নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহা-সুসংবাদ

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

মহা-সুসংবাদ

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং চীন --- জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য যৌথ ভাবে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে।

ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমমানুয়েল ম্যাক্রন এই ব্যাপারে উদ্যোগী হয়ে কাজ করছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, এবং চীন এই উদ্যোগের সমর্থন জানিয়েছেন। রাশিয়া বলেছে তার কূটনৈতিকরা এই ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছে। তারাও সমর্থন জানাবে।



প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন জাতিসংঘের সাথেও কথা বলেছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য প্রস্তাবটি পাস করলে তা বিশ্বব্যাপী কার্যকর হবে।

তবে এই প্রসবের মূল স্বপ্নদ্রষ্টা জাতিসংঘের মহাসচিব এন্টোনিও ম্যানুয়েল ডি অলিভেইরা গুটেরেস। তিনি পূর্তগালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।



মোট কথা বিশ্ববাসী মানুষের বিরুদ্ধে মানুষের যুদ্ধ-মুক্ত একটা পৃথিবী দেখতে যাচ্ছে। তারপর শুরু হবে জীবাণুর বিরুদ্ধে মানুষের সম্মিলিত যুদ্ধ।

এই সুসংবাদের পিছনে ছোট একটা দুঃসংবাদ আছে। ইন্ডিয়াতে করোনা ভাইরাস মহামারী ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে বলে বিশ্বসংস্থা মনে করছে, যা ইন্ডিয়া গোপন করছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ মনে করছেন ইন্ডিয়া এটা সামাল দিতে পারবে না। ফলে বিশ্বব্যাপী বিপর্যয় দেখা দিবে। তাই উন্নত রাষ্ট্রগুলি নিজেদের দেশ সামলানোর পাশাপাশি ইন্ডিয়ার সাহায্যে এগিয়ে আসতে চাচ্ছে। এই কনসেপ্ট থেকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ভাবছেন মানুষের বিরুদ্ধে মানুষের যুদ্ধ বন্ধ করে সম্মিলিত ভাবে ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করতে হবে।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১৬

আহম্মদ বলেছেন: আপনার খবরের সোর্স কি ? আর ইন্ডিয়াতে যে মহামারী আকারে ছড়াচ্ছে সেটার আগে বাংলাদেশকেও লিস্টে রাখতে পারেন। বাংলাদেশের পরীক্ষাপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন আছে। আর পরীক্ষা করা হচ্ছে খুবই কম মানুষের যেখানে অনেক দেশে লকডাউন করে ঘরে ঘরে টেষ্ট করে নিশ্চিত হচ্ছে। আমাদের দেশেও তথ্য গোপন করছে বা প্রকৃত তথ্য দেবার সৎ সাহস ও ব্যবস্থাও নাই।
বাংলাদেশে এযাবত কাল যে চিত্র সরকার দিয়েছে তাতে মৃত্যুর হার তুলনামূলক অনেক বেশী। যেটা কাম্য নয়।

ডাক্তারেরা আগেও হাসপাতালে রোগীদের ঠিকমত সেবা দিত না, এখন এই করোনার কারনে যারা মারা যাচ্ছে প্রকৃত অর্থে তারা বিনা চিকিৎসা ও অবহেলাজনিত কারনেই বেশী মারা যাচ্ছে। ধন্যবাদ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"আপনার খবরের সোর্স কি?"
উত্তর: আমি সাধারণত আমার লেখায় সূত্র উল্লেখ করি। এই লেখায় করি নাই, কারণ ভাবি নাই এই খবরের সূত্রে প্রয়োজন হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ খবর আমেরিকা সহ বিশ্বের সব প্রধান মিডিয়াতে প্রচার করা হয়েছে। তারপর আপনি যখন জানতে চাচ্ছেন তাহলে কয়েকটা সূত্র দিচ্ছি।
১. সিএনএন (Click This Link)
২. বিজনেস ইনসাইডার (Click This Link)
৩. Axios (Click This Link)
৪. ফ্রান্স ২৪ (Click This Link)
৫. রেডিও ফ্রান্স ইন্টারন্যাশনাল (RFI) (Click This Link) মূলত এটাই প্রধান সোর্স। এখানেই তিনি এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য দিয়েছেন।
৬. রয়েটার (Click This Link)

