নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?
আমিও সোল্লাসে চোখ-মুখ বাঁকায়ে, মাথা ঝাঁকায়ে চুইংগামের মতো টেনে লম্বা করে বললুম , ‘ইয়াহ, ইয়াহ, আলিইস্কান্দ্রিয়াআআআঅ্যাঅ্যা, আলিস্কান্দ্রিয়াআআআআআঅ্যা’। ক্যাপ্টেন মারভেল আমার দিকে অদ্ভুত ভঙ্গিতে তাকিয়ে অট্টহাসিতে ফেটে পড়লেন।
************************************************************
সকাল আটটায় আলেকজান্দ্রিয়ার ট্রেন। হোটেল থেকে পাঁচ মিনিটের হাঁটা দূরত্বে আটাবা মেট্রো স্টেশন। ঘোড় পদক্ষেপে সেখানে গিয়ে তিন মিশরীয় পাউন্ডে পাশের এক স্টেশন পরেই আল সোহাদা স্টেশন। এখানেই কায়রোর প্রধান ফ্যারাও রামেসিস রেল জংশন । জংশনের ভিতরে চমৎকার কারুকাজ করা। মিশরের এই জিনিসটা বেশ। সবখানেই প্রাচীন প্রাচীন ভাব। মাঝে মাঝে মনে হবে পৃথিবী বুঝি থেমে আছে সেই তিন-চার হাজার বছর আগে। অসংখ্য বই পড়া ও সিনেমায় দেখা বিষয়গুলো চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে ধরা দিচ্ছে এ যে বিস্ময়রে পাগলু!
কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভিতরে ঢুকে মাথায় প্যাঁচ খাওয়া আফ্রিকিয় চুলের মোটাসোটা গোছের একজনকে জিজ্ঞেস করলুম, ‘ভাইজান গো, আলেকজান্দ্রিয়ার ট্রেনটা কোন প্লাটফর্মে খাড়ায় আছে। একটু কন দেহি চি’। লোকটি বোয়াল মাছের মতো বিরাট হাঁ করে চোখগুলোকে ৫০% ছোট করে কি সব বিড়বিড় করে চলে গেল। আরেকজনকে জিজ্ঞেস করলাম --এখানেও একই কান্ড। ঘটনা কী? মিলিটারি জান্তা সিসির মাইনকা চিপায় পড়ে সকলের জবান গলার চিপায় আটকে গেছে নাকি! ভীনদেশী ভাষা জানা-বুঝা লোকের সংখ্যা নিতান্তই কম হওয়ায় এটি একটি বিরাট বিড়ম্বনায় বটে।
ছবি-২: আলেকজান্দ্রিয়া শহরের ম্যাপ(আংশিক)। বামপাশের সমুদ্রের তীর ধরে চিন্হিত স্থান-কোইটবে সিটাডল, আল-আব্বাস আল-মুরসি মসজিদ, আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরী ও উপরে মাহাত্তারুন কাতারুন।
ছবি: রামেসিস ট্রেন স্টেশন(অন্তর্জাল)
যাহোক, এদিকে আমাদের সময় ঘনিয়ে আসছে। আমার বন্ধুর উপর আবার এক্টুতেই টেনশন বাবা ভর করে। ট্রেন ছেড়ে গেলে বাবার কেরামতি শুরু হবে। বিপদ। এবার সামনে বিশালদেহী এক পুলিশ ভায়াকে দেখে উনাকে আমাদের ক্যাপ্টেন মারভেল বানালুম। প্রাচীন ক্লিউপেট্রার আলেকজান্দ্রিয়ার কথা পাড়তেই উনি টিকিট দেখতে চাইলেন। টিকিট দেখে মুচকি হাসি দিয়ে আরবীর লোকমাতে বিশাল টান দিয়ে, ‘আলিইস্কানদেরিয়েএএএ, আলিস্কানদেরিয়েএএএ’।
আমরাও মনে মনে বুঝলুম সমস্যা তাহলে এই ‘আলিবাবার ইসকনদে’। আমিও সোল্লাসে চোখ-মুখ বেঁকিয়ে আরবীকে চুইংগামের মতো টেনে লম্বা করে, ‘ইয়াহ, ইয়াহ, আলিইস্কান্দ্রিয়াআআআ, আলিস্কান্দ্রিয়াআআআ’। ক্যাপ্টেন মারভেল আমার এই অদ্ভুত উল্লাসে এক সেকেন্ড থম মেরে থেকে বিকট হাসি দিয়ে আমাদেরকে মার্চ করে এগিয়ে চলল। বেচারা মনে হচ্ছে বিরাট মজা পেয়েছেন আমার আরবীর গ্রেটওয়ালীয় টান দেখে। দূর থেকে হাত দিয়ে ইশারা করে জানালেন প্লাটফর্মে দাঁড়ানো ট্রেনটাই, ‘আলিস্কান্দ্রিয়াআআআআআআআআআআআআ’।--বলে আবার বিকট হাসি দিয়ে প্রাপ্য ধন্যবাদ নিয়ে চলে গেলেন। ক্যাপ্টেন মারভেল আমাকে ভেংচি কেটে দিল মনে হচ্ছে।
আমাদের মতো আরো পশ্চিমা ও ফার ইস্টের পর্যটককেও দেখলাম হন্তদন্ত করে দুলকি চালে ‘আলিস্কানদেরিয়েএএ’ ট্রেন ধরতে আসছে।
লাফিয়ে উঠলুম ট্রেনে। এক বয়স্ক বাবাজি শেষ বারের মতো ট্রেনকে ঝাড় পোছ করছে। উনাকে মুচকি হাসি দিয়ে টিকিট ধরিয়ে দিলাম। উনি অত্যন্ত আন্তরিকতার সহিত আমাদের সিটগুলো দেখিয়ে দিল। ট্রেনের সিটগুলো বেশ প্রশস্ত ও আরামদায়ক। একপাশে একটি সিট অন্যপাশে দুইটি, মাঝে আইল। পুরো ট্রেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এবং নির্দিষ্ট সময়েই চলাচল করে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকেও বেশ সজাগ। তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে এতটা আশা করি নি, বিশেষ করে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার আলোকে।
ছবি-৩: ক্লিউপেট্রার খুড়তুতো ভাইয়ের উবার গাড়ির খোঁজে মাহাত্তারুন কাতারুনের সামনে
ছবি-৪: প্রাচীন ইউরোপীয়ান স্টাইলের বাড়িঘর
২
কায়রো থেকে আলেকজান্দ্রিয়ার ট্রেন ভ্রমণটা বেশ এক্সসাইটিং ছিল। তবে একটি বিশেষ কারণে পুরো আনন্দটা জমে ক্ষীর আর হয় নি! আমি জানালার পাশের সিটে। হঠাৎ দেখি টপাক করে আমার পাশের খালি সিটে নেফারতিতির ছোটবোন ক্লিউপেট্রা এসে টুপ করে বসে পড়ল। আধুনিক ক্লিউপেট্রার পরনে জিন্স, জ্যাকেট ও মাথায় রাজকীয় মুকুটের বদলে স্কার্ফের মতো করে একটু মাফলার জাতীয় কাপড়। কানে হেডফোন লাগিয়ে মোবাইল টেপাটিপি করতে থাকল। আমি টেরা চোখে হিরু আলম স্টাইলে একবার দেখে নিলুম মিশরীয় সম্রাজ্ঞীকে। আমার ডানদিকে জানালার বাইরে নাইল ডেল্টার অপরূপ সৌন্দর্য। চিন্তা করছি, কোনটা বেশি অপরূপ ডানেরটা নাকি বামেরটা।
ভাবলাম জার্নিটা তাহলে দুর্দান্ত হবে। ডেল্টার সবুজের সমারোহ অবলোকন করতে করতে যাচ্ছি। কানে হেডফোনটা গুঁজে দিয়ে প্রিয় কিশোরদার গান ছেড়ে দিলাম ‘ এই পথ যদি না শেষ হয়/ তবে কেমন হতো তুমি বল তো’।
রাস্তার পাশে সারি সারি ফলের বাগান। বিশেষ করে সাইট্রাস জাতীয় ফলই বেশি, মানে কমলা আরকি! ২৪০ কিলোমিটারের মতো দূরত্ব। ট্রাভেল ডিউরেশন আড়াই ঘন্টার মতো।
কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর মনে হল পাশের সুন্দরী থেকে মিশর ও আলেকজান্দ্রিয়া সম্পর্কে জানি। এই ভেবে সম্রাজ্ঞীর দিকে ঘুরে তাকাতেই মিষ্টি স্বর ভেসে আসল,’ইন্ডিয়ান’। ‘নো, বাংলাদেশ’-- বাঙালী কৌতূহল নিয়ে আমিও মাগুর মাছের পিছলা হাসিতে ক্লিউপেট্রাকে জানালাম। খুশিতে উদ্ভাসিত হয়ে, ‘ব্যাঙলাডেছ, ব্যাঙলাডেছ’। আরো সব আরবিতে কি সব বলছিল এক বর্ণও বুঝলুম না। উচ্ছাসের কারণও বুঝলুম না।
নাম বললাম, ‘আ’ম আখে...’। খুবই সহজ ভঙ্গিতে হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে ছোট্ট করে আরবি একটি বাক্য বলল যার শেষের শব্দটি শুধু বুঝলুম মহারাণীর নাম। ইলিনা। মুখে পাকা পেয়ারার মতো হাসি ঝুলিয়ে ধরে আরবিতে আমাকে আরও কিছু বলল। আর আমি সেটা না বুঝতে পেরে কদবেলের মত শক্ত হাসিতে বুঝালাম, ‘আরবী, নাহি আতা, নাহি আতা’। সাহেবী ইংলিশটা যদি...। তীব্র মাথা ঝাঁকালো ডানে-বামে। হতাশ। আধুনিক ক্লিউপেট্রা ঘাগু ব্রিটিশদের উপহার গ্রহন করে নি।
মনে করলুম মিশরীয়রা যেহেতু শাহরুখ আর অমিতাভের ভীষণ ভক্ত সেহেতু...। আমাকে তব্দা করে দিয়ে ইশারায় জানালো সেটাও এক বিন্দু নয়। মনে মনে হতাশায় বললাম কোনটা তুমি জানো সুন্দরী-- বার্মিজ, চাইনিজ, আমহারি, জুলু, ভুলু; খালি বলো আরবী বাদে কোনটা জানো?
