নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হরিদাস পাল

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:২০



কথায় কথায় কোন তুচ্ছ ব্যক্তির দাবীকে উড়িয়ে দিয়ে আমরা বলে থাকি, তিনি কোন হরিদাস পাল

অনেকেরই ধারণা যে, হরিদাস পাল একটি কাল্পনিক নাম।
পৃথিবীতে এই রকম চরিত্রের কোনদিন অস্তিত্বই ছিল না।

তবে অনেকের ধারণা প্রকৃতপক্ষে হরিদাস পাল নামে একজন সৎ, বুদ্ধিমান ও উদার ব্যক্তি ছিলেন।
১৮৭৬ সালে কলিকাতার কাছে রিষড়াতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
এটি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার অন্তর্গত



তাঁর পিতার নাম নিতাইচরণ পাল। ১৮৯২ সালে তারা বাবা মারা গেলে তিনি জীবিকার সন্ধানে কলিকাতায় আসেন। প্রথমে তিনি একটি সোনার দোকানে সামান্য বেতনের কর্মচারী হিসাবে কাজ শুরু করেন। ১৮৯৭ সালে তাঁর নিঃসন্তান এক মামার মৃত্যু হলে উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি মামার অনেক সম্পত্তির অধিকারী হন। কলিকাতায় ধনসম্পত্তি ও প্রতিপত্তির জন্য একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তিনি তার সম্পদ ও উদারতার জন্য খ্যাতি লাভ করেন । কলকাতার বড়বাজারে তিনি কাঁচ ও ঝাড়বাতির ব্যবসা করে প্রচুর টাকার মালিক হন। তিনি পরিশ্রম, সততা, বুদ্ধি ও ন্যায়নিষ্ঠার মাধ্যমে প্রাচীর টাকা উপার্জন করেন।

কোনও ব্যক্তি বিপদে পড়লে সহায়তা করতে তিনি দ্বিধা করতেন না। তিনি অকৃপণ হাতে মানুষকে সাহায্য করতেন। কোথাও কোন বিপদ আপদ দেখলে সাহায্যের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তেন। এই সব কারণে সমাজে তাকে সকলই সমীহ ও শ্রদ্ধা করতেন। এই ভাবে তাঁর নাম ও যশ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৩৩ সালে তিনি কিডনির অসুখে মারা যান। তাঁর অবদানের জন্য তাঁর নামে কলিকাতা কর্পোরেশন ১৯৬৫ সালে কলিকাতার একটি রাস্তার নামকরণ করে হরিদাস পাল লেন।



হরিদাস পাল একসময় আর্থিক সমস্যায় পরে যান। এই সময় তার শরীর নানান সুখে দুর্বল হয়ে যায় এবং স্বাস্থ্য অনেক ভেঙে পড়ে। সেই সময় তিনি তাঁরই এক কর্মচারীর কাছে কিছু টাকা ধার চাইলে, কর্মচারী তাঁকে চিনতে পারে নি। বরং তাঁকে বললেন, তুমি কোন হরিদাস পাল হে, যে টাকার ধার চাইলে তোমাকে দিতে হবে?

এইভাবেই মানুষের মুখে মুখেই এই নাম এবং অমর কথা চালু হয় যায়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
জানলাম।

১৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: ওকে আবার কেন?
জানলামই তো যথেষ্ট।

২| ১৯ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:০০

প্রামানিক বলেছেন: ঘটনাটি জানা ছিল না। ধন্যবাদ

১৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আমারও জানা ছিল না।
ফেসবুকে একজন এটা জানতে চেয়েছিলেন।
আমিও জানার জন্য ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে এই ব্যাপারে শত শত তথ্য পেয়ে গেলাম।
এখন জানা কত সহজ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.