নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
১. যুক্তরাষ্ট্রে কি ভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনীত হন?
ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং রিপাবলিকান পার্টি স্ব স্ব জাতীয় সম্মেলনে নির্বাচনের মাধ্যমে নিজ দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে থাকে।
২. দলীয় জাতীয় সম্মেলনে কারা ভোটার?
(ক) প্রাথমিক ভাবে বিভিন্ন স্টেট থেকে ককাস (caucus) এবং প্রাথমিক নির্বাচনের (যাকে বলা হয় presidential primary elections বা primary elections বা শুধু primary) মাধ্যমে যারা প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে আসেন তারা দলীয় জাতীয় সম্মেলনে ভোটার হিসাবে ভোট দেন।
(খ) ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং রিপাবলিকান পার্টি এই দুইটি পার্টির জাতীয় সম্মেলনে ভোট দেয়ার নিয়ম ভিন্ন ভিন্ন।
প্রথমেই বলে নেই এই প্রক্রিয়া বেশ জটিল এবং একেক স্টেটে একেক নিয়ম। কোন একটা দলের কোন একটা স্টেটে কি নিয়ম হবে সেটা ঠিক করে সেই স্টেটের সেই দল। যেমন: মেরিল্যান্ডে কি নিয়মে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি তাদের প্রতিনিধি বা ডেলিগেট নির্বাচন করবে সেই নিয়ম ঠিক করবে ম্যারিল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি না)। অনুরূপ ভাবে ম্যারিল্যান্ডের রিপাবলিকান পার্টি ঠিক করবে তাদের নিয়ম।
৩. প্রতিনিধি বা ডেলিগেট নির্বাচনে মৌলিক ভাবে ২টা প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:
(এক) ককাস (caucus): এটা একটা দলীয় সম্মেলন। দল নির্বাচন পরিচালন করে। দলীয় সদস্যরা এখানে ভোট দেয়। অধিকাংশ স্টেটে প্রাইমারি হলেও মাত্র কয়েকটা স্টেটে ককাস হয়। স্টেটগুলি হল--আইওয়া, নেভাদা, নর্থ ডাকোটা, উয়োমিং এবং কেনটাকি (কেনটাকি স্টেটে শুধু মাত্র রিপাবলিকান পার্ট ককাস করে)। তাছাড়া আমেরিকান সামোয়া, দা ইউ এস ভার্জিন আইল্যান্ডস, এবং গুয়াম এই তিনটা ইউ এস টেরিটোরিতেও ককাস হয়।
(দুই) প্রাথমিক নির্বাচন (যাকে বলা হয় presidential primary elections বা primary elections বা শুধু primary)
প্রাইমারি নির্বাচন আবার কয়েক ধরণের।
(ক) ভোটারের ভিত্তিতে প্রাইমারি দুই প্রকার:
i. সীমাবদ্ধ (closed): এই ধরণের প্রাইমারিতে শুধু মাত্র দলীয় ভাবে রেজিস্ট্রিকৃত ভোটারগণই ভোট দিতে পারে।
ii. মুক্ত (open): যেকোনো পার্টির রেজিস্ট্রিকৃত ভোটার ভোট দিতে পারবে। তবে একজন ভোটার যেকোনো এক পার্টির প্রাইমারিতে ভোট দিতে পারবে।
(খ) ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রাইমারি আবার দুই প্রকার:
i. সরাসরি বা direct: ভোটাররা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন চায় এমন ব্যক্তিকে সরাসরি ভোট দিবে। যে বেশি ভোট পাবে ঐ স্টেটের সব প্রতিনিধি ঐ ব্যক্তির পক্ষে জাতীয় কনভেনশনে ভোট দিবে।
ii. পরোক্ষ বা indirect: ভোটাররা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন চায় এমন ব্যক্তিকে সরাসরি ভোট না দিয়ে প্রতিনিধি বা ডেলিগেট নির্বাচন করবে। নির্বাচিত ডেলিগেটরা জাতীয় সম্মেলনে বা কনভেনশনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন চায় এমন একজন ব্যক্তিকে ভোট দিবে।
৪. কোন দলের কতজন প্রতিনিধি?
