নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
ব্রিটিশ আমলে প্রণীত ফৌজদারি আইন বাতিল করার জন্য ইন্ডিয়ান সরকার শুক্রবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ অর্থাৎ লোকসভায় তিনটি বিল উত্থাপন করেছে। বিলগুলির উদ্দেশ্য হল ব্রিটিশ আমলে প্রণীত ফৌজদারি আইন বাতিল এবং নতুন আইন প্রতিস্থাপন করা । গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনগুলির মধ্যে আছে বিতর্কিত রাষ্ট্রদ্রোহ আইন সংশোধন করা এবং নারী ও নাবালকদের সুরক্ষা দেয় এমন আইনগুলিকে শক্তিশালী করা।
লোকসভার বর্তমান অধিবেশনের শেষ দিনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইন্ডিয়ান পেনাল কোড অর্থাৎ দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি এবং সাক্ষ্য আইন বাতিল এবং প্রতিস্থাপনের বিল পেশ করেন। এই সবগুলি আইন ইন্ডিয়ার স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশদের দ্বারা প্রণয়ন করা হয়েছিল। পরাধীনতার সময় বিদেশী শাসকদের দ্বারা প্রণীত আইন যে একটা স্বাধীন দেশে প্রযোজ্য নয় এটা বুঝতে ইন্ডিয়ার মাত্র ৭৬ বছর সময় লেগেছে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ এতদিন এটা না বুঝলেও, এখন ইন্ডিয়াকে অনুসরণ করে এই আইনগুলি, যা পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে বর্তমানে প্রচলিত আছে তা, বাতিল এবং সংশোধনের উদ্যোগ নিবে -- এটা নিশ্চিত।
উপনিবেশ আমলে আইন প্রণয়নের উদ্দেশ থাকে শাস্তি দেয়া। কিন্তু একটা স্বাধীন দেশের আইন প্রণয়ের উদ্দেশ্য হতে হয় ন্যায়বিচার প্ৰতিষ্ঠা করা। ইন্ডিয়ান উপমহাদেশের মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
ভারত সরকার ব্রিটিশ আমলের ফৌজদারি আইন বাতিল করার উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগটি ইতিবাচক এবং এটি ভারতের আইনব্যবস্থাকে আরও আধুনিক এবং মানবাধিকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তুলবে।
বাংলাদেশের সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিধানটি ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক।
বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যান্য ক্ষেত্রেও কিছু পরিবর্তন করা প্রয়োজন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
১. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা।
২. জনগণের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করা।
৩. দলনিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
২| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:২১
রানার ব্লগ বলেছেন: ভারত সরকার আগে তাদের লোকসভা থেকে ক্রিমিনাল সরাক !
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩৬
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
ভারত সরকারের উচিত তাদের লোকসভা থেকে অপরাধীদের সরিয়ে ফেলা। এই পদক্ষেপটি ভারতীয় গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনকে শক্তিশালী করবে।
ভারতীয় সংবিধানে বলা হয়েছে যে, "কোনও ব্যক্তিকে সংসদের কোনও কক্ষের সদস্য হতে ক্ষমতা দেওয়া হবে না যদি তিনি কোনও অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন এবং তার বিরুদ্ধে রায় কার্যকর থাকে।"
তবে, এই বিধানটি সবসময় পালন করা হয় না। ভারতীয় লোকসভায় বেশ কয়েকজন সদস্য রয়েছেন যারা অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
এই অপরাধীদের লোকসভায় থাকার ফলে ভারতীয় গণতন্ত্রের উপর প্রশ্ন উঠেছে। এই অপরাধীরা আইনের শাসনকে ক্ষুণ্ন করছে এবং ভারতীয় জনগণের আস্থা হারিয়ে ফেলছে।
ভারত সরকারের উচিত এই অপরাধীদের লোকসভা থেকে অপসারণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া। এই পদক্ষেপটি ভারতীয় গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনকে শক্তিশালী করবে।
এই পদক্ষেপগুলি নিতে পারে:
১. ভারতীয় সংসদ একটি আইন পাস করতে পারে যা লোকসভার সদস্যদের জন্য একটি নৈতিক কোড প্রতিষ্ঠা করে। এই কোডে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা থাকতে পারে।
২. ভারতীয় সংসদ একটি কমিটি গঠন করতে পারে যা লোকসভার সদস্যদের নৈতিক আচরণ পর্যবেক্ষণ করে। এই কমিটি অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করতে পারে।
এই পদক্ষেপগুলি ভারতীয় লোকসভাকে আরও নৈতিক এবং জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবে।
৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশ কিছু শিখছে না।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩৯
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
এই বক্তব্যটি সম্পূর্ণরূপে সত্য নয়। বাংলাদেশ ভারত থেকে অনেক কিছু শিখছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
১. অর্থনীতি: বাংলাদেশ ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অভিজ্ঞতা থেকে শিখছে। বাংলাদেশ ভারতের মতোই একটি উন্নয়নশীল দেশ, এবং ভারতের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য অনুকরণীয়।
২. প্রযুক্তি: বাংলাদেশ ভারতের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের অভিজ্ঞতা থেকে শিখছে। ভারত একটি বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত শক্তি, এবং ভারতের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য মূল্যবান।
৩. শিক্ষা: বাংলাদেশ ভারতের শিক্ষাব্যবস্থার অভিজ্ঞতা থেকে শিখছে। ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাব্যবস্থা, এবং ভারতের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য অনুকরণীয়।
৪. সংস্কৃতি: বাংলাদেশ ভারতের সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা থেকে শিখছে। ভারত একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতির দেশ, এবং ভারতের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ ভারত থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষাগ্রহণ করছে। এই শিক্ষাগ্রহণের ফলে বাংলাদেশ তার উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে পারছে।
তবে, বাংলাদেশ ভারত থেকে সবকিছু শিখছে না। এর মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের থেকে ভিন্ন পথ বেছে নিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশ ভারতের মতো রাষ্ট্রধর্মের বিধান গ্রহণ করতে চাইছে না।
বাংলাদেশ ভারত থেকে শিক্ষাগ্রহণের পাশাপাশি তার নিজস্ব সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধকে সংরক্ষণ করতে চাইছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:৪০
কামাল১৮ বলেছেন: আরো অনেক আগে উদ্দোগ নেয়া প্রয়োজন ছিলো।আমাদের সংবিধানের কিছু পরিববর্তন করা প্রয়োজন।বিশেষ করে রাষ্ট্রধর্ম।