![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা যারা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি, শুক্রবার তাদের ঘরোয়া ঈদের দিন। বৃহষ্পতিবার টা চাঁদের রাত। আমি অবলা কাঙ্গাল যার শুক্রবারে ও অফিস থাকে,, অফিসে আসার তাগিত দেওয়া হয়। আসতেই হবে,, কোন কিছুর বলার নেই।। না বলাকে উপেক্ষা করে শুক্রবারকে বিদায় জানালাম। that means শুক্রবারে আমি অফিস করছি না। আসুক যত বাধা,, চাকরি চলে যাবে, ভয় করিনা!! শুক্রবারটা আমার ছুটির দিন। মন থেকে অশুভ অফিসের চিন্তাকে অবসান দিয়ে ছুটি দিনের প্রশান্তির হিসাব কষে নিলাম চাঁদের রাতেই। ছুটির দিন মানিই আরাম, আয়েস, আনন্দে উল্লাসে পরিবারের সাথে সময় কাটানো। আজ ছুটির দিনে মেঘলা আকাশ,, সকাল থেকেই মুষালধারে,, কখনো ভারি বৃষ্টি, কখনো শিতল পরিবেশ। যেন বর্ষার শেষ বৃষ্টি,, ঝনঝন বৃষ্টির ছন্দময় শব্দে জানান দিচ্ছে আগমনি শীতের বার্তা। আসছে শীত। অনেক দিন পরে একটানা বৃষ্টি, শীতল বৃষ্টি। বিছানায় নিথর শরীরটাকে কাথা দিয়ে মুড়ে পিছনে পড়া স্মৃতির অতিক্রান্তে নিমজ্জিত হলাম। শিতল বৃষ্টির দিন নাকি অতিতের স্মৃতি মনে পরে। সত্যিই তো,, মনে পড়ছে স্কুল জিবনের কথা। কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই স্কুল জীবনে,, দূরন্ত সময়গুলো তো সেখানেই পাড়ি দিয়েছি। তখনতো স্কুলের ছুটির দিনগুলোতে ডলিদের বাড়িতে যেতাম বেশি। স্কুল থেকে প্রায় ১ কি:মি দূরেই ডলিদের বাড়ি ছিল। নামে দামে বংশে ডলিদের একটা সুনাম ছিল তাদের গ্রামে। তার চাচা বন্দরের কাষ্টম অফিসার ছিল বিদায় অনেক টাকা মালিক ছিল। আর স্কুলের সবচেয়ে সুন্দরি মেয়ে তো ডলিই ছিল। পড়াশুনায় ও খারাপ ছিল না ডলি। তবে একটু মোটা ছিল,, ক্লাসে দু'জন ডলি ছিল বিদায়, মোটা সুন্দরি ডলি নামকরনটা তার বিশেষণ ছিল। সাইকেল নিয়ে বন্ধুদের সাথে ডলিদের গ্রামে প্রায় যেতাম,, বিনা কাজে নয়, প্রয়োজনেই যেতাম। ক্লাসের মেধাবি সব সময়ে প্রথম স্থান অধিকারি জসেমের বাড়ি ডলিদের বাড়ির পাশেই। জসিম ভালো অংক বুজতো বলে, ওর কাছে যেতাম. চলে আসার সময় ডলিদের বাড়ির পাশে এক সাথে সবাই সাইকেলের ঘন্টা বাজাতাম। আর ডলি জানালার পাশে দাড়িয়ে হাসতো,, তার হাসিতে কোথায় যেন একটা আর্ট ছিল। এখনো কারো মায়াবি হাসি দেখলে মনে হয় ডলিই হাসছে। একদিন প্রচন্ড বৃষ্টিতে কোথাও না যাওয়ার সুযোগ পেয়ে,, ডলিদের বাড়ির পাশে দাড়ালাম,, তাদের বাড়ির সামনাটা একটা বড় ছাউনির পাকা গেইট ছিল। ডলির ছোট বোন কলি,, একই ইশকুলে পড়তো। তবে ৩ - ৪ বছরের জুনিয়র ছিল। ডলি মোটা হলেও তার বোন তার বিপরিত,, চিকন, একদম রোগ্ন শরীর, তবে তার মতো সুন্দরি ছিল। কলি দেখতে পেল, সাইকেল নিয়ে দাড়িয়ে আছি, ভাইয়া, আসেন আমাদের বাড়ির ভিতরে আসেন। না! বৃষ্টি কমলে চলে যাবো। বৃষ্টির জন্য তোমাদের বাড়ির সামনে দাড়ালাম। একটু পরে দেখি, ডলি চলে আসলো!! এই আকিব তুই! বাড়ির ভিতরে আয়,, বৃষ্টিতে বিজবি কেন ? কেন জানি একটু লজ্জা লাগতে শুরু করলো, মনে হলো সাইকেল নিয়ে দৌড়ে পালায়, আজ বন্ধুরাও সাথে কেউ নেই। না ডলি চলে যাবো,, সাইকেল নিয়ে বের হবো এমন সময়,, ডলি একটা ছাতা দিয়ে বলে, ছাতাটা নিয়ে যা,, কাল স্কুলে নিয়ে আসিস। না হয় বিজে যাবি। ছাতাটা নিয়ে সাইকেল চালিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলাম, কিন্তুু ঐ দিন দ্রুত সাইকেল চালাতে গিয়ে রাস্তার গর্তে পরে হাত পা কেটে একাকার,, সাথে ডলির দেয়া ছাতাটার চূর্ণবিচূর্ণ ভঙ্গর দেহ। হাত পা কেটে যাওয়াতে আমার কোন চিন্তা হয়নি,, কিন্তুু ছাতাটা কি করে ফেরৎ দিব তার হতাশায় আমি ব্যাশ ব্যাতিগ্রস্থ ছিলাম।
যাই হউক, কোন একটা মিমাংসা হয়েছিল। হয়তো কোন বিনিময় পথা! আম্মার ডাকছে নিচে,, নামাজের সময় হয়েছে। ডলির আর এখন কোন খবর নেই। হয়তো ভালোই আছে। মেঘের দিনে এতো কিছু থাকতে কেন ডলিকে মনে পড়লো কে জানে?? এখন বৃষ্টি হলে আমার কাছে সব সময় ছাতা থাকে। না থাকলেও একটা ব্যবস্থা হয়ে যায়। মেঘের দিনটা সত্যিই স্মৃতিকাতর। হাজারো জল্পনা, কল্পনা হাজির দেয়। অতিতের বিনাশ হওয়া দিনগুলো মনে পড়ুক মেঘলার দিন। ভালো থাকুক সবাই, ভালো থাকুক সবার অতিত।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:১৯
আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: সাংবাদিকদের শুক্রবার আর শনিবার নেই । তবে এদের প্রিয় ভালোবাসার মানুষ আছে । যাদের ভালোবাসায় শুক্রবার কি আর শনিবার কি এ সব কিছু আর মনে থাকে না্ । ধন্যবাদ রাজীব ভাই ।
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭
কিরমানী লিটন বলেছেন: আমার শুক্রবার অফিস। শনিবার অফ ডে- কিন্তু আমার আকাশের চাঁদ নেই- ফাঁকা, স্ত্রী কিছুদিন হল বিগত হয়েছেন- তাই এক জীবনের চাঁদ রাতও হারিয়ে গেছে। ভালোবাসা নিরন্তর...
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১৯
আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: লিটন ভাই স্মতির পাতায় কিছু মানুষকে কখনো ভুলতে পারা যায়না । তাছাড়া আপন মানুষ হারানোর ব্যাথা অনেক কষ্টের । আপনার স্মৃতিকাতর বিজন মন ভালো থাকুক দোয়া করি । আপনি আবার নতুন করে চাঁদ দেখার চেষ্টা করুন । ভালোবাসা কখনো মরে না । ধন্যবাদ ।
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২
মাহের ইসলাম বলেছেন: কলি কেমন আছে?
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২৪
আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: কলি অনেক বড় হয়েছে । তবে যে কলির চিকন রুগ্ন শরীর ছিলো সে এখন অনেক মোটা হয়ে গেছে । তাকে মোটাতেই অনেক সুন্দর লাগছে । ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য ।
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২৩
আরোগ্য বলেছেন: বৃষ্টির সময় মনে পড়ে শৈশবের কাগজের নৌকা বানানোর দৃশ্য।
৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৩১
আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: বৃষ্টি আর মেঘলা দিন মানেই ফেলে আসার সব স্মৃতির কথাগুলো মনে পড়ে । আবার মনে পড়ে চলে যায় সেই শৈশবে । ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য । ভালো থাকবেন । দোয়া রহিলো ।
৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বানানে প্রচুর ভুল। সুন্দর স্মৃতিকথা।
আমারও মাঝে মাঝে পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে, আর মনে পড়ে অনেকদিন আগে দেখা পুরনো স্বপ্ন।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:২৮
আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: হুম বানানে কিছু ভুল আছে । সংশোধনের চেষ্টা চলছে । ধন্যবাদ উপদেশে । সকলেরই কিছু স্মৃতি থাকে । কিছু স্মৃতির মৃত্য হয় আর কিছু স্মৃতি কাদায় আর ভাবায় ।
মন্তব্যে অশেষ ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন লেখক ।
৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৬
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ভাল লাগা রইল।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:২৯
আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ লেখক। ভালো থাকবেন।
৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩
ওমেরা বলেছেন: বৃষ্টির দিনের মধুর স্মৃতি বেশ সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন । ভাল লাগল ।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪
আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: ভালো লাগাতে মুগ্ধ হলাম । মন্তব্য অশেষ ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: আর যারা বেকার তাদের শুক্রবার শনিবার নেই।