নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা যদি তুষারের মতো...

আখেনাটেন

আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?

আখেনাটেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপবিত্রতার ঘূর্ণিজালে...মানবিকতা...?

০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩



সংযমের মাস শুরু হয়েছে। আর আমাদের অসংযমের গ্রাফও রকেট গতিতে উর্ধ্বমুখী ধাবমান। কাজে-কর্মে; চলনে-বলনে; আচারে-ব্যবহারে সবখানেই ভেজালে পরিপূর্ণ। মন যদি নিষ্কলুষ না হয় তাহলে কথায় কিংবা আচারে কি আর শুদ্ধতা আসে। আমাদের মন হয়ে গেছে অপবিত্র।

যেহেতু বিশ্বাসী তাই এই অপবিত্র মনটাকে শুদ্ধিকরণে সপ্তাহান্তে একবার হলেও পবিত্রঘরে যাই। কিন্তু সেখানেও হিংসার বীজ। মিথ্যা আস্ফলন। নিজেকেই নিজে সান্তনা দিয়ে শুদ্ধতার ভান ধরে বের হই।

কয়েক সপ্তাহ আগের এমনই এক পবিত্র দিনে শুভ্র পোশাকে উপস্থিত। তখন শ্রীলংকা জ্বলছে হিংসার আগুনে। কিন্তু এ নিয়ে পবিত্রঘরের নেতার মুখে একটি কথাও উচ্চারিত হতে শুনলাম না। আমি ভীষণরকম উৎসুক ছিলাম যে উনি কিছু বলুক এই বিপদগামীতা নিয়ে; এই মানুষগুলোর ভ্রষ্টাচার নিয়ে; এই ধর্মের নামে অধর্ম নিয়ে; এই মিথ্যা-পঙ্কিলতাপূর্ণ পথ নিয়ে; কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য উনি একটি বাক্যও উচ্চারণ করলেন না। অথচ ক্রাইস্টচার্চের ঘটনায় পর পর তিন পবিত্র দিন উনি নানামুখী ইতিবাচক-নেতিবাচক আলোচনায় মুখর ছিলেন।

এবং ইনারা বিশিষ্ট ইসলামী বক্তা (উনাদের ভাষ্যমতেই)। গ্রামে-গঞ্জের মাহফিলের জন্য বছর খানেক আগে থেকেই ধর্না দিতে হবে। সাথে অগ্রিম। মহারাজা আসবেন আকাশ ডিঙিয়ে ধর্মের বানী শুনাতে। মাহফিলের বাড়বাড়ন্তে তৃতীয়বারের মতো হজটাও করা হচ্ছে না। এইসব বাগাড়ম্বরও শুনতে হবে পবিত্রঘরে বসে।

এখন আমি যদি এটিকে ভন্ডামী বলি, তাহলে কি আমি পাপিষ্ট হয়ে যাব; নরকে জ্বলব; তবে তাই সই।

একদিন বয়ানে শুনলাম মাজারপূজারীরা ভ্রষ্ট। আমারও কোনো দ্বিমত নেই এতে। উপমহাদেশের প্রায় সব বিখ্যাত মাজারেই গিয়েছি কৌতূহল বশত কিংবা পর্যটক বেশে; সেখানে ভালো কিছু দেখি নি; তবে ভালো কিছু শুনেছি কাওয়ালীর মুর্ছনায় ।

কিন্তু যদি নেতার মুখে এরকম শুনি যে-- এই মাজারপূজারী ভন্ডদের আজকের জমানায় নিজ হাতে জবাই করতেন যদি ঐ আওলিয়ারা আজ জীবিত থাকতেন।

শুনে জিহাদী জোসে উচ্ছসিত হয়ে শত শত মুসল্লী হৈ হৈ করে উঠলেন। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে ঐ বিশেষ দিনে পবিত্র ঘরে উপস্থিত কোনো সাইকো যদি জিহাদী জোসে সত্যি সত্যিই ভ্রষ্টদের কাউকে কতল করে ফেলে (প্রায়শই আমরা অবশ্য এরকম ঘটনা দেখতে অভ্যস্ত) তাহলে এর জন্য কে কে দায়ী থাকবে? আমি নিজেও কি কিছুটা দায়ী নই? কারণ আমিও তো পবিত্রঘরে সেই উগ্র বয়ানের অংশীজন ছিলাম কিন্তু এই উগ্রতাকে ঘৃণা করলেও কোনো প্রকার প্রতিবাদ করি নি।



বাহ্যিক লেবাস লাগিয়ে; চাকচিক্যময় মসজিদ বানিয়ে; মাহফিলে হাজারো ধর্মভীরু মানুষ জড়িয়ে; কথায় কথায় আজাবের ভয় দেখিয়ে; হুর-পরীদের কাহিনি শুনিয়ে লাভ কী? যদি সেই অতি দামি মনটাই অপবিত্রতার পঙ্কিলতায় হাবুডুবু খায়; জীঘাংসার বাষ্পে বাষ্পীভূত হতে থাকে; ঘৃণার জালে হাসিমুখে বন্দিত্ব বরণ করে। ধিক, এমন আত্মাকে! ধিক, এমন কলুষিত লেবাসধারী মনকে!

আর এটাই দেশে-বিদেশে অনেক লেবাসধারীদের মনের ভেতরের চিত্র। এই ভীতিকর রূপ সাধারণ বিশ্বাসীদের পথে-প্রান্তরে, দেশে-বিদেশে জীবনকে কঠিন করে তু্লেছে, তুলছে, তুলবে।

ধর্ম যে শুধু টুপি-দাড়ি-তসবিহ-জোব্বা-পাগড়ি-পর্দা ইত্যাদি ইত্যাদির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় এটা ঐ লেবাসধারীর বেশিরভাগকে কে বোঝাবে? অথচ হওয়া উচিত ছিল এগুলোর পাশাপাশি বিস্তৃত মানবিক একটি মন।

বাস্তবতায় দেখছি-- আমরা যত বেশি এই দেখনেওয়ালা-লেবাসধারী ধর্মের দিকে ঝুঁকছি, ততবেশি উগ্র, অসংবেদনশীল, অসহিঞ্চু, অমানবিক, অসৎ, অসাধু, ও ভন্ডামীর চূঁড়াতে আহরণ করছি। চারপাশে দৃষ্টি ফেললেই এর সত্যতা নিরূপণে অবাক হতে হয় না।

কী মুসলিম! কী হিন্দু! কী ক্রিশ্চিয়ান! কী বুড্ডিস্ট! সকল ধর্মে, সকল জাতিতে, সকল সমাজে প্রায় একইরকম কর্কশ সুর ধ্বনিত হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা রেখে যাচ্ছি এক ঘৃনায় পরিপূর্ণ জীঘাংসামূলক পরিবেশ।

