নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনাভাইরাসের নতুন ওষুধ রিমডেসিভির

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৭



আমেরিকাতে রেমডেসিভির (Remdesivir) নামের একটা ওষুধ করোনা ভাইরাস (SARS-CoV-2) আক্রান্ত রুগীদের উপর প্রয়োগ করে সফলতা পাওয়া গেছে। এই ওষুধটি ৫৩ জন রুগীর উপর প্রয়োগ করে করা হয়েছিল। এরমধ্যে ৩৬ জন ভাল হয়ে গেছে। অর্থাৎ প্রায় ৬৮% রুগী ভাল হয়ে যায়।



রিমডেসিভির ওষুধটি নিউক্লিওটাইড অ্যানালগাস শ্রেণির একটি অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ। রিমডেসিভির একটা জৈব যৌগ। এটার কাজ হলো কোন RNA ভাইরাস শরীরে ঢুকার সাথে সাথে ঐ ভাইরাসটাকে অকার্যকর করে দেয়। রিমডেসিভির ওষুধটি আরেকটি নাম হচ্ছে GS-5734. ওষুধটি ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরায় প্রদান করতে হয়।



রিমডেসিভির কি ভাবে কাজ করে?
যে সব রুগী নিশ্চিত ভাবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল এবং যারা স্বাভাবিক ভাবে বা অক্সিজেন মাধ্যমে শ্বাসপ্রশ্বাস নেয়ার সময় তাদের রক্তে ৯৪% বা তার কম অক্সিজেন ছিল তাদেরকে এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। এই রুগীদেরকে ১০ দিনের একটা কোর্স দেয়া হয়। প্রথম দিন ২০০ মিলিগ্রামের একটা ডোজ পরে ১০০ মিলিগ্রাম করে বাকি ৯ দিন ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরায় প্রদান করা হয়।



যারা এই ওষুধ নিয়ে গবেষণা করছেন:
জোনাথন গ্রেইন, এমডি,
নরিও ওহমগারি, এমডি, পিএইচডি,
ড্যানিয়েল শিন, এমডি,
জর্জ ডিয়াজ, এমডি,
এরিকা এস্পার্জস, এমডি,
অ্যান্তোনেলা কাস্তাগনা, এমডি,
টর্স্টেন ফিল্ড্ট, এমডি,
গ্যারি গ্রিন, এমডি,
মার্গারেট এল গ্রিন, এমডি, এমপিএইচ,
ফ্রান্সোইস-জাভিয়ের লেস্কোয়ার, এমডি, পিএইচডি,
ইমানুয়েল নিকাস্ট্রি, এমডি,
রেন্টারো ওডা, এমডি এবং আরো কয়েকজন।

তথ্য সূত্র:
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন

ব্লুমবার্গ

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মদ আলী আকন্দ,





অবশ্যই ভালো সংবাদ।

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


"অবশ্যই ভালো সংবাদ।"

আমাদেরকে সবসময় আশা জাগে এমন কথাই বলতে হবে।
সারাদিন শুনবেন পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে বা যাচ্ছে।
গজব।
গুজব। ইত্যাদি।
মানুষ তার সৃষ্টিকর্তা কাছ থেকে যে শক্তি পেয়েছে সেই সম্পর্কে সে জানে না।
মানুষ মনে করে মানুষ অসহায়।
মানুষ মনে করে সৃষ্টিকর্তা মানুষ সৃষ্টি করেছেন কোস্ট দেয়ার জন্য।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আশার কথা। মানুষ সফল হোক।

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"আশার কথা। মানুষ সফল হোক।"

আমাদের সৃষ্টিকর্তারও ইচ্ছা মানুষ সফল হউক।
বিশ্বাস করেন মানুষের অনেক শক্তি এবং ক্ষমতা।
মানুষ এই শক্তি এবং ক্ষমতা পেয়েছে তার সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে।

মানুষের উপর এই ধরণের পরিস্থিতিগুলি আসে মানুষকে আরো শক্ত, আরো ক্ষমতাবান, এবং আরো জ্ঞানী করার জন্য।

মানুষ মৃত্যু দিয়ে মৃত্যু ঠেকিয়ে দিতে পারে।

আশাবাদী থাকুন, সতর্ক থাকুন, সাবধান থাকুন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন এবং সৃষ্টিকর্তার উপর কৃতজ্ঞ থাকুন।

