নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত স্মিথসোনিয়ান জাতীয় চিড়িয়াখানার জন্য চীন থেকে দুই বছর বয়সী পুরুষ পান্ডা বাও লি এবং মহিলা পান্ডা কিং বাও কে আনা হচ্ছে। এই বছরের শেষ দিকে এইগুলি ডিসিতে আসবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
মেই জিয়াং এবং তিয়ান তিয়ান প্রায় ২৩ বছর এই চিড়িয়াখানাতে ছিল। ২০২০ সালের আগস্টে এই চিড়িয়াখানাতেই জন্ম নেয় এদের সন্তান জিয়াও কিউ জি। আমেরিকার অনুরোধ সত্ত্বেও গত বছর চীন কূটনৈতিক কারণে এদেরকে আমেরিকা থেকে চিনে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। আমেরিকানরা অশ্রুসিক্ত চোখে এদেরকে বিদায় জনায়।
বাও লি এবং কিং বাও:
বাও লি তিয়ান তিয়ান এবং মেই জিয়াংয়ের নাতি। তিয়ান তিয়ান এবং মেই জিয়াংয় ২৩ বছর আমেরিকাতে ছিল। বাও লির মা হলেন বাও বাও। বাও বাও এই চিড়িয়াখানাতে ২০১৩ সালে জন্মগ্রহণ করে।
এই জায়ান্ট পান্ডাগুলিকে আনার জন্য আমেরিকা চীনের সাথে ১০ বছর মেয়াদি একটি গবেষণা এবং প্রজনন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তবে চীনের সাথে এই চুক্তি করার জন্য আমেরিকাকে অনেক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হয়েছে।
আমেরিকাতে জায়ান্ট পান্ডা:
প্রথম পান্ডাটি ১৯৭২ সালে চীন থেকে আমেরিকাতে আসে। আমেরিকানরা এইগুলিকে ভালবেসে গ্রহণ করে।
চীন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সমিতির সাথে স্মিথসোনিয়ান পান্ডা চুক্তি নবায়ন করতে না পারায় গত বছর চীন আগের পান্ডাগুলি যেমন, মেই জিয়াং, তিয়ান তিয়ান এবং জিয়াও কি জি কে চীনে ফেরত নিয়ে যায়। আমেরিকার উপর চাপ দেয়ার জন্য চীনের যেসব অস্ত্র আছে তারমধ্যে পান্ডাও একটি অস্ত্র। এই অস্ত্রের সফল প্রয়োগ করে চীন পান্ডাগুলিকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। অনেক দৌড়ঝাঁপ এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর আমেরিকা চীনের সাথে পান্ডা আনার এই স্বল্প মেয়াদি চুক্তি করতে সক্ষম হয়।
আমেরিকাতে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত জি ফেং বলেছেন, নতুন পান্ডা চুক্তি আমেরিকা-চীন সম্পর্কের জন্য "একটি শুভ লক্ষণ"।
চীনা রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, "আমাদের দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও গভীর করতে, আজ আমি আপনাদের সাথে কিছু ভালো খবর জানাতে পেরে আনন্দিত।"
চীনের সাথে সম্পর্ক ভাল হওয়ার সাথে সাথে চীনা পান্ডা ওয়াশিংটনই ছাড়াও আমেরিকার আরো অনেক চিড়িয়াখানাতে মেহমান হিসাবে আসবে।
ছবি: ইন্টারনেট
সূত্র:
https://www.politico.com/news/2023/11/08/panda-diplomacy-washington-beijing-00126078
https://www.newsnationnow.com/science/china-pandas-us-new-era-panda-diplomacy/
https://www.washingtonpost.com/world/2024/02/23/china-pandas-san-diego-zoo-united-states/
https://www.georgetown.edu/news/the-giant-pandas-have-left-the-national-zoo-whats-next-for-u-s-china-relations/
১৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:২৭
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আপনার সাথে আমি একমত। সুসম্পর্ক বাড়ানোর জন্য প্রতিটি দেশের উচিত পারস্পরিক বোঝাপড়া, সহনশীলতা, এবং সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
আমেরিকা চেষ্টা করছেন চীনের সাথে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে চীনের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, এবং জীবনযাপন সম্পর্কে আমেরিকানদের পরিচিত করা। এতে চীনের সাথে আমেরিকার সহনশীলতা এবং সম্প্রীতি বাড়বে।
আমেরিকাতে অনেকগুলি মিউজিয়াম আছে যেখানে চীনের ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং সংস্কৃতি আমেরিকানদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। যাতে আমেরিকানরা চীন সম্পর্কে উচ্চ ধারণা পোষণ করতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:১৪
কামাল১৮ বলেছেন: সকল দেশের সাথে সকল দেশের সুসম্পর্ক থাকলে বিশ্ববাসির উপকার হবে।