এরপর ইশারা ইঙ্গিতে, গুগল টান্সলেট করে দুজনেই কিছু ভাব-বিনিময় হল। কিন্তু জীবনে এই প্রথম ভাষা জ্ঞানের অভাবে নিজের চুল টেনে ছিঁড়তে ইচ্ছে করল। আহ, কী সময়টাই না কাটত! ক্লিউপেট্রার পক্ষ থেকেও বেশ আগ্রহ ছিল। কিন্তু সেই ভাষা…! যা বুঝলাম মিস ক্লিউপেট্রার মাদারটাঙ্গ আরবী এবং ফ্রেঞ্চটা কাজ চালানোর মতো পারলেও ইংরেজিতে একেবারেই...। ব্রিটিশদের উপর মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল। হালার পো’রা ইজিপ্ট শাসন করেছিস অথচ ভড়ং করা ভাষাটা আমাদের মতো ঢুকাতে পারিস নি মস্তিস্কে দু-চার লাইন। নাইল ডেল্টার সবুজকে এখন নীল মনে হচ্ছে।
আমি একসময় ঢাকার অলিঁয়াস ফ্রঁসেসে ঢুঁ দিতাম। ইস, সে সময় যদি কন্টিনিউ করতাম সেই যাতায়াতটা। কিংবা ‘কাইফা হালুকা, ইয়া হাবীবী’ ভাষাটাও যদি রপ্ত করতে পারতাম। আপসোস। মারডালা।
কষ্টে কিশোর দা’র গান পালটে সতীনাথ ভাদুড়ীর গান লাগালাম, ‘মরমীয়া তুমি চলে গেলে/ দরদীয়া আমার কোথা পাব/কারে আমি এ ব্যথা জানাবো...বল না গো বিদায়ের বারতা/ মনে আমার সইবে না যে সে ব্যথা।
যথারীতি সাড়ে দশটায় আলেকজান্দ্রিয়া পৌঁছে একটা পাকা পেয়ারা হাসি ও টা টা পেলুম। কি আর করা! আগে বাড়ো। হতাশায় তো ভ্রমণ বাতিল করতে পারি না। মারডালা।
ছবি-৫-৬: স্টেশন থেকে ভূমধ্যসাগরমুখী
৩
আলেকজান্দ্রিয়া ট্রেন স্টেশনের সংস্কার কাজ চলছে। স্টেশনের সামনেটা খোলামেলা ও চমৎকার। সকাল সাড়ে দশটা। ভূমধ্যসাগরীয় আবহাওয়ার সৌন্দর্য্য টের পেলুম।
স্টেশন থেকে ডানদিকে শ’দুয়েক মিটার দূরেই বিখ্যাত রোমান থিয়েটারের ভগ্নাবশেষ কয়েক একর জায়গা জুড়ে। আমাদের লিস্টে এটি ছিল। কাছে গিয়ে দেখি লোহার রেলিং দিয়ে সুন্দর করে ঘেরা থাকলেও বাইরে থেকেই সবটা দেখা যাচ্ছে। হুদাই ভিতরে ঢুকে জনপ্রতি ৮০ পাউন্ড খরচ মিসকিনদের জন্য একটু কষ্টকরই। আমাদের হাতে সময়ও কম। বাইরে থেকেই টপাটপ কয়খান ছবি তুলে রওয়ানা হলুম পরবর্তী গন্তব্যস্থলে। পাশের পাহারারত এক পুলিশ জোরে সোরে বলে উঠল, ‘আল হিন্দি, আল হিন্দি’। আরব দেশগুলোর মানুষেরা অনেকেই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভারতীয়দের ‘হিন্দি বা আল হিন্দি’ নামে ডাকে পরে জেনেছিলুম।
ছবি-৭: ভূমধ্যসাগরের তীর ধরে এগিয়ে চলছে পঙ্খিরাজ
ছবি-৮: বাঁয়ে ফেনিল সমুদ্র রেখে সিটাডলের প্রবেশমুখে
ইতোমধ্যে উবার, আলেকজান্দ্রিয়া সেট করে নিয়েছি। দিলাম উবার ডাক। এবার যাব সমুদ্র পাড়ের ঐতিহাসিক কোইটবে সিটাডলে। ভাড়া ১৭ মিশরীয় পাউন্ড। উবারের ড্রাইভার ফোন দিয়ে আরবীতে জানতে চায় ‘কিরে, তোরা কই আছস’ এই জাতীয় কিছু হবে। আমি ওকে ইংরেজীতে বলি আলেকজান্দ্রিয়া ট্রেন স্টেশনের (এখানেও আমি ভুল করেছি, বলতে হত ‘আলিস্কান্দ্রিয়েএ মাহাত্তারুন কাতারুন’) সামনে চলে আসুন, জনাবে আলা। বেচারা ইংরেজির মাথামুন্ডু কি বুঝেছে কে জানে? খালি আরবিতে বিড়বিড় করেই যাচ্ছে।
আমি ইংরেজিতে বোঝায় আলেকজান্দ্রিয়া, ও আমাকে আরবিতে বোঝায় আলিস্কান্দ্রিয়েএ। ও মাহাত্তারুন কাতারুন, আমি ট্রেন স্টেশন। আমি ট্রেন ও কাতারুন। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ ধরে বুঝাবুঝির পালা শেষ হলে সিদ্ধান্ত নিলাম গাড়ির নাম্বার চেক করতে হবে। কারণ সে আমাদের কাছেই চক্কর খাচ্ছে। সেখানেও গণ্ডগোল। কারণ সব গাড়ির নাম্বারই আরবীতে লেখা। সাথে সাথে গুগল থেকে আরবী নিউমেরিকগুলো জেনে গাড়ির নাম্বার প্লেট চেক করতে থাকি।
আবার ফোন দিয়েই আমাকে আরবীতে এইস্যা ঝাড়ি। মনে মনে ভাবলুম গালিটা এরকম হতে পারে, ‘হালার পো, তোরে উবারে কে গাড়ি ডাকতে কইছিল, খবিস কোথাকার’। গালি-টালি হজম করে আমি আমার বন্ধুকে বলি তাড়াতাড়ি গাড়ির নাম্বার খোঁজ কর এ ব্যাটা আমাদের পিটাবে যে গরম মনে হচ্ছে ফোনে। সামান্য ভাড়ার জন্য ওর মনে হয় বিশ মিনিট ইতোমধ্যে চলে গেছে। এবং আমিও ম্যাপে দেখছি আমাদের আশেপাশেই সে ঘুরঘুর করছে, মাগার চিনবার পারছি না। একটু পরেই দেখি কল কেটে দিয়েছে ক্লিউপ্রেট্রার খুড়তুতো ভাই। আমরাও হাঁফ ছেড়ে বাঁচলুম।
পরে অবশ্য উবারেই গিয়েছি তবে সেটা কায়রো থেকে আমাদের পরিচিত একজন তার ফোন থেকে ডেকে দিয়েছিল।
রোমান থিয়েটার পার হয়ে মূল শহর ধরে এগিয়ে চলছে গাড়ি। আর কিছুদূর গেলেই ভূমধ্যসাগর। সারি সারি ইউরোপীয়ান গোথিক স্টাইলের বাড়ি রাস্তার দুইপাশে। বেশির ভাগ বাড়িঘরই শতবর্ষী মনে হচ্ছে। চমৎকার বাড়িগুলোর মধ্যে অনেকগুলো পরিত্যক্ত মনে হল। এগুলো মিশরের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার চালচিত্র প্রকাশ করছে। মিলিটারি শাসন একটি অসম্ভব সম্ভাবনাময় দেশকে কীভাবে জাহান্নামের পথে টেনে নিতে পারে তা মিশর ও পাকিস্তানকে না দেখলে বোঝা মুশকিল। অথচ উর্দিপরা জেনারেলদের কুৎসিত চাকচিক্যময় জৌলুস দেখে বিবমিষা না এসে পারবে না। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে অভিজাত সবকিছু তাদের দখলে। অথচ জীর্ণকায় গাধার পিঠে চড়ে হাটে যাওয়া শীর্ণকায় মানুষের সংখ্যাও নিতান্তই কম নয় প্রাচীন সভ্যতার আঁতুড়ঘর এই দেশটিতে।
ছবি-১০: ফোর্টের ভিতরে মূল প্রাসাদের সামনে দাঁড়িয়ে।
ছবি-৯: প্রাসাদের ভেতরের হাওয়াঘরের জানালা দিয়ে আলেক্সান্দ্রিয়া শহর।
৪
যাহোক, ড্রাইভার ‘ইয়া হাবীবী’ গাড়ীতে আরবী ভাষার চমৎকার একটি গান ছেড়েছে। এক্টু পরেই ভূমধ্যসাগরের শীতল ও গীতল হাওয়ার পরিবেশ টের পেলুম সামনে তাকিয়ে। ভূমধ্যসাগরের এই রূপ দেখে মনে হল কেন বিশ্বের অধিকাংশ পর্যটক ভূমধ্যসাগরের দেশগুলোতে অবকাশ যাপন করতে আসে? তাপমাত্রা তখন ২৩-২৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। সাথে মিষ্টি মেডিটেরিয়ান হাওয়া। ভ্রমণের জন্য আদর্শ ।
ভূমধ্যসাগরের পাশে মাথা তুলে আছে এই অসাধারণ স্থাপত্যের সিটাডল। পরিষ্কার নীল দিগন্ত আকাশ। বিশাল বিশাল ঢেউগুলো এসে আছড়ে পড়ছে প্রাসাদের বাঁধানো দেয়ালে। প্রাসাদের দেয়ালে বসে অনেক ক্লিউপেট্রা-এন্টনিকে ভূমধ্যসাগরের নিটোল হাওয়া পান করতে দেখলাম। কী স্নিগ্ধ পরিবেশ!
