নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
অদৃশ্য কণার বিশাল মেঘমালা মিল্কিওয়ে থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।
একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, মিল্কিওয়ে এক্স-রের এক অদ্ভুত আলোর প্রভা হারিয়ে ফেলছে যা অন্যান্য ছায়াপথগুলির ডার্ক মেটারের সাথে যুক্ত ছিল। এই ব্যাপারে একজন বৈজ্ঞানিক বলেছেন, এই কথাটি যদি সত্য হয়, তা হলে কাল্পনিক বস্তুকণা (sterile neutrinos) দিয়ে ডার্ক ম্যাটার ঘটিত এই থিউরিটাই ভুল।
কাল্পনিক বস্তুকণা (Sterile neutrinos) একটা ভুতুড়ে অতি-পারমাণবিক (subatomic) বস্তুকণা যা বৈজ্ঞানিকরা ইতোমধ্যে আবিষ্কার করেছেন। মজার বিষয় হচ্ছে এর অস্তিত্ব থাকতেও পারে আবার নাও পারে।
অদৃশ্যের খুঁজে
বিশ্বপ্রকৃতিতে এই ডার্ক মেটার সবচেয়ে বড় অজানা বিষয়। ছায়াপথগুলিতে মহাকর্ষের প্রভাব থেকে বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন যে ছায়াপথগুলির মাঝখানে কিছু একটা আছে। বিজ্ঞানীরা এটাও জানেন যে তারকারাজি এবং গ্যাসকুন্ডলী গুলি এত শক্তিশালী না যে তারা ছায়াপথগুলিকে একটা সাথে অপরটাকে আকর্ষণ করতে পারে। সুতরাং, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে ছায়াপথগুলিতে ডার্ক মেটারের অদৃশ্য অলৌকিক মহিমা বা দীপ্তি আছে এবং এই ডার্ক মেটারের পরিমাণ সমগ্র মহাবিশ্বের ভরের ৮৫%; কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত জানেন না এই ডার্ক মেটার কি দিয়ে তৈরি। কোন কোন বৈজ্ঞানিক মনে করেন অপেক্ষাকৃত ভারী কাল্পনিক বস্তুকণা দিয়ে এই ডার্ক মেটার গঠিত। এই কাল্পনিক বস্তুকণাগুলিকে বলে "দুর্বলভাবে কার্যকর বিশাল বস্তুকণা বা Weakly interacting massive particles (সংক্ষেপে WIMPS); আরেক দল বৈজ্ঞানিক মনে করেন অক্সিন (axion) নামের একটা কাল্পনিক বস্তুকণা দ্বারা এই ডার্ক মেটার গঠিত। বৈজ্ঞানিকরা এখন পর্যন্ত তিন ধরণের নিউট্রিনো (Neutrino) বা অতি-পারমানবিক বস্তু কণার সন্ধান পেয়েছেন। যথা ইলেকট্রন নিউট্রিনো (electron neutrino), মূণ নিউট্রিনো (muon neutrino), এবং টাও নিউট্রিনো (tau neutrino); এদের ভোর প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। তবে কিছু কণা পদার্থবিদ মনে করেন যে এই তিনটার বাইরে চতুর্থ আরেকটা নিউট্রিনো আছে, যার নাম স্টেরাইল নিউট্রিনো (sterile neutrino)। এই নিউট্রিনোটা ভারী বলে মহাকর্ষ শক্তি ছাড়া অন্য বস্তুকণার সাথে মিথস্ক্রিয়া করতে পারবে না এবং অন্য নিউট্রিনোর মত মহাশূন্যে দ্রুত চলতে পারবে না। তাই স্টেরাইল নিউট্রিনোগুলি একত্রিত হয়ে মেঘের আকার ধারণ করবে। আর এই মেঘই হচ্ছে ডার্ক মেটার।
সূত্র: সাইন্স
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৯
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
জটিল বটে।
২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০২
রাজীব নুর বলেছেন: আলে হারিয়ে যায় না।
একজন আরেকজনের সাথে বাড়ি খেয়ে ভেঙ্গে যায়। ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। গুড়ো গুড়ো হয়ে যায়। তারপর পিথিবিতে এসে পড়ে। এই জইন্য তো পিথিবির ওজন দিন দিন বেড়েই চলেছে।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আলো হারিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয় নাই।