আরো অসংখ্য ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়া।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দাগ থেকে যদি দারুন কিছু হয় তবে দাগই ভালো।
সম্প্রতিবিশ্বে বা আশপাশের দেশগুলোতে
ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা প্রশমিত করার যে ঘোষণা তা এই বিজ্ঞাপনের
বাচ্চাদের কাছ থেকে নেওয়া আইডিয়া থেকেই উদ্ভূত কি না
কে জানে। করোনা তা হলে কি মানবিকতা শিখায় !!

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"দাগ থেকে যদি দারুন (sic) কিছু হয় তবে দাগই ভালো।"

উত্তর: সৃষ্টিকর্তার পরিকল্পনা আমরা জানি না। তাই আমরা কোন ঘটনা ঘটলে, তা যতই খারাপ হউক না কেন, বলি, "আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। " এই কথাটা এক দিকে যেমন তাৎক্ষণিক সান্ত্বনা হিসাবে কাজ করে, অন্য দিকে কঠিন সময়ে সাহস যোগায়। সময় বদলায়। একসময় খারাপ সময় চলে যায় ভাল সময় আসে। এই ভাবে মানুষের জীবন এগিয়ে চলে।

"সম্প্রতিবিশ্বে বা আশপাশের দেশগুলোতে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা প্রশমিত করার যে ঘোষণা তা এই বিজ্ঞাপনের বাচ্চাদের কাছ থেকে নেওয়া আইডিয়া থেকেই উদ্ভূত কি না কে জানে। করোনা তা হলে কি মানবিকতা শিখায় !!"

উত্তর: এটা কোন বিজ্ঞাপন থেকে ধার করা আইডিয়া না। এটা বিশ্ব ইতিহাস। বিশ্ব ইতিহাস বলে, যখন যত বড় বিপদ বা দুর্যোগ পৃথিবীতে এসেছে তখনই পৃথিবী দ্রুত বদলে গেছে। পৃথিবীর ইতিহাস হচ্ছে বদলানোর বা পরিবর্তনের। কোন কিছু না ঘটলেও পৃথিবী স্বাভাবিক গতিতে বদলাতে থাকে। এটা পৃথিবীর নিয়ম। তবে এই গতি কখনো কখনো খুব মন্থর আবার কখনো কখনো একটু দ্রুত। কিন্তু বড় ধরণের ঘটনা ঘটলে পৃথিবী দ্রুত বদলে যায়। যেমন বড় বড় যুদ্ধ বা মহামারীর পর পৃথিবী বদলে গেছে। করোনা এমনই একটা বড় ঘটনা যা পৃথিবীকে দ্রুত বদলে দিবে। করোনা উত্তর এক নতুন পৃথিবী দেখবে মানুষ। যে কোন বড় ঘটনাই মানুষকে মানবিকতা শিখায়।

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫০

সাইন বোর্ড বলেছেন: খুব আশাজাগানিয়া কথা ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"খুব আশাজাগানিয়া কথা ।"

আপনার মত আমিও আশাবাদী।
সব সময় আমরা ভাল কিছু আশা করি।
বিশ্বে শান্তি ফিরে আসুক।
বিশ্বে মানবিকতা ফিরে আসুক।
মানুষ মানুষকে ধর্ম বর্ণ জাতি নির্বিশেষে ভালবাসুক।
মানুষ মানুষকে মমতা করুক।

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দুর্দান্ত লেখা পড়লাম।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"দুর্দান্ত লেখা পড়লাম।"

এটা একটা আশা জাগানিয়া খবর।
যেহেতু আমরা শান্তিকামী তাই যেকোনো শান্তির খবর আমাদের ভাল লাগে।
আমরা চাই পৃথিবীতে শান্তি আসুক।
মানুষ ভাল থাকুক।
মানুষ মানুষকে ধর্ম, বর্ণ বা জাতির কারণে ঘৃণা না করুক।
মানুষ ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে ভালবাসুক।

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



জাষ্ট একটা ডাক দিয়েছে, কিছু ঘটার সম্ভাবনা আছে?