ছবি-১১: ঐতিহাসিক আবু আল-আব্বাস আল-মুরসি মসজিদ
ছবি-১২: এক ভারতীয় ভদ্রলোক-বিশ্ববিখ্যাত আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরীর সামনে লাগেজ নিয়ে দাঁড়িয়ে।
প্রাসাদের ভেতরে অনেক হাওয়াঘর। ভিতর থেকে বাইরের ভূমধ্যসাগরের দৃশ্য সত্যিই অপরূপ! আমরা সেখানে ঘন্টা দুয়েক থেকে ভূমধ্যসাগরের তীর ধরে হাঁটতে শুরু করলাম। পথেই ঐতিহাসিক আবু আল-আব্বাস আল-মুরসি মসজিদ। স্থাপত্যশৈলীর প্রশংসা না করলেই নয়।
সেখান থেকে মিশরের অর্থনৈতিক অবস্থার মতোই ভাঙাচুরা ট্যাক্সিতে ২০ পাউন্ডে উঠে পড়লাম। খ্যাঁক খ্যাঁক করে কাশতে কাশতে ট্যাক্সি বাবা চলে আসল ৩ কিলোমিটার দূরত্বের বিশ্ববিখ্যাত আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরীতে (বিবলিওথেকা আলেকজান্দ্রিয়া)। রাস্তাতে তেমন ট্রাফিক ছিল না।
ভূমধ্যসাগরের কোল ঘেঁষে লাইব্রেরী চত্তর। নতুন করে নির্মিত এই লাইব্রেরীর বিশালত্ব দেখে চমৎকৃত হলাম। স্থাপত্যশৈলী মনে রাখার মতো। ৭০ পাউন্ড প্রবেশ ফি বিদেশীদের জন্য। অনেকটা সময় লাইব্রেরীতে ব্যয় করলাম। রাস্তার ওপাশেই আলেকজান্দ্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। আলেকজান্দ্রিয়ার মানুষদের চেহারা মিশরের অন্য অংশের মানুষদের থেকে অনেকটাই আলাদা মনে হয়েছে আমার। অনেককেই ইউরোপীয় ভেবে ভুল হতে পারে। কিংবা আরব ও ইউরোপীয়ানের মিশেল।
এরপর আসলাম ১২ কিমি দূরের ঐতিহাসিক মন্তাজা গার্ডেনে। প্রায় সন্ধ্যা। ইতোমধ্যে ঠান্ডা হিমেল হাওয়া গায়ে আছড়ে পড়তে শুরু করেছে। আলো আধাঁরির মাঝে গার্ডেনের মধ্যে সমুদ্রের শনশত শব্দের মাঝে ঘোরাঘুরি অতিপ্রাকৃত ব্যাপার-স্যাপার ছিল। লোকজন নেই বললেই চলে। কারণ একটু পরেই বন্ধ হবে। শুধু স্থানীয় কিছু গ্রুপকে দেখলাম সমুদ্রের তীরের এই বাগানে বার-বি-কিউ পার্টির আয়োজন করেছে। ফিরতি পথে দেখি এমনই একটি গ্রুপ আস্ত একটি খাসি/ভেড়াকে পুড়িয়ে রুটিসহ হাবিজাবি দিয়ে গপাগপ গিলছে। সাথে অনেকগুলো বিড়াল। আমাদেরকে দেখেই বুঝেছে ‘আল হিন্দি’ পর্যটক। আগ বাড়িয়ে ভীষণভাবে ধরেছে তাদের ‘আল অ্যারাবিয়া’ পার্টিতে যেন আমরাও ‘আল হিন্দি’রাও যোগ দেই। নিছক আতিথিয়তাই মনে হল। কিন্তু আমরা সময়ের সংক্ষিপ্ততার কথা তুলে ধরে ‘আল বিদা’ বলে সেখান থেকে চলে আসি।
৫
ট্যাক্সিতে করে সোজা মাহাত্তারুন কাতারুন। রাত দশটায় আমাদের কাতারুন। পাশের একটি রেস্তরাঁতে বসে রাতের খাবার খেলাম।
হাতে কিছু সময় থাকায় পাশের বাজারের দিকে হেঁটে যেতেই দেখি এক দোকানী বড় বড় কমলা বিক্রি করছে। আরবীতে লেখা ১০ পাউন্ড। প্রথমে আমরা বুঝতে না পেরে উনাকে এক আঙুল উঁচিয়ে এক কেজি দিতে বললাম। দোকানী আমাদের ১ কেজি কিনতে চাওয়ায় হাসতে শুরু করেছে। পাশের এক ভদ্রলোক এসে জানালেন দশ পাউন্ডে তিন কেজি হিসেবে এখানে বিক্রি হয়। এক কেজি কমলা এখানে কেউ কেনে না। দামের এই অবস্থা দেখে আমরা মুখ চাওয়াচাওয়ি করছি। ১০ মিশরীর পাউন্ড মানে ৪৭ টাকাতে তিন কেজি এই বিশাল সাইজের সদ্য গাছ পাড়া কমলা। ব্যাগ ভর্তি করে নিয়ে সামনে এগিয়ে দেখি স্ট্রবেরী বিক্রি হচ্ছে ১২ পাউন্ডে ( ৫৫ টাকা), কিং সাইজ আপেল ১৪ মিশরীয় পাউন্ড। ডালিম ১৬ মিশরীয় পাউন্ড। নাশপাতি ৮ পাউন্ড। সব তরতাজা ফলমূলের দাম অসম্ভব কম মনে হল। আমরা কমলা তিন কেজি, স্ট্রবেরি এক কেজি, কিং আপেল তিন কেজি কিনে কাতারুনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।
ছবি-১৩: ৪৭ টাকায় তিন কেজির কমলা বিক্রেতা মোহাম্মদ
ট্রেন যখন রামেসিস ট্রেন স্টেশন, কায়রোতে পৌঁছালো তখন রাত্রি প্রায় একটা। ট্যাক্সি চালককে আমাদের গন্তব্য বোঝাতে না পেরে হেঁটেই রওয়ানা হলাম গুগল ম্যাপ ধরে। দোকান পাট বন্ধ। কিছু খাবার দোকানের সামনে অনেকে জোছনার আলোয় হুকার(শিশা) পাইপ নিয়ে ঘরর ঘরর করে টানছে।
হঠাৎ মনে হল ওদের সাথে মিলে জোছনা ও হুঁকা একসাথে মেখে-খেয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে কিছুক্ষণ এখানে গড়াগড়ি করে যেতে পারলে মন্দ হত না। আমার ভাব বুঝতে পেরে বন্ধুরা কড়া চোখে তাকাল। এই হুঁকাখোর আরবদের দেখলে মনে হবে এদের চেয়ে সুখী জাতি মনে হয় পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই। বাড়ির উঠোনে, দোকানের সামনে, মাঠে-ঘাটে হুঁকোর বিশাল পাইপ নিয়ে ছেলে-মেয়ে, আবাল-বৃদ্ধ-বনিতারা সুখটানে ব্যস্ত।
রাস্তায় আমাদের মতো অনেকেই হেঁটেই চলাফেরা করছে। প্রায় ১৮ মিনিট পরে আমাদের হোটেলে ফিরে আসলাম।
আগামীকাল ফ্যারাও আখেনাটেনের দাদা-পরদাদা কিংবা নাতিপুতিদের মমি দেখতে যেতে হবে বিশ্ববিখ্যাত কায়রো মিউজিয়ামে…!!!