বলা হয়েছে অদৃশ্য অতি-পারমানবিক কণার কথা।
৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মদ আলী আকন্দ,
অদৃশ্য কণার বিশাল মেঘমালা মিল্কিওয়ে থেকে হারিয়ে গেলে কি হবে তা কিন্তু বলেননি, শিরোনাম যার দাবী রাখে।
ডার্কম্যাটার নিয়ে আর একটু বিশদ আলোচনার অপেক্ষায়।
ভালো লাগলো এ্যাষ্ট্রোনমি নিয়ে এই লেখাটি।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
এই বিষয়গুলি বৈজ্ঞানিকদের থিউরি এখনো প্রমাণিত সত্য নয়।
আসলে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের নতুন এই আবিষ্কারটা ডার্কম্যাটার নিয়ে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
বা বলা যেতে পারে ডার্কম্যাটার নিয়ে নতুন কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
যেমন --
অদৃশ্য কণার বিশাল মেঘমালা মিল্কিওয়ে থেকে হারিয়ে যাচ্ছে -- তার অর্থ ডার্কম্যাটার বলে কিছু নাই?
অথবা যদি ডার্কম্যাটার থাকে তা হলে সেটা কি দিয়ে গঠিত?
অদৃশ্য কণার বিশাল মেঘমালা মিল্কিওয়ে থেকে হারিয়ে গেলে কি হবে তা নিয়ে এই গবেষণায় কোন উত্তর নাই। অথবা তারা এটা নিয়ে চিন্তিত না। তারা এই তথ্য থেকে ডার্কম্যাটার নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন।
লেখা ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ।
আমি আমরা লেখায় অনেকগুলি লিংক দিয়েছি আগ্রহ থাকলে ঐ গুলি দেখতে পারেন। ভাল লাগবে।
৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
এখন হারালে হারাক, করোনা বিলুপ্ত হলে মেপে দেখবো, কি পরিমাণ হারালো।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৩
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আপনার মত জোতির্বিজ্ঞানীরাও কি হারিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে চিন্তিত না।
তারা চিন্তিত এই হারিয়ে যাওয়াটা যদি সত্য হয় তা হলে তারা বিশ্বের রহস্য উন্মোচনের যে চেষ্টা করছেন তা আরো জটিলতার মধ্যে পরবে।
জটিলতা সৃষ্টি হবে ডার্ক মেটার নিয়ে অর্থাৎ ডার্ক মেটারের রহস্য আরো ঘনীভূত হবে। ইত্যাদি।
৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৪
মেটালক্সাইড বলেছেন: আহমেদ জী এস এর মন্তব্যর সাথে আমি একমত।
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে নয় পুরো ইউনিভার্সে ডার্কম্যাটার বিদ্যমান তথ্যটি দেওয়া উচিত ছিল। শিরোনাম অনুসারে আরো বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন ছিল।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৮
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
এই লেখাটা খুব সংক্ষিপ্ত, তাই কোন বিষয় সম্পর্কেই বিস্তারিত তথ্য দেয়া সম্ভব হয় নাই।
ডার্ক মেটার সম্পর্কে এত তথ্য আছে যে এই ক্ষুদ্র পরিসরে লেখা সম্ভব না।
সংক্ষিপ্ততার কারণে যদিও খুব স্পষ্ট হয় না তবুও এক জায়গায় বলেছি সমগ্র বিশ্ব ভরের ৮৫% ডার্ক মেটার।
জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে আগ্রহের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ।মনোরম
১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৯
বিজন রয় বলেছেন: জটিল।