**************************************************************************************************
আখেনাটেন/মে-২০১৯

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১

ঢাবিয়ান বলেছেন: সংযমের শিক্ষা দিতে ইসলামে রোজার সিস্টেম এসেছে। অর্থাৎ মানুষ যদি খাবারের ওপড় সংযম আয়ত্ব করতে সক্ষম হয়, তাহলে সেই মানুষ জাগতিক অন্য সব বিষয়ে সংযম করতে সক্ষম হবে। বাস্তবে দেখছি যে সংযমটা শুধু সকাল থেকে সন্ধার আহারেই, আর কোন কিছুতেই নাই। সংযমের প্রকৃত শিক্ষাই অনুপস্থিত সর্বত্র। ঠিক একইভাবে প্রতিটি ফরজ কাজের পেছনের উদ্দেশ্য পুরোপুরি উপেক্ষিত হচ্ছে। ধর্ম এখন পরিনত হয়েছে লোক দেখানো লৌকিকতায়।

আরেকটা বিষয়ও না উল্লেখ করে পারছি না। আমাদের দেশের মসজিদেগুলোতে শুনেছি আজকাল যারা বেশি টাকা দান করে তাদের অনেক সম্মান। যারা টাকা দিতে অসমর্থ তাদেরকে শুধু যে হেয় করা হয়, তা নয় অনেক সময়ে কটুবাক্য পর্যন্ত শোনানো হয়। অন্য আর কোন দেশের মসজিদে এমন ধরনের বাজে ব্যবহারের দেখা পাবেন না।

০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২১

আখেনাটেন বলেছেন: ধর্ম এখন পরিনত হয়েছে লোক দেখানো লৌকিকতায়। ---- বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাই। চরম খারাপ কাজ করেও মনে করছে মসজিদে এই গরমে দুটো এসি কিনে দিলেই জান্নাত পাক্কা। হুজুরেরাও তেমনই বয়ান দিচ্ছে মনগড়া হাদিস বানিয়ে--এখানে এসি দান মানে বেহেশতে সুশীতল বাতাস খাওয়া। এসব ভন্ডামী যত দিন দূর হবে না ততদিন দেশের অন্যান্য সামাজিক সমস্যাও দূর হওয়া মুশকিল।

মসজিদ ভিত্তিক তো একটি সিন্ডিকেট বহুকাল থেকেই বিদ্যমান। বায়তুল মোকারম থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই এই জিনিস লক্ষণীয়।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ব্লগার ঢাবিয়ান ।

২| ০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



খুব সুন্দর বলেছেন।

আমাদের শিষ্টাচারহীনতা, চারিত্রিক এবং নৈতিক অধ:পতন ইত্যাদি নিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে আক্ষেপ করে আমার একটি লেখাও আপনার এই মূল্যবান লেখাটির ঠিক আগে আগে পোস্ট করেছি। কেমন যেন কাছাকাছি বিষয় হওয়াতে এবং প্রায় একইসময়ে দু'টি পোস্ট প্রকাশিত হওয়াটা কাকতাল মনে হল।

অনেক ভালো থাকুন।

০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৩

আখেনাটেন বলেছেন: ভালোলাগায় খুশি হলাম।

আপনার লেখাটাও পড়ে দেখার ইচ্ছে পোষণ করলাম।

আপনিও ভালো থাকুন।

৩| ০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: উগ্রতা আসলে ধর্মের নামে ভন্ডামী। সব ধর্মেই এমন ভন্ড আছে, তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি মুসলমানদের মধ্যে এর সংখ্যাধিক্য লক্ষনীয়। আমি অবশ্য এদেরকে কোন ধর্মের অনুসারী মনে করি না। এরা আসলে বিকারগ্রস্থ.....একেকটা আস্ত অমানুষ।

০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬

আখেনাটেন বলেছেন: ভুয়া মফিজ বলেছেন: উগ্রতা আসলে ধর্মের নামে ভন্ডামী। সব ধর্মেই এমন ভন্ড আছে, তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি মুসলমানদের মধ্যে এর সংখ্যাধিক্য লক্ষনীয়। --- ইদানিং এই ভন্ডরা উপমহাদেশে পঙ্গপালের মতো বাড়ছে। দেশভেদে শুধু ধর্মের লেবাসটা ভিন্ন।

এরা আসলে বিকারগ্রস্থ.....একেকটা আস্ত অমানুষ। --- সহমত।


ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যে পেয়ে ব্লগার ভুয়া মফিজ।

৪| ০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে..........

০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১

আখেনাটেন বলেছেন: অনেকটাই চলে গেছে...।

আগে মানুষ টুপি-দাড়ি দেখলে, হাজী শুনলে শ্রদ্ধা করত; এখন এগুলো দেখলে বা শুনলে প্রথমেই সন্দেহ হয় ব্যাটা মনে হয় বড় কোনো অকাম করেছে অতীতে। এখন ভং ধরেছে।

এভাবে চলতে থাকলে মানুষের আস্থা আরো হারাবে উনারা। পাশাপাশি কিছু সত্যিকারের অর্থেই ভালো হুজুর বা ধার্মিক লোক কটূ বাক্যের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। যা উনারা ডিজার্ভ করেন না।

ধন্যবাদ

৫| ০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ঢাকা শহরের কোন মসজিদ কি? ঢাকা শহরের হুজুররা সাধারণত একটু সাবধান থাকে, পীরমীর নিয়ে, কে কোন সময় কি শুনে, ইমামতি থেকেই নট করে দেয় :P
আমাদের মসজিদের হুজুর বেশ অমায়িক গোছের ভদ্রলোক।

০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আখেনাটেন বলেছেন: ঢাকা শহরের অনেক ইমাম সুপার পাওয়ার ধারীও আছে। অনেক প্রভাবশালী। এটি ঢাকারই একটি বেশ পরিচিত এলাকার গপ্প।

আমাদের মসজিদের হুজুর বেশ অমায়িক গোছের ভদ্রলোক। -- হ্যাঁ, এখনও অনেক ভালো মনের ধার্মিক মানুষ রয়েছেন। এরা কখনও অতিধার্মিক সেজে সমাজের বৃহৎ অংশের ক্ষতির কারণ হন না। এদের জন্যই মানুষ হুজুরদের কিছুটা হলেও মূল্যায়ন করে সমাজে এখনও।

ধন্যবাদ

৬| ০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৯

নীলপরি বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন । মানুষ এসব বোধহয় বুঝেও বুঝতে চায় না ।

শুভকামনা

০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪০

আখেনাটেন বলেছেন: মানুষ এসব বোধহয় বুঝেও বুঝতে চায় না । --- এটাই অনেক বড় সমস্যা। আমরা অনেক কিছুই বুঝি কিন্তু ভেতরে যে আগে থেকেই প্রথিত হয়ে গেছে বিশ্বাস সেখান থেকে বের হয়ে আসা অতটা সহজ হয়ে উঠে না।

ফলে শিক্ষিত হই ঠিকই কিন্তু ভেতরে থাকে এক মনস্টার। এরাই সমাজের, জাতির নানাভাবে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কেউ হুজুর বেশে; কেউ সন্নাসী বেশে। কেউ অফিসের বড়কর্তা সেজে; কেউ জাতির বড় নেতা সেজে।

ধন্যবাদ ব্লগার নীলপরী মন্তব্যের জন্য।

৭| ০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩

বলেছেন: ভ্রষ্ট ধর্ম-ব্যবসায়ীরা নিজেদের সুবিধার জন্য নির্লজ্জের মত ধর্মের স্পিরিটের নামে তাদের উপদেশকেই চালিয়ে দিচ্ছে কৌশলে। জ্ঞানপাপীরা আপন স্বার্থে উগ্র ধর্মীয় উন্মাদনার মধ্য দিয়ে সমাজে সহিংস ঘটনা চালিয়ে জীবনকে নষ্টের দিকে ঠেলে দেয়
মতলববাজরা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে উগ্রতার সৃষ্টি করে যদিও মূর্খ ও অন্তসারশূন্যতা এক বিশেষ বৃত্ত ওদেরকে অন্ধের যষ্ঠি ভেবে ভক্তি করে।


আপনার এই মূল্যবান লেখাটি জ্ঞান,ধর্ম ও দেশের প্রতি আবেগের প্রতিচ্ছবি৷


লেখাটা কপি করতে চাই.