কীভাবে যাবেনঃ আগের পোস্টে বিস্তারিত রয়েছে। তবুও বলি, আমাদের মতো মিসকিন গোত্রের পর্যটক হলে কায়রো গিয়ে রামেসিস স্টেশন থেকে কোনো মিশরীয় ধরে ৯০ পাউন্ডের বিনিময়ে টিকিট আগেই সংগ্রহ করতে হবে। আমার পরামর্শ একদিনে আলেকজান্দ্রিয়া ভ্রমণ না করে এট লিস্ট এক রাত থাকতে পারলে বেটার। পারলে বেশি দিন থাকেন। কবরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত গল্প করার অনেক রসদ পাবেন, এটা নির্দিধায় বলতে পারি। আমরা ঘেউ-ঘেউ দৌড়ের উপর থাকায় অনেক কিছু মিস করেছি। সে জন্য আপসোস রয়ে গেছে।
**ভয়ে আছি শিরোনাম নিয়ে। চোখের সমস্যায় ব্লগার চাঁদ্গাজী আবার ‘ক্লিউপেট্রা যেখানে হেঁটেছিল’র জায়গায় ‘ক্লিউপেট্রা যেখানে হেগেছিল’ পড়ে ফেলে। লেখার ইজ্জত পাঞ্চার তাইলে…?
ছবি-১৪: বিবলিওথেকা আলেকজান্দ্রিয়ার ভেতরের চিত্র
আগের পর্ব: নেফারতিতির দেশেঃ মিশরের পিরামিডের বালুভূমিতে !!!
************************************************************
আখেনাটেন/অক্টো-২০১৯
ছবি: লেখক।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৬
আখেনাটেন বলেছেন: লেখার সময় পাচ্ছিলাম না। প্রায় বছরখানেক পর প্রসব হইল। সে কী বেদনা ?
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭
করুণাধারা বলেছেন: বুঝে বুঝে পড়তে সময় লাগবে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১০
আখেনাটেন বলেছেন: আমি জানি আপনি সময় নিয়ে পড়বেন করুণাধারাপা। অপেক্ষায় রইলুম বিস্তারিত মন্তব্যের...।
৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১১
রাজীব নুর বলেছেন: মীশর তো আসলেই একটা প্রাচীন শহর।
আপনি লিখেছেন, 'লাফিয়ে উঠলুম ট্রেনে'। লাফিয়ে উঠার দরকার কি?
মিশরীয়রা কেন শাহরুখ আর অমিতাভের ভক্ত?? কারন কি?
আপনি তো আরবী বুঝেন না। তাহলে ঝারি দিয়েছে বুঝলেন কি করে??
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩১
আখেনাটেন বলেছেন: রাজীব ভাই মনোযোগ দিয়ে পড়েছে। আপ্লুত হলুম।
১। মিশরের কায়রো ও আলেকজান্দ্রিয়াতে প্রাচীন ও আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর ছড়াছড়ি।
২। লাফিয়ে উঠলুম মানে আমাদের মতোই তাদের ট্রেনগুলোও স্টেশনের পাটাতন থেকে উঁচু। আর আমাদের সময় খুব একটা ছিল না বলে তাড়াহুড়া...
৩। কেন ভক্ত সেটা তো জানি না। তবে অনেকেই ভক্ত এইটুকু জানি...জাপানে রজনীকান্ত, রাশিয়াতে রাজ কাপুর, হালের তুরস্ক ও চীনে আমির খান কেন বিখ্যাত তা কেমনে বলি?
৪। 'ডেসিবেল' বলে একটি ইংরেজি শব্দ আছে।
৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৩
জুন বলেছেন: আপনার পথে পথেই আমরা আলেক্সন্দ্রিয়া হেটেছিলাম। আমরা দুজনই মাত্র ট্যুর কোম্পানির টয়োটা গাড়িতে গিয়েছিলাম। ড্রাইভারই গাইড। আপনার ৬নং ছবির স্থাপনা দেখাতে গিয়ে আমাদের চালক আচমকা থেমে যায়। ডান দিকের রাস্তা থেকে আসা দ্রুত গতির এক দামী স্পোর্টস কারের সাথে হেভী ধাক্কা। সেই ড্রাইভারতো ছাড়বেই না। পরে এক বয়স্ক ভদ্রলোক কোন রকমে মিটমাট করে দিল। মজা করেই লিখেছেন। তবে সপ্তম আশ্চর্য বাতি ঘরটা দুর থেকেই দেখে সন্তষ্ট হতে হয়েছে।
+ আখেনাটেন।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯
আখেনাটেন বলেছেন: মিশরের রাস্তাতেও বাংলাদেশের মতোই হাউকাউ দেখেছি।
তবে সপ্তম আশ্চর্য বাতি ঘরটা দুর থেকেই দেখে সন্তষ্ট হতে হয়েছে। -- আমাদেরও তাই। মন্তাজা প্যালেসেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছিল। তাই দূর থেকেই....
অশেষ ধন্যবাদ জুনাপা। ভালো থাকুন।
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: রাজীব নুর তো দেখি আপনাকে ইন্টারোগেশান করছে, অনেকটা গেস্টাপো স্টাইলে; ঘটনা কি?
মনে থাকে না জিজ্ঞেস করতে। সোলো ট্রাভেলারের জন্য মিশর কতোটা সেইফ মনে হলো?
দারুন ভ্রমন কাহিনীতে অনেক আনন্দ পেলুম। মনে হচ্ছে, এখনই ঘুরে আসি। আপনি বিয়ে করেছেন নাকি জানি না। তবে, ইলিনার মতো মিশরীয় সম্রাজ্ঞী পেলে আরেকবার করাই যায়....কি বলেন!!
ছবি কম হয়ে গিয়েছে। পরের পর্বে বিষয়টা মাথায় রাইখেন।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪৯
আখেনাটেন বলেছেন: রাজীব ভাই, মিশর যাওয়ার প্লান করছে মনে হয়।
সেইফ মনে হয়েছে। অনেক সোলো ট্রাভেলার চোখে পড়েছে। এর মধ্যে লুক্সরে তো এক ষাটোর্ধ আমেরিকান মহিলাকে দেখেছি আমাদের হোটেলে। সারাদিনের জন্য সাইকেল ভাড়া করে ঘুরছে। আর জোনাথন লি নামে একজন সিঙ্গাপুরিয়ান ছিল আমাদের আসওয়ান টু আবু সিম্বেল ট্রিপে একই মাইক্রোবাসে। তাই নিশ্চিন্ত থাকুন।
ইলিনাদের ভাষা বোঝা মুশকিল হ্যায়।
এটা লেখা অনেক বেশি হওয়ায় ছবি কমে দিয়েছি।
এর পরেরটা কায়রো মিউজিয়ামের মমি-টমি নিয়ে এমনিতেই ছবি বেশি থাকবে।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩
জুন বলেছেন: গিজার পিরামিড দেখার সময় আমি ভুলে আমাদের সুন্দরী গাইডকে বলেছিলাম শেষ ইজিপশিয়ান ফারাও ক্লিওপেট্রা কথা শেষ করার আগেই সে রোষকষায়িত লোচনে আমার দিকে ফিরে বল্লো " ওহ নো ক্লিওবাত্রা ওয়াজ নট আ ইজিপশিয়ান, সি ওয়াজ গ্রীক"। জানা তথ্যটি আবার কড়া ভাবে জানার পর চুপ করে গেলাম। বাংলাদেশ থেকে গিয়েছি সেটা কোথায় জানাতে গিয়ে বলেছিলাম ইন্ডিয়ার পাশে। সাথে ওয়াও করেই একেবারে আমার দিকে ঝুকে পরলো। আমি কি শাহরুখ খানকে চিনি নাকি? কোথায় পিরামিড? কোথায় ইতিহাস আমি তখন ভেসে চলেছি শাহরুখ খান এর রূপ গুন আর অভিনয় এর প্রশংসার বন্যায়।
আর চীনের শিয়ানে এক টেরাকোটা সোলজার বিক্রেতা আমার সালোয়ার কামিজ দেখে আমার কাছে বসে একটা হিন্দি গানের প্রথম লাইনটা খালি শুরু করছিল। এমন সময় আমার সহ পর্যটকের বজ্রকন্ঠের আওয়াজ "তুমি কি ওইখানেই বইসা থাকবা নাকি! সবাই বাসে উঠে বসে আছে! "শোনা হলোনা সেই চৈনিক হিন্দি প্রেমিকের হিন্দি গান
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫৩
আখেনাটেন বলেছেন: দারুন সব অভিজ্ঞতা। হা হা হা।
আর শাহরুখের ভক্তের দেখা আমরাও পেয়েছি। টিভিতে হিন্দি ভাষায়, আরবী ভাষায় বলিউডি ছবি দেখার চ্যানেলের অভাব নেই। চ্যানেল ঘুরালেই ভারতীয় চ্যানলে। একটু অবাকই হয়েছিলাম।
৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩২
নীল আকাশ বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন। পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল আমি আপনার সাথে মিসরের পথে প্রান্তরে হেঁটে বেড়াচ্ছিলাম। বর্ননা দুর্দান্ত হয়েছে। যে কেউ পড়া শুরু করলে মাঝখানে ছাড়তে পারবে না।
এই সিরিজের সাথে আছি। লেখা চলুক। লাইকড সহ সোজা প্রিয়তে রাখলাম।
একটা দুস্ক রয়ে গেল মনে নব্য মিসরীয় ক্লিয়পেট্রাকে দেখা হলো না। ট্রেনে ছবি তুললেন কিন্তু আমাদের দেখতে দিলেন না, এই অপরাধের জন্য খোদ রামেসিসের কাছেই বিচার দিলাম।
চোখে কম দেখলে শুধু হাগা নয় অনেক কিছুই উনি মানস চোখে দেখতে পান। তার সেটা নিয়ে ব্লগে ক্যাচাল লাগিয়ে দেন।
ধন্যবাদ এবংং শুভ কামনা রইল।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫৬
আখেনাটেন বলেছেন: লেখা ভালো লাগায় খুশি হলাম।
একটা দুস্ক রয়ে গেল মনে নব্য মিসরীয় ক্লিয়পেট্রাকে দেখা হলো না। --- কিছু জিনিস অদেখা থাকায় মন-মেজাজের জন্য ভালো।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন।
৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
মিশরের মিলিটারী, পাকী মিলিটারী, বার্মার মিলিটারী যদি ভালো না হয়, হঠাৎ করে জে: জিয়া ও জেনারেল এরশাদ কেন কিছু বাংগালীর কাছে ভালো হয়ে গেলো, এরা কোন ধরণের বাংগালী? এরা কি ভালো বাংগালী, নাকি লিলিপুটিয়ান?
