নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বোঝাবুঝির শুরুর প্রথম চিহ্ন হল মৃত্যুর ইচ্ছা

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৪



ফ্রাঞ্জ কাফকার বলেছেন "বোঝাবুঝির শুরুর প্রথম চিহ্ন হল মৃত্যুর ইচ্ছা"। এই কথাটি খুব জটিল এবং চিন্তা উদ্রেককারী। এই কথাটিকে বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কারো কারো অভিমত হচ্ছে যে এর অর্থ হল যে আমরা পৃথিবী সম্পর্কে যত বেশি বুঝতে পারি, ততই আমরা বুঝতে পারি যে এটি কতটা অর্থহীন এবং আশাহীন এবং মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পালানোর ইচ্ছা মানুষের মনে জগতে পারে। আবার কারো মতে এর অর্থ হল যে মৃত্যুর ইচ্ছা ব্যক্তিগত বৃদ্ধির প্রক্রিয়ার একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। কারণ এটি আমাদের নিজেদের মৃত্যুর মুখোমুখি হতে এবং আমাদের অস্তিত্বের সীমাবদ্ধতার সাথে মানিয়ে নিতে বাধ্য করে।

এটাও সম্ভব যে কাফকা তার বক্তব্যের মাধ্যমে আক্ষরিক অর্থ বোঝাতে চাননি। বরং এটিকে বুদ্ধিবৃত্তিক এবং আবেগ গত বৃদ্ধির প্রক্রিয়ার রূপক হিসাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। এই অর্থে, "মৃত্যুর ইচ্ছা" র মানে হচ্ছে পুরানো বিশ্বাস এবং চিন্তাভাবনা ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছার কথা বলা হয়েছে। এমনকি যদি পুরানো বিশ্বাস এবং চিন্তাভাবনাগুলি মানুষের জন্য আরামদায়ক এবং পরিচিত হয়। এটি অজানাকে আলিঙ্গন করার এবং জীবনের চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হওয়ার আকাঙ্ক্ষাকেও উপস্থাপন করতে পারে।

শেষ বিচারে কাফকার বক্তব্যের অর্থ নির্ধারণ করা প্রতিটি ব্যক্তির উপর নির্ভর করে। তবে এই কথাটি নিয়ে চিন্তা করা যেতে পারে। কারণ এই কথাটি আমাদের এবং আমাদের চারপাশের বিশ্ব সম্পর্কে গভীর ভাবে বোঝার দিকে নিয়ে যেতে পারে



এখানে কাফকার বক্তব্যের অর্থ সম্পর্কে কিছু অতিরিক্ত চিন্তা আলোচনা করা হল:

১. মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষাকে মানুষের অবস্থার অন্তর্নিহিত যন্ত্রণার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হিসাবে দেখা যেতে পারে। যখন মানুষ বেদনা, ক্ষতি এবং হতাশার মুখোমুখি হয় তখন আত্মহারা হওয়া এবং পালানোর ইচ্ছা জাগা স্বাভাবিক।

২. মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষাকে আধ্যাত্মিক জাগরণের চিহ্ন হিসাবেও দেখা যেতে পারে। মানুষের নিজের মৃত্যু এবং অস্তিত্বের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে আরও সচেতন হয়ে উঠলে জীবনের অর্থ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে এবং আরও কিছু খুঁজতে শুরু করতে পারে।

৩. মরার ইচ্ছা সৃজনশীলতার উৎস হতে পারে। মানুষ যখন মৃত্যুর সম্ভাবনার মুখোমুখি হয় তখন সময়ের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে এবং জীবনকে পরিপূর্ণভাবে যাপন করতে অনুপ্রাণিত হতে পারে।

৪. গভীর উপলব্ধি জীবনের অসুবিধা, জটিলতা এবং চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সচেতনতা আনতে পারে। যখন মানুষ নির্দিষ্ট সত্য বা বাস্তবতার গভীরতার সাথে লড়াই করে, তারা অস্তিত্ব গত হতাশার অনুভূতি বা জ্ঞানের বোঝা থেকে মুক্তি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা অনুভব করতে পারে।

