নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
জন্ম: বিচারপতি রাঁধাবিনোদ পাল কুষ্টিয়া জেলার সলিমপুর গ্রামে ১৮৮৬ সালের ২৭ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।
সূত্র: ইন্টারনেট
লেখাপড়া: তিনি কলিকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে গণিত এবং সাংবিধানিক আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ল কলেজ থেকে আইন ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবন:
১৯২৩ থেকে ১৯৩৬ সাল অধ্যাপক ল কলেজ, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯২৭ সাল ব্রিটিশ সরকারের আইন উপদেষ্টা।
১৯৪১ সাল বিচারপতি কলিকাতা হাইকোর্ট।
১৯৪৪ সাল ভাইস-চ্যান্সেলর কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯৪৬ সাল টোকিও ওয়ার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
টোকিও ওয়ার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের ভূমিকা বিচার করার জন্য ১১ জন বিচারক নিয়ে এই আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। বিচারপতি রাঁধাবিনোদ পাল এই ট্রাইব্যুনালের একজন বিচারক ছিলেন। ১১ জন বিচারকের মধ্যে ১০ জনই জাপানিদের দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড সহ যাবত জীবন কারাদণ্ড এবং বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করে। কিন্তু বিচারপতি রাঁধাবিনোদ পাল, তারা ১,২৩৫ পৃষ্ঠা রায়ে অন্য ১০ জন বিচারকের সাথে ভিন্নমত পোষণ করে জাপানিদের নির্দোষ ঘোষণা করে বেকসুর খালাস দেন।
তিনি জাপানিদের খালাস দেয়ার পক্ষে যুক্তি দেখান --
১. এটা বিজয়ী পক্ষের একতরফা বিচার (victor's justice)
২. ১৯৩৭ সালের আগে, এমন কি এই ট্রাইব্যুনাল গঠনের আগে পর্যন্ত কোন দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ষড়যন্ত্র করা অপরাধ হিসাবে গণ্য হতো না।
৩. কোন ঘটনা ঘটনার সময় যা অপরাধ হিসাবে গণ্য হতো না, সেই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর তাকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করে আইন প্রণয়ন করা যায় না।
জাপানিদের মনোভাব:
জাপানিরা বিচারপতি রাঁধাবিনোদ পালের এই রায় চিরদিন মনে রাখবে।
সূত্র: ইন্টারনেট
কিয়োটো রয়োজেন গোকোকু মন্দিরে বিচারপতি রাঁধাবিনোদ পালের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।
বিচারপতি রাঁধাবিনোদ পালের কারণে জাপান সবসময় ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশকে বিশেষ মর্যাদা দেয়।
০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৭
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
এটা একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ রায় ছিল। ১,২৩৫ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারপতি রাঁধাবিনোদ পাল আইনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করেছেন। প্রশ্ন ছিল, যুদ্ধের বিজয়ী পক্ষ পরাজিত পক্ষের বিচার করতে পারে কি না। কারণ বিজয়ী পক্ষ অভিযোগকারী আর পরাজিত পক্ষ অভিযুক্ত। অভিযোগকারী নিজেই অভিযোগের বিচার করতে পারে কি না ? বিচারপতি রাঁধাবিনোদ পালের অভিমত হল অভিযোগকারী কখনই নিজের অভিযোগের বিচার করতে পারে না। কোন নিরপেক্ষ বিচারক ছিল না। সবাই ছিল যুদ্ধে বিজয়ী পক্ষ।
ইন্টারনেটে এই রায়ের কপি আছে উৎসাহী হলে পড়ে দেখতে পারেন।
২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: ভেরি গুড।
আজই তাকে প্রথম চিনলাম, জানলাম।
১০ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৩
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
পৃথিবীতে খুব কম বিচারকই পারে প্রবল শক্তিকে উপেক্ষা করে সঠিক ভাবে আইন ব্যাখ্যা করতে।
এই রকমই একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ ছিলেন বিচারপতি রাঁধাবিনোদ পাল।
তিনি নির্মোহ এবং নিরপেক্ষ ভাবে প্রবল শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আইনের সঠিক ব্যাখ্যা করেছিলেন।
তার যুক্তি আজ পর্যন্ত কেউ খণ্ডন করতে পারে নাই, অভিযোগকারী নিজেই নিজের অভিযোগের বিচার কি ভাবে করে ?
আরো অদ্ভুত ব্যাপার এই ১১ জন বিচারকের মধ্যে একজন ছিলেন যাকে জাপানিরা যুদ্ধের সময় বন্দি করেছিল।
এই বিচারক কি ভাবে নিরপেক্ষ বিচার করবে, যারা তাকে বন্দি করেছিল তাদের ব্যাপারে?
৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: উনার প্রতি অনেক রেসপেক্ট রইলো; এই ক্ষণজন্মা বিচারপতি সম্বন্ধে আজই প্রথম জানলাম। উনাকে পরিচিত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ, স্যার।
১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
রেসপেক্ট করার মতোই ব্যক্তি।
একটা আইন ব্যাখ্যা করার জন্য একজন মানুষের কতগুলি গুণাবলীর প্রয়োজন হয়।
বিচারপতি রাঁধাবিনোদ পালের এই গুণাবলিগুলি ছিল।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০৪
শামচুল হক বলেছেন: বিষয়টি জানা ছিল না। জানানোর জন্য ধন্যবাদ।