নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারা বিশ্বময় আজ অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছে । সকল সাধারণ মানুষের সাথে সাথে আল্লাহর অলীগনও অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছেন । সমস্ত মানুষ যখন অসহিষ্ণু হয়ে পড়েন , তখন বিশ্বশান্তি কল্পনা করাও একটি অলীক কল্পনা ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , আমি এক অতি সাধারণ , আর আমি নিজেও অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছি । কিন্তু আমি এখন উপলব্ধি করছি , অসহিষ্ণু আচরণ দ্বারা বিশ্বে শান্তি আসবে না । আমাদের সবাইকে সহিষ্ণু বা সহনশীল হতে হবে । আর আল্লাহর অলীদের অসহিষ্ণু হওয়ার বিষয়টা মহান আল্লাহর ইচ্ছাধীন । যেমন - রাসুল সাঃ প্রথম দিকে নামাজের ভিতরে থেকেই সালামের জবাব দিতেন , কিন্তু পরবর্তীতে তিনি বলে গিয়েছেন যে , নামাজ হলো ধ্যান , অতএব নামাজের ভিতরে সালামের জবাব দেওয়া যাবে না । প্রিয় বিশ্ববাসী , পৃথিবীর সবাইকে এবং সকল নেতৃবৃন্দকে সহিষ্ণু হতে হবে , আর তাহলেই পৃথিবীতে শান্তি আসবে ।
অতঃপর এটাও ঠিক যে , কিছু বিষয়ে আমাদের অবশ্যই প্রতিবাদী হতে হবে , আর এই বিষয়গুলিতে আমরা প্রতিবাদী না হলে , পৃথিবীতে শান্তি আসবে না । বিষয়গুলি হচ্ছে ঐ সমস্ত অন্যায় কাজ , যা পৃথিবীর প্রায় সকলের নিকট অন্যায় । এই অন্যায় বিবেচনার ক্ষেত্রেও আমরা সহনশীল । কারণ আমরা গোষ্ঠীগত কোন বিষয়কে অন্যায় বিবেচনা করছি না , বরং আন্তর্জাতিকভাবে যেসব বিষয় অন্যায় , তাকে অন্যায় বলছি । যেমন - চুরি , ডাকাতি , মানবাধিকার লংঘন ইত্যাদি ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , ইসলামি সভাগুলিতে এবং সারা বিশ্বের অধিকাংশ ইসলামি দলগুলো বা গোষ্ঠীগুলো আজ চরমভাবে অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছে , আর শুধু একারণেই বিশ্ব আজ চরমভাবে অশান্তিময় হয়ে গেছে । আমাদেরকে অবশ্যই এর বিনাশ সাধন করতে হবে , অর্থাৎ আমাদেরকে চরম সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে ।
ভিন্নমত থাকবেই এবং অবশ্যই থাকবে । আমরা কৌশলে ভিন্নমতকে এড়িয়ে চলবো এবং বলবো , এই বিষয়ে আমরা ভিন্নমত পোষণ করি বা বলবো , এটাকে আমরা লঘু অন্যায় মনে করি অথবা গুরুতর অন্যায় মনে করি , কিন্তু হাজার সত্য মনে হলেও আমরা কাউকে সরাসরি কাফির বলবো না । সর্বোচ্চ অপরাধ করলে আমরা এভাবে বলতে পারি যে , এমন কাজ কোন ব্যাক্তি করলে , তার কাফির হওয়ার সম্ভাবনা থাকে , কিন্তু কখনোই ব্যাক্তির নাম ধরে সরাসরি কাফির বলা যাবে না । কারণ এটা করলে বিশ্বশান্তি চরমভাবে বিঘ্নিত হবে ।
ডঃ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীকে আমি সকল বিষয়ে পূর্ণ সমর্থন করি । কিন্তু আমি চাই তিনিও সহনশীল হউন এবং মহান আল্লাহ তাকে সহনশীল বানিয়ে দিন । তা না হলে বিশ্বশান্তি বিঘ্নিত হবে । শুরুটা যেন এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী থেকেই শুরু হয় । মহান আল্লাহ যেন তাকে কবুল করেন । তাছাড়া ডঃ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী যদি শুরু থেকেই সর্বোচ্চ সহনশীলতার পরিচয় দিতেন , তবে তাকে বিরোধীরা কথা বলার সুযোগই দিতো না এবং বাংলাদেশ থেকে সুফিবাদ ইসলামকে উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হতো । কিন্তু আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই সুফিবাদ ইসলাম অবশ্যই কিয়ামত পর্যন্ত কায়েম থাকবে ইনশাআল্লাহ ।
প্রতিটা দেশে সহনশীলতার বিষয়ে কঠোর আইন থাকা উচিত । যেমন - কেউ অপর কাউকে সীমাহীন দোষারোপ বা অত্যন্ত খারাপ শব্দে গালাগাল করতে পারবে না এবং নিষেধ শব্দগুলোও নির্দিষ্ট করে দেওয়া উচিত । আইনটির নাম হতে পারে সহনশীল আইন । তবে বাংলাদেশের মতো দেশে এমন আইন সরকারই করতে চাইবে না , কারণ এমন আইন করলে সরকারের লোকেদের মুখে লাগাম লাগাতে হবে । কিন্তু উন্নত দেশগুলোতে এমন আইন বাস্তবায়ন সম্ভব । অতঃপর মহান আল্লাহ সব দেশকে এমন আইন বাস্তবায়নের তাওফিক দান করুন ।
প্রিয় বিশ্ববাসী আমরা যদি কাউকে পূর্ণভাবে জাহান্নামের উপযুক্ত মনে করি , তবুও বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে কাউকে জাহান্নামি সম্বোধন করবো না । কারণ এতে বিশ্বশান্তি চরমভাবে বিঘ্নিত হবে । যেহেতু এটা ইন্টারনেটের যুগ , তাই আমাদের পূর্ণভাবে সহনশীল হতে হব । যদি আমরা সবাই চরমভাবে অসহিষ্ণু হয়ে পড়ি , তাহলে বিশ্বময় অশান্তি ছড়িয়ে পড়বে এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় চলে আসবে । মহান আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন এবং আমাদেরকে সহনশীল হওয়ার তাওফিক এনায়েত করুন । আমীন ।
( ডাঃ আকন্দ ) ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে সারা বিশ্ব যদি ইসলামের দেখানো পথে চলে তাহলেই সব সমসয়ার সমাধান হয়ে যাবে।