৫. এখানে "মৃত্যুর ইচ্ছা" শারীরিক মৃত্যুর জন্য আক্ষরিক আকাঙ্ক্ষাকে বোঝায় না। বরং মানসিক অশান্তির অবসানের জন্য একটি রূপক বা প্রতীকী আকাঙ্ক্ষা কে বুঝায় যা গভীর উপলব্ধি থেকে হতে পারে। এটি জ্ঞানের ভার এবং অস্তিত্বের লড়াই থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে উপস্থাপন করতে পারে যা নিজেকে এবং বিশ্বকে গভীর ভাবে বোঝার থেকে আসে।



অর্থ যাই হোক না কেন কাফকার বক্তব্যটি একটি নিদর্শন যে মরার ইচ্ছা একটি জটিল এবং বহুমুখী ঘটনা যা বিভিন্ন উপায়ে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। এটি এমন একটি বিষয় যা চিন্তা এবং আলোচনার বিষয়। কারণ এটি মানুষ নিজেদেরকে এবং চারপাশের বিশ্বকে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করতে পারে৷

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৮

জাহিদ অনিক বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। কাফকা, আলবেয়ার কামুস- দুজনেই আমার প্রিয় লেখক
আপনার ব্যাখা ভালো লেগেছে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ধন্যবাদ।

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫২

সোনাগাজী বলেছেন:



কাফকা কি ভেবে উহা লিখেছিলেন, সেটা আপনার সাথে আলাপ করেছিলেন?

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


না।

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: কার কি মত সেটা জেনে লাভ কি।আপনার মতটা জানান।আপনার কি প্রায় পালানোর ইচ্ছা জাগে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:

কার কি মত সেটা জেনে অনেক লাভ আছে।

একই বিষয়ের উপর বিভিন্ন মানুষ ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করে।
এই ভিন্ন ভিন্ন মতের সাথে আমরা একমত হই বা না হই, এতে আমরা বিষয়টি সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ এবং দৃষ্টিভঙ্গি দেখতে পাই।
এতে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পূর্ণতা পায়।

কাফকার এই বক্তব্য এবং দৃষ্টিভঙ্গি বুঝার জন্য আমি লেখার মধ্যে চেষ্টা করেছি। কাফকার এই ধরণের বক্তব্যের পিছনে কি কি কারণ থাকতে পারে তা অনুসন্ধান করার চেষ্টা করেছি।

হয়তো আমার ধারণা ঠিক বা আংশিক ভাবে ঠিক অথবা একদম সঠিক না।

পোস্ট দেয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে পাঠকের মনে প্রশ্নের উদ্রেক করা। বিষয়টি নিয়ে যাতে পাঠক ভাবে এবং তার অনুভূতি ব্যক্ত করে।

আমার মতামত ঐ লেখার ভিতরেই আছে। কাফকা কি কারণে এই কথা বলেছেন তা পরিষ্কার ভাবে আমরা জানি না। সম্ভাব্য কিছু কারণ আমি উল্লেখ করেছি। এরমধ্যে কোন কোন কারণের সাথে আমি একমত। যেমন --


১. কেউ যদি মনে করে পৃথিবী অর্থহীন এবং আশাহীন তাহলে মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পালানোর ইচ্ছা তার মনে জগতে পারে। সেই ক্ষেত্রে প্রতিষেধক হচ্ছে পৃথিবী সম্পর্কে আশাবাদী হওয়া। তাহলে মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পালানোর ইচ্ছা তার মনে আসবে না।

২. প্রতিটা মানুষ এক সময় মারা যাবে এটা নিশ্চিত। তাই এই মনোভাব মানুষকে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে এবং অস্তিত্বের সীমাবদ্ধতাকে মেনে নিতে মানসিক ভাবে প্রস্তুত করে।

৩. "মৃত্যুর ইচ্ছা" বলতে যদি কাফকা পুরানো বিশ্বাস এবং চিন্তাভাবনা ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছার কথা বুঝিয়ে থাকেন, তাহলে সেটা আরেক ধরণের অর্থ প্রকাশ করে। পুরানো বিশ্বাস এবং চিন্তাভাবনা লালন করতে মানুষের আরামদায়ক এবং অভ্যস্ত অনুভব করে। এই পুরনো অভ্যাসগুলোকে ত্যাগ করে অজানাকে আলিঙ্গন করা অনেকটা মৃত্যুর মত।

