![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই গল্প ভরা রাতে, কিছু স্বপ্ন মাখা নীল নীল হাতে বেপরোয়া কিছু উচ্ছাস নিয়ে, অপেক্ষায় ... hasibzaman.blogspot.com
আমার দাদা খুব কড়া টাইপের মানুষ ছিলেন, দাদী সারাক্ষন ভয়ে তটস্থ থাকতেন। বড়চাচা তার মাকে গিয়ে বলেন,
“মা তোমার এত কষ্ট আমি তো আর সইতে পারি না।”
দাদী পুত্রের মনের কথা বুঝতে পারেন, পুত্র বিবাহ করতে চায়। তিনি বলেন,
“বাবা, তুই তো চাকরী-বাকরী কিছু করলি না। এখন ব্যবসা-বানিজ্য কিছু কর। নাইলে বিয়ে করাই ক্যামতে?”
“মা, আপনে খালি কিছু পয়সা দেন আমারে। দেখবেন কয়দিনের মধ্যেই বস্তায় বস্তায় টাকা আইনা আপনার পায়ের কাছে ফালামু।”
দাদী সেই জামানায় পয়সা পাবেন কই? তিনি তার অতি আদরের পুত্রকে কিছু সোনাদানা দিলেন। বড়চাচা সত্যি সত্যি রাতারাতি আদম ব্যবসা করে ভালো টাকা বানালেন, বিয়ে করে বউ নিয়ে শহরে স্থায়ী হলেন। নবাবী কায়দায় চলাফেরা শুরু করলেন। নামকরা লোকজনের সাথে তার ওঠাবসা, চেহারাও মাশাল্লা ভাল। কবরীর বিপরীতে সিনেমার অফার পেয়ে গেলেন, শুধু সিনেমা বানানোর কিছু খরচ চাচাকে দিতে হবে এই যা। কি কারনে জানি পরে আর চাচার হিরো হওয়া হয়নি, তবে হিরো হাবভাবে চলাফেরা চলতে থাকল। কয়েক বছরের মধ্যেই ব্যবসায় মার খেয়ে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসলো। দাদীর দুঃখ-কষ্টের কোন গতি হল না।
বড়চাচার অর্থকড়ি কমে গেলেও আরাম আয়েশে কোন কমতি হলনা, বরং আরো জেঁকে বসল। স্থানীয় কলেজে লাইব্রেরীয়ান এর দায়িত্ব নিলেন, শুয়ে বসে যে চাকরী করা যায়। তবে একটা ব্যাপারে পরিবর্তন আসল। বেশ ধার্মিক হয়ে গেলেন তিনি। সকাল দশটায় ঘুম থেকে উঠে নাস্তা সেরে প্রতিদিন ফযরের নামাজ আদায় করেন এবং এ সিস্টেমে কোন সমস্যা নেই বলেও সবাইকে জ্ঞানদান করেন।
বড়চাচা নিজেকে বেশ বুদ্ধিমান লোক বলে মনে করেন। তিনি তার ছেলেমেয়েদের সবসময় বলেন, “আমি তোদের টাকা-পয়সা ধন-সম্পদ তেমন কিছুই দিতে পারবনা। তবে আমি তোদের ভাল ভাল বুদ্ধি দিতে পারব।”
একবার তার বুদ্ধির খেসারত দিতে হল বাবাকে। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাবা ছিলেন ক্লাশ নাইনের ছাত্র। যুদ্ধ শেষে ১৯৭২ সালে চাচার হঠাৎ ধারনা হল দেশের সব ভাল ভাল চাকরী সবাই পেয়ে যাচ্ছে। তাই তার ছোটভাইকে উপদেশ দিলেন সেবারেই মেট্রিক পরীক্ষা দিয়ে দিতে। কারন তাড়াতাড়ি পড়াশোনা শেষ না করলে দেশে কোন চাকরী আর বাকী থাকবে না। বড়ভাইয়ের কথা শুনতে গিয়ে বাবা খারাপ রেজাল্ট করে বসলেন। এখনো সুযোগ পেলেই বাবা সেই আফসোস করেন।
খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে চাচার খ্যাতি দারুন, এই প্রায় ষাট বছর বয়সে তিনি আমাদের মত দু-তিনজন ইয়াং যুবকদের চেয়ে বেশী খেতে পারেন। কুরবানীর ঈদের পরদিন দুপুরে পারিবারিক আড্ডায় হঠাৎ বললেন, “আজ সকালে খাসীর পায়া দিয়ে যে নাস্তাটা করলাম এত সুস্বাদু হইসে যে কি আর বলবো! বেহেস্তেও এই খাবার পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ।”
ড্রিঙ্কসের উপর তার মারাত্মক টান, একসময় অনেক রকমের পানীয় খেয়েছেন বলেই হয়ত। এখন সেভেন-আপ দিয়ে চাহিদা মেটাতে হয়, একদিন আমাকে দিয়ে টাইগার এনার্জি ড্রিংক আনিয়ে খেলেন, বললেন,
“শরীরটা তো আগে ঠিক রাখতে হবে, কি বলিস?”