০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩

আখেনাটেন বলেছেন: মতলববাজরা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে উগ্রতার সৃষ্টি করে যদিও মূর্খ ও অন্তসারশূন্যতা এক বিশেষ বৃত্ত ওদেরকে অন্ধের যষ্ঠি ভেবে ভক্তি করে। ---- ভালো লিখেছেন ব্লগার ল।

মানবিক হয়ে সহনশীল পরিবেশে সবার সাথে একত্রে সুখে দুখে বসবাসে এদের সমস্যা কোথায় আমি বুঝে উঠতে পারি না। ভিন্ন মত ভিন্ন পথের যৌক্তিক সমালোচনা করা যেতে পারে; তাই বলে কতল। কেউ নিজেরাই নিজেদের সংহারক হচ্ছে; কেউ গরুর জন্য অন্যকে কতল করছে। কী নিদারূন এক সমাজের ঘটনাবলির সাক্ষী হচ্ছি আমরা!

লেখাটা কপি করতে চাই. -- অবশ্যই। কৃতজ্ঞতা।

ধন্যবাদ।

৮| ০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলাম এর সেই অমর বানীই মনে পড়লো আপনার পোষ্ট পড়ে!

মানুষেরে ঘৃণা করি
ও' কারা কোরান, বেদ, বাইবেল চুম্বিছে মরি মরি
ও মুখ হইতে কেতাব-গ্রন্থ নাও জোর করে কেড়ে
যাহারা আনিল গ্রন্থ-কেতাব সেই মানুষেরে মেরে ।
পুজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল !--মুর্খরা সব শোনো
মানুষ এনেছে গ্রন্থ,--গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো ।

আদম দাউদ ঈসা মুসা ইব্রাহিম মোহাম্মদ
কৃষ্ণ বুদ্ধ নানক কবীর,-বিশ্বের সম্পদ,
আমাদেরি এরা পিতা পিতামহ, এই আমাদের মাঝে
তাঁদেরি রক্ত কম-বেশী করে প্রতি ধমনীতে বাজে !
আমরা তাঁদেরি সন্তান , জ্ঞাতি , তাঁদেরি মতন দেহ
কে জানে কখন মোরাও অমনি হয়ে যেতে পারি কেহ ।

হেস না বন্ধু ! আমার আমি সে কত অতল অসীম
আমিই কি জানি কে জানে কে আছে আমাতে মহামহিম ।
হয়ত আমাতে আসিছে কল্কি, তোমাতে মেহেদি ঈসা,
কে জানে কাহার অন্ত ও আদি, কে পায় কাহার দিশা ?
কাহারে করিছ ঘৃণা তুমি ভাই, কাহারে মারিছ লাথি ?
হয়তো উহারই বুকে ভগবান জাগিছেন দিবারাতি !

অথবা হয়ত কিছুই নহে সে, মহান উচ্চ নহে,
আছে ক্লেদাক্ত ক্ষত-বিক্ষত পড়িয়া দুঃখ - দহে,
তবু জগতের যত পবিত্র গ্রন্থ ভজানালয়
ঐ একখানি ক্ষুদ্র দেহের সম পবিত্র নয় !

হয়ত ইহারি ঔরসে ভাই ইহারই কুটীর -বাসে
জন্মিছে কেহ-জোড়া নাই যার জগতের ইতিহাসে !
যে বাণী আজিও শোনেনি জগৎ, যে মহাশক্তিধরে
আজিও বিশ্ব দেখেনি--হয়ত আসিছে সে এরই ঘরে !

ও কে ? চন্ডাল ? চমকাও কেন ? নহে ও ঘৃণ্য জীব !
ওই হতে পারে হরিশচন্দ্র, ওই শ্মশানের শিব ।
আজ চন্ডাল, কাল হতে পারে মহাযোগী-সম্রাট,
তুমি কাল তারে অর্ঘ্য দানিবে, করিবে নান্দী পাঠ ।
রাখাল বলিয়া কারে কর হেলা, ও-হেলা কাহারে বাজে !
হয়ত গোপনে ব্রজের গোপাল এসেছে রাখাল সাজে !
চাষা বলে কর ঘৃণা !

দেখো চাষা রুপে লুকায়ে জনক বলরাম এলো কি না !
যত নবী ছিল মেষের রাখাল, তারও ধরিল হাল
তারাই আনিল অমর বাণী--যা আছে র'বে চিরকাল ।
দ্বারে গালি খেয়ে ফিরে যায় নিতি ভিখারী ও ভিখারিনী,
তারি মাঝে কবে এলো ভোলা -নাথ গিরিজায়া, তা কি চিনি !
তোমার ভোগের হ্রাস হয় পাছে ভিক্ষা-মুষ্টি দিলে
দ্বার দিয়ে তাই মার দিয়ে তুমি দেবতারে খেদাইলৈ ।
সে মোর রহিল জমা -
কে জানে তোমারে লাঞ্ছিতা দেবী করিয়াছে কি না ক্ষমা !

বন্ধু, তোমার বুক-ভরা লোভ দু'চোখ স্বার্থ ঠুলি,
নতুবা দেখিতে, তোমারে সেবিতে দেবতা হয়েছে কুলী ।
মানুষের বুকে যেটুকু দেবতা, বেদনা মথিত সুধা
তাই লুটে তুমি খাবে পশু ? তুমি তা দিয়ে মিটাবে ক্ষুধা ?
তোমার ক্ষুধার আহার তোমার মন্দোদরীই জানে
তোমার মৃত্যু-বাণ আছে তব প্রাসাদের কোনখানে !
তোমারি কামনা-রাণী
যুগে যুগে পশু ফেলেছে তোমায় মৃত্যু বিবরে টানি ।

০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

আখেনাটেন বলেছেন: শত শত বছর থেকেই এদের আস্ফলন চলছেই। এখন যেটা মহামারী আকার ধারণ করেছে।


জাতীয় কবির চমৎকার কবিতাটি পুনরায় পাঠ করানোর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। এতবছর পরেও এই কবিতার আবেদন একটুও কমে নি। কিংবা বলা চলে এর গুরুত্ব এখন পূর্ণতা পাচ্ছে।

ধন্যবাদ ভৃগুদা।

৯| ০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জাহাঁপনা বড্ড ব্যস্ত আছি। জাস্ট হাজিরা দিয়ে গেলাম।

