![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটবেলায় পড়েছিলাম সামাজিক শ্রেণীবিন্যাস। "অর্থ" ও "ক্ষমতা" কে বিবেচনা করে সমাজের মানুষকে বিভিন্ন পর্যায়ে ভাগ করা হয়ে থাকে । কিন্তু আণ্ডা বাচ্চারা এর মধ্যে পরে না । ওদেরও আবার ভাগ আছে । এক "সুবিধা প্রাপ্ত" আপরদিকে "সুবিধা বঞ্চিত" এখন প্রশ্ন কারা সুবিধা বঞ্চিত ?? যারা চিৎকার করে বলে , " সুযোগ চাই মানুষ হবো " তারাই সুবিধা বঞ্চিত শিশু ।
এমনই এক "সুবিধা বঞ্চিত" ছেলের এবং আমার এক বন্ধুর {( মহানুভবতার) কথাটা উহ্য রাখলাম} কথাই বলব।
আমার সবচেয়ে অপছন্দের কাজগুলোর মধ্যে একটি বাজার করা। তাই সঙ্গী হিসেবে কাউকে পেলে ভালই লাগে । যাওয়ার পথে একজনকে পেয়েও গেলাম। কিছুটা কষ্টে রাজি করিয়ে রিক্সায় তুললাম। গল্পগুজব করে ওর মুডটা পরিবর্তন করার চেষ্টা করলাম । উহু! এখনও মুখ ফুলায় রেখেদিছে। ওই ভাবেই বাজারে গেলাম । বাজার করলাম । ফিরার পথে রিক্সা নিব তাই বন্ধুকে বললাম, " ভাই , একটা রিক্সা দেখত "
সে বেছে বেছে একটা পিচ্চি ছেলের কাছে যাচ্ছে দেখে তাকে আটকালাম ,বললাম " আমার এইসব পিচ্চি পুলাপাইনের রিক্সায় উঠতে ইচ্ছা করে না। পুলাপাইন গুলার জন্য দরদ হয় ।"
বন্ধু বলল, " এই ব্যাটা !! তোর দরদ দিয়ে কি ওদের পেট ভরবে নাকি ?? হতে পারে ওদের বাসায় আরও ছোট ছোট ভাই বোন আছে না খেয়ে । তোর দরদ পার্সেল করে পাঠায় দে ওদের জন্য দেখ নেয় কিনা "
এমন কথায় একটু লজ্জায় পরে গেলাম। বন্ধু বলে চলছে, " দেখ দোস্ত, আমাদের উচিত ওদের জন্য কিছু করার । শিক্ষার ব্যবস্থা করা। কিন্তু আমাদের পক্ষে তা করা সম্ভব না । তাই যতটুকু সম্ভব ততটুকুই করতে হবে । আবার এদের যদি কিছু না করিয়ে এমনি টাকা দিয়ে দিস তাহলেও ছেলেগুলো খারাপ হয়ে যাবে । তার চেয়ে কিছু করিয়ে টাকা দেওয়া ভাল । এতে টাকার প্রতি দরদ থাকবে । টাকাটা খারাপ পথে ব্যয় করবে না। তাই চল ।”
কথা গুলো আমার ভাল লাগলো তাই বললাম , “ চল ”
পরের ঘটনার জন্য আমি আরও অপ্রস্তুত ছিলাম । রিক্সা ভাড়া করার এমন নজির আগে দেখি নাই । অবাক হয়ে মনে মনে গালি দিতে লাগলাম ।
বন্ধু বলল, “ কিরে যাবি? ”
পিচ্চিঃ নাহ। যামু না ।
বন্ধুঃ ২০ টাকা দিব , যাবি?? ( যেখানে ভাড়া মাত্র সর্বোচ্চ ১০ টাকা)
পিচ্চিঃ নাহ যামু না ।
বন্ধু এরপর ৩০ টাকা ,৪০ টাকা , ৫০ টাকা করে টাকার পরিমান বাড়াতে থাকলো।
পিচ্চিও সেই শেয়ানা!! ৩০,৪০ টাকা পর্যন্ত না বলে ৫০ টাকায় যেতে রাজি হল।
মেস এর সামনে নেমে ছেলেটা আমাকে আবার অবাক করলো। ১০০ টাকার একটা নোট দিয়ে বলল , “থাক ৫০ টাকা ফেরত দিতে হবে না রে। পুরো টাকাটাই রেখে দে ”
আমি শুধু পিচ্চির মুখের দিকে তাকালাম । এতক্ষন যে হাসিটা মুখে ছিল যে এইটুকু পথ এর জন্য ৫০ টাকা পাচ্ছে সেই হাসিটা আর নেই। কাপা কাপা চোখে তাকিয়ে আছে বন্ধুটার দিকে।
বন্ধু বললঃ যা, ভাল থাকিস।
বলে চলে আসলাম আমরা দুই জন । পিছনে ফিরে একবার দেখলাম টাকাটা এখনও পকেট এ না ঢুকিয়ে হাতে ধরেই রিক্সা চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
ছেলেটার চোখ দুটোর কথা মনে পরলে ভাবতে পারি না যে ও টাকাটা কোন বাজে কাজে খরচ করবে। আমি বিশ্বাস করি কেউ যদি ভাল নিয়ত এ কাউকে কিছু দেয় আল্লাহ্ এর রহমত ও থাকে তাতে। আর যেই কাজেই খরচ করুক না কেন এই টুকু টাকা দিয়ে যদি কিছু সময়ের জন্য হলেও এইসব সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি ফুটে সেই বা কম কিসের??
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
নিশ্চুপ আওয়াজ বলেছেন: ঘটনাটা সত্যি আমাকে অনেক শিক্ষা দিয়েছে।
২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩২
আরজু পনি বলেছেন:
শিক্ষামূলক পোস্ট।
গতকাল কি এই পোস্টটা আপনিই দিয়েছিলেন?
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৯
নিশ্চুপ আওয়াজ বলেছেন: জী আমিই দিয়েছিলাম । কিন্তু ভুলে দুইবার দেওয়া হয়েছিল । তাই অনেকে পড়তে পারেন নি । এই কারনেই আবার দেওয়া ।
৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
বোকামন বলেছেন: ছেলেটার চোখ দুটোর কথা মনে পরলে ......
পোস্টে কৃতজ্ঞতা
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৯
নিশ্চুপ আওয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৯
বুমকেশ বলেছেন: ভাল লিখেছ দোস্ত
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৪৭
নিশ্চুপ আওয়াজ বলেছেন:
৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৪
কালোপরী বলেছেন:
৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৪৭
নিশ্চুপ আওয়াজ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো ঘটনাটা।