৪. তাছাড়া মানুষ যখন কোন তীব্র বেদনা, ক্ষতি এবং হতাশার মুখোমুখি হয় তখন আত্মহারা হওয়া এবং জীবন থেকে পালানোর ইচ্ছা জাগা স্বাভাবিক।

৫. মানুষ যখন মনে করে যেকোনো সময় তার মৃত্যু হতে পারে, তখন অনেক সময় মানুষ সৃজনশীল হতে পারে। সে সময়ের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করে, সময় নষ্ট না করে সৃজনশীল কাজে লিপ্ত হতে পারে এবং জীবনকে পরিপূর্ণভাবে যাপন করতে পারে।

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২৫

স্প্যানকড বলেছেন: কাফকা তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে বলেছিলেন, তাঁর মৃত্যুর পর উনার সমস্ত লেখা যেন পুড়িয়ে ফেলা হয়। ভাগ্যিস তাঁর বন্ধু সে কাজটা করেন নি। কাফকার যক্ষা বা এমন কোন ব্যাধি ছিল। ভালো থাকবেন :)

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:

ফ্রাঞ্জ কাফকা ছিলেন একজন অস্ট্রিয়া-চেক লেখক যিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লেখক হিসাবে বিবেচিত হন। তাঁর লেখাগুলি প্রায়শই অদ্ভুত, দুঃস্বপ্নের মতো এবং বিদ্রূপাত্মক। কাফকা তাঁর জীবদ্দশায় তাঁর লেখাগুলি প্রকাশ করতে চাননি। তিনি তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু, মিনা পলাচিকে বলেছিলেন যে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সমস্ত লেখা যেন পুড়িয়ে ফেলা হয়।

কাফকা তাঁর লেখাগুলির প্রকাশের ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন কারণ তিনি মনে করতেন যে সেগুলি "অপূর্ণ" এবং "অতি ব্যক্তিগত"। তিনি ভয় পেতেন যে তাঁর লেখাগুলি পাঠকরা সঠিক অর্থে বুঝতে পারবে না বা তিনি যেমন মনে করেন ঠিক সেই ভাবে পাঠকরা গ্রহণ করবে না।

কাফকা ১৯২৪ সালে মাত্র ৪০ বছর বয়সে মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর, তাঁর বোন, ভেরোনা কাফকা, তাঁর বন্ধুদের অনুরোধে তাঁর লেখাগুলি প্রকাশ করতে রাজি হন। এই সিদ্ধান্তটি একটি বিতর্কিত ছিল এবং কিছু সমালোচক মনে করেন যে কাফকার ইচ্ছার প্রতি অবিচার করা হয়েছে।

যাইহোক, কাফকার লেখাগুলি প্রকাশ করার সিদ্ধান্তটি সাহিত্যের জগতে একটি বিপ্লব ঘটায়। তাঁর লেখাগুলি আধুনিক সাহিত্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে, এবং তিনি আজও বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী লেখকদের একজন।


কাফকা তাঁর সমস্ত লেখা পুড়িয়ে ফেলার ইচ্ছা প্রকাশ করার কিছু কারণ নিম্নরূপ:

১. অপূর্ণতা:

কাফকা তাঁর লেখাগুলিকে কখনই "সম্পূর্ণ" বলে মনে করতেন না। তিনি সবসময় মনে করতেন যে সেগুলিতে আরও কাজ করা যেতে পারে।

২. ব্যক্তিগততা:

কাফকার লেখাগুলি প্রায়শই তাঁর নিজস্ব ব্যক্তিগত জীবন এবং অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত ছিল। তিনি ভয় পেতেন যে তাঁর লেখাগুলি পাঠকরা ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ করতে পারে।

৩. গ্রহণযোগ্যতা:

কাফকা মনে করতেন যে তাঁর লেখাগুলি পাঠকরা সঠিক অর্থে বুঝতে পারবে না এবং তিনি যেরকম আশা করেন সেই রকম অর্থে গ্রহণ করবে না।

৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪০

শ্রাবণধারা বলেছেন: কাফকাকে নিয়ে লেখা খুব ইন্টারেস্টিং হবে ভেবেছিলাম। কিন্তু লেখাটা আগ্রহমূলক নয়। হয়তো তার মেটামরফসিস নিয়ে আলোচনা করলে ভালো হতো।