i. এই বছর ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিনিধি সংখ্যা ৪৭৫০ জন। তারমধ্যে ৩৯৭৯ জন প্রতিশ্রুতি বদ্ধ প্রতিনিধি আর ৭৭১ জন অটোমেটিক প্রতিনিধি। এই অটোমেটিক ডেলিগেটদেরকে সুপার ডেলিগেটেও বলা হয়।
ব্যাখ্যা ১. ডেলিগেট সংখ্যা বছর বছর উঠা নাম করে। কোন স্টেটে কত ডেলিগেট হবে তা নির্ভর করে এক জটিল পাটিগণিতের মাধ্যমে। এই অংকের ফর্মুলাটা এখানে ব্যাখ্যা করলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে।
ব্যাখ্যা ২. প্রতিশ্রুতি বদ্ধ প্রতিনিধি বা pledged delegates: এই ধরণের প্রতিনিধিরা নির্বাচনের আগেই ঘোষণা করে সে ডেলিগেট নির্বাচিত হলে কোন প্রার্থীকে ভোট দিবে। অর্থাৎ সে কাকে ভোট দিবে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। তাই সে পার্টির জাতীয় কনভেনশনে তার প্রতিশ্রুত প্রার্থীকেই ভোট দিবে।
ব্যাখ্যা ৩. অটোমেটিক ডেলিগেটদেরকে সুপার ডেলিগেটে: এই ধরণের ডেলিগেটরা নির্বাচন ছাড়াই পদাধিকার বলে ডেলিগেট। যেমন-প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, ভাইস-প্রেসিডেন্ট, কংগ্রেস পার্সন, পার্টির লিডার ইত্যাদি।
ii. এই বছর রিপাবলিকান পার্টির প্রতিনিধি সংখ্যা ২৫৫১ জন। তারমধ্যে ২৪৪১ জন প্রতিশ্রুতি বদ্ধ প্রতিনিধি আর ১১০ জন প্রতিশ্রুতি ছাড়া প্রতিনিধি।
দুই দলের যেহেতু দুই ধরণের নিয়ম তাই আলাদা আলাদা আলোচনা করা হল।
৫. রিপাবলিকান পার্টির ২০২০ সালের ডেলিগেটদের নিয়ম:
৫.১. রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশন হবে এই বছরের ২৪-২৭ আগস্ট নর্থ ক্যারোলিনা স্টেটের সারল্যাট শহরে।
৫.২. মোট ডেলিগেট সংখ্যা ২,৫৫১ জন। তার মধ্যে ২,৪৪১ জন প্রতিশ্রুতি বদ্ধ প্রতিনিধি বা pledged delegate। আর ১১০ জন unpledged delegate বা প্রতিশ্রুতি ছাড়া প্রতিনিধি।
৫.৩. যিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পাবেন তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মনোনয়ন পাবেন। তবে তাকে কমপক্ষে ১,২৭৬ জন ডেলিগেটের ভোট পেতে হবে।
৫.৪. নির্বাচিত ডেলিগেটদের কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশকে ন্যাশনাল কনভেনশনে ভোট প্রদান করতে হবে।
৫.৫. ডেলিগেট মনোনয়ন এবং তাদের ভোট দেয়ার ধরণ আবার ৩ ধরণের:
i. আনুপাতিক হরে (Proportional): আনুপাতিক হারের আবার দুইটা ধরণ আছে। উদাহরণ দিয়ে বুঝার চেষ্টা করি।
(ক) ধরা যাক ৩ জন প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন চায় -- "ক" "খ" এবং "গ"। ঐ স্টেটে ডেলিগেট সংখ্যা ১০টি। ডেলিগেট নির্বাচনের আগেই ডেলিগেট প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে জাতীয় কনভেনশনে সে কোন প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিবে বলে দিয়েছে। ফলাফলে দেখা গেল, যারা "ক" কে ভোট দিবে বলেছে তারা ৫জন পাস করেছে, যারা "খ" কে ভোট দিবে বলেছে তারা ৩ জন পাস করেছে, এবং যারা "গ" কে ভোট দিবে বলেছে তারা ২ জন পাস করেছে। যেহেতু তারা প্রতিশ্রুতি বদ্ধ প্রতিনিধি বা pledged delegate তাই ঐ ৫ জন "ক"কে, ৩ জন "খ" কে এবং ২ জন "গ"কে ভোট দিবে