০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:০০
আকাশনীল বলেছেন: হ পুরাই ডিজুস, চাচায় রাতে HBO দেখে
২| ০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৫৮
~স্বপ্নজয়~ বলেছেন: জটিল হইছে
০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:০১
আকাশনীল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৩| ০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:০১
মউ বলেছেন: কঠিন।
০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:০৩
আকাশনীল বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমার ব্লগে স্বাগতম।
৪| ০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:০৯
শাহারিয়ার আহমেদ বলেছেন: সে চাচা চৌধুরী অঅর আপনি বিল্লু।
০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৩০
আকাশনীল বলেছেন: খিকজ
৫| ০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:১২
ঘাসফুল বলেছেন: বাপ্রেহ্...
০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৩১
আকাশনীল বলেছেন: ডরাইলেন নাকি ?
৬| ০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:২৩
ভিয়েনাস বলেছেন: ঠিক আমার বড় দাদা ( বড় ভাই ) ।
০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৩২
আকাশনীল বলেছেন: হা হা হা
ধন্যবাদ পড়ার জন্য
৭| ০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৩৫
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: চাচাগো!
আপ্নে কৈ?
০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৪০
আকাশনীল বলেছেন: ক্যান এনার্জি ডিরিংক খাইবেন নাকি?
৮| ০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৫৫
ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: লেখক বলেছেন: হ পুরাই ডিজুস, চাচায় রাতে HBO দেখে
আহারে...রেনটিভি থাকলে চাচার রাত্র আরো ভালো কাটতো
০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:০৫
আকাশনীল বলেছেন: ভাংগা চাচা এখন ৬০+
ঐ বয়সে HBO দেখবার মুরোদ তোমার থাকবে কিনা সন্দেহ
৯| ০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৫৬
একরামুল হক শামীম বলেছেন: টাইগার এনার্জি ড্রিংক আনিয়ে খেলেন, বললেন,
“শরীরটা তো আগে ঠিক রাখতে হবে, কি বলিস?”
হা হা হা
চাচাইতো পুরাই সেইরম
০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:০৬
আকাশনীল বলেছেন: খিকজ
১০| ০৯ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:৫৬
খলিল মাহমুদ বলেছেন: খুব রসালো হইছে। হেডিং দেইখা মনে হইছিল সৈয়দ মুস্তবা আলীর 'চাচাকাহিনী' না তো!
মাঘী খেজুর রসের স্বাদ পাইলাম।
___________________________________________
আমার চাচার উপরও একখান লেখা তৈরি হইয়া আছে। ছাড়বো কিছুদিনের মদ্যেই।
০৯ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:১০
আকাশনীল বলেছেন: খলিল ভাই অনেক অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
আপনার লেখা সময় পেলেই পড়ি, চাচাকাহিনী ও পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
১১| ০৯ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:২০
আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: চাচা চৌধুরী বলে কথা!!!
++++
০৯ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:২৬
আকাশনীল বলেছেন: আকাঢে, তোমারে ধইন্যা
১২| ০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:২২
তামিম ইরফান বলেছেন: হা হা হা
০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:৫২
আকাশনীল বলেছেন: খিকজ
১৩| ১১ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:১৪
আবু সালেহ বলেছেন:
শিরোনাম দেখে তো আমার চাচা চৌধুরী আর সাবুর কথা মনে পড়ে গেলো...
তয় আপনারটা ব্যাপক মজার হইছে...
১২ ই মে, ২০০৯ রাত ১:৩৩
আকাশনীল বলেছেন: ধন্যবাদ সালেহ ভাই
১৪| ১২ ই মে, ২০০৯ ভোর ৫:৫৯
একলব্যের পুনর্জন্ম বলেছেন: ডরাইছি চাচার হাল হকিকতে
১২ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৫:২৮
আকাশনীল বলেছেন:
১৫| ১২ ই মে, ২০০৯ ভোর ৬:২৭
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: সাবু, রকেট, টিঙ্কু মাস্টার, ডাকু গব্বর সিং, রাকা কোথায়?
১২ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৩০
আকাশনীল বলেছেন: রাকাকে সাবু মহাশূন্যে ফেলে দিছিল, মনে নাই
১৬| ১২ ই মে, ২০০৯ ভোর ৬:২৮
কঁাকন বলেছেন: সাঈফ শেরিফ বলেছেন: সাবু, রকেট, টিঙ্কু মাস্টার, ডাকু গব্বর সিং, রাকা কোথায়?
