নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
মেডিটেশন সবসময়ই শিথিলকরণ এবং আধ্যাত্মিক জাগরণের সাথে সম্পর্কিত। মেডিটেশন, ব্রেইন ওয়েবকে শিথিল করতে এবং একাগ্রতা বাড়িয়ে চেতনাকে শানিত করতে সাহায্য করে। মেডিটেশন, অটোনোমিক নার্ভাস সিস্টেমকে স্থিতিশীল করে, হৃৎস্পন্দনকে ধীর গতি করে, এবং পাকস্থলীর পেশীকে শিথিল করার মাধ্যমে রেচন প্রক্রিয়াকে সহজ করে। শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য মেডিটেশনের ৮টি "আর" (R) : -
১। রিলাক্সিং (Relaxing): মেডিটেশন, আপনার রুটিন কাজ এবং দৈনন্দিন কাজের মধ্যে একটি বিরতি নিয়ে আসে। প্রতিদিনের কর্ম কোলাহল থেকে আপনাকে বিচ্ছিন্ন করে, আপনি এবং আপনার নিজের সত্তার সাথে যোগাযোগ ঘটায়। ফলে, আপনার মন প্রশান্ত ও আনন্দময় হয়ে উঠে। এর পর যখন আপনি দৈনন্দিন কাজে ফিরে যান তখনও আপনার মন প্রশান্ত থাকে।
২। রিটার্নিং (Returning): মেডিটেশন একজন মানুষকে শান্তি, প্রেম এবং জ্ঞানের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। মেডিটেশন, মনের শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
৩। রিমেমবারিং (স্মরণ) (Remembering): মেডিটেশনের মাধ্যমে একজন তার আধ্যাত্মিক পরিচয় স্মরণ করতে পারে।
৪। রিলিজিং (মুক্তি) (Releasing): শিথিলায়নের মাধ্যমে একজন তার নেতিবাচকতা (অযথা দুশ্চিন্তা, ভয়, উদ্বেগ ইত্যাদি) থেকে মুক্ত হতে পারে।
৫। রিলার্নিং (Relearning): মনের শান্তিপূর্ণ অবস্থায় একজন নিজেকে নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করার সুযোগ পায়। ফলে, সে বিস্মৃত সত্যর সন্ধান আবার পায়।
৬। রিডিসকোভারিং (পুনঃ-আবিষ্কার) (Rediscovering): মেডিটেশনের মাধ্যমে একজন তার মূল্যবোধ এবং সম্পদ পুনঃ-আবিষ্কার করে।
৭। রেষ্টরিং (পুনরুদ্ধার) (Restoring): যখন আমরা আমাদের মনকে মেডিটেশনের মাধ্যমে শিথিল করি তখন আমাদের শক্তিকে পুনরুদ্ধার করতে পারি। আমাদের চেতনা, আত্মবিশ্বাস এবং আত্মসম্মানে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে।
৮। রিচার্জিং (Recharging): মেডিটেশনের ফলে একটা গভীর আধ্যাত্মিক ভাব মনকে চাঙ্গা করে তোলে। ফলে, গভীর শান্তি আমাদের চিন্তার মধ্যে প্রবাহিত হতে থাকে। কথা, দেহ-ভঙ্গিমা, ও কাজে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন প্রতিফলিত হয়। তাছাড়া, আমরা নেতিবাচক শক্তিকে ইতিবাচক শক্তিতে রূপান্তর করতে পারি এবং অসন্তোষটি দূর করে শুকরগুজারি হতে পারি।
©somewhere in net ltd.