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনাকে ধন্যবাদ, দরকারী বিষয়ের উপর তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন।

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"আপনাকে ধন্যবাদ, দরকারী বিষয়ের উপর তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন।"

কেমন আছেন নিউ ইয়র্কার?
এখন এমন এক সময় ঘরে বসে বেঁচে থাকাই বীরত্ব।

অজ্ঞানতা থেকেই সব গজব আর গুজবের সৃষ্টি।

আমি প্রথম থেকেই চেষ্টা করছি সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য।

মানুষ সঠিক তথ্য জানতে পারলেই আতংক কেটে যাবে।

মানুষ বুঝতে পারবে কি তার করণীয়।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট নিউজ।

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



ভালো থাকুন।
আশাবাদী থাকুন।

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: করোনা ভাইরাসে নাকি ৬০% থেকে ৭০% রোগী এমনিই ভালো হয়ে যায়। কিভাবে বুঝল যে এই ওষুধের জন্যই রোগ মুক্তি ঘটেছে। তবে সত্যি যদি কাজ করে থাকে তবে নিঃসন্দেহে এটা একটা সুসংবাদ।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



আমি লেখার সাথে কিছু লিংক যোগ করে দিয়েছি।
ওই লিঙ্কগুলিতে গেলে দেখতে পাবেন কি ভাবে বৈজ্ঞানিকরা গবেষণা করে।

যেকোনো গবেষণার একটা মেথোডোলজি আছে।
তারা গবেষণার সময় এই পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করে।

আপনি যে প্রশ্নটা করেছেন তারা সেটাকেও মাথায় রাখে।
রুগীটা কি এমনি এমনি ভাল হয়ে যাচ্ছে না ওষুধ প্রয়োগের ফলে ভাল হয়েছে? -- এই বিষয়টাও তারা বিবেচনায় রাখে।

আরো অনেক অনেক ফ্যাক্টর তারা বিবেচনা করে।
ফলে একটা ওষুধ গবেষণাগার থেকে বাজারে আসতে অনেক সময় লাগে।

যখন তারা নিশ্চিত হয় এই ওষুধটার কারণেই এই অসুখটা ভাল হচ্ছে তখন তারা চূড়ান্ত ভাবে ঘোষণা করে।

এই ঘোষণায় শেষ না।
তখন FDA নামে একটা কঠোর প্রতিষ্ঠান আছে, তারা বিজ্ঞানীদের তথ্য গুলি চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ শুরু করে।
যখন তারা নিশ্চিত হয়ে তখন কোন একটা ওষুধ কোম্পানিকে ওই ওষুধ বাজার জাত করার অনুমতি দেয়।

সুতরাং নিশ্চিত থাকতে পারেন।

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২৫

মা.হাসান বলেছেন: অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর তথ্য।
সাধারণ লোকের রক্তে অক্সিজেন ৯৫% এর উপরে থাকে। ধূমপায়িদের ক্ষেত্রে বা সাধারণ জ্বরেও এটা কিছু কমে যেতে পারে। ঘুমের সময় ৯০% এর নিচেও থাকতে পারে।
উল্লিখিত ৫৩ জন পেশেন্টের কেউই আইসিইউতে ছিলেন না। কেউ কেউ স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস নিচ্ছিলেন (১৯ জন), কেউ কেউ invasive ventilation এর উপর ছিলেন( ৩৬ জন)। । প্রথম ক্যাটাগরির পেশেন্টের মধ্যে ১ জন মারা যায় , ভালো হবার হার ৯৫% , এদের মধ্যে ওষুধ ছাড়া ভালো হবার রেট এমনিতেই ৯০%এর বেশি। invasive ventilationএ থাকা পেশেন্টদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মারা যায় । কেউই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলো না বা লাইফ সাপোর্টে ছিলো না। কোনো পেশেন্টেরই লিভার বা কিডনির সমস্যা ছিলো না।

মোট ৬৮% রুগি ভালো হয় নি, ৪৭% ভালো হয়ে হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ হয়েছে, ২১% এর ইম্প্রুভমেন্ট হয়েছে কিন্তু চিকিৎসা চলছে।

করোনা আক্রান্ত রুগিদের শতকরা ৮০ ভাগ বা এর বেশি শুধু প্যারাসিটামল দিয়েই ভালো হয়ে যায়। আপনি কি বলবেন প্যারাসিটামল করোনার ওষুধ?

