নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেজর জেনারেল জর্জ গর্ডন মেডের স্মৃতিস্তম্ভে ইতিহাস অনুসন্ধান করা

২৮ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:২৫



যারা আমেরিকার গৃহযুদ্ধ সম্পর্কে আগ্রহী তাদেরকে পেনসিলভানিয়ার গেটিসবার্গ ভ্রমণ করতে হবে। আমেরিকান ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলির মধ্যে একটি হচ্ছে গেটিসবার্গের যুদ্ধে। এই যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল জর্জ গর্ডন মেড। মেজর জেনারেল জর্জ গর্ডন মেডের স্মৃতিস্তম্ভ হচ্ছে গৃহযুদ্ধের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্বের প্রতি মহান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং শ্রদ্ধা জানানোর একটি স্থান।



গেটিসবার্গের যুদ্ধক্ষেত্র এবং এর গুরুত্ব:



গেটিসবার্গের যুদ্ধ ১ জুলাই থেকে ৩ জুলাই, ১৮৬৩ পর্যন্ত সংগঠিত হয়েছিল। এই যুদ্ধ ছিল আমেরিকান গৃহযুদ্ধের একটি টার্নিং পয়েন্ট। এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে কনফেডারেট বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউনিয়ন বাহিনীর বিজয় হয়েছিল। এই যুদ্ধে পরাজয়ের মাধ্যমে কনফেডারেট বাহিনীর পরাজয়ের সূচনা হয়। এই যুদ্ধে উভয় পক্ষের বিপুল সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটে এবং নাটকীয়ভাবে গৃহ যুদ্ধের গতিপথকে প্রভাবিত করে। এই যুদ্ধের মাধ্যমে আমেরিকার অখণ্ডতা রক্ষা পায়।

মেজর জেনারেল জর্জ গর্ডন মেড: সংক্ষিপ্ত পরিচিতি



এই গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়ে আছেন মেজর জেনারেল জর্জ গর্ডন মিড। তাঁর জন্ম ৩১ ডিসেম্বর, ১৮১৫ । তিনি যুদ্ধের কয়েকদিন আগে পোটোম্যাক সেনাবাহিনীর কমান্ডার হিসাবে নিয়োগ লাভ করেন। তাঁর ছিল কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেয়ার অসাধারণ ক্ষমতা এবং নেতৃত্ব দানের অপরিসীম দক্ষতা। ইউনিয়ন বাহিনীর সাফল্যের পিছনে ছিল তার অসাধারণ কৌশল এবং দক্ষতা।

স্মৃতিস্তম্ভ: বীরত্ব এবং ত্যাগের প্রতিচ্ছবি



মেজর জেনারেল জর্জ গর্ডন মিডের স্মৃতিস্তম্ভে পৌঁছানোর সাথে সাথে এর মহিমা এবং গাম্ভীর্য অভিভূত করে। স্মৃতিস্তম্ভটি মেজর জেনারেল জর্জ গর্ডন মিডের ব্রোঞ্জের একটি বিশাল অশ্বারোহী মূর্তি তাঁর বিশ্বস্ত ঘোড়ার উপর স্থাপন করা হয়েছে। এই ঘোড়ায় চড়ে তিনি তাঁর সৈন্যদের যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে অমর হয়ে আছেন। প্রখ্যাত শিল্পী চার্লস গ্রাফাই এই ভাস্কর্যটি সৃষ্টি করেছেন। এই শ্বাসরুদ্ধকর ভাস্কর্যটি একটি গ্রানাইট পাদদেশের উপরে দাঁড়িয়ে আছে। এই গ্রানাইট পাদদেশটি জটিল খোদাই এবং শিলালিপি দিয়ে সজ্জিত।



গেটিসবার্গের যুদ্ধের তিন দশকেরও বেশি সময় পরে ৪ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৬ সালে স্মৃতিস্তম্ভটি উৎসর্গ করা হয়েছিল। ভাস্কর্যটিতে কি ধরণের প্রতীক ব্যবহার করলে সঠিক ভাবে তাঁকে সম্মান জানানো যাবে তা নিয়ে বিতর্কের কারণে ভাস্কর্যটি নির্মাণে বিলম্ব হয়। অনেক বিতর্কের পর যখন ভাস্কর্যটি অবশেষে জনসমক্ষে উন্মোচন করা হয়েছিল তখন এটি সম্মানের প্রতীক হয়ে ওঠে। আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র টিকে থাকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী একজন ব্যক্তির প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।

ইতিহাসের প্রতিফলন:



এই মহিমান্বিত স্মৃতিস্তম্ভের সামনে দাঁড়িয়ে গৃহযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনগুলিতে অগণিত সৈন্যদের ত্যাগের প্রতিফলন মানুষ গভীর ভাবে অনুভব করে। মেজর জেনারেল জর্জ গর্ডন মেড এবং তার সৈন্যদের প্রদর্শিত বীরত্ব সেই সাহস এবং সংকল্পের কথা মনে করিয়ে দেয় যা ইতিহাসের গতিপথকে রূপ দিয়েছে। এটি স্বাধীনতার মূল্য এবং একটি জাতি হিসাবে ঐক্য রক্ষার গুরুত্বের অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে।

ব্যবহারিক তথ্য:



অবস্থান: হ্যানকক এভিনিউ, গেটিসবার্গ, পেনসিলভানিয়া, আমেরিকা। স্মৃতিস্তম্ভটি গেটিসবার্গ ন্যাশনাল মিলিটারি পার্কের মধ্যে অবস্থিত।



পার্কের সময়: গেটিসবার্গ ন্যাশনাল মিলিটারি পার্ক সারা বছর খোলা থাকে।



গাইডেড ট্যুর: যুদ্ধ এবং এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে ভালভাবে জানতে গাইডেড ট্যুর সবচেয়ে ভাল। গাইডরা স্মৃতিস্তম্ভ এবং আশেপাশের এলাকা সম্পর্কে প্রচুর তথ্য এবং উপাখ্যান সম্পর্কে অবহিত করে



কাছাকাছি আকর্ষণ: গেটিসবার্গে থাকাকালীন, লিটল রাউন্ড টপ, ডেভিলস ডেন এবং ইটারনাল লাইট পিস মেমোরিয়ালের মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সাইটগুলি ঘুরে দেখা যায়।

শেষ কথা:



মেজর জেনারেল জর্জ গর্ডন মিডের স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন একটি নিমগ্ন অভিজ্ঞতা যা আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অধ্যায়গুলির মধ্যে একটিতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। এই ভ্রমণ তাদের শ্রদ্ধা জানাতে একটি অনন্য সুযোগ দেয়, যারা এই পবিত্র মাটিতে লড়াই করেছিল এবং জীবন দিয়েছিল। তাদের এই ত্যাগ জাতির পরিচয়ে একটি অমোঘ, অব্যর্থ এবং অপরিবর্তনীয় চিহ্ন রেখে গেছে।



ছবি: আমার মোবাইল ক্যামেরায় তোলা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:০৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: প্রথম ছবিতে কি আপনি?

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ২:০৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: ছবি তো ছবিই।
এতে আমি আর আপনি কি?
এখানে মূল বিষয় মেজর জেনারেল জর্জ গর্ডন মেডের স্মৃতিস্তম্ভে ইতিহাস অনুসন্ধান করা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
অনেক ধন্যবাদ।

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ২:০৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.