নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
১৬মে, ২০২৩ ম্যারিল্যান্ডের কলেজ পার্ক সিটির মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ফজলুল কবির।
ডঃ ফজলুল কবির কলেজ পার্ক সিটির প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রথম মুসলিম মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
ফজলুল কবিরের জন্ম বাংলাদেশে।
তিনি ঢাকায় পড়াশুনা শেষ করে পি এইচ ডি করার জন্য ইংল্যান্ডে আসেন।
তিনি ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনীয়ারিংয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।
এরপর তিনি কানাডাতে চলে যান।
কানাডাতে পড়াশুনা শেষ করে তিনি ২০০৩ সালে আমেরিকাতে এসে ম্যারিল্যান্ডের কলেজ পার্কে বসবাস করতে থাকেন।
এখানে মেয়র হওয়ার আগে তিনি মেরিল্যান্ড ইউনিভার্সিটিতে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে অধ্যাপনা করেন।
ডঃ কবির দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে কলেজ পার্কে বসবাস করছেন।
তিনি ২০১১ সাল থেকে সিটি কাউন্সিলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন
নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বলেন:
আমি আমার নিজের যাত্রার কথা বলার জন্য কিছু সময় নিতে চাই।
আমি বিদেশে (অর্থাৎ বাংলাদেশ) বেড়ে উঠেছি।
আমার মা ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক এবং আমার বাবা ছিলেন রেলওয়ে একজন সাধারণ কেরানি।
তারা দুজনেই আমাকে এবং আমার ভাইবোনদের একটি ছোট বাড়িতে বড় করার জন্য অনেক সংগ্রাম করেছেন।
সেখানে মৌলিক সুবিধার অনেক অভাব ছিল।
এই অভিজ্ঞতা আমাকে কঠোর পরিশ্রমের মূল্য উপলব্ধি করতে এবং কৃতজ্ঞ হতে শিখিয়েছে।
এবং এই অভিজ্ঞতা আমার জীবনে উচ্চতর সাফল্য অর্জনের জন্য, আমার ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের জন্য এবং তারপর আমেরিকান স্বপ্নের সন্ধানে আটলান্টিক অতিক্রম করতে অনুপ্রাণিত করেছে।
আমি এই দেশ এবং আমার প্রতিবেশীদের কাছে তাদের ভালবাসা, আমাকে গ্রহণ করা এবং সমর্থনের জন্য আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ।
তাছাড়া আপনাদেরকে সেবা করার যে অনুমতি আমাকে দিয়েছেন তার জন্যও আমি কৃতজ্ঞ।
আমি এই দেশে জন্মগ্রহণ করিনি, আমি এই দেশে বড় হইনি।
আমি একজন অভিবাসী, আমি একজন কালো বর্ণের মানুষ এবং আমি একজন মুসলিম।
তবুও আপনারা সবাই আমাকে আপনাদের সেবা করার সবচেয়ে বড় সুযোগ দিয়েছেন।
ছবি: ইন্টানেট থেকে
২১ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:৩৮
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আমেরিকানরা অনেক উদার মনের মানুষ।
আমেরিকাতে জন্মগ্রহণ না করলেও তারা যোগ্যতার কারণে যে কাউকে তাদের নেতা হিসাবে গ্রহণ করতে পারে।
আমেরিকানরা জাতি, ধর্ম, বর্ণ বা গোত্রের বিচার করে না।
বিচার করে তার যোগ্যতার।
ফজলুল করিম মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ আমেরিকান যোগ্যতার কারণে তাঁকে নির্বাচিত করেছে।
অর্থাৎ তার নির্বাচনের ক্ষেত্রে ধর্ম কোন বাধা হয় নাই।
আবার গাত্র বর্ণ কালো হওয়া সত্ত্বেও সংখ্যাগরিষ্ঠ সাদা বর্ণের এবং অন্যান্য বর্ণের আমেরিকান শুধুমাত্র তার যোগ্যতার কারণে তাকে মেয়র নির্বাচন করেছে।
এই ধরণের উদারতা শুধুমাত্র আমেরিকানদের মধ্যেই আছে।
২| ২১ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:২১
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের দেশে কবে আমরা এমন জনপ্রতিনিধিদের সংসদে দেখতে পাব ?
২১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:১৭
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: যেদিন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে সেই দিন।
আর গণতন্ত্র প্ৰতিষ্ঠা করার জন্য লাগবে --
শিক্ষা
উচ্চ মানবিক মূল্যবোধ
ইনসাফ
স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা
মানুষের প্রতি ভালবাসা এবং মমতা ইত্যাদি।
৩| ২১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:০২
রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট।
২১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৫৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: ফজলুল কবির আমেরিকাতে জন্মগ্রহণ করেননি, তিনি আমেরিকাতে বড় হননি।
তিনি আমেরিকাতে একজন অভিবাসী হিসাবে এসেছিলেন।
তিনি শ্বেতাঙ্গ নন, এবং তিনি একজন মুসলিম।
তারপরেও উদার মনের আমেরিকানরা তাকে মেয়র হিসাবে এবং তাদের নেতা হিসাবে নির্বাচিত করে তাদের নেতৃত্ব দেয়ার এবং সেবা করার অনেক বড় সুযোগ তাকে দিয়েছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ২:৫৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাঙ্গালীদের ইমেজ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এই ঘটনা। ওনাকে অভিনন্দন। আর আপনাকে ধন্যবাদ।