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০৮
আখেনাটেন বলেছেন: মিশরের মিলিটারী, পাকী মিলিটারী, বার্মার মিলিটারী যদি ভালো না হয়, হঠাৎ করে জে: জিয়া ও জেনারেল এরশাদ কেন কিছু বাংগালীর কাছে ভালো হয়ে গেলো, এরা কোন ধরণের বাংগালী? --- একেক জনের দৃষ্টিভঙ্গি একেকরকম। হয়ত তারা বাংলাদেশের অপরাপর রাষ্ট্রনায়কদের কর্মকাণ্ডের তুলনা করে এরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। তবে মিলিটারিদের অবস্থান ব্যারাকে থাকায় ভালো। পৃথিবীতে খুব কম মিলিটারি শাসকই ছিলেন যারা সত্যিকারের জনগণের অর্থনৈতিক, সামাজিক মুক্তির সোপান হয়েছেন। প্রায় সকলেই জনগণের মুক্তির শপথ নিয়ে জনগণকে খাঁচায় পুরে ফেলেছেন। একমাত্র ব্যতিক্রম দক্ষিণ কোরিয়ার জেনারেল পার্ক চ্যাং হি। যিনি একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত সম্পদহীন দেশে মানুষের ভাগ্যের কারিগর হতে পেরেছিলেন। একটি স্বপ্নের দেশের প্রাথমিক সোপানগুলো তৈরিতে ভূমিকা রেখেছিলেন।
৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কোন দেশে থাকেন, কি করেন, দেশ ভ্রমণ করেন কেন?
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১০
আখেনাটেন বলেছেন:
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
১০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আফসোস! আজকে আমার মত যারা আরবী জানে তারা আবার বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ পায় না...
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১১
আখেনাটেন বলেছেন: আমার মনে সুযোগ করে নিতে চাইলেই কোনো না কোনো সময় দেখবেন ঠিকই তা এসে ধরা দিয়েছে।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
১১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০১
শায়মা বলেছেন: ৯. ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কোন দেশে থাকেন, কি করেন, দেশ ভ্রমণ করেন কেন?
ঠিক ঠিক আমিও এটাই ভাবছিলাম! আগেও ভেবেছি এখনও ভাবছি!
কি ভাইয়া কারণ কি??
কোন দেশেতে বাসা তোমার কে জানে ঠিকানা
কোন গানের সূরের পারে,
তার পথের নাই নিশানা ......
তোমার সেই দেশেরই তরে
আমার মন যে কেমন করে ......
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১২
আখেনাটেন বলেছেন: আমিও ভাবছি। দেখি, ভেবে ভেবে উত্তর দেওয়া যায় কি না।
১২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২
শায়মা বলেছেন: ১০. ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আফসোস! আজকে আমার মত যারা আরবী জানে তারা আবার বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ পায় না...
হা হা হা নেক্সট টাইম তালগাছ ভাইয়াকে সাথে নিতে ভুলো না।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১৫
আখেনাটেন বলেছেন: এখন দেখার বিষয় তালগাছ ভাই আমার বিচার মানবে কিনা তা তো বলতে পারছি না.......।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ব্লগপরীকে। আপনার লেখা কিন্তু দেখছি না বহুযুগ থেকে।
১৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন,
ক্লিওপাত্রা আপনার মতো নিশ্চয়ই রাস্তায় হাঁটেনি যে আপনি সেই হাঁটা পথে হন্টন করার কথা লিখেছেন, ইয়ার্কি ?
কইতে পারতেন, ব্লগের ইবনে বতুতা জুন যেহান যেহান দিয়া গ্যাছে মুইও হেয়ান দিয়া হাইট্টা গেছি! কারন হেও নাহি হেই হান দিয়া গ্যাছে।
য্যামন ল্যাহা হ্যামন মইন্তব্য।
তবে মিশরীয়দের আরবী বুঝতে পারা খুব কষ্টের। আর মেডিটাররেনিয়ান এলাকাতে সাইট্রাস ফলমূল আসলেই প্রচন্ড সস্তা।
ভালো লাগলো।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২২
আখেনাটেন বলেছেন: ক্লিওপাত্রা আপনার মতো নিশ্চয়ই রাস্তায় হাঁটেনি -- হুম; কইছে আপনারে। বন্ধু মার্ক এন্টনি আমারে কইছিল, একদিন নাকি ক্লিউপাত্রা বেগুন ভর্তা করতে গিয়ে বেগুনকে পুড়িয়ে কয়লা করে ফেলেছিল। তাই দেখে এন্টনি ক্লিউপেত্রাকে এমন মাইর....মনের দুস্কে ক্লিউ তখন সাগরে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য গিয়ে অনেক হেঁটেছিল তীর ধরে। তারপরে লাইব্রেরীতে এসে বেগুন ভর্তা বানানোর রেসিপি মুখস্ত করে তবেই ফিরেছে বাড়িতে। ঐ একবারই মহারাণী হেঁটেছিল...আর সেটার উপর বেসিস করেই এই লেখা। (সত্য কাহিনি?)
সাইট্রাস জাতীয় ফলের দাম অত্যধিক কম। সাথে অন্য ফলমূলের দামও অনেক কম।
ভালো লাগল আপনাকে মন্তব্যের ঘরে দেখে। ভালো থাকুন নিরন্তর।
১৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪
মিথী_মারজান বলেছেন: বাহ্! বাহ্!
আখেনাটেনের মিশর ভ্রমণ!
বেচারি ইলিনা, সামনে পেয়েও আখেনাটেন সাহেবকে চিনলো না....।
ছবিগুলো খুব সুন্দর।
ছবিগুলো দেখেই তো মিশর যেতে লোভ হচ্ছে।
চমৎকার ভ্রমণ পোস্ট।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২৫
আখেনাটেন বলেছেন: বেচারি ইলিনা, সামনে পেয়েও আখেনাটেন সাহেবকে চিনলো না... ---
অবশ্যই মিশর যাবেন। পিচ্চির বাবা রাজি না হতে চাইলে বালিশ ভাঙেন। পিচ্চিকে লেলিয়ে দ্যান। ঠিকই রাজি করাবে।
মন্তব্যে প্রীত হলুম ব্লগার মিথী_মারজান।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
১৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪০
কিরমানী লিটন বলেছেন: চমৎকার ভ্রমন কাহিনী - ছবিগুলোও খুব সুন্দর। নটরডেম কলেজের আমার এক স্যার বলতেন- মিশর মানে মধ্য প্রচ্যের মীরজাফর.....
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩০
আখেনাটেন বলেছেন: ভ্রমণ কাহিনি ও ছবি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলুম ব্লগার কিরমানী লিটন।
নটরডেম কলেজের আমার এক স্যার বলতেন- মিশর মানে মধ্য প্রচ্যের মীরজাফর..... -- উনি হয়ত আনোয়ার সাদাতের ইসরাইলের সাথে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির জন্য এই উপাধী দিয়েছেন। তবে মিশরে এখনও শীর্ণকায় গাধার পিঠে চড়ে হাঁটে যাওয়ার দৃশ্য দেখে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। অথচ সমুদ্রের পাশে অভিজাতদের হাজারে হাজারে রিসোর্ট। জৌলুস। সম্পদের অসম বন্টন দেখতে হলে মিশর যেতে হবে। যদিও আমরাও খুব একটা পিছিয়ে নেই।
শুভেচ্ছা নিবেন।
১৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪৭
ল বলেছেন: দেশ ভ্রমন করেন কেন?? -- হুম
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৩
আখেনাটেন বলেছেন: ভিন্ন ভিন্ন মানুষ, পশু-পাখি, গাছপালা, স্থাপত্য, পুরাকীর্তি, সংস্কৃতি, সভ্যতার বিকাশ দেখতে।
আবার বলবেন না যেন এগুলো দেখে কী হবে? তার চেয়ে তো.....
শুভেচ্ছা ব্লগার ল মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন।
১৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১৯
শায়মা বলেছেন: ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১২০
লেখক বলেছেন: আমিও ভাবছি। দেখি, ভেবে ভেবে উত্তর দেওয়া যায় কি না।
ভাবাভাবি ঢঙ্গ ছাড়ো!