শুভকামনা জানবেন।

০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:০১

আখেনাটেন বলেছেন: আপনাদের নির্বাচন নিয়ে তো বেশ হাওয়া গরম দেখছি। মিঃ মোদি ও শাহ জুমলাবাজির একের পর এক ক্লিন চিট পাচ্ছে। ওদিকে মিঃ গাঁধী ক্ষমা চাইতে চাইতে অক্কা পাওয়ার দশা। ওদিকে কেজরি সাহেব চড় খেয়ে দিশাহারা। আমাদের রাতের নির্বাচন বিনোদন আর আপনাদের দিনে দুপুরে বিনোদন মাইরি। হা হা হা

আসুন সময় করে। আপনাদের ওদিকের খবরাখবর দিন আমাদের।

১০| ০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: এখন ধর্ম নিয়ে ব্যবসা সবচেয়ে লাভজনক। বিনা পুজিতে কয়েকজন ভন্ড মিলে বসে পড়লেই হলো।
ভাল মতো জিজ্ঞাসাবাদ করলে দেখবেন ধর্ম নিয়ে অনেকের চেয়েই কম জানে। ধর্মীয় লেবাস হলো আরেকটা হাতিয়ার।

শুধু মসজিদ কেন? এই সব হুজুররা আজকাল ফেসবুক এবং ইউটিউব পর্যন্ত কাপিয়ে দিচ্ছে। এদের বয়ান শুনলে মনে নয় এই যুগে নতুন ইসলাম প্রবর্তন হয়েছে।

সাধে কি প্রিয় নবী শেষ জামানায় ৭২টা ফিরকার কথা বলে গেছেন? বিদায়াত ছাড়া এদের কাছে আর কিছুই পাবেন না।

সামান্য তারাবীহ নামায নিয়েও কত কত নতুন নিয়ম বের করে ছেড়েছে!

লেখাটা একেবারেই বাস্তব এবং সত্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।

০৯ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:২১

আখেনাটেন বলেছেন: শুধু মসজিদ কেন? এই সব হুজুররা আজকাল ফেসবুক এবং ইউটিউব পর্যন্ত কাপিয়ে দিচ্ছে। এদের বয়ান শুনলে মনে নয় এই যুগে নতুন ইসলাম প্রবর্তন হয়েছে। --- পার্থিব লোভ গ্রাস করেছে আত্মাকে। কিছু আত্মাও বুঝে নিয়েছে কোথায় সহজে একসাথে অনেক মানুষকে বশে রাখা যায়।

ছোট থেকেই শুনে আসছি 'ধর্ম মানুষকে ন্যায়পরায়ণ হতে শেখায়', ঘৃণা করতে নয়। অথচ...।

ধন্যবাদ ব্লগার নীল আকাশ।

১১| ০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:২৫

জাহিদ অনিক বলেছেন: মির্জা গালিব মনে এসে গেল,

আগার খোদা হ্যায় তো উসকা জিকির কিউ?
আগার নেহি হ্যায় তো ফিকির কিউ!

০৯ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৩৪

আখেনাটেন বলেছেন:




মাওলানা জালালুদ্দিন রুমির একটি বিখ্যাত ডায়ালগ আছে, '“Raise your words, not voice. It is rain that grows flowers, not thunder.”

-আমরা বৃষ্টির পরিবর্তে বজ্রপাতে ফসল ফলানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছি। বজ্রপাতে ফসল হয়, নাকি ধ্বংস সাধিত হয়।

ধন্যবাদ কবি।

১২| ০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৩০

পুলক ঢালী বলেছেন: লগইন না করে চুপচাপ চলে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তু আপনার পোষ্টটা পড়ে ----।

ধর্ম হলো বিনা পুঁজিতে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা। যে যত লেবাসধারী হবে তার তত বেশী ইনকাম। এইজন্য লেবাসের চাকচিক্য বাড়ছেই।
একজন স্রষ্টা আছেন তার পথ এই পৃথিবীর মানুষেরা বিভিন্ন রীতিতে অনুসরন করছেন। স্রষ্টার কোন মাথাব্যথা নেই রীতি ধারীরাই লড়কে লেঙ্গে সব কুছ বলে জিহাদের তান্ডব ছড়াচ্ছেন। কত হাজার নিরীহ মানুষ মারা গেলে পরে বোধোদয়
হবে ????

আদৌ হবে কি ? জন্মান্ধকে আলো দেখানোর পথ কি ?
ভাল থাকুন।

০৯ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৪০

আখেনাটেন বলেছেন: যে যত লেবাসধারী হবে তার তত বেশী ইনকাম। --- এগুলোর জন্যই আমাদের জাতীয় কবি শত বছর আগেই কঠিন কিছু কবিতা লিখে গিয়েছিলেন। যুগের সাথে তখনকার অবস্থার পরিবর্তন তো হয় নি, উল্টো এখন মহামারী আকার ধারণ করছে।

জন্মান্ধকে আলো দেখানোর পথ কি ? -- হীরক রাজার মতো মগজ ধোলাই মেশিন আবিষ্কার করা ছাড়া গতি নেই। তবে বাস্তবে মোল্লাদের দেওয়া পেট্রোডলারের জিহাদী টাকার প্রবাহটা থামাতে পারলে কিছুটা হলেও উন্নতি ঘটত।

ধন্যবাদ ব্লগার পুলক ঢালী।

১৩| ০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৪০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আপনি ভালো একটি বিষয়ে কথা বলেছেন?
এটা সত্যিই যে আজ লেবাসধারী মানুষের কারনে সমগ্র ধর্মীয় মানুষদের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হয়।এসব লেবাস ধারী মানুষের অপকর্মের জন্য কি কোন আইন আছে?আর থাকলে সেটার প্রয়োগ হচ্ছে না।আর এর জন্য দায়ভার আমাদের নিজেদেরই।আমরা এসব বিষয়ে খুবই অবহেলা করছি যা প্রকৃত সুস্থ বিবেকবান মানুষের কাছ থেকে কখনওই প্রত্যাশিত নয়।

@জাহিদ অনিক- পরীক্ষার আগে আমরা কেন পড়ি কেন?অবশ্যই সফলতা অর্জনের লক্ষ্যে।খোদার জিকির করা হয় জান্নাত অর্জনের লক্ষ্যে।


০৯ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:০৬

আখেনাটেন বলেছেন: আজ লেবাসধারী মানুষের কারনে সমগ্র ধর্মীয় মানুষদের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হয়। -- এটার জন্য অতি ধার্মিকেরাই দায়ী নয় কী?