"স্প্যানকড বলেছেন: কাফকা তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে বলেছিলেন, তাঁর মৃত্যুর পর উনার সমস্ত লেখা যেন পুড়িয়ে ফেলা হয়। ভাগ্যিস তাঁর বন্ধু সে কাজটা করেন নি। কাফকার যক্ষা বা এমন কোন ব্যাধি ছিল।"

@ স্প্যানকড, তার এই বন্ধুর নাম ছিলো ম্যাক্স ব্রড (Max Brod)। এই লোক তার জীবদ্দশায় লেখক হিসেবে অনেক বিখ্যাত ছিলেন। এখন তিনি বিখ্যাত কাফকার লেখাগুলো সংগ্রহ করেছিলেন বলে। নাৎসিরা ১৯৩৯ সালে প্রাগ দখল করলে ম্যাক্স ব্রড সাথে একটা স্যুটকেস নিয়ে প্যালেস্টাইনে (আজকের ইসরাইল) চলে যান। সেই স্যুটকেসে ছিলো কাফকার অপ্রকাশিত নোট, ডায়েরি এবং স্কেচ। ম্যাক্স ব্রড সেই স্যুটকেসটা হারিয়ে ফেললে বা কাগজপত্রগুলো সঙ্গে না নিলে পৃথিবী কাফকা বলে কোন লেখককেই চিনতো না।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


কাফকাকে নিয়ে লেখা খুব ইন্টারেস্টিং হবে ভেবেছিলাম। কিন্তু লেখাটা আগ্রহমূলক নয়। হয়তো তার মেটামরফসিস নিয়ে আলোচনা করলে ভালো হতো।

প্রথমত: লেখাটি ইন্টারেস্টিং এবং আগ্রহমূলক হয় নি জেনে আমি দুঃখিত। এটা লেখক হিসাবে আমার সীমাবদ্ধতা।

দ্বিতীয়ত: এই লেখাটি কাফকাকে নিয়ে নয়। আমি এই লেখায় কাফকার একটি বিখ্যাত উক্তিকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছি।


মন্তব্যের পাশাপাশি অতিরিক্ত তথ্য সংযোজন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০২

বাকপ্রবাস বলেছেন: এমন বিষয় নিয়ে আরো আলাপ হোক।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ভবিষতে আরো আলোচনার ইচ্ছা আছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: কাফকার সাধারণ কথাগুলো বা লেখা চিঠিগুলোর মাঝেও মানুষ জটিলতা খুঁজে পায়, এটার অন্যতম কারণ হয়ত তার অন্যান্য লেখার গভীর ভাব দর্শন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ফ্রাঞ্জ কাফকা একজন অস্ট্রিয়া-চেক লেখক যিনি তাঁর অদ্ভুত, দুঃস্বপ্নের মতো এবং বিদ্রূপাত্মক লেখাগুলির জন্য বিখ্যাত। তাঁর লেখাগুলি মানুষের অস্তিত্বের অনিশ্চয়তা, বিচ্ছিন্নতা এবং অসহায়ত্বের বিষয়গুলি প্রকাশ করে।

কাফকার লেখাগুলির গভীর ভাব দর্শন তাঁর সাধারণ কথাবার্তা এবং লেখা চিঠিগুলিতেও প্রতিফলিত হয়। তিনি প্রায়শই জীবনের অর্থ, মৃত্যুর ভয় এবং মানুষের অস্তিত্বের উদ্দেশ্য সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করতেন। এই চিন্তাভাবনাগুলি তাঁর কথাবার্তা এবং লেখা চিঠিগুলিতে স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়।

উদাহরণস্বরূপ, কাফকা তাঁর এক বন্ধুকে লিখেছিলেন, "জীবন একটি অদ্ভুত জিনিস। এটি একটি বিশাল অন্ধকার কক্ষের মতো, যার মধ্যে একটি ছোট জানালা রয়েছে। আমরা এই জানালা দিয়ে বাইরের জগতের দিকে তাকাতে পারি, কিন্তু আমরা এটিকে কখনই পুরোপুরি বুঝতে পারি না।" এই উক্তিটি কাফকার জীবনের অনিশ্চয়তা এবং বিচ্ছিন্নতার ধারণাকে প্রতিফলিত করে।