(খ) ধরা যাক ৩ জন প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন চায় -- "ক" "খ" এবং "গ"। ঐ স্টেটে ডেলিগেট সংখ্যা ১০টি। এই স্টেটের নিয়ম হচ্ছে ভোটাররা সরাসরি প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন চায় -- "ক" "খ" অথবা "গ" কে ভোট দিবে। ফলাফলে দেখা গেল "ক" প্রদত্ত ভোটার ৬০%, "খ" ২০% এবং "গ" ২০% পেয়েছে। তাহলে ১০ জন ডেলিগেটের ৬০% অর্থাৎ ৬ জন "ক" কে এবং ২০% অর্থাৎ ২ জন করে "খ" এবং "গ" কে জাতীয় কনভেনশনে ভোট দিবে।
ii. বিজয়ী সব পাবে (Winner-take-all): ধরা যাক ৩ জন প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন চায় -- "ক" "খ" এবং "গ"। ঐ স্টেটে ডেলিগেট সংখ্যা ১০টি এবং ভোটার সংখ্যা ১০০ জন। ফলাফলে দেখা গেল "ক" ৪০টা, "খ" ৩৫টা এবং "গ" ২৫টা ভোট পেয়েছে। "ক" সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। তাই এই স্টেটের ১০ জন ডেলিগেটই জাতীয় কনভেনশনে "ক"কে ভোট দিবে অর্থাৎ "খ" এবং "গ" এই স্টেট থেকে জাতীয় কনভেনশনে কোন ভোট পাবে না। সব ভোট পাবে "ক" .
iii মিশাল (Hybrid): এই পদ্ধতিতে Winner-take-all এ কিছু প্রতিনিধি আবার আনুপাতিক হরে (Proportional) কিছু।
৫.৬. প্রতিশ্রুতি বদ্ধ প্রতিনিধি বা pledged delegate ৪ ধরণের:
i. জেলা প্রতিনিধি (Pledged district delegates): প্রতিটি নির্বাচনী জেলা (congressional district) থেকে ৩ জন প্রতিনিধি।
ii. বৃহত্তর জেলা প্রতিনিধি (Pledged at-large delegates): প্রতিটা স্টেট থেকে ১০ জন প্রতিনিধি।
iii. দলীয় নেতা প্রতিনিধি (Pledged party leaders): প্রতিটি স্টেট থেকে ৩ জন নেতা। এই ৩জন হলেন -- ঐ স্টেটকে জাতীয় ভাবে প্রতিনিধিত্ব করেন যে একজন পুরুষ নেতা এবং এক জন মহিলা নেতা এবং ঐ স্টেটের পার্টির প্রধান।
iv. বোনাস প্রতিনিধি (Pledged bonus delegates): বোনাস প্রতিনিধি আসবে নিম্নলিখিত স্টেটগুলি থেকে:
ক. বিগত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যে স্টেটের ইলেক্টোরাল ভোট রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পক্ষে গিয়েছিল;
খ. যে স্টেটের গভর্নর রিপাবলিকান পার্টির;
গ. যে স্টেট থেকে যুক্তরাষ্ট্র হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভে কমপক্ষে অর্ধেক আসন আছে। যেমন ধরা যাক, একটা স্টেটে হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভে ১০ তা আসন আছে। সেই স্টেটে রিপাবলিকানরা ১০টার মধ্যে ৫টাতে জয়ী হয়েছে;
ঘ. যে স্টেটের আইন সভায় রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে;
ঙ. যে স্টেটের আইন সভার উভয় কক্ষে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ;
চ. যে স্টেট থেকে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটে সিনেটর আছে।
৫.৭. প্রতিশ্রুতি ছাড়া প্রতিনিধি (Unpledged delegates): অনেকগুলি স্টেট আছে যেখানকার প্রতিনিধিরা জাতীয় কনভেনশনে কোন প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আগে থেকে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ নয়। যেমন--
ক. পেনসিলভানিয়ার ৫৪ জন জেলা প্রতিনিধি;
খ. নর্থ ডাকোটার ২৯ জন ডেলিগেট;
গ. কলোরাডোর ৩ দলীয় নেতা প্রতিনিধি;
ঘ. উয়োমিং ৩ দলীয় নেতা প্রতিনিধি;