আপনি কষ্ট করে রিসার্চ গ্রুপের প্রায় সবার নাম দিয়েছেন , কিন্তু উল্লেখ করতে ভুলে গেছেন যে এই স্টাডিটা ফান্ড করেছে ঐ Remdesivir ওষুধ কম্পানি (Gilead Sciences) ।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:১৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



১. Compassionate Use of Remdesivir for Patients with Severe Covid-19 শিরোনামে মূল আর্টিকেলটা প্রকাশিত হয়েছে The New England Journal of Medicine. আমি এটার লিংক দিয়েছি।

২. The New England Journal of Medicine (NEJM) একটা উন্নতমানের সাইন্টিফিক জার্নাল যার প্রকাশক Massachusetts Medical Society (MMS)

৩. Massachusetts Medical Society (MMS) আমেরিকাতে সবচেয়ে পুরাতন এবং মর্যাদা সম্পন্ন মেডিকেল এসোসিয়েশন। ১৭৮১ সালে ১ নভেম্বর এটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে এখনও অকার্যকর আছে। এর সদস্য সংখ্যায় ২৫ হাজার ডাক্তার এবং মেডিকেল স্টুডেন্ট। এখন এত বড় নামীদামী প্রতিষ্ঠান যদি বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয় তাহলে আমাকে এটা বিশ্বাস করতে হবে।

৪. তারা তাদের গবেষণা প্রবন্ধে আপনি যে প্রশ্নগুলি উত্থাপন করেছেন তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। এখানে আমার পক্ষে বিস্তারিত বিবরণ দেয়া সম্ভব না। তাই আমি শুধু তাদের গবেষণার ধরণের একটা আউট লাইন দিচ্ছি। আপনি দয়া করে মূল আর্টিকেলটা পড়ে নিবেন। আর আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি আপনি যদি মনে করেন তাদের গবেষণা ভুল তাদের আর্টিকেলের নিচে লিংক দেয়া আছে আপনি তাদের সাথে আলোচনা করতে পারেন। পৃথিবী আপনার সহায়তায় আরো কোন ভাল ওষুধ পেয়ে যেতে পারে।

৫. তাদের গবেষণার ধরণ:
A. Methods
i. PATIENTS
ii. STUDY ASSESSMENTS
iii. PROGRAM OVERSIGHT
iv. STATISTICAL METHODS

B. Results
i. PATIENT RANDOMIZATION
ii. BASELINE CHARACTERISTICS OF THE PATIENTS
iii. CLINICAL IMPROVEMENT DURING REMDESIVIR TREATMENT
iv. MORTALITY
v. SAFETY
vi. LABORATORY DATA

C. Discussion বেশ কয়েক পৃষ্ঠা তারা পুরা জিনিসটা বিস্তারিত ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন।

"করোনা আক্রান্ত রুগীদের শতকরা ৮০ ভাগ বা এর বেশি শুধু প্যারাসিটামল দিয়েই ভালো হয়ে যায়। আপনি কি বলবেন প্যারাসিটামল করোনার ওষুধ?"

৮০ ভাগ তো দূরের কথা একজন রুগীও প্যারাসিটামল খেয়ে ভাল হয় না। প্যারাসিটামল জ্বর কমানোর ওষুধ। প্যারাসিটামলে করোনা তো দূরের কথা কোন অসুখ ভাল হয় না। জ্বর কোন ওষুধ না। জ্বর অসুখের লক্ষণ। সুতরাং আমি কেন পৃথিবীর কেউ বলবে না প্যারাসিটামল করোনার ওষুধ।

"আপনি কষ্ট করে রিসার্চ গ্রুপের প্রায় সবার নাম দিয়েছেন ,"

না, রিসার্চ গ্রুপের প্রায় সবার নাম দিতে বেশি কষ্ট করতে হয় নাই। কপি করে পেস্ট করে দিয়েছি।


"কিন্তু উল্লেখ করতে ভুলে গেছেন যে এই স্টাডিটা ফান্ড করেছে ঐ Remdesivir ওষুধ কম্পানি (Gilead Sciences) ।"

না, আমি গুরুত্বপূর্ণ কোন কিছু উল্লেখ করতে ভুলে যাই নাই। আমার লেখার বিষয়বস্তুর সাথে এই রিসার্চের জন্য কোন কোম্পানি ফান্ড করেছে এটা প্রাসঙ্গিক না বলেই উল্লেখ্য করি নাই। এটা হচ্ছে প্রথম কথা।

দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, কোন ওষুধ কোম্পানি রিসার্চের জন্য ফান্ড করলে দোষের কিছু না। বরং আমেরিকার আইনে প্রতিটা কোম্পানিকে তার বার্ষিক আয়ের একটা বিরাট অংশ রিসার্চের জন্য ফান্ড করতে হয়। যার ফলে আমেরিকার ইউনিভার্সিটি গুলিতে রিসার্চের জন্য কোন টাকার অভাব হয় না।

সবশেষে চমৎকার একটা প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:১৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"১৭৮১ সালে ১ নভেম্বর এটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে এখনও কার্যকর আছে।" হবে।

৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১৫

নতুন বলেছেন: যদি নিজেরাই রিসাচ` করতে ফান্ডিং করে তবে সেটা তাদের পক্ষে বিপক্ষে যাবার সম্ভবনা কম।

যদি ঔষুধটা কাজ হয় এবং এফডিএ অনুমদন পায় তবে সবার জন্য ভালো খবর।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৫২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



একটা দেশ এমনি এমনি উন্নত হয় না।
কোম্পানিগুলি লাভের সব অংশ তাদের ঝুলায় ভরতে পারে না।
নিচে গত বছরের একটা হিসাব দিচ্ছি। এতে দেখতে পাবেন আমেরিকার ওষুধ এবং মেডিকেল কোম্পানিগুলি গবেষণার জন্য কি পরিমাণ খরচ করেছে।

আমেরিকাতে চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য গবেষণা ও উন্নয়নে গতবছর মোট ১৯৪.২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।

এখন দেখেন এই বিপুল অংকের টাকা কে কে দিয়েছে।

১. ওষুধ ও মেডিকেল কোম্পানি = ১২৯.৫ বিলিয়ন ডলার (মোট বিনিয়োগের ৬৬.৭%)

২. ফেডারেল এজেন্সিগুলি = ৪৩ বিলিয়ন ডলার (২২.২%)

৩. কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, স্বতন্ত্র গবেষণা ইন্সটিটিউট এবং স্বতন্ত্র হাসপাতালের মেডিকেল গবেষণা কেন্দ্রগুলি সহ একাডেমিক এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে = ১৫.৭ বিলিয়ন (৮.১%)

৪. বিভিন্ন ফাউন্ডেশন যেমন বিল গেটসের ফাউন্ডেশন ইত্যাদি = ২.৩ বিলিয়ন (১.২%)

৫. স্টেট এবং স্থানীয় সরকার = ২.১ বিলিয়ন ডলার (১.১%)

৬. স্বেচ্ছাসেবী স্বাস্থ্য সমিতি এবং পেশাদার সমিতিগুলি = ১.৫ বিলিয়ন ডলার (০.৮%)

এখন চিন্তা করেন।
এখানে ব্যবসা, গবেষণা, উন্নয়ন হাতে হাত ধরে চলে।

৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:৫২

মা.হাসান বলেছেন: আপনি দয়া করে মূল আর্টিকেলটা পড়ে নিবেন।

না পড়ে মন্তব্য করেছি এমন ভাবার কারণ বুঝলাম না।

আপনি বলছেন--"Massachusetts Medical Society (MMS) আমেরিকাতে সবচেয়ে পুরাতন এবং মর্যাদা সম্পন্ন মেডিকেল এসোসিয়েশন। ১৭৮১ সালে ১ নভেম্বর এটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে এখনও অকার্যকর আছে। এর সদস্য সংখ্যায় ২৫ হাজার ডাক্তার এবং মেডিকেল স্টুডেন্ট। এখন এত বড় নামীদামী প্রতিষ্ঠান যদি বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয় তাহলে আমাকে এটা বিশ্বাস করতে হবে। "

MMS কোন তথ্য দেয় না, গবেষকরা যে তথ্য দেয় তা পিয়ার রিভিউ করে পাবলিশ করে। জার্নালের মান বোঝার জন্য এর ইতিহাস বা ঠিকুজি জানার প্রয়োজন হয় না, ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরই বলে দেয়। জার্নালের মান নিয়ে আমার কোন প্রশ্ন নেই, প্রশ্ন আপনার লেখা নিয়ে। দেখা যাক আমি কি বলেছি, জার্নাল কি বলেছে আর আপনি কি বলেছেনঃ
আপনি বলেছেনঃ "এই ওষুধটি ৫৩ জন রোগির উপর প্রয়োগ করা হয়েছিল, এর মধ্যে ২৬ জন ভালো হয়ে গেছে অর্থাৎ ৬৮% রুগি ভালো হয়ে যায়। "

আমি বলেছিঃ মোট ৬৮% রুগি ভালো হয় নি, ৪৭% ভালো হয়ে হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ হয়েছে, ২১% এর ইম্প্রুভমেন্ট হয়েছে কিন্তু চিকিৎসা চলছে।
জার্নাল কি বলছে?