একদম ঠিক ঠাক বলো ভাইয়া!!!!!!!!!
কে তুমি?
কই থাকো?
কি করো?
লম্বা না বাঁটু?
ছোট না খাটু?
দাঁত আছে নাকি ফোকলা
টাক আছে নাকি টাকলা?
এইসব বলো বলো বলো
আর তার পরে বলি আমি কিন্তু কখনই লেখা থামাই না আমি না লিখি আমার জড়ুয়া বেহেনা লিখে আমার জড়ুয়া বেহেনা না লিখে ভায়েরা লিখে, ভায়েরা না লিখে দাদা, দাদী, নানা, নানী চৌদ্দ গুষ্ঠির কেউ না কেউ লিখে তো~!!!!!!!!!!!!!
দেখছো আমি কত্ত বড় লেখক! !!!!!!!!!!!!!!!
লেখা ছাড়া কিছুই বুঝি ই ই ই ই ই ই ই না!!!!!!!!
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৭
আখেনাটেন বলেছেন: কে আমি? আমি কে? জানি না। জানি না। আমার প্রোফাইলে কি লেখা আছে এখনও পড়েন নি মনে কয়।
আপনি যে লেখা থামান নি তা জানি। একদিন মনে হয় একটারে হাতে নাতে ধরেও ফেলেছিলাম অল্পের জন্যে। ধরতে পারলে খবর আছে....
১৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫১
শায়মা বলেছেন: আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা,
পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা।
এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?
হা হা হা হা আল্লাহর কসম আজকে পরথম পড়িলাম তব বাক্য ভাইয়া
কাব্য রচনার প্রচেষ্টা দেখিয়া মনে মনে কহিলাম কাজ নাহি কি তব খাইয়া?
কেশের রেখা খুঁজিয়াছো এ কূল ও কূল সন্তরণে বিনিদ্র রজনীর সহস্র প্রহর কাটাইয়া!!
আহা ভাইয়া আহা........ তোমার দুঃখে আমার প্রাণ পিউকাহা!!!!!!
আমারে ধরবে তুমি সেই শেকল কি তোমার আছে?
হা হা হা হা
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০৩
আখেনাটেন বলেছেন:
আমিও এটি শুনছি বেশ: ধরবো ধরবো করছি, তবুও ধরতে পারছি না?
১৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:১৩
শায়মা বলেছেন: এই পাখি ধরা যায় না
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩৭
আখেনাটেন বলেছেন: এটা কি উটপাখি নাকি যে দৌড়ের গতি ঘন্টায় ৬০ মাইল।
আর দৌড়ে কাজ নেই, যাই লিভারপুর ভার্সেস টটেনহামের খেলা দেখি।
২০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩৬
অন্তরন্তর বলেছেন: ভ্রমণকাহিনী সাথে যে রসাত্মক বর্ণনা তা অপূর্ব। লিখা এমনই হওয়া উচিৎ যা পাঠককে শেষ পর্যন্ত আঁটকে রাখে। মিশরীয় ললনা আখেনআঁটেনকে চিনে না আহা খুব দুস্কের কথা।
আখেনআঁটেন সাহেব আজকের দুবাই, মেক্সিকো, মালয়েশিয়া এবং ল্যাটিন এমেরিকার কিছু দেশ যেমন গডফাদার,বড় বড় স্মাগলার, ডাকাতদের অভয়ারণ্য ঠিক তেমনি মিশরের কায়রো একসময় এমনই ছিল। এখন মনে হয় কিছুটা এতে ভাঁটা পরেছে। আপনার পোস্টে মিশর তথা আলেকজান্দ্রিয়া ভ্রমন করে এলাম। লিখুন এমন করে। শুভ কামনা।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৩১
আখেনাটেন বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখলাম মনে হচ্ছে। লেখা ভালো লাগায় আপ্লুত হলুম।
হুম; কায়রোতে গডফাদারদের আস্তানা ছিল। হলিউডি ছবিগুলোতেও তাই দেখতাম। মধ্যপ্রাচ্য+উত্তর আফ্রিকার সবচেয়ে বড় শহর। একসময় আরবদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজাতদের বসবাসও ছিল সেখানে। সাথে ইতিহাস। তবে এখন আস্তে আস্তে তাদের অবস্থান নামছে। আপনি ঠিকই বলেছেন ভাটা পড়েছে।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন।
২১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০৬
মা.হাসান বলেছেন: পড়ে মনে হচ্ছিল মিশরের উপর ইউটিউব ভিডিও দেখছি, ভিডিওর ভেতর থেকে ডালিমের রসের মতো রস বের হয়ে আসছে। মনে পড়ে এর আগে বলেছিলেন ব্লগ ব্লকের কারণে ২য় পর্ব দিচ্ছেন না। ব্লক উঠলো বলেই আমরা এই সরেস বর্ননা পেলাম। বর্তমান শাসকরা মনে হয় আমাদের শাসকদের চেয়ে উদার, এদেশ হলে মুরসি মসজিদের নাম বদলে যেত। উপরি পাওনা হিসেবে কিছু আরবি শেখাও হয়ে গেল।
বেগুন ভর্তা আমার প্রিয়, মিশর যাবার সুযোগ পেলে অবশ্যই খেয়ে আসবো।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৭
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা।
বর্তমান শাসকরা মনে হয় আমাদের শাসকদের চেয়ে উদার, এদেশ হলে মুরসি মসজিদের নাম বদলে যেত। --- সেদেশেও এই সংস্কৃতি চালু আছে কিনা তা জানি না। তবে এই মুরসি মসজিদ ঐতিহাসিক। নতুন করে গড়া হলেও বহুৎ পুরাতন।
উপরি পাওনা হিসেবে কিছু আরবি শেখাও হয়ে গেল। --- হা হা। আরবী ভাষাটা একটু শিখে গেলে মনে হয় ভালো হত।
বেগুন ভর্তা আমার তেমন প্রিয় না। আই লাভ বেগুন ভাজি........
ভালো থাকুন।
২২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আরবী ভাষা সহজ। আমি মনে করি আপনি কথা চালানোর মতো আরবী দ্রুত শিখে নিতে পারবেন।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৯
আখেনাটেন বলেছেন: হ্যাঁ, চেষ্টা করলে অসাধ্য কিছু নেই।
ভালো থাকুন।
২৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:১৯
ওমেরা বলেছেন: সবাই বলেছে তাও বলি আপনার বর্ণনা খুবই সুন্দর হয়ে , মজাও আছে ।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৪০
আখেনাটেন বলেছেন:
ধন্যবাদ ব্লগার ওমেরা।
ভালো থাকুন।
২৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
রুপের রানীর দেশের ছবি ও পোস্টে ++++++++
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৪১
আখেনাটেন বলেছেন: আপ্লুত হলুম।
ভালো থাকুন ব্লগার মোঃ মাইদুল সরকার ।
২৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৪১
আখেনাটেন বলেছেন:
২৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:০২
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনার পুরো লেখাটার আবেদন ভীষণরকম ছিল! ভর্চুয়ালি আপনার পাশেই বসে ছিলাম। ভ্রমণকাহিনী, প্লাস আপনার ব্যঙ্গরসাত্মক বর্ণনাভঙ্গি দারুণ উপাদেয় লেগেছে! কিন্তু "সারা মজা কিরকিরা কার দিয়া, জব আপ নে মডার্ন ক্লিওপেট্রা কি তাসবীর হামে নেহি দিখায়ি"।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৪
আখেনাটেন বলেছেন: সম্রাটতো ফ্যারাও এর পাশেই থাকবে এ আবার নতুন কি?
লেখা ভালো লাগায় কৃতজ্ঞতা ব্লগার সম্রাট ইজ বেস্ট।
"সারা মজা কিরকিরা কার দিয়া, জব আপ নে মডার্ন ক্লিওপেট্রা কি তাসবীর হামে নেহি দিখায়ি" -- ইয়ে তাসবির না জিনে দিতে হ্যায় না মারনে' সো, তাসবির দেখে আপনিও ফাঁদে পড়ুন তা ক্যামনে চাই।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন।
২৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৬
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আপনার সাথে সাথে ঘুরে আসলাম, ভালো লাগলো।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৫
আখেনাটেন বলেছেন: খুশি হলুম ব্লগার স্বপ্নবাজ অভি।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
২৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:০২
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ওয়াল্লাহি আন্তা মাসাফির হেলোয়া, ফরাজ মাকান আফদাল বালাদ।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৩৮
আখেনাটেন বলেছেন:
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ব্লগার মাহমুদুর রহমান সুজন।
২৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:১৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: আলেকজান্দ্রিয়া নষ্টালজিক এক নাম। ভালোলাগল তার বর্ণনা, আখেনাটেনের দেখে আসা। রসাত্মক বাক্য বিন্যাশ।
পরিচিত জনের ঘুরে আসা তাদের উটের পিঠে চড়া পিরামিডের ভিতর বাহির ঘুরার ভিডিও ছবি দেখেছি যদিও। নিজের পা ফেলার অপেক্ষায় আছি।
ব্রিটিশরা ভাষাটা দিতে পারল না তবে মূদ্রার হিসাবটা এখনো পাউণ্ডে নাকি?