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"জাষ্ট একটা ডাক দিয়েছে, কিছু ঘটার সম্ভাবনা আছে?"

উত্তর: কাউকে না কাউকে, কোথা থেকে না কোথা থেকে প্রথমে ডাক দিতে হয়।

তারপর একজন . .
দুই জন . . করে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি মানুষ সেই ডাকে সারা দেয়।

দ্রুত সারা পাওয়া যাচ্ছে।

এর পিছনে অনেকগুলি কারণ আছে।

প্রথম কারণ -- মানুষ বাঁচলে ব্যবসা আর ব্যবসা বাঁচলে উন্নতি।
দ্বিতীয় কারণ -- বিশ্বায়নের যোগে একক ভাবে বা বিচ্ছিন্ন ভাবে কেউ বাঁচতে পারবে না।
তৃতীয় কারণ -- বিশ্ব শক্তিগুলির মধ্যে এখন সরাসরি কোন যুদ্ধ নাই। যে সব যুদ্ধ বা সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে বা আফ্রিকাতে আছে তাতে উন্নত দেশগুলি সরাসরি সংশ্লিষ্ট না। অনেক ক্ষেত্রেই প্রক্সি যুদ্ধ।
চতুর্থ কারণ -- মিডল ইস্টের দুই প্রধান খেলোয়াড় ইরান এবং সৌদি আরব (বিশেষ করে ইরান) করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়াতে প্রক্সি-যুদ্ধের সম্ভাবনা অনেক কমে এসেছে। ইরানের সমস্যা ছিল তারা জানে না কখন থামতে হয়। করোনা তাদের থামতে বাধ্য করেছে।
পঞ্চম কারণ -- দুই মহাদেশ ব্যাপী খেলোয়াড় তুরস্ক খুব বুদ্ধিমান। তারা জানে কখন থামতে হবে।

৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: দেখা যাবে উন্নত বিশ্ব ঠিকই বিপদ কাটিয়ে উঠবে ধয়া খাবে ভারত আর বাংলাদেশ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"দেখা যাবে উন্নত বিশ্ব ঠিকই বিপদ কাটিয়ে উঠবে ধয়া খাবে ভারত আর বাংলাদেশ।"

উত্তর: উন্নত দেশগুলি সমস্যাকে চিহ্নিত করে কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে।
তারা প্রথম থেকেই তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে জনগণকে অবহিত করছে।
তারা জনগণকে শত্রু মনে করে না। তাই জনগণের কাছ থেকে কোন তথ্য গোপন করে না।

বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়া সমস্যাটাকে প্রথম থেকেই লোকানোর চেষ্টা করছে।
কেউ যদি সমস্যা স্বীকার না করে তা হলে তার কোন সমাধান নাই।
এটাতে লোকানোর কিছু ছিল না।
কারণ এই ভাইরাসের জন্য ইন্ডিয়া বা বাংলাদেশ সরকার দায়ী না।
কিন্তু এদের মধ্যে সব সময় চোর চোর ভাব।
এই বুঝি ধরা খেলাম।
কারণ আপনি জানেন।

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪১

রেদওয়ান হোসেন বলেছেন: সুসংবাদ!
Click This Link

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



লিংকটা দেখলাম।
কিন্তু এটাতে কি বুঝতে চেয়েছেন তা বোঝতে পারলাম না।
লিংকের পাশাপাশি যদি আপনার মতামত দিতেন তা হলে আমিও আপনার সাথে আলোচনা করতে পারতাম।

৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৪

পলাতক মুর্গ বলেছেন: আমার এই লেখায় আপনার মূল্যবান মন্তব্য আশা করছি:

করোনা পরবর্তী পৃথিবীর চিত্র কেমন হতে পারে (একটি ছবি ব্লগ)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.