আপনি বলছেনঃ

জার্নাল বলছেঃ

আর এন এ ভাইরাস শরীরে ঢোকার সাথে সাথে Remdesivir তা অকার্যকর করে দেয়ার তথ্য কোথায় পেলেন?

জার্নাল আরো বলছেঃ Measurement of efficacy will require ongoing randomized, placebo-controlled trials of remdesivir therapy

৪. তারা তাদের গবেষণা প্রবন্ধে আপনি যে প্রশ্নগুলি উত্থাপন করেছেন তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন।
আমার লেখায় কোন প্রশ্ন ছিলো কি? নিজের লেখা ২য় বার পড়েও প্যারসিটামল সংক্রান্ত একটা বাক্যে "?" চিহ্ন ছাড়া প্রশ্ন খুঁজে পেলাম না। শুরুতে একটা বাক্য বলেছি, আপনি বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন। ওটা একটা অবজারভেশন, প্রশ্ন না।

না, রিসার্চ গ্রুপের প্রায় সবার নাম দিতে বেশি কষ্ট করতে হয় নাই। কপি করে পেস্ট করে দিয়েছি।

যে দুটা লিঙক দিয়েছেন কোনোটাতে তো গ্রুপের সদস্যদের নাম বাংলায় লেখা দেখলাম না।

৮০ ভাগ তো দূরের কথা একজন রুগীও প্যারাসিটামল খেয়ে ভাল হয় না।

সত্য কথা । ভাইরাস জ্বরের রুগি এমনিই ভালো হয়ে যাবার কথা, যদি শরীরের অন্য সমস্যা না থাকে। তবে ভাইরাসের কারণে কিছু জটিলতা দেখা যায় যার কারণে প্রানহানী পর্যন্ত হতে পারে। ডাক্তাররা চেষ্টা করেন ঐ জটিলতা গুলো দূর করার, ভাইরাস এমনিই সেরে যাবার কথা। বেশি জ্বরে হেমোরেজ যাতে না হয় এজন্য প্যারাসিটামল নিরাপদ পছন্দ। নিউমোনিয়ার মতো জটিলতা হলে অ্যান্টিবায়োটিক লাগে।


বরং আমেরিকার আইনে প্রতিটা কোম্পানিকে তার বার্ষিক আয়ের একটা বিরাট অংশ রিসার্চের জন্য ফান্ড করতে হয়।


PhRMAএর নিয়ম অনুসারে গ্লোবাল সেলস এর মিনিমাম ১০% আরএন্ডডিতে খরচ করতে হয়। JAMA Internal Medicine (impact factor 20.768) এর রিসার্চ পেপার অনুসারে (JAMA Intern Med. 2017;177(11):1569-1575)ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো যে খরচ দেখায় তা ঠিক না , বরং ইনফ্লেটেড বলেই মনে হয়। কারণ কি? কারণ খরচ বেশি দেখিয়ে তারা ওষুধের দাম বাড়ায়।

৭ নম্বর মন্তব্যের জবাবে বলেছেন ...
ওষুধ ও মেডিকেল কোম্পানি = ১২৯.৫ বিলিয়ন ডলার (মোট বিনিয়োগের ৬৬.৭%)
মোট বিনিয়োগের ৬৬.৭% R&D খাতে খরচের খবর বিশ্বাস করা কষ্টকর। অনুগ্রহ করে সুত্র দিন। আমার জানা মতে ওষুধ কোম্পানি গুলো সেলসের (কখনোই মোট বিনিয়োগের না) ২২%এর কম খরচ করে। ২০১৮ সালে মোট R&D খাতে খরচ ছিলো ৮০ বিলিয়ন ডলারের কিছু কম, এর পরের তথ্য এখনো অ্যাভেইলেবল বলে মনে হয় না।
সূত্রঃ ১) স্টাটিসটা- https://www.statista.com/statistics/265085/research-and-development-expenditure-us-pharmaceutical-industry/
২) https://www.biopharmadive.com/news/phrma-research-development-spending-industry-report/529943/

