নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
অনুচ্ছেদ ৫
যখন কংগ্রেসের উভয় সভার দুই তৃতীয়াংশ প্রয়োজনীয় মনে করবে তখন এই সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব করতে পারবে; অথবা দুই তৃতীয়াংশ রাজ্যের বিধানসভার আবেদনের প্রেক্ষিতে সংশোধনের প্রস্তাব করার জন্য সম্মেলন ডাকা হবে, তবে সংবিধান সংশোধনের ইচ্ছা এবং উদ্দেশ্য তখনই বৈধ হবে যখন তিন চতুর্থাংশ রাজ্যের বিধানসভা অথবা এই সংক্রান্ত সম্মেলনের তিন চতুর্থাংশ অনুমোদন করবে, কংগ্রেস সংশোধনী অনুমোদনের জন্য দুইটার মধ্যে যে কোন একটা পদ্ধতি প্রস্তাব করতে পারে; তবে এক হাজার আট শত আট সালের আগে অনুচ্ছেদ ১, ধারা ৯ এর দফা ১ এবং ৪ সংশোধন করা যাবে না; কোন রাজ্যের সম্মতি ছাড়া তাকে সিনেটে সম সংখ্যক প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
ভাষ্য
এই অনুচ্ছেদে সংবিধান সংশোধনের পদ্ধতি বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সংবিধান সংশোধনের দুইটা ধাপ। প্রথম ধাপে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব পাস হতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে রাজ্যগুলি দ্বারা তা অনুমোদিত হতে হবে। তা হলেই সংবিধানের সংশোধনী কার্যকর হবে। আবার প্রথম ধাপ সম্পন্ন হতে পারে দুই প্রক্রিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্র সংবিধান সংশোধনের প্রক্রিয়াটা বেশ জটিল, তবে এই জটিল প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়েই সংবিধান ২৭ বার সংশোধিত হয়েছে।
(১) প্রথম প্রক্রিয়ায় কংগ্রেসের উভয় সভার দুই তৃতীয়াংশ সদস্য ভোট দিলে সংশোধনের প্রস্তাবটি পাস হবে,
(২) দ্বিতীয় প্রক্রিয়ায় দুই তৃতীয়াংশ রাজ্য বিধানসভার এক সম্মেলনের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব করতে পারে,
(৩) উপরে বর্ণিত যে কোন প্রক্রিয়ায় সংশোধনের প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর তা অনুমোদনের জন্য প্রতিটি রাজ্যে পাঠানো হবে,
(৪) তিন চতুর্থাংশ রাজ্য অনুমোদন করলে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবটি সংবিধানের অংশে পরিণত হবে।
সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে দুইটা ব্যতিক্রমের কথা বলা হয়েছে--
(১) ১৮০৮ সালের আগে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১, ধারা ৯ এর দফা ১ এবং ৪ সংশোধন করা যাবে না। দাস প্রথা আমেরিকাতে নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর, বর্তমানে এই বিধানটার আর কোন কার্যকারিতা নাই।
(২) প্রতি রাজ্য থেকে দুই জন করে সিনেটর রাজ্যকে প্রতিনিধিত্ব করে, রাজ্যের আকার আয়তন, জনসংখ্যা যাই হউক না কেন। এই সংখ্যা সংবিধান সংশোধন করে পরিবর্তন করা যাবে না।
অনুচ্ছেদ ৬।
দফা ১। এই সংবিধান গ্রহণ করার আগে কনফেডারেশন যে সমস্ত ঋণ চুক্তি করেছে এবং যে সমস্ত ঋণ গ্রহণ করেছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বৈধ বলে গণ্য হবে।
ভাষ্য
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সংবিধান প্রণীত হওয়ার আগে আর্টিকেল অফ কনফেডারেশন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিলো। ওই সময়ে যে ঋণ চুক্তি করা হয়েছিল এবং যে ঋণ নেয়া হয়েছিল, তার দায়ভার যুক্তরাষ্ট্র গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ ওই সময়ে করা ঋণ, নতুন সংবিধানের অধীন গঠিত যুক্তরাষ্ট্র পরিশোধ করার অঙ্গীকার করেছে।
দফা ২।
এই সংবিধান, এবং এই সংবিধানের অধীন প্রণীত আইনসমূহ, এবং যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সম্পাদিত সকল চুক্তিসমূহ বা ভবিষ্যতে করা হবে এমন চুক্তিসমূহ দেশের সর্বোচ্চ আইন হিসাব গণ্য হবে; এবং প্রত্যেক রাজ্যের বিচারকগণ এই আইন দ্বারা বাধ্য থাকবেন, কোন রাজ্যের সংবিধানে বা আইনসমূহে বিপরীতধর্মী যাই বলা হউক না কেন।