ঙ. আমেরিকান সামোয়া এবং গুয়ামের ৯ জন করে মোট ১৮ জন; এবং
চ. ভার্জিন আইল্যান্ডের ৩ দলীয় নেতা প্রতিনিধি।
৬. ডেমোক্রেটিক পার্টির ২০২০ সালের ডেলিগেটদের নিয়ম:
৬.১. ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কনভেনশন হবে এই বছরের ১৩-১৬ জুলাই উইসকনসিন স্টেটের মিলুআউকি শহরে।
৬.২. মোট ডেলিগেট সংখ্যা ৪,৭৫০ জন। তার মধ্যে ৩,৯৭৯ জন প্রতিশ্রুতি বদ্ধ প্রতিনিধি বা pledged delegate। আর ৭৭১ জন অটোমেটিক প্রতিনিধি। এই অটোমেটিক ডেলিগেটদেরকে সুপার ডেলিগেটেও বলা হয়।
৬.৩. প্রতিশ্রুতি বদ্ধ প্রতিনিধিদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট যিনি পাবেন তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মনোনয়ন পাবেন। তবে তাকে কমপক্ষে ১,৯৯১ জন প্রতিশ্রুতি বদ্ধ প্রতিনিধির ভোট পেতে হবে।
৬.৪. যদি কোন প্রার্থী কম পক্ষে ১,৯৯১টি ভোট না পায় সেই ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বার ভোট হবে।
৬.৫. দ্বিতীয় বার ভোট হলে অটোমেটিক প্রতিনিধিরা ভোট দিতে পারবে।
৬.৬. দ্বিতীয় বার ভোট হলে প্রার্থীকে কম পক্ষে ২,৩৭৬টা ভোট পেতে হবে।
৬.৭. কোন কোন স্টেটে ভোটাররা প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন পেতে চায় এমন ব্যক্তিকে সরাসরি ভোট দিবে। যিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়ে বিজয়ী হবেন তার পক্ষে জাতীয় কনভেনশনে ভোট দেয়ার জন্য ঐ স্টেটের পার্টি প্রতিনিধি ঠিক করে দিবেন। এই পদ্ধতিটা রিপাবলিকান পার্টির বিজয়ী সব পাবে (Winner-take-all) ধরণের।
৬.৮. কোন কোন স্টেটে পরোক্ষ বা indirect ভোট হবে। ভোটাররা প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন পেতে চায় এমন ব্যক্তিকে সরাসরি ভোট না দিয়ে কোন প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন পেতে চায় এমন ব্যক্তিকে সমর্থন করে এমন কোন ব্যক্তিকে প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচন করবে।
৬.৯. কোন প্রার্থী যদি প্রাইমারি নির্বাচনে বা ককাসে কমপক্ষে ১৫% ভোট না পায়, তাহলে সে আনুপাতিক ভোটের ভাগ পাবে না।
৬.১০. বিকল্প ডেলিগেট: প্রতিটা স্টেট থেকে বিকল্প ডেলিগেট জাতীয় কনভেনশনে অংশ নিবে। কিন্তু তারা সাধারণ ভাবে ভোট দিতে পারবে না। যদি কোন কারণে কোন নির্বাচিত প্রতিনিধি কনভেনশনে অংশ নিতে না পারে সেই ক্ষেত্রে বিকল্প প্রতিনিধি ভোট দিবে।
৬.১১. প্রতিশ্রুতি বদ্ধ প্রতিনিধি বা pledged delegate ৩ ধরণের:
i. জেলা প্রতিনিধি (Pledged district delegates): প্রতিটি নির্বাচনী জেলা (congressional district) থেকে প্রতিনিধি।
ii. বৃহত্তর জেলা প্রতিনিধি (Pledged at-large delegates): প্রতিটা স্টেট থেকে প্রতিনিধি।
iii. বাড়তি প্রতিনিধি (Pledged "add on" delegates): প্রতি স্টেটের দলীয় নেতা এবং নির্বাচিত কর্মকর্তা। একটা ফর্মুলার মাধ্যমে এই সংখ্যাটা ঠিক করা হবে। ফর্মুলাটা হচ্ছে জেলা প্রতিনিধি এবং বৃহত্তর জেলা প্রতিনিধির সমষ্টিকে ০.১৫ দ্বারা গুণ করে যে সংখ্যা পাওয়া যাবে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৭
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
"এত নিয়ম কেন?"