আমার বাবাও ধার্মিক ছিলেন। কোনো প্রকার রাজনৈতিক ইসলামের সংশ্লিষ্টতা ছাড়াই জীবন অতিবাহিত করেছেন। নিজে জায়গা-জমি দিয়ে মসজিদ-মাদ্রাসা-স্কুল করেছেন। আমরা কখনও উনাকে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে দেখি নি। প্র্যাকটিসিং মুসলিম হওয়া স্বত্ত্বেও উনার চারপাশের বেশিরভাগ লোকজনই সাঁওতাল, হিন্দু (নমশু্দ্র শ্রেণির) ও মুসলিম দরিদ্র কৃষক শ্রেণি, এমনকি একজন মারফতি (ইসলামের মূল বিষয়গুলোতে প্রশ্ন তুলে দেওয়া পীরভক্ত) লোকও ছিল। এবং আমার বেড়ে উঠাও ঐ শ্রেণির লোকেদের কোলেই।

আমি মনে করি একটি অসাম্প্রদায়ীক ও মানবিক পরিবেশ মানুষকে অনেক কিছু শেখাতে পারে। আমার লেখাতেও ঐ শ্রেণির প্রান্তিক মানুষের কথা বারবার উঠে আসে।

এখন চারপাশে 'আমরা ও তোমরা' নীতি দেখে ভীত হওয়া ছাড়া উপায় নেই। ধর্মকে পূঁজি করে উগ্রবাদ কখনই ভালো কিছু দিতে পারে না। একটি সহনশীল মন পরিবেশকে স্থিতিশীল করে, জীবনকে সহজ করে।


*আপনাকে মন্তব্য একটু বড় করেই লিখতে হল কারণ আপনার চিন্তাচেতনার সাথে (ব্লগে আপনার নানামুখী লেখা-মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য দেখে ধারণা করে নিয়েছি) আমার চিন্তাভাবনার অনেক অমিল এই ভেবে। আশা করি আমার মতো পাপিষ্টের কথায় বেজার হবেন না।

সৃষ্টিকর্তা আমাদের সুখে রাখুন।

ধন্যবাদ

১৪| ০৯ ই মে, ২০১৯ ভোর ৫:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখন ইসলামের স্বর্ণযুগ: এখন প্রথমবারের মতো এত বেশী মুসলমান কুরান পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন; অনেকে আরবী বুঝতেছেন; ১০০ বছর আগেও মানুষের কাছে কুরান ছিলো না বললেই চলে, কেহ আরবী বুঝতো না। একই সাথে মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে, সভ্যতার সাথে ধর্মকে তুলনা করার সুযোগ হচ্ছে; ফলে, ধর্মের হাজার সমস্যা বের হয়ে আসছে!

০৯ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:১৩

আখেনাটেন বলেছেন: একই সাথে মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে, সভ্যতার সাথে ধর্মকে তুলনা করার সুযোগ হচ্ছে; ফলে, ধর্মের হাজার সমস্যা বের হয়ে আসছে! --- হুম; মানুষের চিন্তার ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাওয়াতে এবং চিন্তা করার পরিবেশ ও উপাদান সহজলভ্য হওয়াতে জ্ঞানের শত দরজাও উন্মোচিত হচ্ছে। নতুন নতুন ভাবনার ফলে কেউ ধর্মীয় কাঠামোকে আরো বেশি করে আঁকড়ে ধরছে, কেউবা বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছে। মাঝামাঝিওয়ালাদের অবস্থা এখন শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থার মতো।

এই দুই বিপরীতমুখী স্রোত সামনের দিনগুলিতে আরো বাড়বে বৈ কমবে না মনে হচ্ছে।

ধন্যবাদ।

১৫| ০৯ ই মে, ২০১৯ ভোর ৬:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল জাঁহাপনা,

একেবার রাজকীয় সনদ হয়েছে।
সহমত আপনার সঙ্গে যে এই দেখনেওয়ালি লেবাসধারীরা ধর্মের দিকে যত ঝুঁকছে ততো বেশি উগ্র অসংবেদনশীল, অসহিষ্ণু অমানবিক অসৎ অসাধু ও ভণ্ডামি চূড়াতে আহরণ করছি। চারপাশের দৃষ্টি ফেললে সত্যই এর সত্য নিরূপণে অবাক হতে হয়।
একটুখানি যোগ করতে চাই, জিন্নাহকে কেউ কখনো নামাজ পড়তে দেখেনি। আবার লালকৃষ্ণ আদবানির পুত্রবধূর বয়ানে শ্বশুরের ঘরে কোন বিগ্রহ নেই বা উনাকে কখনো পারিবারিক পূজোতে অংশ নিতেও দেখেননি। অথচ ধর্মকে নিয়ে দুজনে নিজের জায়গায় শ্রেষ্ঠত্বের আসন অর্জন করেছেন।

আপনার কলকাতায় আসার আর কতদিন অপেক্ষা করব। এতদিন পরে কিন্তু ঢপের চপ নাও থাকতে পারে। হা হা হা হা হা ....

শুভকামনা জানবেন।



০৯ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮

আখেনাটেন বলেছেন: একটুখানি যোগ করতে চাই, জিন্নাহকে কেউ কখনো নামাজ পড়তে দেখেনি। আবার লালকৃষ্ণ আদবানির পুত্রবধূর বয়ানে শ্বশুরের ঘরে কোন বিগ্রহ নেই বা উনাকে কখনো পারিবারিক পূজোতে অংশ নিতেও দেখেননি। অথচ ধর্মকে নিয়ে দুজনে নিজের জায়গায় শ্রেষ্ঠত্বের আসন অর্জন করেছেন। --- দুর্দান্ত একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। এটি নিয়েও আমি একটি লেখা লিখতে চাচ্ছি। সেখানে উনাদের উদাহরণও রাখার চেষ্টা থাকবে। এ নিয়ে ভারতের প্রখ্যাত চিন্তাবিদ আশিষ নন্দীর একটি চমকপ্রদ লেখা রয়েছে। এছাড়া আপনাদের বিখ্যাত কলামিস্ট এ, জি, নুরানী, প্রায়াত কুলদীপ নায়ারও এ নিয়ে বিস্তর লিখেছেন। কেন বিপরীতমুখী সত্তা হওয়া সত্ত্বেও ধ্বংসাত্বক চিন্তায় একমুখী হয় মানুষ?

কলকাতায় এবারের রোজার মধ্যেই কিংবা ঈদের পরে যাওয়ার একটি প্লান ছিল, কিন্তু জানি না সেটা হবে কিনা।

তবে ঢপ মারা কথা বলে ঢপের চপ না খাওয়ানোর পাঁয়তারা চলবেক না কয়ে দিলুম। এ হবে না ক্ষণ! ;)

ধন্যবাদ পদাতিক দা।

১৬| ০৯ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:২০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট।

মানুষের মন আসলেই অসংযমী হয়ে উঠেছে অত্যধিক

চারিদিকে কেবল মন্দ কথাবার্তা, ধর্ষন
খাবারে ভেজাল ....। মৃত্যু ভয় মানুষের মনে নেই বললেই চলে

০৯ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২

আখেনাটেন বলেছেন:
মানুষের মন আসলেই অসংযমী হয়ে উঠেছে অত্যধিক -- চরম প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য মানুষ নানামুখী ছলনার আশ্রয় নিচ্ছে। এবং মানুষের এই ছলনা থেকে মুক্তির শেষ আশ্রয়স্থল যে ধর্ম, সেখানেও এটি মারাত্মকভাবে জেঁকে বসেছে।

এগুলো থেকে পরিত্রাণ হতে পারে রাষ্ট্রীয় কঠোর আইন ও তাঁর প্রয়োগ। কিন্তু সেখানেও...।


ধন্যবাদ ব্লগার কাজী ফাতেমা ছবি'পা। ভালো থাকুন।

১৭| ০৯ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন,




সাহসী আর লা-জওয়াব একটি পোস্ট।

সংযমের মাস শুরু হয়েছে। আর আমাদের অসংযমের গ্রাফও রকেট গতিতে উর্ধ্বমুখী ধাবমান।


এই অসংযম বছরের ৩৬৫দিন জুড়েই। চারদিকে গড়ে ওঠা যতো বেশী মন্দির-মসযিদ-গীর্জার রাশিরাশি চাকচিক্য ততোই অঢেল মারামারি-হানাহানি-মিথ্যাচার-অশান্তি। এর মানে একটাই, কোনও ধর্মের লোকেরা্‌ই তাদের জীবনে ধর্মের মূল যে "শান্তি" তা ধারন করেনা। কারন, ধারন করার মতো একটা মন যে তারা ব্যক্তিস্বার্থের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে জ্ঞানচক্ষু উন্মীলনের আগেই!