বাংলায় ইজিপ্টেকে মিশর বলে কোন কামে।
আমার কয়জন ক্লাসমেট ছিল। প্রথম প্রথম তাদের সাথে কথা বলতে গেলে ইজিপ্ট না বলে মিশর বলে ফেলতাম। তারা হা করে তাকায়ে থাকত।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪২
আখেনাটেন বলেছেন: অনেক খুশি হলাম আপনার মন্তব্য পেয়ে লেইসপা।
শীঘ্রই পিরামিডের মুখোমুখি দাঁড়াবেন আশা করি।
ব্রিটিশরা ভাষাটা দিতে পারল না তবে মূদ্রার হিসাবটা এখনো পাউণ্ডে নাকি? --- হুম; অনেকেই ইংরেজী পারে। তবে মিশরে মনে হয় ফ্রেঞ্চ, ইটালী প্রভাবটা বেশি। অনেকেই এই ভাষাগুলো জানে। এসব ভাষায় স্কুলও রয়েছে।
বাংলায় ইজিপ্টেকে মিশর বলে কোন কামে। -- এটা মনে হয় সৌদি থেকে ধার করা। সৌদিরা ইজিপ্শিয়ানদের 'আল-মিসরী' বলে। সেখান থেকেই হয়ত...
শুভেচ্ছা নিবেন। ভালো থাকুন।
৩০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: সব শেষের আগের ছবিটা দেখে ভেবেছিলাম কমলা লেবুর সামনে আপনি। কমলা কিনছেন। কমলা গুলো কি মিষ্টি?
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪৪
আখেনাটেন বলেছেন: আপনার ভাবনাগুলো সবসময় খুবই অসাধারণ হয় এটা তো আমরা জানি রাজীব ভাই।
অসম্ভব মিষ্টি এবং সুস্বাদু।
আবারো ধন্যবাদ।
৩১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮
প্রামানিক বলেছেন: অসাধারণ অনেক কিছু দেখা হলো জানা হলো। ধন্যবাদ
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪৫
আখেনাটেন বলেছেন: অনেক কিছু জানাতে পেরেছি জেনে আমিও খুশি হলুম প্রামানিক দা।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
৩২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাইয়া কেমন আছেন? প্রিয়তে নিলাম সময় করে পড়ে নিব।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪৭
আখেনাটেন বলেছেন: মোস্তফা সোহেল সাহেব, বহুযুগ পরে ব্লগে আপনাকে দেখলাম মনে হচ্ছে।
মাঝে মাঝে ঢু দিবেন।
ভালো থাকুন।
৩৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: দোকানদারের অনুপস্থিতিতে কমলা বিক্রির সাময়িক দায়িত্বে কে নিছিলো জাতি জানবার চায় !
সবসময়ের মতোই সেরা ভ্রমণ কাহিনী হওয়ার যোগ্য।
শুভকামনা থাকলো
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২
আখেনাটেন বলেছেন: সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: দোকানদারের অনুপস্থিতিতে কমলা বিক্রির সাময়িক দায়িত্বে কে নিছিলো জাতি জানবার চায় ! ---- তাজুল ভায়া; জাতি জানুক বা না জানুক একজন কিন্তু কিন্তু জানে? আশা হারালে চলিবেক না ভায়া।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিরন্তর।
৩৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:৪৮
সোহানী বলেছেন: আপনার ভ্রমণ কাহিনী পড়লে আমি হাসতে হাসতে অজ্ঞান হয়ে যাই।
যাহোক অসাধারন ভ্রমন+ কাহিনীতে ভালোলাগা। আর কবে যাবো সে টেনশান শুরু করলাম
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১
আখেনাটেন বলেছেন:
সময় সুযোগ করে ফুড়ৎ করে উড়ান দ্যান একদিন। ভাইজান রাজি না হইলে বাচ্চা ভয়ঙ্করদের লেলিয়ে দ্যান।
অনেক অনেক শুভকামনা সোহানীপার জন্য। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
যদিও চারিদিকের অসুস্থ খবরে আজকাল সুস্থ থাকা বিরাট ব্যাপার।
৩৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৭
সাহসী সন্তান বলেছেন: দারুণ একটা পোস্ট! সব থেকে ভালো ব্যাপার হইলো, আপনার প্রাণবন্ত আলোচনা পোস্টটাকে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে গেছে। আমি ১৩ নং ছবিতে "টাকায় ৩ কেজি কমলা" পইড়া টাস্কি খাইয়া কিছুক্ষন কমলা বিক্রেতার মুখের দিকে তাকাইয়া তার কলিজা খোঁজার চেষ্টা করলাম...
কিন্তু কিছুক্ষন তাকাইয়া থাকার পর দেখলাম পাশে একটা ৪৭ দেওয়া আছে! বুঝতেছি না, চোখ গেছে না বয়স বাড়তেছে!
সুন্দর পোস্টে ভালো লাগা! শুভ কামনা জানবেন!
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:০১
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা; টাকায় তিন কেজি। মাইরালামারে।
শুভেচ্ছা ব্লগার সাহসী সন্তান।
৩৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৫
করুণাধারা বলেছেন: শেষ লাইন পড়া পর্যন্ত হাসার ব্যবস্থা রেখেছেন, দারুন! এমনিতে পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল আলেকজান্দ্রিয়ার পথে পথে ঘুরছি। ছবি আর বর্ণনা দুটোই ভালো হয়েছে। ক্লিওপেট্রা নাম শুনলেই সোফিয়া লরেনের ক্লিওপেট্রার সাজ ভেসে ওঠে মনে, কিন্তু সেই মহারাণী আলেকজান্দ্রিয়ার পথে পথে হাঁটছে, এটা কিছুতেই ভাবতে পারলাম না...
না পড়েই প্লাস দিয়েছিলাম, এখন দেখছি একেবারে ঠিকঠাক কাজ করেছি... দুদিন পরে মন্তব্য করতে এসে অবশ্য মুশকিলে পড়েছি, পোস্ট নির্বাচিত পাতায় নাই!! কেন? কেন? পোস্ট খুঁজে পেতে হয়রানি হলো।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৮
আখেনাটেন বলেছেন:
ক্লিউপেট্রার নাম নেওয়ার সময় সোফিয়া লোরেনের ছবি ভেসে উঠাই স্বাভাবিক। এই ছবির মাধ্যমে লোরেন ক্লিউপেট্রার মতোই অমরত্ব লাভ করেছেন মনে হয়।
দুদিন পরে মন্তব্য করতে এসে অবশ্য মুশকিলে পড়েছি, পোস্ট নির্বাচিত পাতায় নাই!! কেন? কেন? পোস্ট খুঁজে পেতে হয়রানি হলো। --
নির্বাচিত পাতা মানে মানসম্মত ও অতি উৎকৃষ্ট পোস্ট। মডুদের চোখে নিশ্চয় এই লেখা ব্লগের সেই মান বজায় রাখে নি বা রাখতে পারে নি। মানে-গুণে মডুদের সাথে সম্মত হতে পারে নি। আর দশটা গার্বেজ লেখার মতোই প্রথম পাতায় ধুঁকতে ধুঁকতে গার্বেজ পোস্টের চিপায় পড়ে অক্কা পেয়েছে। তাই আপনার খুঁজে পেতে এত গলদঘর্ম।
তবে গুপনে আপনারে একটি কথা কই আপা, এই ব্যাপারটা আমাকে একটি সুন্দর শিক্ষা দিয়েছে। আমি মহামানব নই। নিজের কষ্টকর সৃষ্টির...। সময় নষ্ট করে এত খাটা-খাটনি করে গার্বেজ পোস্ট লিখছি ভাবতেই...।
যেহেতু ভার্চুয়াল জগতে সামু বাদে অন্য কোথাও আমার লেখালেখিতে বিচরণ নেই, এই শিক্ষা সেই বন্ধ দরজাটা উন্মুক্ত করে দিয়েছে। আপাতত প্রিয় সামুতে পড়া ও মন্তব্যে আছি, তবে নো খাটা-খাটনির গার্বেজ পোস্ট......।
আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ করুণাধারাপা। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
৩৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০৮
করুণাধারা বলেছেন: চোরের সাথে রাগ করে আপনি কেন মেঝেতে ভাত খাবেন?
তিনদিনেই আপনার এই পোস্ট ১৮ জন লাইক করেছেন আর ৪ জন প্রিয়তে নিয়েছেন, পঠিত প্রায় ৫০০বার!! মন্তব্য পড়েই তো বুঝতে পারছেন, এই পোস্ট কতটা ভাললাগার। রাগ করে এটাকে গার্বেজ পোস্ট বলার কোন দরকার নেই... আর পোস্ট দেওয়া বন্ধ করে অনুরাগী পাঠকদের বঞ্চিত করারও কোন অধিকার আপনার নেই...
আপনার তো জানার কথা, এই দেশে সত্যি কথা বলেছেন কি মরেছেন, শাস্তি আপনাকে পেতেই হবে। তবু যে আপনি সত্যি তথ্য দিয়ে মন্তব্য করেছেন, বেশ করেছেন! এই সত্যি কথার বলায় পোস্ট যদি নির্বাচিত পাতায় না যায়, নাই গেল...
