নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাজাগরণ (GREAT AWAKENING)

০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২০

অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে উত্তর আমেরিকার উপনিবেশগুলিতে খ্রিষ্ট্র ধর্মের পুনরুজ্জীবন ঘটে. পরবর্তীতে এর নামকরণ করা হয়, 'দি গ্রেট এওয়াকিং'.

এই পুনরুজ্জীবনে যারা প্রথান ভূমিকা পালন করেন তারা হলেন, উইলিয়াম টেনেন্ট (১৬৭৩-১৭৪৫), তিনি ছিলেন একজন স্কটিশ প্রেসবয়টেরিয়ান ধর্মযাজক. আরেকজন হলেন জনাথন এডওয়ার্ডস (১৭০৩-১৭৫৮) এবং অপরজন ইংরেজ ধর্মযাজক জর্জ হোইটফিল্ড (১৭১৪-১৭৭০), তিনি বিপূল সংখ্যক লোককে খিষ্ট্র ধর্মে দীক্ষিত করেন.

মহাজাগরণের পিছনে মূল কারণ কি?
ধর্মীয় গুষ্ঠিগলি ও রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের অবসান ঘটে সপ্তদশ শতাব্দির শেষ দিকে অর্থাৎ ১৬৮৮ সালে গৌরবময় বিপ্লবের (গ্লোরিয়াস রেভোলুশন) মাধ্যমে. ফলশ্রুতিতে চার্চ অফ ইংল্যান্ড গঠিত হয়, যা ইংল্যান্ডের শাসনকারী চার্চ হিসাবে আবির্ভুত হয়. কিন্তু পরবর্তীতে অন্যান্য ধর্মগুলি যেমন, ক্যাথলিসিজ্ম, ইহুদীধর্মমত এবং পিউরিটানিজম কে অবদমিত করা হয়.

রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে একধরণের স্থিতিশীলতা আসে, কারণ তখন সবাই একই ধরণের ধর্ম পালন করতে থাকে. কিন্তু এতে ধর্মের কল্যানকর দিগগুলি উপেক্ষিত হয়ে, ধর্ম পালন একটা আচার সর্বশ্য আনুষ্ঠানিকতায় পরিনিত হয়. এর থেকে উত্তরণের জন্য এবং ধর্মকে শুধু মাত্র আচার-অনুষ্ঠানিকতায় আবদ্ধ না রেখে অধ্যাত্ত্বিকতার সাথে যুক্ত করার জন্য এই মহাজাগরণের প্রয়োজন হয়.

মহাজাগরণের প্রভাব
এই মহাজাগরণের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য হচ্ছে, আমেরিকার জনগণকে স্বাধীনতা যুদ্ধে উদ্ভুদ্ধ করে. স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্বে পুনর্জাগররণবাদীরা জনগণকে এই শিক্ষায়ই দেয় যে, ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের সাথে সংঘাতের সময় তাদেরকে দৃঢ় থাকতে হবে. ধমীয় কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি না মানলে, ওই ধর্মীয় কর্তৃপক্ষকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে নতুন ধর্মীয় কর্তৃত্ব প্রতিষ্টা করতে হবে.

এই মহাজাগরণ মাধ্যমে জনগণের মধ্যে এই চেতনা আসে যে, ধর্মীয় ক্ষমতা চার্চ অফ ইংল্যান্ডের হাতেও নেই, কোনো ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের হাতেও নেই, ক্ষমতা জনগণের হাতে. এইভাবে দুই এক প্রজন্ম যাওয়ার পর, জনগণের মধ্যে এই ধারণাও বদ্ধমূল হয় যে, রাজনৈতিক ক্ষমতাও ইংরেজ রাজার হাতে নেই. আমেরিকার জনগণের ইচ্ছাতেই তাদের নিজেদের সরকার গঠিত হবে. যদিও বসতি স্থাপনকারীদের সবার ধর্মবিশ্বাস এক রকম ছিলোনা, তবুও ১৭৭৫ সালের মধ্যেই সবাই একমত পোষণ করে যে, তারা ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীন হবে. এ ভাবেই মহাজাগরণ আমিরিকার বিপ্লবকে সম্ভব করে তুলে.

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ভালই লাগছিল।
কিন্তু এত ছোট ?

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৩১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: বড়ো লেখা পড়তে চায় না। তাছারা, এটা একটা আউট লাইন। পরে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে.

২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

মোঃ গাউছুল আজম বলেছেন: ভালো লেখা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.