পৃথিবী আপনার সহায়তায় আরো কোন ভাল ওষুধ পেয়ে যেতে পারে।
আমই ফার্মাসিস্ট না, আমি আমার ফিল্ড থেকে সাধ্য মতো আমার কমিউনিটিতে কন্ট্রিবিউট করি, অহেতুক জার্নালের তথ্য বিকৃত করে উপস্থাপন করি না।

অনেক ধন্যবাদ।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



আমি প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই একটা তথ্য সমৃদ্ধ আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য।

যদিও আপনার লেখার স্টাইল বেশ আক্রমণাত্মক (অনেকটা রাজনৈতিক নেতা বা টকশোর আলোচকদের মত) তবু আমি বেশ উপভোগ করেছি এবং অনেক কিছু শিখেছি। তবে আমাকে ক্ষমা করবেন আমি আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করতে পাবো না। অবশ্য করতে পারলে ভালো হতো অনেকেই মজা পেত।

আপনার প্রথম মন্তব্যের (৬. ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২৫) প্রথম বাক্যটা আমাকে বিস্তারিত আলোচনার কেন্দ্রে টেনে এনেছে।
সেই বিখ্যাত প্রথম বাক্যটা হচ্ছে, "অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর তথ্য।"
যদি বাক্যটা এরকম হতো, "আপনি অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন।" অথবা "আপনারা তথ্য বিভ্রান্তি কর।" তাহলে আমি খুব বেশি আলোচনা করতাম না। কারণ আমি এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ না। আমি মানুষের কাছে সাধারণ ভাবে এই তথ্যটুকু পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি যে চিন্তার কারণ নেই গবেষণা হচ্ছে, ওষুধ আসছে ইত্যাদি।

কিন্তু আপনি যখন লিখলেন "অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর তথ্য।"
তখন আমার কাছে মনে হয়েছে আপনি আমাকে বলেন নাই, বলেছেন গবেষকদের। তাই আমি তখন চেষ্টা করেছি গবেষকদের ক্রেডেন্সিয়াল তুলে ধরার জন্য।
যাই হউক, আপনি যখন বলছেন, "জার্নালের মান নিয়ে আমার কোন প্রশ্ন নেই, প্রশ্ন আপনার লেখা নিয়ে।" তাহলে এই বিষয়ে আমরা আর কোন মন্তব্য নাই।

আপনি লিখেছেন, "না পড়ে মন্তব্য করেছি এমন ভাবার কারণ বুঝলাম না।"

আমার উত্তর: এই ভাবনাটা এসেছে আপনার প্রথম বাক্য থেকে।
যেখানে আপনি লিখেছেন, "অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর তথ্য।"
কারণ এই বাক্য থেকে আমি ধরেই নিয়েছিলাম আপনি আমাকে না বলে গবেষকদেরকে বলছেন।

এইবার আসা যাক তথ্য বিভ্রান্তি প্রসঙ্গে।

প্রথমত: আমার এই লেখা কোন গবেষণা পত্র না।

দ্বিতীয়ত: আমার এই লেখার মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষের কাছে একটা বার্তা পৌঁছানো যে ওষুধ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে এবং ওষুধ আবিষ্কৃত হবে।

তৃতীয়ত: আমার এই লেখার আরেকটা উদ্দেশ্য মানুষকে কিছু আশার কথা শুনানো। কারণ মানুষ এই সময়ে শুনতে চায় এবং জানতে চায় কোন ওষুধ আবিষ্কৃত হয়েছে কিনা বা অদূর ভবিষ্যতে হবে কিনা।

চতুর্থত: নানান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং ইউটিউবে অনেক গুজব ছড়ানো হয়। এমন কি অনেক ওষুধের কথাও বলা হয়। আমার এই তথ্য যে গুজব বা মিথ্যা খবর না এটা পাঠকদেরকে অশ্বত্থ করার জন্য আমি রেফারেন্স হিসাবে এই গবেষণা আর্টিকেলের কথা উল্লেখ করেছি। তা না হলে আমি এক লাইনে লেখে দিতে পারতাম "করোনা ভাইরাসের ওষুধ আবিষ্কৃত হয়েছে।"

পঞ্চমত: যেহেতু আমার লক্ষ্য সাধারণ পাঠক তাই আমি গবেষণা পত্রের বিস্তারিত আলোচনায় না যেয়ে উপসংহার অংশ থেকে উদ্ধৃত করেছি।
উপসংহারে বলা হয়েছে,
"CONCLUSIONS
In this cohort of patients hospitalized for severe Covid-19 who were treated with compassionate-use remdesivir, clinical improvement was observed in 36 of 53 patients (68%)."