কাফকার লেখাগুলির গভীর ভাব দর্শন পাঠকদের তাঁর সাধারণ কথাবার্তা এবং লেখা চিঠিগুলিতে জটিলতা খুঁজে পেতে উৎসাহিত করে। পাঠকরা তাঁর লেখাগুলির মাধ্যমে তাঁর চিন্তাভাবনা এবং বিশ্বদর্শন সম্পর্কে আরও জানতে পারেন।


কাফকার সাধারণ কথাবার্তা এবং লেখা চিঠিগুলিতে জটিলতা খুঁজে পাওয়ার কিছু কারণ নিম্নরূপ:

১. কাফকা প্রায় সময় রূপক এবং প্রতীক ব্যবহার করতেন। তাঁর কথাবার্তা এবং লেখা চিঠিগুলিতে তিনি প্রায়শ বস্তু এবং পরিস্থিতিগুলিকে এমনভাবে ব্যবহার করতেন যা তাদের সুস্পষ্ট অর্থের বাইরে একটি গভীরতর অর্থ প্রকাশ করে। উদাহরণস্বরূপ, তিনি প্রায়শই "অন্ধকার" এবং "আলো" শব্দগুলিকে ব্যবহার করতেন জীবনের অন্ধকার এবং আলোর দিকগুলিকে বোঝাতে।

২. কাফকা বিরোধ এবং দ্বন্দ্বের বিষয়গুলি অন্বেষণ করতেন। তাঁর কথাবার্তা এবং লেখা চিঠিগুলিতে তিনি এমন ধারণাগুলির মধ্যে বিরোধ এবং দ্বন্দ্ব প্রকাশ করতেন যা প্রায়শই একে অপরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে হয় না। উদাহরণস্বরূপ, তিনি জীবনের আনন্দ এবং দুঃখ, প্রেম এবং ঘৃণা, এবং স্বাধীনতা এবং সীমাবদ্ধতার মতো ধারণাগুলির মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ করতেন।

৩. কাফকা প্রায়শই অনিশ্চয়তা এবং বিচ্ছিন্নতার বিষয়গুলি অন্বেষণ করতেন। তাঁর কথাবার্তা এবং লেখা চিঠিগুলিতে, তিনি এমন ধারণাগুলি প্রকাশ করতেন যা মানুষের অস্তিত্বের অনিশ্চয়তা এবং বিচ্ছিন্নতার সাথে সম্পর্কিত। উদাহরণস্বরূপ, তিনি জীবনের অর্থ, মৃত্যুর ভয় এবং মানুষের অস্তিত্বের উদ্দেশ্য সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করতেন।

এই সব কারণে কাফকার সাধারণ কথাবার্তা এবং লেখা চিঠিগুলি পাঠকদের কাছে আকর্ষণীয় এবং চ্যালেঞ্জিং অভিজ্ঞতা প্রদান করে ।

৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০১

হাসান রাজু বলেছেন: নবজীবন, অনুপ্রেরণা, সচেতনতা, পরিপূর্ণতা, নিশ্চয়তা এগুলো কাফকা'র সাথে যায় না। তীব্র হতাশা, অনিশ্চয়তা, অবজ্ঞা এগুলোর মানদণ্ডে বিচার করে সবচেয়ে অতৃপ্তি জাগানিয়া ব্যাখ্যাটি রাখতে পারেন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


কাফকার চিন্তাভাবনাকে সাধারণভাবে হতাশাজনক এবং অনিশ্চয়তাপূর্ণ হিসাবে বর্ণনা করা হয়। তাঁর লেখাগুলি মানুষের অস্তিত্বের অসহায়ত্ব, বিচ্ছিন্নতা এবং অনিশ্চয়তার বিষয়গুলি অন্বেষণ করে। যাইহোক, কাফকার চিন্তার মধ্যে নবজীবন, অনুপ্রেরণা, সচেতনতা, পরিপূর্ণতা এবং নিশ্চয়তার মতো ধারণাগুলিও রয়েছে।

নবজীবন

কাফকার কিছু গল্পে, নবজীবনের ধারণা প্রকাশিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, তাঁর জার্মান ভাষায় লেখা উপন্যাস "মেটামরফোসিস" (Die Verwandlung) এ, একজন সাধারণ মানুষকে একটি বিশাল পোকামাকড়ে পরিণত করা হয়। এই পরিবর্তনটি তাকে তার জীবনের নতুন অর্থ এবং উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করে।

