![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
ম্যারিল্যান্ডের চেসাপিক বিচ ভ্রমণের জন্য একটি চিত্তাকর্ষক গন্তব্য। উপকূলের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য, মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং ইতিহাস বিজড়িত স্থান ভ্রমণের আনন্দকে বাড়িয়ে দেয়।
উপকূলের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য:
ওয়াশিংটন, ডি.সি. থেকে মাত্র এক ঘণ্টার ড্রাইভে অবস্থিত চেসাপিক বিচ। থৈ থৈ পানি এবং প্রকৃতি ভ্রমণকারীকে প্রথমেই স্বাগত জানায়। ডিসি থেকে যাত্রা শুরু করলে রাস্তার দুই ধারের বনরাজির ভিতর দিয়ে ড্রাইভ করে আসতে হবে। চেসাপিক বিচের কাছে আসার সাথে সাথে ঝলমলে পানির ঝলক দেখা যাবে। এই ভাবে শুরু হবে একটি অবিস্মরণীয় ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।
থাকার ব্যবস্থা:
এখানে রিসোর্ট থেকে শুরু করে নানা ধরণের এবং নানা মানের আবাসিক হোটেল আছে, যেখানে অনায়াসে থাকা যায়। হোটেল থেকেই চেসিপিক উপসাগরের অত্যাশ্চর্য দৃশ্যাবলী দেখতে পাওয়া যায়।
হেটে হেটে প্রকৃতিকে আলিঙ্গন করা:
চেসাপিক বিচের উপকূল বরাবর পায়ে চলার সুন্দর পথ আছে। এই পথ দিয়ে হাঁটলে প্রকৃতি ভ্রমণকারীর সাথে আলিঙ্গন করে এবং কথা বলে। আবার অনেকেই বালুকাময় উপকূল বরাবর হেটে হেটে সন্ধ্যা সময়টা কাটাতে পছন্দ করে। তখন শ্বাসরুদ্ধকর সূর্যাস্ত দৃশ্য উপভোগ করা যায় । নোনতা হাওয়া, আলতো করে ছুঁয়ে যাওয়া ঢেউ, রিলাক্সিং মিউজিক শরীর এবং মনকে শান্ত করে দেয়।
ইতিহাস অন্বেষণ: চেসাপিক বিচ রেলওয়ে যাদুঘর
শহরের ইতিহাস অন্বেষণ করতে চেসাপিক বিচ রেলওয়ে মিউজিয়ামে ঘুরে দেখা যায়। একটা পুরাতন রেলস্টেশনকে জাদুঘর হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই জাদুঘরটি সুন্দরভাবে এই অঞ্চলের অতীতের ইতিহাসকে ধারণ করে আছে। এই ইতিহাস থেকে জানতে পারা যায় ছোট্ট একটি রেলস্টেশনকে কেন্দ্র করে কি ভাবে এই প্রাণবন্ত উপকূলীয় শহরটির রূপান্তর হয়েছে।
স্থানীয় স্বাদ উপভোগ করা: ভোজন রসিকদের জন্য
ভোজন রসিকদের আনন্দের জায়গা এই চেসাপিক বিচ। উপকূলে বসে উপসাগরের দিকে তাকিয়ে সামুদ্রিক খাবারের স্বাদ নেয়ার আনন্দের কোন তুলনা নাই। এখানে বিখ্যাত খাবার হচ্ছে চেসাপিক বে নীল কাঁকড়া। নীল কাঁকড়া স্বাদ নিয়ে কেউ হতাশ হয় না।
সামুদ্রিক অ্যাডভেঞ্চার: চার্টার ফিশিং এবং ওয়াটার স্পোর্টস
অ্যাডভেঞ্চার সন্ধানকারীদের জন্য চেসাপিক বিচের ওয়াটার স্পোর্টসগুলি খুবই আকর্ষণীয়। তাছাড়া আছে চার্টার ফিশিংয়ে ব্যবস্থা। অভিজ্ঞ গাইডরা ভ্রমণকারীকে গভীর সমুদ্রে নিয়ে যায়, যেখানে মাছের আবাস্থল। জাহাজের মধ্যেই সব কিছুর ব্যবস্থা থাকে। সাথে করে কিছুই নিতে হয় না। জাহাজের মধ্যেই আছে মাছ ধরার নানা ধরণের অনেক বড়শি, মাছ ধরার টুপ ইত্যাদি। ভ্রমণকারীর কাজ সমুদ্রের রোমাঞ্চ অনুভব করা এবং বড়শি ফেলে মাছ ধরা। এখানে অনেক বড় বড় মাছ ধরা যায়। একদিকে মাছ ধরার মজা যেমন পাওয়া যায় সেই সাথে সমুদ্রের রোমাঞ্চ অনুভব করা যায়।
পারিবারিক বিনোদন: চেসাপিক বিচ ওয়াটার পার্ক
কেউ যদি পরিবার নিয়ে সারাদিন আনন্দে কাটাতে চায় তাহলে চেসাপিক বিচ ওয়াটার পার্ককে সারাদিন কাটাতে পারে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে পানির মধ্যে নানা ধরণের খেলা শরীর মন উভয়ই জুড়িয়ে যাবে। এখানে নানা ধরণের পানির খেলা আছে যেমন পানির স্লাইড, কৃত্রিম নদী এবং স্প্ল্যাশ প্যাড সহ আরো অনেক ধরণের খেলা। বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্করা সবাই আনন্দ পাবে।
কাছাকাছি কয়েকটা জায়গা ঘুরে দেখা: নর্থ বিচ এবং বেফ্রন্ট পার্ক
চেসাপিক বিচ থেকে খুব কাছেই নর্থ বিচ। এটাও খুব আকর্ষণীয় স্থান। শান্ত শহরের রাস্তায় ঘুরাঘুরি। বুটিক এবং ক্যাফেতে অলস সময় কাটানো। কাছেই আছে বেফ্রন্ট পার্ক। এই পার্কে আছে খুব সুন্দর ট্রেইল এবং শান্ত পরিবেশে পিকনিক স্পট। যারা পরিবার নিয়ে নিরিবিলি সারাদিন কাটাতে চায় তারা এই শান্ত পরিবেশে যেতে পারেন।
ছবি: আমার নিজের মোবাইল ক্যামেরায় তোলা।
২৮ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৪১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: ভাল লাগার জন্য কৃতজ্ঞ।
২| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: কোনোদিন এসব দেশে কি বেড়াতে যেতে পারবো? আফসোস।
২৮ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৪৫
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: কি যে বলেন!
ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়।
ইউরোপ এবং আমেরিকার দূতাবাসগুলো প্রতিদিন কি পরিমাণ টুরিস্ট ভিসা দেয় জানলে অবাক হয়ে যাবেন।
আরাম আয়েশের অলসতার ঝেড়ে ইচ্ছা করেন।
বেড়ান দেখেন।
মনের অনেক জটিলতা কমে যাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১:১৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ভালো লাগলো।