ষষ্ঠত: আপনি যে অংশটুকু উদ্ধৃত করেছেন সেটাও ঠিক আছে। আপনি RESULTS অংশ থেকে উদ্ধৃত করেছেন।

আপনি প্রশ্ন করেছেন, "আর এন এ ভাইরাস শরীরে ঢোকার সাথে সাথে Remdesivir তা অকার্যকর করে দেয়ার তথ্য কোথায় পেলেন?"
আমার উত্তর:
১. Medscape নামের একটা ওয়েবসাইটে Remdesivir Under Study as Treatment for Novel Coronavirus শিরোনামের নামে একটা লেখা থেকে;

২. National Center for Biotechnology Information, U.S. ওয়েবসাইটে Mechanism of Inhibition of Ebola Virus RNA-Dependent RNA Polymerase by Remdesivir শিরোনামের নামে অন্য একটা লেখা থেকে;

৩. Wikipedia থেকে।

আপনি লিখেছেন, "আমার লেখায় কোন প্রশ্ন ছিলো কি?"

উত্তর হচ্ছে, হাঁ।
প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?) বা প্রশ্নবোধক অব্যয় ব্যবহার না করেও প্রশ্ন করা যায়।
আপনি যখন কোন বিষয় নিয়ে সংশয় বা সন্দেহ করবেন সেটাও প্রশ্ন।
"অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর তথ্য।" এই বাক্যে কোন প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?) বা প্রশ্নবোধক অব্যয় নাই কিন্তু এই কথার দ্বারা তথ্যগুলিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।

আপনি বলেছেন, "শুরুতে একটা বাক্য বলেছি, আপনি বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন।"

আমার উত্তর: এই কথাটা ঠিক না। আপনার শুরুর বাক্যটা ছিল, "অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর তথ্য।" অর্থাৎ "আপনি" শব্দটা শুরুর বাক্যে বলেন নাই।

আপনি লিখেছেন, "যে দুটা লিঙক দিয়েছেন কোনোটাতে তো গ্রুপের সদস্যদের নাম বাংলায় লেখা দেখলাম না।"

আমার উত্তর: এটা খুব সহজ কপি পেস্টে অটো ট্রান্সলেট করা যায়।

রিসার্চের ফান্ড প্রসঙ্গে:

i. Gilead Sciences এই রিসার্চের জন্য টাকা দিয়েছে বলেই এই রিসার্চকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না --এটা ছিল আমরা মূল কথা।
ii. দ্বিতীয় মৌলিক কথা ছিল সব ওষুধ কোম্পানি (এবং সব ধরণের কোম্পানি) রিসার্চের জন্য টাকা খরচ করে।
iii. আমার এই বক্তব্যকে সমর্থন করার জন্য আমি দেখাতে চেয়েছি ওষুধ কোম্পানিগুলি রিসার্চের জন্য গতবছর কত টাকা দিয়েছে।
iv. কে কত পরিমাণ দেয়া বা কে কত ট্যাক্স ফাঁকি দেয় এইগুলি এখানে প্রাসঙ্গিক না।
v. অর্থাৎ রিসার্চের জন্য টাকা দিলেই এই রিসার্চ প্রশ্নবিদ্ধ হবে না।

আপনি প্রসঙ্গ-বহির্ভূত ভাবে (out of context) আমরা লেখা থেকে একটা বাক্য উদ্ধৃত করেছেন।
বাক্যটি হচ্ছে, "পৃথিবী আপনার সহায়তায় আরো কোন ভাল ওষুধ পেয়ে যেতে পারে।"
শুধু এই বাক্যটি পড়ে কেউ কেউ মনে করতে পারে আপনাকে বিদ্রূপ করার জন্য আমি এই কথা বলেছি।
আপনি যদি এই বাক্যটি প্রসঙ্গ সহ উদ্ধৃত করতেন তা হলে পাঠক বুঝতে পারতো আসলে আমি কি বলতে চেয়েছি।
আমি প্রসঙ্গ সহ বাক্যটি উদ্ধৃত করছি, "আর আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি আপনি যদি মনে করেন তাদের গবেষণা ভুল তাদের আর্টিকেলের নিচে লিংক দেয়া আছে আপনি তাদের সাথে আলোচনা করতে পারেন। পৃথিবী আপনার সহায়তায় আরো কোন ভাল ওষুধ পেয়ে যেতে পারে।"
উদ্ধৃত বাক্যের প্রসঙ্গ হচ্ছে, "আর আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি"