এত নিয়মের অনেকগুলি কারণ আছে।
প্রথমত: গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা।
দ্বিতীয়ত: তারা জানে কোন একটা একক আইন সব সমস্যার সমাধান করতে পারে না।
তৃতীয়ত: যখনই নিয়মের মধ্যে কোন ফাঁকফোকর চোখে পড়েছে, তখনই সেই ফাঁক বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
চতুর্থত: জনমত যাতে সঠিক ভাবে প্রতিফলিত হয় তা নিশ্চিত করার মরিয়া প্রচেষ্টা।
"ঐ দেশে কি রাতের বেলা ভোট কাটার সিস্টেম নাই না তারা সেই সিষ্টেম জানেনা?"
১. এই দেশে যে দুষ্ট লোক নাই তা না, কিন্তু সংখ্যায় কম।
২. দুষ্ট লোকেরা যাতে সুবিধা করতে না পারে সেই কারণে কঠিন নিয়মের বেড়াজাল সৃষ্টি করা হয়েছে।
৩. অধিকাংশ লোক ভাল, তারা চায় সুষ্ঠু নির্বাচন।
৪. তারা জনমতকে শ্রদ্ধা করে।
৫. তারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমে একটা ভাল সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে।
৬. তারা বিশ্বাস করে ভিন্নমত থাকবেই। তাই নির্বাচনের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতকে মনে নেয়াই ভাল।
২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২২
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো নিয়ম কানুন।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৫
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
"ভালো নিয়ম কানুন।"
এইগুলিকে "ভালো নিয়ম কানুন" মনে করে আপনি ভাল মনের পরিচয় দিয়েছেন।
এখন এই ভাল নিয়ম কানুনগুলি বাংলাদেশে প্রচলন করতে পারলে আরো ভাল।
আপনি তো একজন শক্তিশালী লেখক।
আপনি কি আপনার লেখনীর মাধ্যমে চেষ্টা করবেন যাতে এই ধরণের নিয়ম কানুনগুলি বাংলাদেশে চালু হয়।
বাংলাদেশে একবার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করতে পারলে দেশের চেহারা রাতটি পাল্টে যাবে।
৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:১৯
বাকপ্রবাস বলেছেন: মাথা ঘুরাচ্ছে পড়ে
০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
"মাথা ঘুরাচ্ছে পড়ে"
নিয়ম কানুনগুলি যে একটু জটিল এতে কোন সন্দেহ নাই।
তবে একটু ধৈর্য নিয়ে পড়লে সহজ হয়ে যাবে।
আসলে নিয়ম কানুনগুলি এক দিনে এত জটিল হয় নাই।
প্রায় আড়াই শ' বছর ধরে ধীরে ধীরে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে এই নিয়ম কানুনগুলি চালু হয়েছে।
এখনও প্রতিবছর নিয়ম কানুনগুলি কিছু না কিছু পরিবর্তন হয়।
এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।
সব সমাজেই কিছু খারাপ লোক থাকে। তারা সব সময় চেষ্টা করে এবং গবেষণা করে কি ভাবে নিয়মের ফাঁকফুকুর গলিয়ে কিছু একটা সুবিধা তার পক্ষে করা যায়। এবং এক সময় সে হয়তো সফল হয় বা ধরা পরে যায়।
আর তখনই ঐ ফাঁকটা বন্ধ করার জন্য নতুন একটা নিয়ম প্রণয়ন করা হয় অথবা কিছু পরিবর্তন করা হয়।
আবার কোন কোন সময় চিন্তা করা হয় যে কিছু নিয়ম পরিবর্তন করলে আরো ভাল ফল পাওয়া যাবে, তখনও পরিবর্তন বা সংযোজন করা হয়।
এই সব করতে করতে ক্রমে ক্রমে এই ধরণের জটিল রূপ ধারণ করেছে।
অবশ্য আমাদের কাছে একটু বেশি কঠিন মনে হচ্ছে এই কারণে যে আমরা হটাৎ করে এইগুলি পড়ছি।
তারা এইগুলি নিয়মিত চর্চা করে বলে এত কঠিন মনে হয় না।
তাছাড়া এই লেখাটা সবগুলি স্টেটের সামগ্রিক চিত্র।
আমেরিকানরা যার যার স্টেটের নিয়মগুলি প্রাথমিক ভাবে জানে।
যেমন একজন মারিল্যান্ডার শুধু ম্যারিল্যান্ডের নিয়ম জানলেই চলে।
৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: বাকপ্রবাস বলেছেন: মাথা ঘুরাচ্ছে পড়ে।
অ্যাতো অ্যাতো জটিল নিয়ম করে কি লাভ? সেই তো ট্রাম্পই নির্বাচিত হয়...