অনুপ্রেরণা

কাফকার কিছু লেখা অনুপ্রেরণামূলক হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, তাঁর জার্মান ভাষায় লেখা উপন্যাস দা ট্রায়াল (Der Process)-এ, একজন ব্যক্তিকে মিথ্যা অভিযোগে বিচার করা হয়। এই বিচারটি তাকে তার নিজের অস্তিত্বের অর্থ এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করতে সাহায্য করে।

সচেতনতা

কাফকা বিশ্বাস করতেন যে মানুষের অস্তিত্বের অর্থ এবং উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে সচেতনতা প্রয়োজন। তাঁর লেখাগুলি মানুষের অস্তিত্বের অন্ধকার এবং আলোর দিকগুলি অন্বেষণ করে, যা পাঠকদের তাদের নিজস্ব অস্তিত্ব সম্পর্কে আরও সচেতন হতে সাহায্য করতে পারে।

পরিপূর্ণতা

কাফকা বিশ্বাস করতেন যে মানুষের অস্তিত্বের অর্থ এবং উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে পরিপূর্ণতা প্রয়োজন। তাঁর লেখাগুলি প্রায়শই মানুষের অস্তিত্বের অপূর্ণতা এবং বিচ্ছিন্নতার বিষয়গুলি অন্বেষণ করে, যা পাঠকদের তাদের নিজস্ব অস্তিত্বের পরিপূর্ণতা খুঁজে পেতে উৎসাহিত করতে পারে।

নিশ্চয়তা

কাফকা বিশ্বাস করতেন যে মানুষের অস্তিত্বের অর্থ এবং উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে নিশ্চয়তা প্রয়োজন। তাঁর লেখাগুলি প্রায়শই মানুষের অস্তিত্বের অনিশ্চয়তা এবং বিভ্রান্তির বিষয়গুলি অন্বেষণ করে, যা পাঠকদের তাদের নিজস্ব অস্তিত্বের নিশ্চয়তা খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারে।

অবশ্যই, কাফকার চিন্তাভাবনায় হতাশাজনক এবং অনিশ্চয়তাপূর্ণ ধারণাগুলিও রয়েছে। যাইহোক, উপরে উল্লিখিত ধারণাগুলিও তাঁর চিন্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই ধারণাগুলি কাফকার চিন্তার জটিলতা এবং বহুমাত্রিকতাকে প্রতিফলিত করে।

কাফকার চিন্তার মধ্যে নবজীবন, অনুপ্রেরণা, সচেতনতা, পরিপূর্ণতা এবং নিশ্চয়তার মতো ধারণাগুলির উপস্থিতি নিম্নলিখিত উপায়ে কাফকার চিন্তার বিরোধিতা করে:

১. উল্লেখিত ধারণাগুলি কাফকার চিন্তার হতাশাজনক এবং অনিশ্চয়তাপূর্ণ প্রকৃতিকে চ্যালেঞ্জ করে। অনেকের ধারণা যে কাফকা মানুষের অস্তিত্বের সম্ভাবনা এবং সম্ভাবনার উপরও চিন্তা করেছেন।

২. উল্লেখিত ধারণাগুলি কাফকার চিন্তার গভীরতা এবং জটিলতা প্রদর্শন করে। অনেক সমালোচক মনে করেন যে কাফকা জীবনের উভয় দিক অর্থাৎ অন্ধকার এবং আলোর দিকগুলিকে বোঝার চেষ্টা করেছিলেন।

৩. উল্লেখিত ধারণাগুলি কাফকার চিন্তার প্রাসঙ্গিকতা প্রদর্শন করে। অনেক ব্যাখ্যাকারী মনে করেন যে কাফকার চিন্তা আজও আমাদের জীবনের জন্য প্রাসঙ্গিক।


অবশেষে, কাফকার চিন্তাভাবনাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা হয় তা পাঠকের উপর নির্ভর করে। কিছু পাঠক কাফকার চিন্তাকে কেবলমাত্র হতাশাজনক এবং অনিশ্চয়তাপূর্ণ হিসাবে দেখতে পারেন। অন্যরা কাফকার চিন্তার মধ্যে নবজীবন, অনুপ্রেরণা, সচেতনতা, পরিপূর্ণতা এবং নিশ্চয়তার মতো ধারণাগুলি দেখতে পারেন।

৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১

বিজন রয় বলেছেন: ব্লগে সবসময় এরকম লেখার অপেক্ষায় থাকি।

আপনাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:

ভবিষতে আরো আলোচনার ইচ্ছা আছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।


১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৭

তাহেরা সেহেলী বলেছেন: ঘটনা সত্য।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


কোন ঘটনা?

