|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 মোহাম্মদ আলী আকন্দ
মোহাম্মদ আলী আকন্দ
	১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

আজ ১০১ বছর বয়সে ক্যাথরিন জনসন মারা গেছেন। 
বিগত শতাব্দীর ৫০ এবং ৬০ এর দশকে যখন কম্পিউটার এত উন্নত ছিল না তখন তিনি মেকানিক্যাল ক্যালকুলেটিং মেশিন দ্বারা নিখুঁত ভাবে মহাকাশ যানের গতিপথের গাণিতিক বিশ্লেষণ করতে পারতেন। 
১৯৫৮ সালে চালক-বিহীন বিমান চালনার জন্য গাণিতিক বিশ্লেষণ প্রদান করেন। 
১৯৬২ সালে নাসা যখন সিদ্ধান্ত নেয় যে জন গ্লেনকে প্রথমবারের মত মহাশূন্যে পাঠাবে, তখন জন গ্লেন এক শর্তে মহাশূন্যে যেতে রাজি হন। শর্ত হচ্ছে কম্পিউটারের পাশাপাশি ক্যাথরিন জনসন যদি মহাকাশ যানের গতিপথের গাণিতিক বিশ্লেষণ করে কম্পিউটারের বিশ্লেষণকে সঠিক বলে মনে করে তাহলেই তিনি মহাশূন্য যাবেন। ক্যাথরিন জনসন কম্পিউটারের পাশাপাশি সঠিক ও নিখুঁত বিশ্লেষণ করেছিলেন। এই মিশন ছিল একদম নিখুঁত। 
 
ক্যাথরিন জনসন
 ২৭ টি
    	২৭ টি    	 +৫/-০
    	+৫/-০  ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ১১:৪২
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ১১:৪২
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: 
ধন্যবাদ আপনাকে। 
ভাবলে অবাক হতে হয় ৫০ এবং ৬০ এর দশকে কম্পিউটারের ক্ষমতা কত কম ছিল। তখন তিনি মেকানিক্যাল ক্যালকুলেটর মেশিন ব্যবহার করে কত নিখুঁত বিশ্লেষণ করে ছিলেন। 
এখন কম্পিউটার কত উন্নত হয়েছে, তারপর শত শত বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার এবং বিজ্ঞানী একত্রিত হয়েও সঠিক বিশ্লেষণ করতে অনেক সময়ই সক্ষম হয় না। 
কিছু দিন আগে ইন্ডিয়ার চন্দ্র অভিযান ব্যর্থ হওয়ার কারণ ছিল ভুল গাণিতিক বিশ্লেষণ। যেখানে চন্দ্রযান বিক্রমের চাঁদে নামার গতি প্রতি সেকেন্ডে ৪৭৯ ফুট হওয়ার কথা সেখানে ভুল বিশ্লেষণের কারণে বিক্রম আরো দ্রুত গতিতে নেমে চাঁদের পৃষ্ঠে আছড়ে পরে।  
অথচ ক্যাথরিন জনসন ১৯৬৯ সালে আপেল ১১ এর সফল ভাবে চাঁদে নামার গতিপথ বিশ্লেষণ করতে পেরেছিলেন।
২|  ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ১১:২৭
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ১১:২৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: 
ভাল লিখেছেন।
৬০-৭০ রের দশকে কঠিন মার্কিন মহাকাশ অভিযান নিয়ে আমার লেখাটি পড়ুন।
অসীমের সন্ধানে
  ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ১১:৫০
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ১১:৫০
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: 
আপনার লেখাটি বড় হলেও অনেক তথ্য বহুল। 
সবটা লেখেই মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। 
খুব ভাল লিখেছেন।
৩|  ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ১২:৩৪
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ১২:৩৪
কাছের-মানুষ বলেছেন: সেই সময়টাই চন্দ্রাভিজান এবং মহাকাশ অভিজান সত্যিই কঠিন, না ছিল এখনকার মত উন্নত প্রযুক্তি, কম্পিউটার, তারপরও সফতা এবং সাফল্যের সাথে তারা করতে পেরেছিল, যা এখনো এত প্রযুক্তি থাকার ফলেও প্রচন্ড বেগ পেতে হয়। প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান চর্চা করছে বিশ্বের হয়ত শতকার ৫ শতাংশের কম মানুষ, কিন্তু উপভোগ করছে সারা বিশ্ব, মানুষ প্রযুক্তির উন্নতির সাথে আলসে হয়ে উঠছে, বলতে গেছে আসতে আসতে বোকা হচ্ছে ।