শ্রদ্ধা জিনিসটা যদি বুঝেন তা হলে ভাল।

আপনি লিখেছেন, "অহেতুক জার্নালের তথ্য বিকৃত করে উপস্থাপন করি না।"

উত্তর: আমি আমার লেখায় কখনো বলি নাই আপনি জার্নালের তথ্য বিকৃত করে উপস্থাপন করেন।
আর যদি কথাটা ঘুরিয়ে আমাকে বলতে চান, তা হলে আমি দৃঢ় ভাবে বলছি আমি কোন তথ্য বিকৃতি করি নাই। রিপোর্টটা পড়ে আমি যা বুঝেছি তাই সরল বাংলায় লেখার চেষ্টা করেছি। মূল লেখায় যা আছে আমি উল্লেখ করেছি। আমি সবসময় আমার লেখার সাথে লিংক দিয়ে দেই। এই লেখাতেও লিংক দেয়া আছে যে কেউ যাচাই করে দেখতে পারেন।

ভাষা যতই আক্রমণাত্মক হউক না কেন। কষ্ট করে আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আর আপনি আপনার ফিল্ড থেকে সাধ্য মতো আপনার কমিউনিটিতে কন্ট্রিবিউট করছেন জেনে আরো খুশি হলাম।

৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৩

মা.হাসান বলেছেন: আগের কমেন্টে একটা ছবি ও কয়েকটা লাইন ভুল বশত বাদ পড়ে গেছে যা নিচে যোগ করে দিলামঃ

ওষুধ কোম্পানির রিসার্চের টাকা ড্রাগ ডেভলাপমেন্টে ব্যবহার হওয়াই বাঞ্ছনীয়, ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ব্যবহার করার বিরুদ্ধে আইন নেই, কিন্তু ক্লিনিকাল ট্রায়াল যদি ওষুধ কোম্পানি ফান্ড করে তবে রেজাল্ট কি হবে বোঝার জন্য সুপার স্মার্ট হবার দরকার নেই।
এর পরেও এর পক্ষে যুক্তি দিতে চাইলে দেখতে বলবো---



লিংকঃ পার্ট ১ -- https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC2868984/
পার্ট ২-- https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC2872821/

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



আরো কিছু মূল্যবান তথ্য যোগ করার জন্য ধন্যবাদ।
আমি আগের পোস্টার উত্তর এই প্রসঙ্গে বলেছি।
তবু আরো কয়েকটা কথা এই সুযোগে যোগ করতে চাই।
ওষুধ কোম্পানিগুলি নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে এই ব্যাপারে অনেক ক্ষেত্রেই আমিও একমত।
আমি যে কথা বলতে চেয়েছি তা হলো, শুধু এই ওষুধ বা শুধু এই ওষুধ কোম্পানিই গবেষণার জন্য টাকা দেয় তা না।
সব ওষুধ কোম্পানিই বাধ্যতামূলক ভাবে ওষুধের গবেষণার জন্য টাকা দেয়।
বিশেষ করে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য যে টাকা দেয়া হয় তা নিয়ে আমেরিকাতে অনেক সমালোচনা আছে।
এইবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই ওষুধ কোম্পানিগুলি একটা ইস্যু।

১০| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪৩

রাশিয়া বলেছেন: ফুসফুসে তো রক্ত পরিবহণ হয়না। তাহলে শিরায় প্রয়োগ করলে সেই ওষুধ ফুসফুসে যাবে কি করে?

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



আমার লেখায় গবেষক দলের নাম এবং লিংক দেয়া আছে।
এই ব্যাপারে আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
তাদের একটা আলোচনার ফোরামও আছে, আপনি ইচ্ছা করলে আপনার প্রশ্ন ছাড়াও আলোচনায় অংশ নিতে পারেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.