিবীর সকল বিষয়ের উপর আমাদের দখল থাকতে হবে এবং প্রচন্ডভাবে গবেষণা করে প্রচুর পরিমাণে মুসলিম বিজ্ঞানী তৈরি করতে হবে । অন্যদিকে ধর্ম ব্যাবসায়ীরা শুধু আরবি ব্যাকরণ পড়িয়ে তাদের ব্যাবসাটাই ঠিক রাখছে এবং বক্তারা কুকুরের মতো ঘেউঘেউ করে বক্তৃতা ব্যাবসা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করছে । এদেরকে ধ্বংস করা ওয়াজিব , কারণ এরা দুনিয়াদার আলিম ।



দ্বিতীয়ত আমাদের উগ্রবাদ এবং জঙ্গিবাদ ছাড়তে হবে । ইবাদতে কঠোরতা ছাড়তে হবে এবং ভয় না দেখিয়ে মানুষকে নফল ইবাদতের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে । ( ফরজ ওয়াজিব অবশ্যই আমল করতে হবে ) । বর্তমানে একদল আছে , যারা দুর্বল মানুষদেরকে তাদের সাধ্যের বাইরে আমলের জন্য ভয় দেখায় এবং নিজেদের ধর্ম ব্যাবসা কন্ট্রোল করে ও মানুষকে নিজ আয়ত্তে রাখে । আরেক দল আছে , যেখানে পীর সাহেবরাই আমল করে না ।



প্রিয় মুসলিম অবশ্যই আমাদেরকে জঙ্গিবাদ ছাড়তে হবে , ইসলামের ভিতর যে প্রেম , ভালবাসা , শান্তি ও সৌহার্দ্য আছে তা দিয়ে বিশ্বকে জয় করতে হবে । পারমানবিক বোমার সামনে দুনালা বন্দুক নিয়ে তামাশার যুদ্ধ বাদ দিতে হবে । মুসলমান হয়ে মুসলমান হত্যা বন্ধ করতে হবে । অন্য ধর্মের সাধারণ মানুষকে হত্যা বন্ধ করতে হবে , সর্বোপরি সকল ধরনের হত্যা বন্ধ করতে হবে এবং সকল ধরনের উগ্রতা ও অস্ত্র প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে । শুধুই প্রেম , ভালবাসা , শান্তি ও সৌহার্দ্যের বাণী প্রচার করতে হবে । তবেই তোমাদেরকে নেতা বানানোর জন্য অমুসলিমরা হুমড়ি খেয়ে পড়বে এবং তোমাদের সমান অধিকার নিশ্চিত হবে । আর এজন্য তোমাদেরকে মধ্যপন্থী সুন্নি সুফিবাদ ইসলামকে গ্রহণ করতে হবে এবং এটা ছাড়া তোমাদের মুক্তির , আর ২য় কোন পথ খোলা নেই ।



সুফিবাদ ইসলাম এজন্য গ্রহণ করতে হবে যে , সুফিবাদ ইসলাম ছাড়া কেউ কোনোদিন ইখলাসপূর্ণ ইবাদত শিখতে পারবে না । আর ইখলাসপূর্ণ ইবাদত না করতে পারলে , মহান আল্লাহর রহমতের দরজা কখনোই উন্মুক্ত হবে না । অতএব হে মুসলিম কঠোরতা ছাড়ো এবং উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ ছাড়ো । ভালবাসার হাতকে প্রসারিত করো , তবেই মুক্তি ।



তবে এটা ঠিক যে , যদি কখনো মুসলমানরা তাদের অর্থনীতি এবং অস্ত্র প্রচুর পরিমাণে অর্জন করতে পারে , তখন মুসলিমরা যুদ্ধ এবং মধ্যম কঠোরতা প্রকাশ করতে পারবে । আর এটা চাইলে গনহারে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা বন্ধ করতে হবে , তাহলেই অর্থনীতি শক্তিশালী হবে এবং প্রচুর অস্ত্র তৈরি করা যাবে ।



