নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোন কিছু অর্জন করতে হলে প্রত্যয় এবং সাহসের প্রয়োজন।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৫:০৫

প্রত্যয় হল একটি দৃঢ় বিশ্বাস। যখন আমরা কোন কিছু অর্জন করতে চাই, তখন আমাদের মনের মধ্যে সেই জিনিসটি অর্জনের একটি দৃঢ় বিশ্বাস থাকা প্রয়োজন। এই বিশ্বাস আমাদের সামনের বাধাগুলোকে অতিক্রম করতে সাহায্য করে।

সাহস হল একটি মানসিক শক্তি যা আমাদের ভয়কে জয় করতে সাহায্য করে। যখন আমরা কোন কিছু অর্জন করতে চাই, তখন আমাদের সামনে অনেক বাধা আসে। এই বাধাগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই আমাদের ভয়কে উস্কে দেয়। সাহসের মাধ্যমে আমরা এই ভয়কে জয় করতে পারি এবং আমাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এগিয়ে যেতে পারি।

প্রত্যয় এবং সাহস দুটিই আমাদের জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলী। এই গুণাবলীগুলো আমাদের জীবনে অনেক কিছু অর্জন করতে সাহায্য করে।

কোন জিনিস অর্জনের জন্য দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ করা এবং সাহস সঞ্চারের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:

১. লক্ষ্যটিকে পরিষ্কারভাবে নির্ধারণ করা।

আপনি কি অর্জন করতে চান সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকলে দৃঢ় বিশ্বাস গড়ে তোলা সহজ হবে এবং একই সাথে সাহস বাড়বে।

২. লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জন করা।

যত বেশি জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জন করা যাবে, তত বেশি লক্ষ্য অর্জনের সম্ভাবনা এবং সেই সাথে সাহস বাড়বে।

৩. লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরিকল্পনা করা।

পরিকল্পনা থাকলে লক্ষ্য অর্জনের পথ সুগম হবে।

৪. লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করা।

কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কোন কিছুই অর্জন করা সম্ভব নয়।

৫. লক্ষ্য অর্জনের দিকে ইতিবাচক মনোভাব রাখা।

ইতিবাচক মনোভাব সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

এছাড়াও নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মনে রাখতে পারেন:

(ক) সফল ব্যক্তিদের জীবনী পড়ুন। তাদের জীবনের গল্প আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আপনার দৃঢ় বিশ্বাস এবং সাহস বাড়াতে সাহায্য করবে।

(খ) লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়বেন না। ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিন এবং আবার চেষ্টা করুন।

নিচে কিছু নির্দিষ্ট কৌশল দেওয়া হল, যা আপনাকে দৃঢ় বিশ্বাস গড়ে তুলতে এবং সাহস বাড়াতে সাহায্য করতে পারে:

(অ) প্রতিদিন আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন এবং সেই সময়ে শুধুমাত্র সেই কাজের উপর ফোকাস করুন।

(আ) লক্ষ্য অর্জনের প্রতিটি ছোটো ছোটো অগ্রগতি কৃতজ্ঞতা এবং সন্তুষ্টির সাথে উদযাপন করুন। এতে আপনার অনুপ্রেরণা বাড়বে।

(ই) লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি করুন। বন্ধুবান্ধব, পরিবার এবং সহকর্মীদের কাছ থেকে সমর্থন পেলে বিশ্বাস এবং সাহস আরও মজবুত হবে।

নিয়মিত অনুশীলন করলে লক্ষ্য অর্জনের জন্য মনের মধ্যে সাহস সঞ্চার করতে পারবেন।

এখানে কিছু অতিরিক্ত টিপস দেওয়া হল:

(১) যে বিষয়গুলি নিয়ে ভয় পাচ্ছেন সেই ভয়গুলির মুখোমুখি হন। ভয়কে এড়িয়ে গেলে তা আরও বড় হয়ে উঠবে। তাই ভয়ের মুখোমুখি হয়ে তা জয় করুন। ভয়কে চ্যালেঞ্জ করুন। ভয়গুলি নিয়ে নিজের সাথেই ঠাট্টা মস্করা করুন।