১১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৬

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: সুন্দর ব্যাখ্যাসহ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি কাফকার অনেক কোটেশন পড়ে মাঝে মাঝে কী বুঝাতে চেয়েছে না বুঝে, ধরেই নেই হয়ত সাধারণ কিছুই বলেছিলেন, আমি শুধু শুধু মাথা ঘামাচ্ছি। এখন দেখছি, আসলেই মাথা ঘামানো উচিত ছিলো তার লেখা পড়ার সময়।

অবশ্য তার লেখা পুরোপুরি বোঝার জন্য যতটা মেধাবী হওয়া দরকার, আমি ততটা মেধাবী নই।

অন্য একটা বিষয়, আপনি এত তথ্য কোথা থেকে পান? কামচাটকা নিয়েও আমাকে দারুণ একটা রিপ্লাই দিয়েছিলেন।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ফ্রানৎস কাফকা বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালী লেখক হিসাবে বিবেচিত। তার লেখার বিষয়বস্তু এবং আদর্শিক বৈশিষ্ট্য আধুনিক, মূলত বিচ্ছিন্নতাবোধ, মানুষের ওপর ক্ষমতাধর মানুষের শারীরিক এবং মানসিক নিষ্ঠুরতা, অভিভাবক-সন্তান সম্পর্কে সংঘর্ষ, আতঙ্কজনক উদ্দেশ্য চরিতার্থে ব্যস্ত এমন চরিত্র, মানবজীবনে আমলাতান্ত্রিক হস্তক্ষেপ এবং রহস্যময় রূপান্তর - এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।

কাফকার কাজের উপর অনেক লেখক এবং শিল্পীর প্রভাব রয়েছে। তার কাজের মধ্যে রয়েছে আশ্চর্যজনক বাস্তবতা, অপ্রত্যাশিত মোড় এবং রহস্যময়তার ভাব। তার কাজ বিশ্বসাহিত্যের একটি অনন্য এবং গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

তাই চিন্তার জগতকে প্রসারিত করার জন্য তার লেখা পড়া উচিত।


আপনার প্রশ্ন আমি এত তথ্য কোথা থেকে পাই।

তথ্য পাওয়ার একটিই উপায় সেটা হচ্ছে বই।
বই বলতে কাগজের বই, নানান ফরমেটে ইলেক্ট্রনিক বই, পত্র-পত্রিকা, ইত্যাদি।

১২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৭

তাহেরা সেহেলী বলেছেন: "বোঝাবুঝির শুরুর প্রথম চিহ্ন হল মৃত্যুর ইচ্ছা।"
এইটা।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


বুঝতে পেরেছি, ধন্যবাদ।

১৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০০

শ্রাবণধারা বলেছেন: মোহাম্মদ আলী আকন্দ ভাই, অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর প্রত্যুত্তরের জন্য।

আপনি যদি অনুমতি দেন আমি কী আপনাকে একটা ছোট্ট প্রশ্ন করতে পারি? আপনি কী কাফকার "মেটামরফসিস" পড়েছিলেন? আমার এই প্রশ্ন যদি আপনাকে আহত করে তবে ক্ষমাপ্রার্থী।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

আপনার সৌজন্য বোধের জন্যেও আপনাকে আরো একবার ধন্যবাদ।
আপনার প্রশ্ন আমাকে মোটেও আহত, বিব্রত বা বিরক্ত করে নাই।

তবে প্রশ্ন করার উদ্দেশ্য কি সেটা উল্লেখ করলে আরো যথাযথ উত্তর দেয়া যেত।
যাইহোক, আমি কাফকার "মেটামরফসিস" পড়েছি আবার পড়ি নাই।

পড়ি নাই, এই অর্থে যে আমি মূল লেখাটা পড়ি নাই।

আর পড়েছি, এই অর্থে যে আমি একটি সংক্ষিপ্ত সংস্করণ পড়েছি।
তবে এতে মূল কাহিনী, প্লট, চরিত্রগুলি এবং লেখার মর্ম আমি আমার মত করে বুঝতে পেরেছি বল মনে হয়।

১৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.