( ডাঃ আকন্দ ) ।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:০২

নতুন বলেছেন: ইহুদী,খৃস্টান,হিন্দু,বৌদ্ধ কেউই তাদের ধম` নিয়ে পড়ে নাই। তারা এটাকে সামাজিকতার মতন পালন করে।

ইসলামের কিছু মানুষ অন্য ধমের প্রতি বিদ্বেষ পোষন করে এবং তারা নিজেরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত না এবং মানুষকে উদ্বধ করেনা।

এই জন্যই কিছু বক্তা ইন্টারকটিক মহাদেশের নিচে ৬টা দুনিয়া আছে যেখানে হিটলার দলবল নিয়ে পালিয়েছিলেন বলে ওয়াজ করে এবং তারও হাজার হাজার মানুষ অনুসরন করে।

আরেকটা জিনিস হচ্ছে বত`মানে মানুষ নামে মুসলমান, কিন্তু কাজে ঘুষ,সুদ,দূনিতি,ভ্যজাল,বিবাহবহি`ভুত শারিরীক সম্পকের মতন কাজ অবলিলায় চালিয়ে যাচ্ছে।

দেশে একটা শ্রনীর মুসলমান আছে যাদের আপনি ঘুষ দিতে পারবেন, মদ খাওয়াতে পারবেন কিন্তু যদি শুকরের মাংসের চপ দিয়ে মদ খেতে বলেন তবে তারা মুসলমান এবং শুকরের মাংস খাবেনা বলবে।

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:০৩

নতুন বলেছেন: বত`মানে দেশে মুসলমানের মাঝে ভন্ডামী প্লেগের মতন ছড়িয়েছে, সবার আগে ভন্ডামী ছেড়ে ভালো মানুষ হতে হবে।

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:১৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: বিশ্বের দেশে দেশে খ্রীষ্টান,ইহুদী,হিন্দু,বৌদ্ধদের উগ্রবাদ এবং জঙ্গিবাদ-এর তুলনায় তারা শিশু।
আফগানিস্তান,ইরাক,সিরিয়া,লিবিয়া,ভারত,বার্মা,এমনকি শ্রীলংকা,থাইল্যান্ড,ফিলিপাইন-কোথায় তারা চরমভাবে নির্যাতিত হচ্ছে না?
এ্যাসিরিয়া,ব্যাবিলন,রোমান,আরব এমনকি জার্মান-সব শাসকই ইহুদীদের ইসরাইল অথবা নিজেদের দেশ থেকে বের করে দিয়েছিলো।

মুসার নবীর নেতৃত্বে তারা সেখানে ফিরে যায়।পরে আবারো আরবরা তাদের দেশে বসতি স্থাপন করে।আর এর শাস্তি হিসেবে ১৯৪৮ এর আরবদের ঘর-বাড়ি দখল করে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয় বলে ইহুদী জঙ্গীদের দাবী।

তবে একে যদি অতীতে তাদের দেশে দেশে অস্ত্রের মাধ্যমে ধর্ম প্রচারের শাস্তি বলেন,তাহলে সেটা আলাদা কথা।

এজন্যই তো বাইবেলে আছে Rule by sword,end by sword- যা ইংরেজী ভাষার একটা প্রবাদে পরিণত হয়েছে।
কিন্ত এক বৌদ্ধ ধর্ম ছাড়া হিন্দু,ইহুদী,খ্রীষ্টান পৃথিবীর কোন প্রধান ধর্মটা অস্ত্রের মাধ্যমে প্রসার লাভ করেনি?
https://en.wikipedia.org/wiki/Jewish_diaspora

৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুসলমানদের জীবনচক্র বিশ্বের সাথে মিলছে না, মদ্রাসাগুলো ভুল জ্ঞান বিতরণ করছে

৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:২৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ভণ্ডামি করে কোনো ধর্মেরই ভালো হয় না, হবে না

৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: আজকের এই আধুনিক বিশ্বে ধর্ম থেকে দূরে থাকাই মঙ্গল।

৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭

জগতারন বলেছেন:
চিন্তাশীল মনের সুন্দর আত্মবিশ্লেষন।
প্রথম লাইক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.