১২ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৩২
আকাশনীল বলেছেন: চাচী নতুন রেসিপি শিখছে, রকেট তার পিছে ঘুরঘুর করতেছে
১৭| ১৪ ই মে, ২০০৯ ভোর ৪:০৭
~স্বপ্নজয়~ বলেছেন: চাচা চৌধুরীর দিনকাল কিরাম যায়
১৪ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:০২
আকাশনীল বলেছেন: টারজান ইজ হ্যান্ডসাম নাকি পাক্লাটম ইজ হ্যান্ডসাম, কোনটা কমু
১৮| ১৪ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:১৮
মুক্ত বয়ান বলেছেন: চাচা'র তো এনার্জি সিরাম!!
১৪ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:২৬
আকাশনীল বলেছেন: টাইগার অর স্পীড খাও।
কোড খালি দৌড়াইবে
১৯| ১৪ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:৩০
দূর্ভাষী বলেছেন: চাচা চৌধুরীর মত এমন একজন আমার ফ্যামিলিতে ও আছে তবে সে চাচা নয় আমার ভাই (বড়)।
১৪ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:৩৬
আকাশনীল বলেছেন: হা হা - এরা কিন্তুক কুনো কাজের না হলেও মজার মানুষ হয়
২০| ১৪ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৪
জেরী বলেছেন: হা,হা আমি চাচা চৌধুরীর কার্টুন পড়তে আসছি..........।এই চাচা চৌধুরী ও অনেক মজার
১৪ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:১২
আকাশনীল বলেছেন: পুলাপান বোয়সে বইমেলাতে গিয়া খালি চাচা চৌধুরী কিনতাম, সেইরাম ভক্ত ছিলাম। একেক্টা বই যে কতবার পরসি আল্লায় জানে।
লেখা পড়ার জন্য ধইন্যা
২১| ১৪ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:২৫
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: মিঞাভাই, চাচার আরো কাহিনী জানতে মঞ্চায়।।। এইটারে সিরিজ কইরা ফেলেন।।।
১৪ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৪৫
আকাশনীল বলেছেন: মেহরাব ভাই একবার বলছিল, ব্লগে ছয়মাস পরপর জেনারেশন বদলায়। কথাটা ইদানীং ১০০% সত্যি মনে হইতেসে। আমরা তিন্মাস আগে যারা সারাদিন ব্লগে পরে থাকতাম, তাদের আর দেখা যায় না তেমন। নতুনরা অনেক অ্যাক্টিভ। হিমু তোমারে ব্লগে বহুত মিস করি।
লেখার ভুল্ভাল কিছু ধরলা না
তোমার আসলে হইসে কি
২২| ১৪ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৫৩
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: মিঞাভাই, এটা একটা নির্মল স্মৃতিচারণ, এর মধ্যে ছিদ্রান্বেষণ করলে পড়ার মজাটা থাকেনা...গল্প বা অন্য কিছু হলে সমালোচনা করার চেষ্টা করতাম।।। এমএমই ডে র কালচারার প্রোগ্রাম নিয়ে বেশ ব্যস্ত ছিলাম, তাই ব্লগে আসা হয়নি, প্লাস আমার ল্যানকার্ডে বেশ সমস্যা হচ্ছিল, যেজন্য নেটের লাইনটাও পাচ্ছিলাম না.............এই ব্লগকে আমিও খুব মিস করেছি এ কয়দিন।।।
১৫ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:১৬
আকাশনীল বলেছেন: কথা ঠিক, সব লেখায় গুতোগুতি ভালো না
ওককে সঅমস্যা কাটায়া আবার নিয়মিত হও
২৩| ১৪ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৫৭
মুক্ত বয়ান বলেছেন: ওরে.. আকাশ ভাই দেখি আমারেও এডাইছে.. এত আনন্দ রাখি কই??
১৫ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:১৮
আকাশনীল বলেছেন: খেক খেক খেক
জাতে উঠসো তাইলে
অটঃ আমারে মিয়া আডাও নাই (ভস্ম কইরা দেয়ার ইমো)
২৪| ১৪ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৫৮
গিফার বলেছেন: হা হা
১৫ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:১৮
আকাশনীল বলেছেন: থাংকু ভাই
২৫| ২১ শে মে, ২০০৯ সকাল ১১:০১
মেঘাচ্ছন্ন বলেছেন: হি হি হি ... মজা পেলাম।
আপনার মামার কাহিনীও মনে পড়ে গেলো !!
০৩ রা জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:২৪
আকাশনীল বলেছেন: আপনার স্মৃতিশক্তি দেখি বেশ ভাল। (চোখ মার্লাম)
আচ্ছা আপ্নে কই (মিস করার ইমো)
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৫৭
রেজওয়ান শুভ বলেছেন: ডিঝুশ আঙ্কেল ... কি কন !!!