ভাষ্য
(১) সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন;
(২) সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রের এবং সব রাজ্যের বিচারকবৃন্দ--
(ক) এই সংবিধান,
(খ) এই সংবিধানের অধীন প্রণীত আইনসমূহ,
(গ) যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সম্পাদিত সকল চুক্তিসমূহ বা ভবিষ্যতে করা হবে এমন চুক্তিসমূহ অনুসারে বিচার কাজ করবেন।
(৩) যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সম্পাদিত চুক্তিসমূহ সিনেট কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর দেশের সর্বোচ্চ আইন হিসাব গণ্য হবে।
(৪) রাজ্যগুলি এই সংবিধানের বিপরীতধর্মী কোন আইন প্রণয়ন করতে পারবে না।
দফা ৩। সিনেটরগন এবং পূর্বে উল্লেখিত প্রতিনিধিগণ, এবং রাজ্য বিধানসভাসমূহের সদস্যগণ, এবং যুক্তরাষ্ট্র এবং রাজ্যগুলির সব নির্বাহী এবং বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাবৃন্দ এই সংবিধানকে সমর্থন করার জন্য শপথ বা অঙ্গীকার দ্বারা বাধ্য থাকবেন; কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি পদ বা ট্রাস্ট পদ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কোন ধর্মীয় বিশ্বাস কোন যোগ্যতা হিসাবে গণ্য হবে না।
ভাষ্য
(১) সিনেটরগন
(২) প্রতিনিধিগণ
(৩) রাজ্য বিধানসভাসমূহের সদস্যগণ
(৪) যুক্তরাষ্ট্র এবং রাজ্যগুলির সব নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ
(৫) যুক্তরাষ্ট্র এবং রাজ্যগুলির সব বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাবৃন্দ এই সংবিধান সমর্থন করার জন্য শপথ নিবেন। অর্থাৎ নির্বাচিত ও মনোনীত উভয় ধরণের কর্মকর্তাবৃন্দকে এই সংবিধান সমর্থন করার জন্য শপথ নিতে হবে।
উল্লেখিত পদসমূহ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে ধর্ম বিশ্বাসকে কোন যোগ্যতা হিসাবে বিবেচনা করা হবে না। অর্থাৎ যে কোন ধর্ম বিশ্বাসের মানুষ এই পদসমূহে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন।
অনুচ্ছেদ ৭।
এই সংবিধান বলবত করার জন্য, সম্মেলনের মাধ্যমে নয়টি রাজ্যের অনুমোদনই যথেষ্ট বলে গণ্য হবে, যা সব রাষ্ট্রের অনুমোদন বলেই গণ্য হবে।
ভাষ্য
এই সংবিধান প্রণয়নের সময় ১৩ টি রাজ্য উপস্থিত ছিল। ১৩টির মধ্যে ৯টি রাজ্য অনুমোদন করার সাথে সাথেই এই সংবিধান কার্যকর হবে এবং ধরে নেয়া হবে, যেন উপস্থিত সব রাজ্যই অনুমোদন করেছে।
সম্মেলনে উপস্থিত রাজ্যসমূহের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ক্রমে এক হাজার সাত শত সাতাশি খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসের সতরতম দিনে এবং আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার বিংশতম বছরে এই সংবিধান প্রণয়ন করা হল।
সাক্ষী হিসাবে আমরা আমাদের নাম স্বাক্ষর করলাম:
জর্জ ওয়াশিংটন, প্রেসিডেন্ট এবং ডেপুটি, ভার্জিনিয়া
নিউ হ্যাম্পশায়ার:
জন ল্যাংডন, নিকোলাস গিলমান
ম্যাসাচুসেট্স:
নাথানিয়েল গোরহাম, রুফুস কিং
কানেক্টিকাট:
উইলিয়াম স্যামুয়েল জনসন, রজার শের্মান
পেনসিলভানিয়া:
বেঞ্জামিন ফ্র্যাংকলিন, থমাস মিফলিং, রবার্ট মরিস, জর্জ ক্ল্যামার, থমাস ফিটজ সিমন্স, যারেড ইঞ্জেরসোল, জেমস উইলসন, গোভার্নার মরিস
ডেলাওয়্যার:
জর্জ রিড, গানিং বেডফোর্ড, জন ডিকিন্সন, রিচার্ড ব্যাসেট, জেকব ব্রোম
মেরিল্যান্ড:
জেমস ম্যাক হেনরি, থমাস জেনিফার, ড্যানিয়েল ক্যারোল
ভার্জিনিয়া:
জন ব্লেয়ার, জেমস ম্যাডিসন
নর্থ ক্যারোলিনা:
উইলিয়াম ব্লউন্ট, রিচার্ড ডোবস স্প্রাইট, হিউ উইল্লিয়ামসন
সাউথ ক্যারোলিনা:
জন রুটলেজ, চার্লস কোটসঅর্থ পিন্কনেই, চার্লস পিন্কনেই, পিয়ার্স বাটলার
জর্জিয়া:
উইলিয়াম ফিউ, আব্রাহাম বল্ডউইন
নিউ ইয়র্ক:
আলেক্সান্ডার হ্যামিলটন
নিউ জার্সি:
উইলিয়াম লিভিংস্টোন, ডেভিড ব্রিয়ারলী, উইলিয়াম প্যাটারসন, জনাথন ডেটন
©somewhere in net ltd.