আমরা এখন যে উন্নতিগুলো সেগুলো বিগত শতাব্দীর কঠিন কঠিন সব আবিস্কারের ফসল। মৌলিক আবিস্কার এখন হচ্ছে কম, যা হয়েছে আগের শতাব্দিগুলোতে। মোবাইল, স্মার্টফোন এবং উন্নত গেজেট  এগুলো কোন মৌলিক আবিস্কার নয় বরং এগুলো এসেছে বিগত শতাব্দিগুলর আবিস্কারের ধারাবাহিকতায়।  
ভদ্রমহিলা সত্যিই জিনিয়াস ছিলেন। 
  ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ১:৪৬
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ১:৪৬
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: 
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। 
২১শ শতাব্দীতেও অনেক নতুন আবিষ্কার এবং উদ্ভাবন হয়েছে। 
১. মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সনাক্তকরণ: বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এটা একটা যুগান্তকারী আবিষ্কার। এর ফলে বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যতে টাইম মেশিন বানাতে পারবে। 
২. মঙ্গল গ্রহে পানির অস্তিত্ব আবিষ্কার: 
৩. টেরানোসরাস রেক্স টিসু আবিষ্কার: যা ৭০ মিলিয়ন বা ৭ কোটি বছরের পুরাতন। 
৪. ডার্ক মেটার বা ডার্ক এনার্জি: বিশ্বের ৬৮ ভাগ এই ডার্ক মেটার দ্বারা গঠিত। 
৫. ক্যান্সার রুগীদের জিনের গঠন বিন্যাস। 
৬. মানুষের অঙ্গ তৈরি: কোন ডোনারের সাহায্য ছাড়াই স্টিম সেলের মাধ্যমে কিডনি, হৃদপিণ্ড, ব্রেন ইত্যাদি মানুষের শরীরে উৎপন্ন করে মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা যাবে। 
৭. পানি থেকে জ্বালানি উৎপাদন: যা ভবিষ্যতে কয়লা, তেল এবং অন্যান্য ফসিল ফুয়েলের বিকল্প হতে যাচ্ছে। যা পৃথিবীর রূপ বদলে দিবে।
৪|  ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  সকাল ৭:৪৪
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  সকাল ৭:৪৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ক্যাথরিন জনসনের প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা।
  ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ৮:০৮
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ৮:০৮
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: 
তাঁর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। 
এই সব ক্ষণজন্মা মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং অবদানের কারণে পৃথিবীর সভ্যতা এগিয়ে গেছে।
৫|  ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  সকাল ৯:১৩
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  সকাল ৯:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভালোবাসা।
  ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ৮:১০
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ৮:১০
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: 
আমাদের ভালবাসা, এবং শ্রদ্ধা এই অসাধারণ মানুষের প্রতি। 
তার অবদান আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।
৬|  ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  দুপুর ২:১৩
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  দুপুর ২:১৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: নক্ষত্রের বিদায় !
  ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ৮:১৩
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ৮:১৩
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: 
এই নক্ষত্র ধরাধাম থেকে বিদায় নিলেও, মহাকাশে অনন্তকাল থাকবেন। 
আর থাকবেন আমাদের অন্তরে।
৭|  ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  দুপুর ২:৪৫
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  দুপুর ২:৪৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: ভদ্রমহিলাতো দেখা যাচ্ছে সুপার জিনিয়াস ছিলেন। অসীম শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। এ রকম জিনিয়াসদের কল্যাণেই বিজ্ঞান আজ এখানে এসে পৌঁছেছে।
  ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ৮:৩০
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ৮:৩০
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: 
লেখা ছোট রাখার জন্য এই ভদ্রমহিলা সম্পর্কে অনেক কিছুই লেখা হয় নাই। 
এই মহিলা শুধু জিনিয়াসই ছিলেন না, তার ব্যক্তি জীবন সম্পর্কে জানলে আশ্চর্য হয়ে যাবেন। 
তিনি ১৯৩৭ সালে ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া স্টেট কলেজ থেকে গণিত এবং ফরাসি ভাষায় বি.এস. ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি summa cum laude গ্র্যাজুয়েট অর্থাৎ সর্বোচ্চ সম্মান প্রাপ্ত স্নাতক। 
১৯৩৯ সালে তিনি বিয়ে করেন। তার ৩ সন্তানকে লালন-পালন করার জন্য চাকরি-বাকরি ছেড়ে দেন। সন্তানরা বড় হওয়ার পর ১৯৫৩ সালে তিনি নাসাতে যোগ দেন। অর্থাৎ সন্তানদের জন্য ১৪ বছর চাকরি ছেড়ে ঘরে ছিলেন।
৮|  ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  বিকাল ৪:১৩
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  বিকাল ৪:১৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: পরিপক্ব লেখা । ♥️
  ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ৮:৩১
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ৮:৩১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: 
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৯|  ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  বিকাল ৪:২২
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  বিকাল ৪:২২
শের শায়রী বলেছেন: এক্সট্রা অর্ডিনারী জিনিয়াস ছিলেন।
  ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ৮:৪৬
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ৮:৪৬
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: 
কি রকম এক্সট্রা অর্ডিনারী জিনিয়াস ছিলেন --
তাকে বলা হতো, "স্কার্ট পরা কম্পিউটার" (computers who wore skirts)
যখন জানতে চাওয়া হতো, তিনি নাসাতে কি কাজ করেন? তখন বলা হতো, তিনি নাসাতে কম্পিউটার হিসাব কাজ করেন।
১০|  ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  বিকাল ৪:৪৪
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  বিকাল ৪:৪৪
টারজান০০০০৭ বলেছেন: ভাভাগো !! এই মহিলার স্বামী ক্যাডা জানিতে মুন চায় !!
  ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ৯:০২
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ৯:০২
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: 
ক্যাথরিন জনসনের প্রথম স্বামীর নাম জেমস ফ্রান্সিস গোবল। তাদের বিয়ে হয় ১৯৩৯ সালে। জেমস ফ্রান্সিস গোবল পেশায় কি ছিলেন এই তথ্য আমি পাই নাই। তবে তাদের তিনজন মেয়ে ছিল: কনস্ট্যান্স, জিলেটটা, এবং ক্যাথরিন।  ১৯৫৬ সালে তার প্রথম স্বামীর জেমস ফ্রান্সিস গোবল ব্রেন টিউমারে মারা যান। 
তারপর ১৯৫৯ সালে ক্যাথরিন, জেমস এ. জনসনকে বিয়ে করেন।  তিনি যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর অফিসার ছিলেন। ২০১৯ সালে ৯৩ বছর বয়সে জেমস এ. জনসন মারা যান। 
বর্তমানে তার ৬ জন নাতি-নাতনি এবং ১১ জন পুতি আছে।
১১|  ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ৯:৩৫
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ৯:৩৫
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ক্যাথরিনের আত্মার মাগফেরাত কামনা থাকল।
  ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ১০:১০
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ১০:১০
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: 
মানব সভ্যতার জন্য তিনি যে কাজ করে গেছেন, নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তা তাকে পুরস্কৃত করবেন।
১২|  ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  বিকাল ৪:১৩
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  বিকাল ৪:১৩
ফয়সাল রকি বলেছেন: ক্যাথেরিনের জন্য ভালোবাসা।
  ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ১০:১৯
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ১০:১৯
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: 
ক্যাথেরিনের মত মানুষরা পৃথিবীকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। 
মানুষের ভালবাসা তাদের প্রাপ্য।
১৩|  ০৩ রা মার্চ, ২০২০  রাত ১১:২১
০৩ রা মার্চ, ২০২০  রাত ১১:২১
সুমন কর বলেছেন: ক্যাথেরিনের জন্য শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।
  ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০  রাত ১০:০৫
০৪ ঠা মার্চ, ২০২০  রাত ১০:০৫
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: 
"ক্যাথেরিনের জন্য শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।"
ক্যাথেরিনের প্রতি মানুষের  শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা পৃথিবীকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ১১:১৮
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০  রাত ১১:১৮
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ক্যাথরিন জনসন এর মেধা ও সৃজনশীলতার জন্য আমার অশেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি ।