নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্যালিয়াম এবং জার্মেনিয়াম রপ্তানি নিষিদ্ধ করার প্রভাব

২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৪৩



চীন যদি আমেরিকা এবং ইউরোপে গ্যালিয়াম এবং জার্মেনিয়াম রপ্তানি নিষিদ্ধ করে, তবে এটি সেমিকন্ডাক্টর এবং চিপ শিল্পের জন্য উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।

গ্যালিয়াম এবং জার্মেনিয়াম হল সেমিকন্ডাক্টর এবং চিপস উৎপাদনে ব্যবহৃত অপরিহার্য উপাদান এবং তাদের ঘাটতি বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইনকে ব্যাহত করবে।



১. উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে:
গ্যালিয়াম এবং জার্মেনিয়াম সেমিকন্ডাক্টর এবং চিপ তৈরির জন্য বিশেষ করে তাদের অপটিক্যাল এবং বৈদ্যুতিক বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যদি চীন থেকে সরবরাহ বন্ধ করা হয়, তবে এটি ঘাটতির দিকে নিয়ে যাবে, যার ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। নির্মাতাদের বিকল্প উত্সগুলি অন্বেষণ করতে হবে বা বিকল্প উপকরণগুলি ব্যবহার করতে হবে, যা আরও ব্যয়বহুল বা কম দক্ষ হতে পারে।



২.কম সেমিকন্ডাক্টর উত্পাদন:
গ্যালিয়াম এবং জার্মেনিয়ামের ঘাটতি সম্ভবত সেমিকন্ডাক্টর উত্পাদন হ্রাস করতে পারে। স্মার্টফোন, কম্পিউটার, স্বয়ংচালিত উপাদান এবং আরও অনেক কিছু সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসে সেমিকন্ডাক্টর ব্যবহার করা হয়। এই উপকরণগুলির ঘাটতির ফলে এই পণ্যগুলির প্রাপ্যতা হ্রাস এবং দাম বৃদ্ধি হতে পারে।



৩. গ্লোবাল সাপ্লাই চেইনের ব্যাঘাত:
চীন বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টর সাপ্লাই চেইনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, উভয়ই কাঁচামালের প্রস্তুতকারক এবং সরবরাহকারী হিসেবে। গ্যালিয়াম এবং জার্মেনিয়াম রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রতিষ্ঠিত সরবরাহ শৃঙ্খলকে ব্যাহত করবে, যা শুধুমাত্র আমেরিকা এবং ইউরোপ নয় বরং এই উপকরণগুলির উপর নির্ভরশীল অন্যান্য দেশগুলিকেও প্রভাবিত করবে। এর জন্য প্রস্তুতকারকদের বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজতে হবে বা অভাব পূরণের জন্য নতুন প্রযুক্তি বিকাশ করতে হবে।



৪. অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে বিনিয়োগ:
এই ধরনের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব প্রশমিত করার জন্য, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির গ্যালিয়াম এবং জার্মেনিয়ামের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য তাদের প্রচেষ্টা বাড়াতে পারে। এরমধ্যে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ, নতুন উৎপাদন সুবিধা স্থাপন এবং এই উপকরণগুলিতে অ্যাক্সেস আছে এমন অন্যান্য দেশের সাথে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করতে হবে।



৫. ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং বাণিজ্য বিরোধ:
গ্যালিয়াম এবং জার্মেনিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা চীন, আমেরিকান এবং ইউরোপের মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং বাণিজ্য বিরোধ বাড়িয়ে তুলতে পারে। এটি প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিতে আমেরিকা এবং ইউরোপকে প্ররোচিত করবে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও অবনতি হবে।



সামগ্রিকভাবে, চীন থেকে আমেরিকা এবং ইউরোপে গ্যালিয়াম এবং জার্মেনিয়াম রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে ব্যাহত করবে, যার ফলে উচ্চ উত্পাদন খরচ হবে, সেমিকন্ডাক্টরের প্রাপ্যতা হ্রাস পাবে এবং বিকল্প সরবরাহ চেইন কৌশলগুলির প্রয়োজন হবে। এটি অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে এবং সম্ভাব্য ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনাকে তীব্রতর করতে প্ররোচিত করবে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সেমিকন্ডাক্টর এর কাঁচামাল এবং উপাদানসমূহ সারা পৃথিবীতে ভরপুর, প্রচুর আছে আমেরিকার মাটিতেই,
লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির প্রধান উপাদান লিথিয়াম সবচেয়ে বেশি আছে আমেরিকা মহাদেশের মাটিতে।

কিন্তু এত বিপুল এসব কাঁচামাল থাকার পরও উঠাতে পারেনা, শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়াতে কর্মী সংকটে আমেরিকা এসব আমদানি করে চীন থেকে।
চীন যদি স্থায়ীভাবে রপ্তানি বন্ধ করে দেয় তখন বিকল্প একটা বের হবেই।

২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:০৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আপনার কথা অনেকাংশেই সঠিক।
আমি কিন্তু বলেছি গ্যালিয়াম এবং জার্মেনিয়াম সম্পর্কে।
এইগুলিও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আছে।
বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়াতে প্রচুর আছে।

এখানে শ্রমিকের মজুরিটাই গুরুত্বপূর্ণ।
চীনে এখনো দাস শ্রমিক আছে।
এদেরকে কোন বেতন দিতে হয় না।
এরা বন্দীশিবিরে থাকে, কাজ করে, বিনিময়ে খাবার এবং কাপড়-চুপর পায়।
ফলে চীন অনেক সস্তায় কাঁচামাল, খনিজ পদার্থ, এবং শিল্প পণ্য সরবরাহ করতে পারে।

এই কথাগুলি ইউরোপ এবং আমেরিকা জানে।
দুই দিন আগে আমেরিকার সিনেটের একটা শুনানি শুনছিলাম।
সেখানে আমেরিকার একটা বড় কোম্পানির সি ই ও কে এই দাস শ্রমিক নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছিল।

তবে এই দাস শ্রমিকের সুবিধাটা চীন যেমন নিয়েছে, সারা পৃথিবীর মানুষও তেমনি নিয়েছে।
এই যে এত সস্তায় আমরা মোবাইল, টিভি ইত্যাদি পাচ্ছি তার পিছনে আছে এই দাস শ্রমিকদের রক্ত এবং ঘাম।

আমেরিকাকে বাণিজ্যিক ভাবে চাপে ফেলার জন্য চীন চিপ তৈরির উপাদান এই গ্যালিয়াম এবং জার্মেনিয়াম রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এতে এইগুলার অভাব না হলেও দাম অনেক বেড়ে যাবে এবং ঘোষণার সাথে সাথে দাম কিছুটা বেড়েও গেছে।
এতে চিপের দাম বেড়ে যাবে।
চিপের দাম বেড়ে গেলে পণ্যের দাম বেড়ে যাবে।
এই আর কি!

২| ২১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৩:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সস্তা শ্রম বাংলাদেশের জন্য একটা আশীর্বাদ হতে পারতো। কিন্তু আমরা এই সুযোগ কাজে লাগাতে পাড়ছি না বিভিন্ন কারণে।

২১ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:৫৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আপনার সাথে একমত।

এখন বাংলাদেশের সামনে যে সম্ভাবনার দরজা খুলা আছে তা বাংলাদেশিদের কল্পনার মধ্যেও নাই।

আমি এই সম্ভাবনার কথা ফেসবুকে অনেকগুলি পোস্টে উল্লেখ করেছি।
আজ পর্যন্ত কেউ কোন মন্তব্যও করে নাই।
অর্থাৎ শুধু সরকার না জনগণও এই ব্যাপারে উৎসাহিত না।

বর্তমানে ডি কাপলিং এবং ডি রিস্কইঙের কারণে আমেরিকা এবং ইউরোপ চীন থেকে তাদের বিনিয়োগ ধীরে ধীরে সরিয়ে নিয়ে আসছে।
এই ক্ষেত্রে তাদের টার্গেট চীন ব্যতীত অন্য কোন সস্তা শ্রম এবং জনবহুল দেশ।
এই ক্যাটাগরিতে ইন্ডিয়ার পরেই বাংলাদেশের স্থান।

অর্থাৎ সহজ কথায়, আমেরিকা এবং ইউরোপ তাদের শিল্প কারখানাগুলি চীন থেকে সরিয়ে ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশে নিয়ে আসতে চাচ্ছে। তাদের পছন্দের আরো কয়েকটি দেশ আছে যেমন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ইত্যাদি।
তবে এই দেশগুলি থেকে ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশ বেশি আকর্ষণীয় সস্তা শ্রম এবং জনসংখ্যার কারণে।

এই কারণে সম্প্রতি কালে মোদিকে আমেরিকা এবং ইউরোপ পিঠে হাত দিয়ে রাজি করিয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশ পিঠে হাত দিবে কি?
তার তো এই লাইনেই নাই।
সে স্বপ্ন আর চেতনা নিয়ে অচেতন ভাবে ঘুমিয়ে আছে।

৩| ২১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: চীন আগামী দিন গুলোতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।

২১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৪৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: চীন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগেই সারা বিশ্বের মানুষ টের পেয়ে গেছে।
এই যেমন আপনিও জেনে গেছেন।
এটাই হয়েছে চীনের বিপদ।
সবাই ভয় পেয়ে গেছে।
তাই সবাই সতর্কও হয়ে গেছে।
আর মানুষ সতর্ক হয়ে গেলে যত ভয়ঙ্করী হউক না কেন সে কিছুই আর করতে পারে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.