(২) নিজেকে বিশ্বাস করুন। নিজের উপর বিশ্বাস না রাখেন, অন্য কেউ আপনাকে বিশ্বাস করবে না। তাই নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং লক্ষ্য অর্জনের জন্য এগিয়ে যান।

(৩) লক্ষ্য অর্জনের জন্য নিয়মিত কাজ করুন। লক্ষ্য অর্জনের জন্য নিয়মিত কাজ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিদিন আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য কিছু সময় ব্যয় করুন।

উপসংহারে বলা যায়, প্রত্যয় এবং সাহস দুটিই আমাদের জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলী। এই গুণাবলীগুলো আমাদের জীবনে অনেক কিছু অর্জন করতে সাহায্য করে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:১৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

সাহস মাপার উপায় কি?

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ভয় এবং সাহস ব্যস্তানুপাতিক।
ভয় যত কমবে সাহস তত বাড়বে।
তাই ভয় হচ্ছে সাহস মাপার উপায়।

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: শুভ সকাল...

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


শুভ সকাল

৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৭

বিজন রয় বলেছেন: আপনার পড়লেখার সাবজেক্ট কি সমাজবিজ্ঞান, বা মনোবিজ্ঞান।

দারুন আলোচনা নিয়ে সব পোস্ট দিচ্ছেন।

চলতে থাকুক।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আমার মনোজগতের শৃঙ্খলার বিষয় হচ্ছে আইনশাস্ত্র এবং আইনের সাথে সম্পর্কিত রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, সরকার এবং রাজনীতি। তবে আইনশাস্ত্রে গভীরে প্রবেশ করার জন্য সমাজবিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞান অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। আর সবগুলিকে একত্রে বলতে পারেন জীবনযাপনের বিজ্ঞান। আমি এই জীবনযাপনের বিজ্ঞানের একজন ছাত্র।

৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো ভালো কথা লিখেছেন।
বাস্তব জীবনে মেনে চললে উপকার পাওয়া যাবে।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


নীতি কথার দেশ বাংলাদেশ।
যত নীতি কথা বা যত ভাল কথা সব আমরা জানি।

কিন্তু বাস্তবে আমরা তা পালন করি না।

যেমন ধরেন, "পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ।"
কে জানে না এই কথা?
কে শুনে নাই এই কথা?

কিন্তু আপনি কোথাও কোন পরিচ্ছন্নতা দেখতে পাবেন না।
কোন একটা গণ-শৌচাগারে ময়লা এবং দুর্গন্ধের জন্য ঢুকতে পারবেন না।

অথচ উন্নত দেশে কোথাও এই নীতি কথা বা কোন নীতি কথাই মুখে মুখে শুনবেন না।
শুধু কাজে দেখবেন।
কোথাও একটুকরা কাগজ পরে থাকতে দেখবেন না।
গণ-শৌচাগারগুলিতে দুর্গন্ধ তো দূরে কথা ফুলের হালকা গন্ধ ভেসে আসছে।

কি ভাবে সম্ভব?
কথা না বলে চর্চা করলেই এটা সম্ভব।
বাড়িতে এবং স্কুলে বাচ্চাদেরকে নিয়ে চর্চা করলে নীতি কথাগুলি রক্তে, মাংস, মগজে ঢুকে যাবে।

এইবার আসেন আসল কথায়।
আমি যা যা ভাল কথা লিখছি তা সবাই আগেই শুনেছেন এবং জানেন।
আমিও এই গুলি আগেই শুনেছি এবং জেনেছি।
কিন্তু আমি এই সবগুলি আমার ব্যক্তিগত জীবনে চর্চা করছি।

চর্চা করতে শুরু করেন।
প্রথম দিকে সাইকেল বা গাড়ি চালানো শিখার মত কঠিন মনে হবে।
কিন্তু কিছু দিন চর্চা করলেই সাইকেল বা গাড়ি চালানোর মতোই সহজ মনে হবে।
বিশ্বাস করুন, সাহস করুন, চর্চা করুন।
কিছু দিন পরে দেখবেন আপনি শুধু গাড়ির স্টিয়ারিং হুইল ধরে বসে আছেন, আর গাড়ি আপনাকে নিয়ে জীবনের মহাসড়ক ধরে দ্রুতগতিতে ছুটে চলেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.