০৯ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮

আখেনাটেন বলেছেন: চারদিকে গড়ে ওঠা যতো বেশী মন্দির-মসযিদ-গীর্জার রাশিরাশি চাকচিক্য ততোই অঢেল মারামারি-হানাহানি-মিথ্যাচার-অশান্তি।এর মানে একটাই, কোনও ধর্মের লোকেরা্‌ই তাদের জীবনে ধর্মের মূল যে "শান্তি" তা ধারন করেনা। --ঠিক। বাইরের দেখনদারী নিয়ে ধর্মকে সাজানোর চেষ্টায় রত এক শ্রেণি। এটাই গোটা বিশ্বকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।

জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা করেও যে ধর্মকে এগিয়ে নেওয়া যায় ঐ শ্রেণিটার মস্তিষ্কে এটি ঢোকে না।

ধন্যবাদ ব্লগার।

১৮| ০৯ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:১৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সামাজিক অস্থিরতা,জঙ্গিপনা,নারীর প্রতি সহিংসতা সৃষ্টির পেছনে গলাবাজ মোল্লাদের ভূমিকা আছে।

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:২৬

আখেনাটেন বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সামাজিক অস্থিরতা,জঙ্গিপনা,নারীর প্রতি সহিংসতা সৃষ্টির পেছনে গলাবাজ মোল্লাদের ভূমিকা আছে। --- সহমত।

গোঁড়ামী আমাদেরকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছে। সহজে এর থেকে মুক্তিও নেই মনে হচ্ছে।

ধন্যবাদ।

১৯| ০৯ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:১৬

সুমন কর বলেছেন: কোন কোন মা, তাদের পরিবার-সন্তানকে ফেলে .....চলে যায় !! কয়েকদিনের জন্য !! এক মাস শুদ্ধ থেকে, সারা বছর পাপ করে......কি আর .......আশা করে !!

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:২৮

আখেনাটেন বলেছেন: মনের মধ্যে কু'র বাস হলে শত আচারে কি আর সু'তে রূপান্তর হয়, যদি না আমরা নিজের থেকেই আন্তরিকভাবে তা চাই।

ধন্যবাদ কবি।

২০| ১১ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: রমজানের শুভেচ্ছা।

নামাজ বেহেস্তের চাবি। বেহেস্তে যেতে হলে নামাজ পড়তে হবে। এখন, এইখানেও আবার শর্ত আছে। হারাম খেয়ে, হারাম পরে, মিথ্যা কথা বলে, মদ গাজা খেয়ে নামাজ পড়লে নামাজ কবুল হবে না। সুতরাং, বেহেস্তে যেতে হলে এইসব বিষয়েও যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। অতএব, নামাজের প্রকৃত উদ্দেশ্য খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমান বেশিরভাগ মুসলিম খারাপ কাজ করছেন, নামাজও পড়ছেন। দুটোই চলছে বিরামহীন। এইসব ইবাদত বন্দেগী কোনো কাজে আসবে বলে মনে হয় না। আমাদের আলেমসমাজ এইসবে গুরুত্ব না দিয়ে ফেতনা ফসাদে বেশি সক্রিয়।

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৩০

আখেনাটেন বলেছেন: হারাম খেয়ে, হারাম পরে, মিথ্যা কথা বলে, মদ গাজা খেয়ে নামাজ পড়লে নামাজ কবুল হবে না। -- মানুষ এগুলো নিয়ে আর ততটা ভাবে না যতটা ভাবে দেখনদারী আচার নিয়ে।

দুটোই চলছে বিরামহীন। -- অদ্ভুত এক অবস্থা!

ধন্যবাদ।

২১| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৪৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সময় পেলে আমার ব্লগে ঘোরা চাই B-))

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৩২

আখেনাটেন বলেছেন: হুম; পুরান পক্ষীর নিমন্তন্ন কি না রেখে পারা যায়? ড্রাগন মাদারের অভিশাপ নিয়ে কে থাকতে চায় বলুন? :P

২২| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৪৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



আসল সমস্যাটা আমাদের । ধর্ম একটা মনস্তাত্বিক ব্যাপার । আর এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে বারন করা হয়েছে । তারপরও ভন্ডরা তাদের দরবার খুলে রেখেছে ।
আবার সেসব জায়গায় লোকারা ভীড় করে মানত দেন দরবার করছে । আমি এক বার একটা লিখা লিখেছিলাম । মাজার নিয়ে । ভাই সত্যি বলছি এখনও ভয় করে । তবে লেখাটা সরাইনি ।

আসলে আমরা আজ ভণ্ডদের মাঝে বসে আছি ।

১৪ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:০৩

আখেনাটেন বলেছেন: ধর্ম একটা মনস্তাত্বিক ব্যাপার । আর এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে বারন করা হয়েছে । তারপরও ভন্ডরা তাদের দরবার খুলে রেখেছে । --- ধর্ম এখন সহজ উপায়ে টাকা কামানোর পথও বটে। এতে করে প্রকৃত ধার্মিকেরাও বিপদে পড়ছে।

অশিক্ষা-কুশিক্ষা আমাদের অনেক ভালো অর্জনকে গিলে ফেলছে।

ধন্যবাদ।

২৩| ১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: এই দেশে সংযম একটা ফাঁকা কথা ছাড়া কিছুই নয়।

১৪ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:০৭

আখেনাটেন বলেছেন: অজ্ঞ বালক বলেছেন: এই দেশে সংযম একটা ফাঁকা কথা ছাড়া কিছুই নয়। --- চারপাশের পরিবেশ তাই মনে করতে বাধ্য করে।

ধন্যবাদ বিজ্ঞ বালক। :D

২৪| ১৪ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:৩০

জুন বলেছেন: আখেনাটেন যা বলেছেন তার উপর আর কিছু বলার নেই । এক এক সময় মনে হয় আল্লাহ তুমি যদি আমাদের মানুষের মত মানুষ না করতে পারো তবে আমাদের পৃথিবীটাকেই ধ্বংস করে দাও । এত এত মানুষের প্রান অযথাই ঝরে যাচ্ছে সব সব ধর্মের নামে আর মাত্রাতিরিক্ত লোভের কারনে ।

১৪ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:০০

আখেনাটেন বলেছেন: এদের মগজগুলো কীভাবে ধোলাই হয় আমি বুঝে উঠতে পারি না।

যে ধন্যঢ্য জঙ্গী শ্রীলংকার সেই হামলায় পরিবারসহ মারা গিয়েছে, শ্রীলংকান এক কলামিস্টের লেখায় দেখলাম সে নাকি তার এলাকায় দানবীর হিসেবে খ্যাত ছিল। এলাকার মানুষ তাকে বেশ বিনয়ী হিসেবেই জানত। অথচ এই ব্যক্তি দিনে দুপুরে জঘন্য হন্তারকের ভূমিকায় অবতীর্ন হতে পারে ভাবা যায়।