০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৫৯
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
"অ্যাতো অ্যাতো জটিল নিয়ম করে কি লাভ? সেই তো ট্রাম্পই নির্বাচিত হয়"
এত এত জটিল নিয়ম করার উদ্দেশ্য কিন্তু কোন ব্যক্তি বিশেষকে লক্ষ্য করে নয়।
এই নিয়মগুলি উদ্দেশ্য কিন্তু কোন ব্যক্তি বিশেষ বা কোন বিশেষ দলকে হারানো বা জিতানোর জন্য নয়।
এত এত জটিল নিয়ম করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যাতে জনগণ তাদের মত প্রকাশ করতে পারে।
এই নিয়ম কানুনগুলির পিছনে অনেক মৌলিক রাষ্ট্র ভাবনা আছে।
রাষ্ট্র বিজ্ঞানে এই তত্ত্বগুলি ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
একটা শক্তিশালী কল্যাণকর রাষ্ট্রের ভিত্তি হচ্ছে জনমত।
আপনার এই মন্তব্যের সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ভাবনার মিল আছে।
এই ভাবনাটা এই রকম, যেহেতু আমার পছন্দের লোকটি পাস করতে পারে নাই তাই এই নিয়ম কানুনের কোন দরকার নাই।
আর যদি কোন বিশেষ নিয়মের ফলে শুধু আমি এবং/অথবা আমার পছন্দের লোক নির্বাচনে জিতে তাহলে ঐ নিয়মটি ভাল।
অন্যথায় এমন নিয়ম করতে হবে যাতে শুধু আমি এবং/অথবা আমার পছন্দের লোক নির্বাচনে জিততে পারে।
৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১১
পদ্মপুকুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যের সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ভাবনার মিল আছে। এই ভাবনাটা এই রকম, যেহেতু আমার পছন্দের লোকটি পাস করতে পারে নাই তাই এই নিয়ম কানুনের কোন দরকার নাই। আর যদি কোন বিশেষ নিয়মের ফলে শুধু আমি এবং/অথবা আমার পছন্দের লোক নির্বাচনে জিতে তাহলে ঐ নিয়মটি ভাল। অন্যথায় এমন নিয়ম করতে হবে যাতে শুধু আমি এবং/অথবা আমার পছন্দের লোক নির্বাচনে জিততে পারে।
না না, বিষয়টি এমন নয়। আমি আসলে বলতে চাইছি গেল নির্বাচনে যেটা হয়েছিলো, সবাই প্রেডিক্ট করেছিলো যে হিলারি আসবে। পপুলার ভোটেও বোধহয় এগিয়ে ছিলেন, কিন্তু ইলেকটোরাল কলেজের ফ্যাকড়ায় পড়ে শেষে ট্রাম্প আসলেন... তাহলে এই যে নিয়মের বেড়াজাল, সেটা অপেক্ষাকৃত সুজন হিলারীকে আটকে দিলো, কিন্তু প্রচুর অভিযোগ থাকা সত্বেও ট্রাম্প বিজয়ী হলেন...