শুভকামনা রইল।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৩৯
আখেনাটেন বলেছেন: ইজিপ্টের উপর কয়েকটি পোস্ট পর পর করার ইচ্ছে ছিল। সাথে পাশের আরেকটি দেশ নিয়েও লেখার ইচ্ছে ছিল। ঢাল-তলোয়ারও রেডি করেছিলুম। সে ইচ্ছে এখন উবে গেছে। যদি কখনও আবার অনুপ্রাণিত হতে পারি, তবেই....।
তবে জাতীয়-বিজাতীয় ইস্যুতে ১০ মিনিটের সিটিংএ চটুল প্রকৃতির মানসম্মত লেখা মন-মর্জির উপর পোস্ট করতে পারি কথা দিলাম।
সাথে পোস্ট পড়া ও বস্তাপচা মন্তব্যের বমিও থাকবে।
শুভেচ্ছা।
৩৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৩
শিখা রহমান বলেছেন: মিশরীয় সম্রাটের লেখা রাজকীয়ই বটে। যেমন বর্ণনা, তেমনই ছবিরা। একবার পড়া শুরু করলে থামা কঠিন। আমি পড়েই লাইক দিলাম তাড়াতাড়ি। অনেক সময়ে এতো মুগ্ধ হই যে ভুলেই যাই লাইক দিতে।
আপনি আর কি কি পারেন বলুনতো? রম্যে সেরা। আমার পড়া ভ্রমণকাহিনীর মধ্যে এটা সেরা একটা।
শুভকামনা নিরন্তর। কোন একদিন পিরামিডের দেশে বেড়ানোর ইচ্ছে আছে। গেলে আপনাকে ও এই লেখা মনে পড়বে তা নিশ্চিত।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩১
আখেনাটেন বলেছেন: প্রশংসার হাঁড়ি উপচে পড়ছে যে বড়! শেষে না সেই উপচে পড়া রসে আমি ডুবে মরি!
কোন একদিন পিরামিডের দেশে বেড়ানোর ইচ্ছে আছে। গেলে আপনাকে ও এই লেখা মনে পড়বে তা নিশ্চিত। --- আপ্লুত হলুম শিখাপা।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন নিরন্তর।
৩৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৯
আনমোনা বলেছেন: আপনার পোষ্ট দুই দিন আগে দেখেছিলাম, আজকে আবার খুঁজতে যেয়ে হারিয়ে যাওয়ার দশা।
আরবি জানেননা ভালো কথা, প্রাচীন মিশরীয় ভাষা নিশ্চয় জানেন। নইলে নেফারনিতির সাথে কথা বলবেন কিভাবে?
লেখা ও ছবি ভালো লেগেছে।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫০
আখেনাটেন বলেছেন: আনমোনা বলেছেন: আপনার পোষ্ট দুই দিন আগে দেখেছিলাম, আজকে আবার খুঁজতে যেয়ে হারিয়ে যাওয়ার দশা। --
যাক গার্বেজ পোস্ট খুঁজতে গিয়ে গার্বেজের নিচে যে চাপা পড়েন নি সে জন্য ধন্যবাদ।
আরবি জানেননা ভালো কথা, প্রাচীন মিশরীয় ভাষা নিশ্চয় জানেন। নইলে নেফারনিতির সাথে কথা বলবেন কিভাবে? -- হা হা হা। কথা মন্দ বলেন নাই।
লেখা ভালো লাগায় খুশি হলুম। ভালো থাকুন নিরন্তর।
৪০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: জানি আজীবন ছবি ই দেখে যাবো আর আপনার লেখা পড়ে ভ্রমণের স্বাদ নিব।
পোস্টে ভালো লাগা। +
০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৫
আখেনাটেন বলেছেন: আপনি যেহেতু স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন, সেহেতু নিয়ত করে ফেলেন দেখবেন একদিন ঠিকই স্বপ্ন হাতের মুঠোই ধরা দিয়েছে। টেরও পাবেন না কীভাবে এটা ঘটল?
শুভকামনা আপনার জন্য ব্লগার স্বপ্নবাজ সৌরভ।
ভালো থাকুন।
৪১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০১
মলাসইলমুইনা বলেছেন: মহামান্য ফ্যারাও,
ক্লিওপেট্রার জন্য এতো তকলিফ হলো দেখে রানীজির একটা থ্রি ডি পোর্ট্রেট উপহার পাঠালাম আপনাকে । এই থ্রি ডি ইমেজটা করা হয়েছে ক্লিওপেট্রার হিস্টোরিক সব স্কাল্পচার, পোর্ট্রেট যেগুলো পাওয়া অজয় সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে । আপনার ভ্রমনের বর্ণনা পরে আর তাকে মঈন করে বানানো পুরোকীর্তিগুলো দেখে কেন যেন আমার মনে হয় এলিজাবেথ টেলরের মুখের মতো মায়া কাড়া না এই থ্রি ডি ইমেজের মতোই কোনো একজন অসামান্য মানুষ ছিলেন ক্লিওপেট্রা । নইলে এতো দাপটে সেই তিন হাজার বছর আগে রাজ্য শাসন করা একজন মেয়ের পক্ষে সম্ভবছিলো না ।
লেখায় অনেক ভালো লাগা ।ফটোগুলো খুব সুন্দর হয়েছে ।মহামান্য ফ্যারাও,
ক্লিওপেট্রার জন্য এতো তকলিফ হলো দেখে রানীজির একটা থ্রি ডি পোর্ট্রেট উপহার পাঠালাম আপনাকে । এই থ্রি ডি ইমেজটা করা হয়েছে ক্লিওপেট্রার হিস্টোরিক সব স্কাল্পচার, পোর্ট্রেট যেগুলো পাওয়া অজয় সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে । আপনার ভ্রমনের বর্ণনা পরে আর তাকে মঈন করে বানানো পুরোকীর্তিগুলো দেখে কেন যেন আমার মনে হয় এলিজাবেথ টেলরের মুখের মতো মায়া কাড়া না এই থ্রি ডি ইমেজের মতোই কোনো একজন অসামান্য মানুষ ছিলেন ক্লিওপেট্রা । নইলে এতো দাপটে সেই তিন হাজার বছর আগে রাজ্য শাসন করা একজন মেয়ের পক্ষে সম্ভবছিলো না ।
লেখায় অনেক ভালো লাগা ।ফটোগুলো খুব সুন্দর হয়েছে ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৪
আখেনাটেন বলেছেন: নইলে এতো দাপটে সেই তিন হাজার বছর আগে রাজ্য শাসন করা একজন মেয়ের পক্ষে সম্ভবছিলো না । -- অবশ্যই কিছু একটা ছিল। তাছাড়া চারিদিকে শত্রুবেষ্টিত হয়েও শাসন করা সেসময় কঠিনই হত।
লেখা ও ছবি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলুম।
চমৎকার মন্তব্যের দ্বারা লেখাটিকে আরোও সমৃদ্ধ করেছেন ব্লগার মলাসইলমুইনা।
ভালো থাকুন।
৪২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০২
শের শায়রী বলেছেন: আপনার সাথে একপাক মিশর ঘুরে আসলাম। ইতিহাস আমার অতি প্রিয় বিষয়। ক্লিওপেট্রা বলতে আমাদের সামনে লিজ টেলরের মুখ খানি ভেসে ওঠে। তবে আমার ধারনা বিভিন্ন বর্ননা পড়ে যা বুজছি ক্লিওপেট্রা লিজের মত সুন্দরী ছিল না।
লেখায় ভালো লাগা।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪
আখেনাটেন বলেছেন: আপনাকেও ভার্চুয়ালী মিশর ঘুরাতে পারায় আমিও ধন্য ব্লগার শের শায়রী।
অনেক অনেক ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
৪৩| ০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাল লাগলো আপনার 'আল-ইস্কান্দারিয়েএএএ' ভ্রমণ কড়চা। আহা, ফ্রেঞ্চ কিংবা আরবী না জানার জন্য কত বড়ই না একটা মূল্য দিতে হলো (ইলিনা ইস্যুতে)!
বর্ণনা খুবই চমৎকার হয়েছে, ছবিগুলোও খুব সুন্দর হয়েছে।
জুন এর ৬ নম্বর মন্তব্যটি পড়ে মজা পেয়েছি। অনেকটা পোস্টের রম্য স্টাইলেই মন্তব্যটা করা হয়েছে।
পোস্টে প্লাস, এবং করোনা বিদায় হলে কোন একদিন হয়তো মিশর ভ্রমণে বের হতে পারি, এই আশায় পোস্টটাকে "প্রিয়" তে তুলে রাখলাম, যেন প্রস্তুতি পরিকল্পনার সময় সহজে আরেকবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারি।
২০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৩২
আখেনাটেন বলেছেন: আপনার মন্তব্য আজকে চোখে পড়ল.......দেখছি.....
ভ্রমণে ভাষা জ্ঞানটা মনে হয় ভাইটল একটা অঙ্গ। ভাষা না জানার অভাবে অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হতে হয়.....।
শীঘ্রই আপনি ফ্যারাওদের দেশ সফরে বের হন এই কামনা.......নিশ্চয় একটি অবিস্মরনীয় ভ্রমণ হবে প্রাচীন বিশ্ব সভ্যতার অন্যতম আঁতুরঘর এই ইজিপ্ট ভ্রমণ।
ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অবশেষে ইহাকে পাইলাম। বিস্তারিত পড়ি, তারপরে জানাচ্ছি!