এই অপরাধের দ্বারা কত সাধারণ খেটে খাওয়া মুসলিমের জন্য নরক বানিয়ে ফেলছে এগুলো যদি এই পিশাচেেরা বুঝত।

২৫| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৪১

করুণাধারা বলেছেন: বাহ্যিক লেবাস লাগিয়ে; চাকচিক্যময় মসজিদ বানিয়ে; মাহফিলে হাজারো ধর্মভীরু মানুষ জড়িয়ে; কথায় কথায় আজাবের ভয় দেখিয়ে; হুর-পরীদের কাহিনি শুনিয়ে লাভ কী? যদি সেই অতি দামি মনটাই অপবিত্রতার পঙ্কিলতায় হাবুডুবু খায়; জীঘাংসার বাষ্পে বাষ্পীভূত হতে থাকে; ঘৃণার জালে হাসিমুখে বন্দিত্ব বরণ করে। ধিক, এমন আত্মাকে! ধিক, এমন কলুষিত লেবাসধারী মনকে!

চাঁদগাজী বলেছেন, আমি প্রাণহীন বড় মন্তব্য করে থাকি; এই পোস্ট পড়ে তেমন বড় একটা মন্তব্যই এখন করছি। বছর দুয়েক আগে আমার ল‍্যান্ডফোনটা বেশিরভাগ সময় খারাপ থাকতো, কিন্তু বিল আসতো অনেক! লাইনম্যানকে যখন ফোন ঠিক করতে বলতাম তখন ঠিক করে দিতো, টাকা নিয়ে যেত, আবার কদিন পর ফোন নষ্ট! বলতো রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে লাইন কাটা পড়েছে। এমন এক সময় আমার পরিচিত একজন আবিষ্কার করলেন, আমার ফোন নষ্ট থাকলেও কেউ তা রিসিভ করে বলছে এটা তার ফোন। আমিও মোবাইল ফোন দিয়ে আমার বাসার ল্যান্ডফোনে ফোন করলাম, একজন ধরলেন। আমি বললাম যে তিনি চুরি করে আমার লাইন ব্যবহার করছেন, তিনি অস্বীকার করলেন। অগত্যা টেলিফোন অফিসে গিয়ে অভিযোগ করলাম, তারা যাচাই করে দেখল আমার লাইন, লাইনম্যান আরেকজনকে দিয়ে দিয়েছে। কাকে দিয়েছে তার নাম ঠিকানাও টেলিফোন অফিস থেকে বের করে দিল। দেখলাম ভদ্রলোককে আমি চিনি; লম্বা দাড়িওয়ালা, খুবই সজ্জন, মসজিদ কমিটির সভাপতি, তিনিই ফোন রিসিভ করছিলেন। যাইহোক লাইন কেটে দিয়ে আমার লাইন লাগানো হলো।

এর কয়েক মাস পর আমি এক শুক্রবারে লিফটে নামছিলাম, দেখি সেই ভদ্রলোক লিফটে আরেকজনকে জিজ্ঞেস করছেন, "আজকে কি আপনি উট?" নামার পর দেখি দুজন দৌড়াচ্ছেন, কে কার আগে যেতে পারেন। আমি খুবই অবাক হলাম এই দৌড় আর উট এর কথা শুনে। পরে জানলাম যে মসজিদে প্রথমে ঢুকতে পারবে, সে একটা উট কোরবানি দেওয়ার সওয়াব পাবে... আজকাল সব চোর ছ‍্যাচোর দুর্নীতিবাজেরা এরকম নানাভাবে সোয়াব হাসিল করে নিচ্ছেন। ধর্ম এখন পুরোই লেবাসধারীর জন্য।

১৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩

আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা হা হা; =p~ =p~

করুণাধারাপা, আপনার এই মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে আমার গড়াগড়ি খাওয়ার দশা। মাইরি বলছি, 'আজকে কি আপনি উট'? বাক্যটা ২০১৯ সালে আমাকে সেরা বিনুদিত করেছে। হা হা হা।

এই মন্তব্য পড়ার পর ব্লগার চাঁদগাজীর আপনার কাছে হাঁটুগেড়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত। এসব মন্তব্য যদি প্রাণহীন হয় তাহলে তো ব্লগের সব মন্তব্যই শুকনো কাষ্ঠ। :P


আমি একটি চিন্তা করছি 'আজকে কি আপনি উট?' এই বাক্যটিকে শিরোনাম করে প্যারোডি করে কোনো কিছু লেখা যায় কিনা। ভীষণ মনে ধরেছে এই জিনিস। আপনি অনুমতি দিলে আপনার এই সপ্তাশ্চর্য কাহিনি আমি আমার কোনো লেখায় যোগ করে দিতে পারি। :D

ভন্ডামী যে কতদূর গিয়েছে এগুলো না শুনলে না দেখলে বিশ্বাসই হবে না? X((

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে এমন একটি অসাধারণ মন্তব্যের জন্য রাশি রাশি শুভেচ্ছা ও শুভকামনা আপনাকে। এই 'উটকথন' আমার বহুদিন মনে থাকবে। হা হা।

করুণাধারাপা, এরকম প্রাণহীন(!) মন্তব্য আরো চাই ব্লগের প্রাণ সঞ্চারণের জন্য। :-B

২৬| ১৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১:২৫

চাঙ্কু বলেছেন: পবিত্রঘর বলে আসলে কি কিছু আছে? মনে হয় না। একটা ঘর কখনও পবিত্র বা অপবিত্র হতে পারে না। সমস্যা হচ্ছে আমাদের মনে আর মননে। আমাদের মন হচ্ছে অপবিত্র। ধর্মের হাজারো সমস্যা আছে কিন্তু আমরা সেইগুলা নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক না অথবা বলা ভাল ধর্মের সমলোচনা করলেই আপনার জীবন যাওয়ার শঙ্কা আছে। এই জন্যই হয়ত অনেকে হুজুরদের মুখে কাউকে জবাই করার কথা শুনেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। আবার নিজের ইচ্ছামত, নিজের লাভের জন্য ধর্মের এক একটা একটা ভার্সন বানাচ্ছি। এই জন্য আপনি যেমন বলেছেন - প্রতিবাদ না করার কারনে আমিও সমান অপরাধী। Voltaire এর কথাটাই রিপিট করি - Every man is guilty of all the good he did not do.

তবে আমি আশাবাদী মানুষ। আমরা না পারলেও ভবিষ্যত প্রজন্মই আমাদের এই ঘৃণার জঞ্জাল পরিষ্কার করবে! অন্ধকার টানেলের শেষে আলো থাকবেই

করুণাধারার মন্তব্য পড়েতো হাসতে হাসতে শেষ =p~

১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:২২

আখেনাটেন বলেছেন: দুঃখিত জেডা, অনেক দেরীতে মন্তব্যের প্রতিউত্তরের জন্য।

তবে আমি আশাবাদী মানুষ। আমরা না পারলেও ভবিষ্যত প্রজন্মই আমাদের এই ঘৃণার জঞ্জাল পরিষ্কার করবে! অন্ধকার টানেলের শেষে আলো থাকবেই -----সেটাই সকলের চাওয়া।

ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।

২৭| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

করুণাধারা বলেছেন: আখেনাটেন, আমি আমার একটা উপলব্ধি শেয়ার করতে চাচ্ছিলাম, সেটা আপনাকে বিনোদিত করেছে জেনে আমিও যারপরনাই আনন্দিত হলাম! আমার উপলব্ধি- লেবাসধারীরা একদিকে নানা রকম অন্যায় করতে থাকে আর  আরেকদিকে এমন কিছু কাজ করতে থাকে, যা তা তাদের ধারণায় খুবই পুন‍্যের কাজ; যেমন জুম্মাবারে মসজিদে প্রথমে ঢুকে এক উট কোরবানির সওয়াব হাসিল করা, বা মসজিদে নামাজের জন্য যাবার সময় প্রতি পদক্ষেপে সওয়াব হাসিল করা। তাদের ধারণা এই সঞ্চিত পুন‍্যের ভারে সব পাপ কেটে যাবে। কথা হল, এই সব হাদীস এরা কোন কেতাব খুলে জানতে যান না, এদের জানার সোর্স মসজিদ! মসজিদের বয়ানে শেখানো হয় কত সহজে জান্নাত হাসিল করা যায়, কিন্তু শেখানো হয় না যে অন‍্যায় করে কারো এক টাকা আত্মসাতের গুনাহ আল্লাহ কখনই মাফ করবেন না...

সেদিন শুনছিলাম আমেরিকার এক মসজিদে রমজানে করনীয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে বক্তা বলেছেন, এই মাসে যেন ঘরের কাজ পুরোপুরি মহিলাদের উপর ছেড়ে না দিয়ে পুরুষেরাও সাহায্য করেন, যাতে তারা বিশ্রাম/এবাদতের সুযোগ পান। আমাদের হুজুরেরা কখনো এমন কিছু বলেছেন বলে শুনিনি...

উট সংক্রান্ত বাক‍্যটা লেখায় ব‍্যবহারের জন্য আপনাকে সানন্দে অনুমতি দিলাম! B-)

 অবশ্য  "মসজিদে প্রথম ঢুকলে এক উট কোরবানির সওয়াব আর সবশেষে ঢুকলে ডিম কোরবানির  সওয়াব"- এই হাদীসের সত্যতা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। ঘরের মধ্যে একজন যখন হাঁড়ি- খুন্তি নেড়ে গলদঘর্ম হবেন, তখন আরেকজন বারোটা বাজতেই পরিপাটি হয়ে মসজিদে গিয়ে বসে ঠান্ডা হবেন, আর ফাঁকতালে এক উট কোরবানির  সওয়াব হাসিল করবেন, এমন বৈষম্য ইসলাম করতেই পারে না... X(

এত কথা বলে ফেললাম, মনে জমে থাকা ক্ষোভ বেশ কেটে গেল...
 

১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:২৮

আখেনাটেন বলেছেন: দুঃখিত আপা, অনেক দেরীতে মন্তব্যের প্রতিউত্তরের জন্য।

অবশ্য "মসজিদে প্রথম ঢুকলে এক উট কোরবানির সওয়াব আর সবশেষে ঢুকলে ডিম কোরবানির সওয়াব"- এই হাদীসের সত্যতা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। --- হা হা হা; কাঠমোল্লারা আরো কত কি যে আবিষ্কার করবে আল্লাহ মালুম!

আপনার অভিজ্ঞতার ভান্ডার দেখে তো টাস্কিত। আপনি এসব টুকরো টুকরো অভিজ্ঞতা ছোট ছোট কাহিনিতে লিখে প্রকাশ করলে আমার মতো পাঠকেরা গোগ্রাসে গিলত। ভন্ডামীর নানামুখি দিকগুলিও উন্মোচন হত।

ধন্যবাদ আপা।

২৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:১৪

রাকু হাসান বলেছেন:

অনেক দিন দেখছি মন্তব্য কিংবা পোস্টে । কেমন আছেন ভাইয়া ? ফিরে আসুন । মিস ইউ ।

১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩১

আখেনাটেন বলেছেন: আবারও আসলুম রাকু সাহেব। ব্লগের মায়া ত্যাগ করা মুশকিল হ্যায়। :D

যদিও এই ভিপিএন টিপিএন ব্যবহার করে ব্লগে আসা একটি বিরক্তিকর বিষয়, তবুও ঐ যে মায়ার বাঁধন।

ভালো থাকুন। আর শুভেচ্ছা নিবেন এক ক্ষুদ্র ব্লগারকে মনে রাখার জন্য।

২৯| ১৩ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: বাংলাদেশের সিংহভাগ জনগণের কাছে ধর্ম অত্যন্ত স্পর্শকারত একটি বিষয়। ধর্ম ব্যবসায়ীরা মূলত এই সুযোগটাই নেয়। যে কারণে দেশে এত পীর, ফকির, মাজার আর নিত্য মাহফিলের আয়োজন। সত্যি কী বিচিত্র এই পৃথিবী যার একপ্রান্তের মানুষ চাঁদে যাচ্ছে আর অন্য আরেক প্রান্তের মানুষ চাঁদ দ্বিখন্ডিত হওয়ার কাহিনী শুনে আহ্লাদিত হচ্ছে, মসজিদ মাহফিলে জিহাদী জোশে উজ্জীবিত হয়ে ভিন্ন মহাবলম্বী সে যেই হোক তাকে কতল করার জন্য শপথ নিচ্ছে। অথচ ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা ভুলে যাচ্ছে। ভুলে যাচ্ছে মানবতা, সহনশীলতা আর উদার দায়িত্বশীলতা। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি জীঘাংসামূলক পরিবেশ পেতে যাচ্ছে তো বটেই সেই সাথে আমরাও
পাচ্ছি বসবাসের জন্য একটি ক্লেদাক্ত পরিবেশে।

১৩ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:২৫

আখেনাটেন বলেছেন: ধর্ম ব্যবসায়ীরা মূলত এই সুযোগটাই নেয়। যে কারণে দেশে এত পীর, ফকির, মাজার আর নিত্য মাহফিলের আয়োজন। সত্যি কী বিচিত্র এই পৃথিবী যার একপ্রান্তের মানুষ চাঁদে যাচ্ছে আর অন্য আরেক প্রান্তের মানুষ চাঁদ দ্বিখন্ডিত হওয়ার কাহিনী শুনে আহ্লাদিত হচ্ছে, মসজিদ মাহফিলে জিহাদী জোশে উজ্জীবিত হয়ে ভিন্ন মহাবলম্বী সে যেই হোক তাকে কতল করার জন্য শপথ নিচ্ছে। --- অশিক্ষা, কুশিক্ষা কোথায় নিয়ে মুসলিমদের দাঁড় করিয়েছে ভাবলেও গা শিউরে উঠে।

এত এত ওয়াজ-মাহফিল, কোনো কি পরিবর্তন চোখে পড়ে। অপবিত্র ও কলুষিত মন নিয়ে এসব করে বেড়ালে মানুষ শুদ্ধ হবে কীভাবে?

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ব্লগার অর্থনীতিবিদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.