০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:৫৬
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
i. "সবাই প্রেডিক্ট করেছিলো যে হিলারি আসবে।"
প্রেডিকশন তো প্রেডিকশন। কখনও ঠিক হতে পারে আবার নাও হতে পারে।
ii. "পপুলার ভোটেও বোধহয় এগিয়ে ছিলেন, কিন্তু ইলেকটোরাল কলেজের ফ্যাকড়ায় পড়ে শেষে ট্রাম্প আসলেন"
১. হ্যাঁ, এটা ঠিক হিলারি পপুলার ভোট বেশি পেয়েছিলেন।
২. আড়াই শত বছরে এই রকম ঘটনা ৪টা নির্বাচনে হয়েছে -- ১৮৭৬, ১৮৮৮, ২০০০ এবং ২০১৬ সালে। অর্থাৎ পপুলার ভোট বেশি পেয়েও ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে হেরে গেছেন।
৩. এই চারটা ঘটনায় ইলেকটোরাল কলেজ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
৪. কোন আইন বা নিয়ম অল প্রুফ না। তাই সময়ে সময়ে আইন পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং নতুন আইন সংযোজনের প্রয়োজন হয়।
৫. ইলেকটোরাল কলেজের পক্ষে যুক্তি:
৫.১. শহর কেন্দ্রিক বিজয় প্রতিরোধ করা;
৫.২. আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা অর্থাৎ ফেডারেল সিস্টেম টিকিয়ে রাখা;
৫.৩. সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীগুলির গুরুত্ব বজায় রাখা;
৫.৪. দ্বি-দলীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে ফেডারেল সরকারে একধরণের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা;
৫.৫. প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মারা গেলে যেন পুরা নির্বাচন বাতিল না হয়ে যায়;
৫.৬. কোন এক স্টেটে নির্বাচনী সমস্যা হলে পুরা নির্বাচন যাতে বাতিল না হয়ে যায়।
৬. ইলেকটোরাল কলেজের বিপক্ষে যুক্তি:
৬.১. পপুলার ভোটকে গুরুত্ব না দেয়া;
৬.২. দোদুল্যমান স্টেটগুলিতে বেশি গুরুত্ব দেয়া;
৬.৩. ভোটদান এবং অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করা;
৬.৪. কোন স্টেটে ভোটের ক্ষেত্রে কোন আইনগত বা প্রক্রিয়াগত বাধা থাকলে তা দৃশ্যমান হয় না;
৬.৫. ইউ এস টেরিটরিগুলিতে ভোটের অধিকার খর্ব করে;
৬.৬. স্টেটের জনসংখ্যার ভিত্তিতে কম জনসংখ্যার স্টেটগুলি বেশি সুবিধা পায়;
৬.৭. দুই দলের বাইরে তৃতীয় কোন দলের উত্থান সম্ভব না।
৭. ইলেকটোরাল কলেজের পক্ষে যেমন যুক্তি আছে বিপক্ষেও তেমন আছে। উভয় পদ্ধতির কিছু সুবিধা আবার কিছু অসুবিধা আছে। আমেরিকার রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, এবং নির্বাচনের বিষয়ে বিশেষজ্ঞগণ এই সুবিধা অসুবিধাগুলি নানান ভাবে পর্যালোচনা করে দেখছেন।
iii. "... সেটা অপেক্ষাকৃত সুজন হিলারীকে আটকে দিলো, ..."
কারো চোখে যেটা "সুজন" অন্যের চোখে হয়তো সেটা "কুজন"
iv. "...কিন্তু প্রচুর অভিযোগ থাকা সত্বেও ট্রাম্প বিজয়ী হলেন..."
এই "প্রচুর অভিযোগ" কোন কোন ভোটারের কাছে মনে হয়েছে ভিত্তিহীন। তারা তাকে ভোট দিয়েছে।
আবার কোন কোন ভোটার মনে করেছে "প্রচুর অভিযোগ" সত্য হলেও তাদের জন্য বা দেশের জন্য কোন সমস্যা না।
সি এন এনে একবার এক সমর্থকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তার সম্পর্কে এত অভিযোগ জানার পরেও তাকে ভোট দিলেন?
সেই সমর্থক বলেছিল, জানি তার সম্পর্কে। এতে আমার কিছু আসে যায় না। সে হলে আমার এবং দেশের এই এই লাভ হবে, তাই তাকে ভোট দিয়েছি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৫৯
(লাইলাবানু) বলেছেন: এত নিয়ম কেন ? ঐ দেশে কি রাতের বেলা ভোট কাটার সিষ্টেম নাই না তারা সেই সিষ্টেম জানেনা ?